ঢাকা ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ডায়ালাইসিসের ঝুঁকি

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১০ এএম
ডায়ালাইসিসের ঝুঁকি
যখন দুটি কিডনি বিকল হয়ে যায়, তখন ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হয়

যখন দুটি কিডনি বিকল হয়ে যায়, তখন ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হয়। আমাদের শরীরে প্রতি মুহূর্তে বিপাক কার্যক্রম চলমান। এতে তৈরি হয় প্রচুর বর্জ্য পদার্থ। প্রতিদিন এসব বর্জ্য শরীর থেকে বের করে থাকে কিডনি। যখন কিডনি সেই কাজ করতে পারে না তখন ডায়ালাইসিস দরকার হয়। তবে ডায়ালাইসিস করতে গিয়ে নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দেয়। অ্যাপোলো হসপিটালসের ওয়েবসাইট অবলম্বনে জানাচ্ছেন ফখরুল ইসলাম


ডায়ালাইসিস রোগীর কিডনি সারিয়ে তোলে না। তীব্র কিডনি বিকল রোগীর ক্ষেত্রে ডায়ালাইসিস অল্প সময়ের জন্য একটি চিকিৎসা হতে পারে, যতক্ষণ না কিডনি স্বাভাবিকভাবে কাজ করা শুরু করে। যাইহোক, দীর্ঘস্থায়ী বা শেষ পর্যায়ের কিডনি ব্যর্থতার ক্ষেত্রে, রোগী কিডনি প্রতিস্থাপন না করা পর্যন্ত বাকি জীবনের জন্য ডায়ালাইসিস প্রয়োজন হতে পারে।


কেন ডায়ালিসিস প্রয়োজন
যখন রোগীর কিডনি বিকল হয় এবং তার শরীরের প্রয়োজনীয়তার যত্ন নিতে অক্ষম হয়, তখন ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হয়। ডায়ালাইসিস নিম্নলিখিত কার্য সম্পাদন করে। শরীর থেকে বর্জ্য, লবণ এবং অতিরিক্ত তরল অপসারণ করে। সোডিয়াম, পটাসিয়াম ইত্যাদির মতো নির্দিষ্ট ইলেক্ট্রোলাইটের যথাযথ স্তর বজায় রাখে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।


ডায়ালাইসিসের সঙ্গে যুক্ত ঝুঁকি
যদিও ডায়ালাইসিস রোগীর জীবন বাঁচাতে পারে, তবু আমাদের এ সম্পর্কিত সতর্কতা এবং এর সঙ্গে জড়িত ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। 
হেমোডায়ালাইসিসের সঙ্গে সম্পর্কিত ঝুঁকিগুলো হলো- নিম্ন রক্তচাপ, রক্তশূন্যতা, রক্তে উচ্চ পটাসিয়ামের মাত্রা, অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন, হার্টের চারপাশে ঝিল্লির প্রদাহ (পেরিকার্ডাইটিস), সেপসিস, পেশি বাধা, চুলকানি এবং রক্ত প্রবাহের সংক্রমণ।
পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিসের সঙ্গে সম্পর্কিত ঝুঁকিগুলো হলো পেরিটোনাইটিস, পেটের প্রাচীরের আস্তরণের ঝিল্লির সংক্রমণ। পেটের পেশি দুর্বল হওয়া, উচ্চ রক্তে শর্করার মাত্রা, হার্নিয়া, জ্বর, ওজন বৃদ্ধি, পেশি বাধা, চুলকানি এবং রক্ত প্রবাহের সংক্রমণ।
কন্টিনিউয়াস রেনাল রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি (CRRT)-এর সঙ্গে সম্পর্কিত ঝুঁকিগুলো হলো- সংক্রমণ, নিম্ন রক্তচাপ, হাড় দুর্বল হয়ে যাওয়া, হাইপোথার্মিয়া, শরীরের তাপমাত্রা ৯৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের নিচে নেমে যায়। এ ছাড়া ইলেক্ট্রোলাইটের ব্যাঘাত (যেমন- ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ইত্যাদি), অ্যানাফিল্যাক্সিস, অ্যালার্জেনের তীব্র অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া।
দীর্ঘমেয়াদি ডায়ালাইসিসের সঙ্গে জড়িত অন্য ঝুঁকিগুলো হলো- আমিলাইডোসিস, আপনার শরীরে অস্বাভাবিক প্রোটিন জমে, যা আরও অঙ্গ ব্যর্থতার দিকে নিয়ে যেতে পারে। যেসব অঙ্গ সাধারণত আক্রান্ত হয় সেগুলো হলো- হার্ট, লিভার, কিডনি ইত্যাদি। এ ছাড়া বিষণ্নতা দেখা দিতে পারে। 
যেভাবে সংক্রমণ এড়াতে হবে
ডায়ালাইসিস রোগীদের সংক্রমণের প্রবণতা বেশি, যা স্বাস্থ্যের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে। সংক্রমণ ঘটে যখন ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক বা ভাইরাস স্পর্শের মাধ্যমে রোগীর শরীরে প্রবেশ করে বা যখন রোগী নাক বা মুখ দিয়ে সংক্রামক এজেন্টকে শ্বাস নেন। ডায়ালাইসিস রোগীরা কখনো কখনো তাদের অ্যাক্সেস সাইটের দুর্বলতার কারণে বা অন্যান্য স্বাস্থ্য অবস্থার (যেমন- ডায়াবেটিস) কারণে সংক্রমিত হয়। চাইলে এ ধরনের সংক্রমণ এড়াতে সহজ ব্যবস্থা নিতে পারেন-
হাতের স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলন করুন: এটি আপনার হাত ঘন ঘন ধোয়া এবং অ্যালকোহলভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করে করা যেতে পারে। সঠিকভাবে হাত ধোয়ার নিয়ম ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নিন।
অ্যাক্সেস সাইটের যত্ন নিন: হেমোডায়ালাইসিসের জন্য, আপনার অ্যাক্সেস সাইটের চাপ এড়াতে, ঢিলেঢালা কাপড় বা গহনা পরুন। পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিসের ক্ষেত্রে, রোগীর ক্যাথেটারকে শরীরের কাছাকাছি রাখুন এবং আঁটসাঁট পোশাক এড়িয়ে চলুন। যখন ব্যবহার করা হয় না, তখন আপনার ক্যাথেটারটি ক্যাপ করা উচিত এবং স্থানান্তর সেটটি ক্ল্যাম্প করা উচিত।
পেরিটোনাইটিস প্রতিরোধে সতর্কতা 
রোগী যদি পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিসের মধ্য দিয়ে থাকেন তবে পেরিটোনিয়ামের সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। পেরিটোনাইটিস যদি তাড়াতাড়ি পাওয়া যায় তবে সহজেই চিকিৎসা করা যেতে পারে এবং সহজেই এটি প্রতিরোধ করা যেতে পারে। রোগী যে সতর্কতা অবলম্বন করতে পারেন তা হলো- ক্যাথেটার এবং প্রস্থান সাইট পরিষ্কার এবং শুকনো রাখুন। যদি সম্ভব হয়, অ্যাক্সেস সাইট সুস্থ হওয়ার পরে প্রতিদিন স্নান করুন। ডাক্তারের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাঁতার কাটা বা বাথটাব স্নান এড়িয়ে চলুন। হাত ধোয়ার ধাপগুলো কঠোরভাবে মেনে চলুন। ডাক্তারের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী ডায়ালাইসিসের অ্যাক্সেস সাইটের যত্ন নিন। অ্যাক্সেস সাইটের যত্ন নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটি নতুন মাস্ক ব্যবহার করুন। ব্যবহার না করার সময় ক্যাথেটারের প্রান্তটি আটকে রাখুন। কোনো লালভাব, নিষ্কাশন, কোমলতা বা ফোলার জন্য প্রতিদিন ক্যাথেটার টানেল এবং প্রস্থান স্থল চেক করুন।

 

মেহেদী

অতিরিক্ত চিনি শরীরের যে ১০ ধরনের ক্ষতি করে

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২৮ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১৬ পিএম
অতিরিক্ত চিনি শরীরের যে ১০ ধরনের ক্ষতি করে
চিনি অতিরিক্ত ক্যালোরি প্রদান করে, যা শরীরে জমা হয়ে ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে

একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দিনে ৩ থেকে ৫ চামচ চিনি খেতে পারেন! এর বেশি খেলে শরীরে নানা ধরনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। আসুন দেখে নিই, চিনি আমাদের শরীরে যে ১০ ধরনের ক্ষতি করে।

১. ওজন বৃদ্ধি করে

প্রসেসড চিনি খাওয়ার ফলে স্থূলতার ঝুঁকি বেড়ে যায়


চিনি অতিরিক্ত ক্যালোরি প্রদান করে, যা শরীরে জমা হয়ে ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। বিশেষ করে অতিরিক্ত প্রসেসড চিনি খাওয়ার ফলে স্থূলতার ঝুঁকি বেড়ে যায়। ফলে শরীর খুব দ্রুত মোটা হয়ে যায়। অতিরিক্ত ফ্যাট জমে গেলে রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।


২. ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়

অতিরিক্ত চিনি খেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে


নিয়মিত অতিরিক্ত চিনি খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। যদি দৈনিক চিনি থেকে ১৫০ ক্যালরি গ্রহণ করা হয়, তাহলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায় প্রায় ১ দশমিক ১ শতাংশ।


৩. হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়

অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার ফলে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়


অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার ফলে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায় এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। ফলে হার্ট অ্যাটাক, হার্টফেল করার আশঙ্কাও বেড়ে যায়।


৪. দাঁতের ক্ষতি করে

চিনি ব্যাকটেরিয়ার জন্য খাবার হিসেবে কাজ করে


চিনি ব্যাকটেরিয়ার জন্য খাবার হিসেবে কাজ করে, যা ক্যাভিটি এবং দাঁতের ক্ষয়ের মূল কারণ। মিষ্টিজাতীয় খাবার গ্রহণের পর ব্রাশ না করলে দাঁতে চিনি লেগে থাকে। ফলে সেখানে ব্যাকটেরিয়া জমে দাঁতের ক্ষতি করে।


৫. লিভারে সমস্যা দেখা দেয়

অতিরিক্ত চিনি খেলে লিভারে চর্বির স্তর তৈরি হয়


চিনি বিশেষত ফ্রুক্টোজের অতিরিক্ত গ্রহণ লিভারে ফ্যাট জমাতে পারে, যা নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজের কারণ হতে পারে। অতিরিক্ত চিনি খেলে লিভারের চারপাশে অতিরিক্ত চর্বির স্তর তৈরি হয়। ফলে লিভারের কার্যক্ষমতা কমে যেতে থাকে।


৬. মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে

অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার ফলে মেজাজ পরিবর্তন আসে


অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার ফলে মেজাজ পরিবর্তন, বিষণ্নতা এবং ক্লান্তি অনুভূত হতে পারে। এটি বিশেষত শিশুদের মধ্যে অতিরিক্ত চঞ্চলতা এবং মনোযোগের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। চিনির কারণে আলঝেইমারসের মতো রোগ হতে পারে। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয় চিনি।


৭. ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়

চিনি কোলাজেনের গুণমান কমিয়ে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয়


চিনি কোলাজেনের গুণমান কমিয়ে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয়। এটা ব্রণের সমস্যা বাড়াতে পারে। পাশাপাশি কোলাজেন ও ইলাস্টিনের ক্ষতি করে। চিনি সোরিয়াসিস খারাপ করে এবং ত্বকের প্রদাহ বাড়ায়।


৮. প্রদাহ এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস করে

চিনি প্রদাহজনিত প্রতিক্রিয়া বাড়ায়


চিনি প্রদাহজনিত প্রতিক্রিয়া বাড়ায় এবং দীর্ঘমেয়াদে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয়। অতিরিক্ত চিনে খেলে বিষণ্নতা তৈরি হয়। শরীর সবসময় ক্লান্ত লাগে।


৯. রক্ত চলাচলে বাধা দেয়

ধমনীর দেয়ালের পুরুত্ব বাড়িয়ে দিতে পারে চিনি


শরীরের রক্ত চলাচলের ধমনীর দেয়ালের পুরুত্ব বাড়িয়ে দিতে পারে চিনি। ফলে রক্ত স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারে না এবং রক্তচাপ বেড়ে যায়।

১০. ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়

মাত্রাতিরিক্ত চিনি খেলে ক্যানসারের সম্ভাবনা বেড়ে যায়


এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্রাতিরিক্ত চিনি খেলে প্যাংক্রিয়েটিক ক্যানসার, প্রস্টেট ক্যানসার, ক্ষুদ্রান্তের ক্যানসার, গলা, ফুসফুস, রেকটাম ও স্তন ক্যানসারের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। 


করণীয়
চিনি গ্রহণ কমিয়ে প্রাকৃতিক উৎস যেমন ফলমূল থেকে প্রাকৃতিক চিনি গ্রহণের চেষ্টা করুন।

প্রসেসড খাবার এড়িয়ে চলুন।

খাবারের লেবেল পড়ে চিনির মাত্রা যাচাই করুন।

সুস্থ থাকার জন্য চিনির পরিমাণ সীমিত রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রস্টেট গ্রন্থি বড় হলে

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০০ এএম
প্রস্টেট গ্রন্থি বড় হলে
ছবি এআই

প্রস্টেট হচ্ছে ছোট একটি গ্রন্থি, যা পুরুষদের থাকে। এটির অবস্থান মূত্রথলির ঠিক নিচে। প্রস্টেট ঘিরে রাখে প্রস্রাবের পথ বা মূত্রনালিকে। সাধারণত এটির আকৃতি প্রায় একটি আখরোটের মতো। হেলথ লাইন অবলম্বনে লিখেছেন ফখরুল ইসলাম

 

যদিও সব পুরুষেরই প্রস্টেট থাকে, তবে মধ্য বয়সে এটি সাধারণত বড় হতে শুরু করে। বয়স যত বাড়ে, প্রস্টেট তত বড় হতে থাকে এবং এটা প্রস্রাবের পথকে বাধা দিতে থাকে। প্রস্টেট গ্রন্থি স্বাভাবিকের চেয়ে বড় হওয়াকে বলেহাইপারট্রফিকএবং এই অবস্থাকে বলে বিনাইল প্রস্টেটিক হাইপারট্রফি (বিপিএইচ) তবে প্রস্টেট বড় হওয়া মানে কিন্তু প্রস্টেট ক্যানসার নয়।

 

জটিলতা

প্রস্টেট গ্রন্থির বৃদ্ধির চিকিৎসা না করালে মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে। এই গ্রন্থি বড় থাকলে তা মূত্রথলি থেকে প্রস্রাব বের হতে বাধা দেয়। ফলে মূত্রথলিতে বাড়তি চাপ পড়ে। চাপ প্রস্রাবকে মূত্রনালির মধ্য দিয়ে পেছন দিকে এবং কিডনিতে ঠেলে দেয়।

এতে সংশ্লিষ্ট নালি কিডনি বড় হয়ে যায়। এক সময় কিডনি তার কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে। মূত্রথলির দেয়াল দুর্বল হয়ে বারবার ইনফেকশন বা সংক্রমণ হয়, যা কিডনিতে ছড়িয়ে তা বিকল করে দিতে পারে।

 

উপসর্গ

প্রস্রাবের ধারা দুর্বল হওয়া, বন্ধ হওয়া, আবার শুরু হওয়া। প্রস্রাব করার সময় ইতস্তত করা। থলিতে আরও প্রস্রাব থেকে গেছে- এমন অনুভূতি হওয়া। দিনের বেলা ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া। প্রস্রাবের রাস্তায় ইনফেকশন। প্রস্রাবের তাড়া অনুভব করা, প্রস্রাব হয়ে গেলেও টের না পাওয়া।

 

পরীক্ষা-নিরীক্ষা

প্রস্টেট গ্রন্থি বড় হয়েছে কি না, তা দেখার জন্য মলদ্বারে আঙুল ঢুকিয়ে পরীক্ষা করা হয়। এতে প্রস্টেট গ্রন্থির আকার কেমন এবং কোনো অস্বাভাবিকতা আছে কি না, তা জানা যায়। ল্যাবরেটরি পরীক্ষার মধ্যে রয়েছে প্রস্রাব পিএসএ পরীক্ষা। কিছু অন্য পরীক্ষা যেমন- ইউরোফ্লোমেট্রি পিভিআর বেশ সহায়ক। প্রস্টেট গ্রন্থির সঠিক মাপ জানতে এবং কোনো ক্যানসার আছে কি না, তা পরীক্ষা করতে প্রস্টেটের আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষা বেশ সহায়ক।

 

চিকিৎসা

শল্যচিকিৎসা : এর জন্য ট্রান্সইউরেথ্রাল রিসেকশন অব দ্য প্রস্টেট (টিইউআরপি) হলো সাধারণ শল্যচিকিৎসা। এক্ষেত্রে মূত্রপথ দিয়ে একটা যন্ত্র ঢুকিয়ে প্রস্টেটের সেই পয়েন্ট পর্যন্ত যাওয়া হয়, যেখানে প্রস্রাবের গতি বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। তারপর অতিরিক্ত টিস্যু কেটে ফেলা হয়।

লেজার সার্জারি : প্রস্টেট গ্রন্থি বৃদ্ধির চিকিৎসায় লেজার সার্জারি অনেকটা টিইউআরপির মতোই। ক্ষেত্রে প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে যন্ত্র ঢুকিয়ে পরীক্ষা করা হয়।

ওপেন প্রস্টেটেকটমি : প্রস্টেট গ্রন্থি খুব বেশি বড় হলে ওপেন প্রস্টেটেকটমির মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। এক্ষেত্রে তলপেট কেটে অপারেশন করা হয় এবং প্রস্টেট গ্রন্থির অংশ বের করে আনা হয়। এই চিকিৎসায় সাধারণত প্রস্রাবের সমস্যার দ্রুত দীর্ঘস্থায়ী সুফল পাওয়া যায়।

ফিনাস্টেরাইড: এটি খাওয়ার ওষুধ, যা প্রস্টেট গ্রন্থিকে সংকুচিত করে। ফলে প্রস্রাবের উপসর্গগুলোর উন্নতি ঘটে। অনেক সময় ওষুধ বন্ধ করলে আবার উপসর্গ দেখা দিতে পারে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে যৌনস্পৃহা কমে যায়।

আলফা ব্লকার: ছাড়া আলফা ব্লকার ওষুধগুলো প্রস্টেট গ্রন্থি বৃদ্ধিজনিত সমস্যায় ব্যবহার করা হয়। এসব ওষুধ প্রস্টেটের পেশিগুলোকে শিথিল করে সমস্যাগুলো কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। এর প্রতিক্রিয়ায় মাথাব্যথা, ক্লান্তি অথবা রক্তচাপ কমে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। জন্য চিকিৎসা চলাকালে নিয়মিত চিকিৎকের পরামর্শ নিতে হবে।

রোগের নাম টেনিস এলবো

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৪ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৫ পিএম
রোগের নাম টেনিস এলবো
ছবি সংগৃহীত

কনুই ব্যথার কারণ অনেক। ব্যথার অবস্থানের মাধ্যমে এর কারণ ও রোগ সম্পর্কে ধারণা করা যায়। বাহুর হাড়ের নিচের প্রান্তের বাইরের অংশকে ল্যাটারাল ইপিকোনডাইল বলে। নিবাহুর পেছনের পেশিগুলো এ স্থান থেকে উৎপত্তি হয় এবং এর প্রদাহকে ল্যাটারাল ইপিকোনডাইলাইটিস বা টেনিস এলবো বলে। কনুই ও হাতের কবজি বারবার পেছনে বাঁকা করলে টেনিস এলবো হয়। ধারণা করা হয়, টেনিস খেলোয়াড়দের এটি বেশি হয় বলে একে টেনিস এলবো বলে।

 

উপসর্গ

হাতের কনুইয়ে ব্যথা অনুভব হয় বলে হাত দিয়ে কোনো কিছু তুলতে সমস্যা হয়। হাতের নড়াচড়া বা কাজকর্মে ব্যথা বেড়ে যায়। এই ব্যথা কনুই থেকে শুরু হয়ে হাতের আঙুল পর্যন্ত যেতে পারে। ভেজা কাপড় নিংড়ানো, চামচ দিয়ে কিছু নাড়ানো, দরজা খোলা ও লাগানো কষ্টকর হয়; এমনকি আরেকজনের সঙ্গে করমর্দন করতেও অসুবিধা হয়।


যাদের বেশি হয়
হাতুড়ি ও স্ক্রু ড্রাইভার ব্যবহারকারী। পেইন্টার বা রংমিস্ত্রি। টাইপিস্ট, স্টেনোগ্রাফার, কাঠুরে, টেনিস ও ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়। অত্যধিক মোটরসাইকেল চালনাকারী। বিভিন্ন ধরনের আর্থ্রাইটাস যেমন, রিউমাটয়েড, গাউট ও ডায়াবেটিসের রোগী এবং সাংসারিক কাজে ব্যস্ত নারী ইত্যাদি মানুষের।


রোগ নির্ণয়
টেনিস এলবো কেন হয়, এর কারণ নির্ণয় করতে হলে প্রথমেই রোগীর অসুবিধার কথাগুলো জানতে হবে। রোগীকে ভালোভাবে পরীক্ষা করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে এক্স-রে ও রক্তের পরীক্ষা যেমন- শর্করা, সিরাম ইউরিক অ্যাসিড, আরএ ফ্যাক্টর ইত্যাদি করাতে হবে। অনেক সময় এক্স-রে ও রক্ত পরীক্ষায়ও রোগ শনাক্ত করা যায় না। কনুইয়ের বিশেষ ধরনের আল্ট্রাসাউন্ড এবং এমআরআই করেও অনেক সময় এই রোগ শনাক্ত করা যায়।


চিকিৎসা
হাত দিয়ে কোনো কাজ বা কোনো কিছু বহন করতে না পারলে, রাতের বেলায় বা বিশ্রাম অবস্থায় ব্যথা হলে, একটানা কিছুদিন কনুইয়ে ব্যথা থাকলে, সোজা বা ভাঁজ করতে অসুবিধা হলে, কনুই ফুলে গেলে বা চামড়ার রং পরির্বতন হলে, অন্য কোনো অস্বাভাবিক অসুবিধা বা চিনচিনে ব্যথা অনুভূত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কনজারভেটিভ চিকিৎসায় টেনিস এলবো সেরে যায়। তবে দুঃখের বিষয়, এই রোগ সেরে যাওয়ার কিছুদিন পর আবার দেখা দিতে পারে। অনেক সময় কনুইয়ের বাইরের দিকে ব্যথা না হয়ে যখন কনুইয়ের ভেতরের পাশে ব্যথা হয়, তাকে গলফার্স এলবো বলে, যার চিকিৎসাও টেনিস এলবোর মতোই। টেনিস এলবোর চিকিৎসায় নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগ সেবন করা যেতে পারে। করটিসন ইনজেকশন পুশ করলে রোগের উপসর্গ দ্রুত কমে।
বারবার টেনিস এলবোতে আক্রান্ত হলে ছোট ছিদ্র দিয়ে আর্থোস্কোপ টেনিসয়ে প্রবেশ করিয়ে বিসংকোচন ও ডেব্রাইডমেন্ট করালে ব্যথা কমে যায়। কখনো কখনো টেনডনের উৎপত্তি নতুন জায়গায় সরানো হয় এবং এনকোর সুচার দিয়ে লাগানো হয়। এই উভয় পদ্ধতিতে রোগীর সমস্যা দ্রুত নিরাময় হয়। রোগের জটিল পর্যায়, বিশেষ করে পেশাজীবী খেলোয়াড়দের এই রোগ হলে অনেক সময় অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে। অভিজ্ঞ অর্থোপেডিকস সার্জনরা এই অপারেশন পরিচালনা করে থাকেন, যাতে প্রায় ৯০ শতাংশ সফলতা মেলে।


করণীয়
চিকিৎসার পাশাপাশি কনুইকে যথাসম্ভব বিশ্রামে রাখতে হবে, যাতে প্রদাহ বা ব্যথা কম হয়। তবে অতিরিক্ত বিশ্রামে আবার কনুই স্টিফ হয় বা জমে যেতে পারে। নিয়মিত বরফ বা গরম সেঁক দিলে প্রদাহ, ফোলা ও ব্যথা কমে যায়। ফোলা ও ব্যথা কমে এলে কনুইয়ের স্বাভাবিক নড়াচড়া ও পেশি শক্তিশালী হওয়ার জন্য ব্যায়াম করতে হবে। প্রয়োজনে ফিজিওথেরাপি দিতে হবে।

যে লক্ষণগুলো দেখলে বুঝবেন কিডনিতে পাথর আছে

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫১ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৬ পিএম
যে লক্ষণগুলো দেখলে বুঝবেন কিডনিতে পাথর আছে
যেকোনো বয়সের মানুষের কিডনিতে পাথর হতে পারে

কিডনিতে পাথর বলতে বোঝায়, কিডনি অথবা মূত্রনালির মধ্যে একটি শক্ত ও অনিয়মিত আকারের খনিজ পদার্থের অবস্থান। পাথরের অবস্থানের ওপর নির্ভর করে রোগটির নামকরণ করা হয়ে থাকে। যেমন-

নেফ্রোলিথিয়াসিস: এই রোগে কিডনিতে পাথর থাকে।
ইউরোলিথিয়াসিস: এই রোগে মূত্রাশয় এবং মূত্রনালিতে পাথর থাকে।
ইউরেটেরোলিথিয়াসিস: এই রোগে পাথর মূত্রনালিতে অবস্থান করে। 

 

কিডনির পাথরের প্রকারভেদ

বিভিন্ন ধরনের কিডনির পাথর


পাথর কী ধরনের রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে গঠিত, তার ওপর ভিত্তি করে পাথরের প্রকারভেদ করা হয়। এর মধ্যে আছে-
ক্যালসিয়াম অক্সালেট পাথর: এটি ক্যালসিয়াম অক্সালেট দিয়ে তৈরি।
ক্যালসিয়াম ফসফেট পাথর: এটি ক্যালসিয়াম ফসফেট দিয়ে তৈরি।
ইউরিক অ্যাসিড পাথর: এটি ইউরিক অ্যাসিড দিয়ে তৈরি।
সিস্টাইন পাথর: এটি সিস্টাইন দিয়ে তৈরি।

 

কিডনির পাথর কাদের হয়

কিডনিতে পাথর হলে সাধারণত ব্যথা হয়


যেকোনো বয়সের মানুষের কিডনিতে পাথর হতে পারে। তবে বিশেষ কিছু মানুষের মধ্যে এবং বিশেষ কিছু সময়ে কিডনিতে পাথর হতে দেখা যায়। যেমন- বয়স্ক পুরুষদের, অন্তঃসত্ত্বাদের, যাদের কিডনিতে পাথরের পূর্ব ইতিহাস রয়েছে, যাদের পরিবারের সদস্যদের কিডনিতে পাথর রয়েছে। এ ছাড়া নির্দিষ্ট কিছু রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি এবং চিকিৎসার অবস্থা যেমন- গাউট, হাইপারক্যালসিউরিয়া, হাইপারপ্যারাথাইরয়েডিজম, ডায়াবেটিস, ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি ইত্যাদি রোগে ভুগছেন এমন রোগীদের মধ্যে কিডনির পাথর হওয়ার প্রবণতা বেশি। পাশাপাশি অ্যান্টাসিড, মূত্রবর্ধক ইত্যাদির মতো নির্দিষ্ট ওষুধ গ্রহণকারী লোকেদের মধ্যেও এটা দেখা যায়।

 

যেসব কারণে কিডনিতে পাথর হয়

কিডনিতে নানা আকারের পাথর হতে পারে


কিডনিতে পাথর তৈরি হয় যখন পাথর গঠনকারী পদার্থ (লবণ) প্রস্রাবে নির্গত হয়। প্রস্রাবের সংমিশ্রণে পরিবর্তন বা প্রস্রাবের পরিমাণ হ্রাস কিডনিতে পাথর গঠনে সহায়তা করে। এ ছাড়া আরও যেসব কারণে কিডনিতে পাথর হয় তার মধ্যে আছে পানি কম খাওয়া, কঠোর ব্যায়ামের কারণে পানিশূন্যতা তৈরি হওয়া, প্রস্রাব বের হওয়ার পথে যেকোনো ধরনের বাধা, মূত্রনালিতে সংক্রমণ ইত্যাদি। কিছু খাদ্যাভ্যাস যেমন উচ্চ প্রোটিন গ্রহণ, অত্যধিক লবণ বা চিনি, ভিটামিন ডি সম্পূরক দীর্ঘক্ষণ গ্রহণ এবং পালংশাকের মতো অক্সালেটযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া হলেও কিডনিতে পাথর হতে পারে।

 

যে লক্ষণগুলো দেখলে বুঝবেন কিডনিতে পাথর থাকতে পারে

কিডনিতে পাথর হলে প্রস্রাবে রক্তের উপস্থিতি থাকতে পারে


কিডনিতে পাথর হলে সাধারণত ব্যথা হয়। পিঠের নিচের দিক ও কুঁচকি অঞ্চলে এই ব্যথা হতে পারে। ব্যথা হঠাৎ এবং অসহনীয় হতে পারে। ব্যথার সঙ্গে বমি বমি ভাব এবং বমি হতে পারে। এ ছাড়া আরও যেসব লক্ষণ দেখা যায় তার মধ্যে আছে-
প্রস্রাবে রক্তের উপস্থিতি, যাবে ডাক্তারি ভাষায় হেমাটুরিয়া বলে। মূত্রনালিতে সংক্রমণের কারণে জ্বর এবং ঠাণ্ডা লাগা থাকতে পারে। প্রস্রাব করতে অসুবিধা হয়। প্রস্রাবের রং গাঢ় হলুদ হতে পারে। পুরুষদের অণ্ডকোষ এলাকায়ও ব্যথা থাকতে পারে। 
এই লক্ষণগুলো যদি কারও মধ্যে দেখা যায় তাহলে জরুরি ভিত্তিতে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

প্রোস্টেট ক্যানসার প্রতিরোধের ১০ উপায়

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২০ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৬ পিএম
প্রোস্টেট ক্যানসার প্রতিরোধের ১০ উপায়
প্রোস্টেট ক্যানসার সারা বিশ্বে পুরুষদের সাধারণ ক্যানসারগুলোর মধ্যে অন্যতম

প্রোস্টেট ক্যানসার সারা বিশ্বে পুরুষদের মধ্যে সাধারণ ক্যানসারগুলোর মধ্যে একটি। এটা যেকোনো বয়সের ব্যক্তিদের হতে পারে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ৫০ বছরের বেশি পুরুষদের মধ্যে দেখা যায়। এমন কিছু উপায় রয়েছে যা প্রোস্টেট ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে। আসুন দেখে নেই সেগুলো কী কী।

১. আইসোফ্ল্যাভোন খান

আইসোফ্ল্যাভোন ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে কাজ করে


আইসোফ্ল্যাভোন একটি উপাদান, যা ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে কাজ করে। টোফু, ছোলা, মসুর ডাল, চিনাবাদাম ইত্যাদিতে এই উপাদানটি পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি গ্রিন টির মতো ভেষজ চা প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি দূর করতে প্রমাণিত। সমীক্ষায় দেখা গেছে, যে পুরুষরা গ্রিন টি পান করেন, তাদের প্রোস্টেট ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। দিনে চার থেকে পাঁচ কাপ গ্রিন টি প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে বা দূর করতে পারে। 

 

২. খাবারে রাখুন সাইট্রাস ফল

সাইট্রাস ফল সুষম খাদ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান


তাজা সাইট্রাস ফল সুষম খাদ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। দেখা গেছে, যারা বেশি পরিমাণে সাইট্রাস ফল খায়, তাদের প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কম বা নেই। সাইট্রাস ফলের মধ্যে আছে কমলালেবু, জাম্বুরা, লেবু, লাইম, মানডারিন, ইউজু এবং ম্যান্ডারিন কমলা।

 

৩. ভিটামিন ডি গ্রহণ করুন

ভিটামিন ডি প্রোস্টেট ক্যানসার থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে


বেশির ভাগ লোকই পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পায় না। ভিটামিন ডি প্রোস্টেট ক্যানসার থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। খাবারে ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার যেমন স্যামন, কড লিভার অয়েল, শুকনো মাশরুম ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এ ছাড়াও, সরাসরি ভিটামিন ডি পাওয়ার জন্য সবাইকে অবশ্যই রোদে বের হতে হবে। 

 

৪. কফি পান করুন

প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে কফি একটি আদর্শ পানীয়


প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে কফি একটি আদর্শ পানীয়। প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ কাপ কফি পান উচ্চ-গ্রেড ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, দিনে তিন কাপ কফি প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি প্রায় ১১ শতাংশ কমিয়ে দেয়। তবে মনে রাখবেন, ক্যাফিনের উচ্চ মাত্রা পেটে ব্যথা, দ্রুত হৃদস্পন্দন এবং ঘুমের সমস্যাগুলোর মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।

 

৫. চর্বি বাদ দিন

লাল মাংস প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে


পশুর চর্বির সঙ্গে প্রোস্টেট ক্যানসারের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগসূত্র রয়েছে। তাই প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং প্রাণিজ চর্বিকে বাদ দিয়ে উদ্ভিদভিত্তিক চর্বি খেতে হবে। উদাহরণস্বরূপ মাখনের পরিবর্তে জলপাই তেল, ক্যান্ডির পরিবর্তে ফল এবং পনিরের পরিবর্তে বাদাম খেতে পারেন। এ ছাড়াও অতিরিক্ত মাংস খাওয়া এড়িয়ে চলুন। কারণ এটি প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। 

 

৬. খেতে পারেন লাল ফল

লাল ফলে লাইকোপিন বেশি থাকে


লাল ফল যেমন-তরমুজ, টমেটো, বিটরুট ইত্যাদিতে রয়েছে লাইকোপিন, যা অত্যন্ত শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। লাইকোপিন প্রোস্টেট ক্যানসার কোষের অগ্রগতি এবং বৃদ্ধি কমাতে পারে। তাই খাবারে এই লাল ফল ও সবজি অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
সপ্তাহে চারবারের বেশি রান্না করা টমেটো খাওয়ার ফলে অন্যান্য রান্না করা খাবারের তুলনায় ক্যানসারের ঝুঁকি ২৮ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। মনে রাখতে হবে, ফল যত লাল হবে, তাতে লাইকোপিন তত বেশি থাকবে! 

 

৭. ধূমপান ত্যাগ করুন

ধূমপানের কারণে প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়


ধূমপানের কারণে প্রোস্টেট ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। কেউ যদি স্বাস্থ্যকর খাবার খায় কিন্তু দিন-রাত ধূমপান করে, তা হলে কোনো লাভ নেই। ধূমপান ত্যাগ করে স্বাস্থ্যকর জীবনধারা গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ। যারা ধূমপান ছেড়েছেন তাদের প্রোস্টেট ক্যানসার এবং অন্যান্য ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি অনেক কমে যায়।

 

৮. নিয়মিত ব্যায়াম করুন

অতিরিক্ত ওজন শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে


অতিরিক্ত ওজন বা স্থূল হলে প্রোস্টেট ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। অতিরিক্ত ওজন শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। নিয়মিত ব্যায়াম প্রোস্টেট ক্যানসারসহ বেশির ভাগ ক্যানসার প্রতিরোধ করে। সাইকেল চালানো, হাঁটা, সাঁতার কাটা ইত্যাদি ব্যায়াম করলে প্রোস্টেট ক্যানসারের আশঙ্কা অনেকাংশে কমে যায়।


৯.  শারীরিক সম্পর্কে সক্রিয় থাকুন

শারীরিক সম্পর্কে সক্রিয় পুরুষদের প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কম থাকে


শারীরিক সম্পর্কে সক্রিয় থাকলে পুরুষদের প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কম থাকে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, বীর্যপাত শরীরের বিষাক্ত পদার্থ এবং অন্যান্য অবাঞ্ছিত পদার্থগুলোকে পরিষ্কার করে। এসব উপাদান প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই শারীরিক সম্পর্কে সক্রিয় পুরুষদের প্রোস্টেট ক্যানসারের আশঙ্কা কমে যায়।

 

১০. ডাক্তারের সহায়তা নিন

নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে


এই লক্ষণগুলো যদি কারও মধ্যে থাকে, তা হলে তাকে দ্রুত ডাক্তার দেখাতে হবে। যেমন- দুর্বল প্রস্রাবের স্রোত, প্রস্রাবের সময় ব্যথা, প্রস্রাব করার পর মূত্রাশয় খালি না হওয়া, প্রস্রাবে রক্ত যাওয়া, তলপেটে অস্বস্তি বা ব্যথা ইত্যাদি। প্রাথমিক অবস্থায় রোগ নির্ণয় করতে পারলে রোগমুক্তির সুযোগ বেড়ে যায়। 

সূত্র: কেয়ার হসপিটালস

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });