ঢাকা ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

আখরোট খাওয়ার ১৩ উপকারিতা

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১১ পিএম
আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৮ পিএম
আখরোট খাওয়ার ১৩ উপকারিতা
আখরোটের উপকারিতা অনেক

স্বাস্থ্য উপাদানের কথা চিন্তা করলে বাদাম জাতীয় খাবার, অন্য সকল ড্রাই ফুডের চেয়ে উন্নত এবং অধিক পুষ্টিগুনে সমৃদ্ধ। কারণ বাদাম জাতীয় খাবারে একাধারে ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট এবং শর্করা থেকে শুরু করে অন্যান্য আরো অনেক উপকারী পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। প্রকৃতিতে পাওয়া যায় এমন অনেক বাদামের মধ্যে আখরোট অন্যতম যা ওয়ালনাট হিসেবেও পরিচিত। 

 

আখরোট খাওয়ার উপকারিতা

আখরোট খাওয়ার নানামুখী উপকারিতা রয়েছে। নিচে বিস্তারিতভাবে উপকারিতাগুলো আলোচনা করা হয়েছে।

 

ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমায়

আখরোট রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে। বিশেষ করে রক্তে থাকা ক্ষতিকর শর্করা প্রতিরোধ করে এবং রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। যেহেতু রক্তে থাকা শর্করা ডায়াবেটিসের প্রধান কারণ সেহেতু আখরোট পরোক্ষভাবে এর ঝুঁকি কমায়। অর্থাৎ নিয়মিত ওয়ালনাট খেলে তা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি তা প্রতিরোধ করে।

 

ওজন কমায়

আখরোটে থাকা অতিরিক্ত ফ্যাট থাকার কারণে অনেকেই মনে করে এটি খেলে ওজন বৃদ্ধি পাবে। তবে এতে থাকা ওমেগা-৩, প্রোটিন ও ফাইবার দেহের পুষ্টি উপাদান নিয়ন্ত্রণ করে ওজন ঠিক রাখে। তবে কখনোই আখরোট বেশি খাওয়া যাবে না। কারণ এতে দেহে অতিরিক্ত ফ্যাট জমা হবে যা স্থূলতা বৃদ্ধি করে।

 

আখরোট গাছ

 

 

হৃদরোগ প্রতিরোধ করে

হৃদরোগের জন্য সব থেকে বেশি দায়ী হল ক্ষতিকর কোলেস্টরেল, ফ্যাট এবং রক্তে থাকা শর্করা। এগুলো প্রতিরোধ করার জন্য আখরোট অনেক ভালো কাজ করে। কারণ আখরোটে আছে ওমেগা-৩, ভিটামিন, ফাইবার, এন্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি উপাদান। এগুলো দেহের সকল পুষ্টিগুণ স্বাভাবিক রাখে এবং রক্ত চলাচল বাধামুক্ত রাখে। এতে হৃৎপিণ্ড সচল থাকে এবং এর পারিপার্শ্বিক পেশীগুলো কর্মক্ষম থাকে। এই কারণে সম্ভাব্য হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ হয়।

 

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে

দেহের কর্মক্ষমতা স্বাভাবিক রাখার জন্য কোলেস্টেরেলের প্রয়োজন হয়। তবে ক্ষতিকারক এলডিএল কোলেস্টরেল উপকারের থেকে ক্ষতি বেশি করে। বিশেষ করে হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করার জন্য এই এলডিএল কোলেস্টরেল দায়ী। নিয়মিত আখরোট বা ওয়ালনাট খেলে তা রক্তে থাকা এই ক্ষতিকারক উপাদান দূর করে এবং শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমার সাথে সাথে অন্যান্য সমস্যা নির্মূল হয়।

 

শিশুদের বিকাশে সাহায্য করে

শিশুর শারীরিক ও মানুষিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য যে যে স্বাস্থ্য উপাদান প্রয়োজন তার প্রায় সব গুলই আখরোটে পাওয়া যায়। বিশেষ করে ওমেগা-৩, ভিটামিন, খনিজ, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি উপাদান, যা শিশুর শরীর সুগঠিত হতে সাহায্য করে। এতে শিশুর অপুষ্টি সমস্যার সমাধান হয়। এ সকল দিক বিবেচনা করে দেখা যায় প্রকৃতি থেকে পাওয়া আখরোট শিশুর স্বাস্থ্য বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে।

 

আখরোটে আছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড

 

 

মস্তিষ্ক ভালো রাখে

ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডকে একটি সর্বজনীন উপকারী পুষ্টি উপাদান বলা হয়। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড প্রাকৃতিক ভাবে পাওয়া যায় এমন খাবারের মধ্যে আখরোট অন্যতম। অন্যদিকে ওমেগা থ্রি এন্টিঅক্সিডেন্ট বৃদ্ধি করার পাশাপাশি মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে। অর্থাৎ নিয়মিত আখরোট খেলে তা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

 

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে

আখরোটে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, পলিফেনলস এবং ইউরোলিথিন থাকে যাদের ক্যানসার প্রতিরোধী উপাদান বলে। এই কারণে বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়, নিয়মিত আখরোট খেতে কারণ এতে থাকা পুষ্টি উপাদান সব ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। বিশেষ করে স্তন, প্রটেস্ট এবং কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করার প্রয়োজনীয় উপাদান ওয়ালনাটে বিদ্যমান।

 

হাড় শক্ত করে

আখরোটে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকে। হাড় শক্ত ও মজবুত করার জন্য ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন পরে। নিয়মিত আখরোট খেলে তা শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে যা অস্থিমজ্জা শক্তিশালী করার পাশাপাশি হাড়ের গঠন সুগঠিত করে।

 

শুক্রাণুর মান বৃদ্ধি করে

বীর্যে স্বাস্থ্যবান শুক্রাণু না থাকলে তা থেকে সন্তান উৎপাদন হয় না। প্রাকৃতিক উপায়ে শুক্রাণুর মান বৃদ্ধি করার যে যে খাবার আছে আখরোট তাদের মধ্যে অন্যতম। নিয়মিত মধুর সাথে আখরোট মিশিয়ে খেলে তা যৌন স্বাস্থ্য উন্নত করার সাথে সাথে শুক্রাণুর মান বৃদ্ধি করে।

 

চুলের উপকার করে

চুলের জন্য উপকারী উপাদান যেমন পটাশিয়াম, ওমেগা থ্রি, ওমেগা সিক্স ও ওমেগা নাইন ইত্যাদি আখরোটে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। এই কারণে নিয়মিত আখরোট খেলে তা চুল শক্ত করে, উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে, চুলের গোঁড়া মজবুত করে। এতে চুল হয় ঘন, কালো, লম্বা এবং স্বাস্থ্য উজ্জ্বল।

 

আখরোট চুলের জন্য উপকারী

 

 

ভালো ঘুমের সহায়ক

ভালো ঘুমের জন্য প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন এই আখরোট। আখরোটে থাকা মেলাটোনিল, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড, আমাদের রক্ত চাপ কমাতে এবং স্ট্রেস উপশম করতে সাহায্য করে। যা ভালো ঘুমের সহায়ক।

 

গর্ভাবস্থায় উপকারী

আমরা জানি আখরোটে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি, ফোলেট, রাইবোফ্লাভিন, থিয়ামিন এবং ফলিক অ্যাসিড থাকে যা গর্ভবতী মা এবং অনাগত সন্তানের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে। নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ আখরোট খেলে তা গর্ভাবস্থায় উপকারী হিসেবে কাজ করে।

 

ডার্ক সার্কল দূর করে

আমরা জানি ডার্ক সার্কেল তৈরি হয় অনিদ্রা, দুশ্চিন্তার কারণে। নিয়মিত আখরোট খেলে তা মানষিক অবসাদ দূর করে। এতে স্ট্রেস দূর হয় এবং স্বাস্থ্যসম্মত ঘুম হয়। অন্যদিকে এতে থাকা ফাইবার, আলফা লাইনলেনিক অ্যাসিড এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট চোখের নিচে ফোলাভাব দূর করে এবং চেহারার উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

 

মেহেদী

চোখে কিছু পড়লে যা করবেন

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৪ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২৯ পিএম
চোখে কিছু পড়লে যা করবেন
ময়লা হাত দিয়ে চোখ স্পর্শ করবেন না

হঠাৎ করে চোখে বালু, পোকা কিংবা ইটের কণা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে বিচলিত না হয়ে নিচের লেখা ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে। 

১. শান্ত থাকুন এবং চোখ ঘষবেন না
চোখে অযাচিত কিছু গেলে শান্ত থাকুন। আঙুল দিয়ে চোখ ঘষা যাবে না। কারণ তাতে চোখের কর্নিয়া (cornea) ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

২. চোখের পলক ফেলুন
বারবার চোখের পলক ফেললে অশ্রু বেরিয়ে এসে কণাকে ধীরে ধীরে বের করে আনতে সাহায্য করতে পারে। তাই যে চোখে সমস্যা হয়েছে, বারবার সেই চোখের পলক ফেলুন।

৩. পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন
চোখে কিছু গেলে ধীরে ধীরে ঠাণ্ডা ও পরিষ্কার পানিতে চোখ ধুয়ে নিন। এতে বস্তুটি বেরিয়ে আসতে পারে। যতক্ষণ পর্যন্ত বস্তুটি বেরিয়ে না আসে ততক্ষণ পর্যন্ত পানি দিন। 

৪. আলোতে চোখ পরীক্ষা করুন
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বা অন্য কারও সাহায্য নিয়ে দেখতে চেষ্টা করুন চোখে কী গিয়েছে। যদি ছোট কণা থাকে এবং সহজে দেখা যায়, তা হলে পরিষ্কার টিস্যু বা কটন বাড দিয়ে আলতো করে সরানোর চেষ্টা করতে পারেন।

৫. চিকিৎসকের কাছে যান
যদি কিছুতেই কণা না বের হয়, চোখে লালচে ভাব বা ব্যথা থাকে অথবা দেখাতে সমস্যা হয়, তা হলে দ্রুত চোখের ডাক্তার বা নিকটস্থ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগে যান। তারা এটি বের করে আনতে সাহায্য করবেন।

সতর্কতা
চোখে কোনো রাসায়নিক গেলে সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর পরিমাণ পানি দিয়ে ধুয়ে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। ধারালো বা কঠিন কিছু চোখে প্রবেশ করলে নিজ থেকে বের করার চেষ্টা না করে সরাসরি চিকিৎসকের কাছে যাওয়া ভালো। ময়লা হাত দিয়ে চোখ স্পর্শ করবেন না। প্রয়োজনে সাবান ও পানি দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিন। বড় কোনো বস্তু বা চোখের মধ্যে গেঁথে থাকা কিছু নিজে বের করার চেষ্টা করবেন না। তীক্ষ্ণ বস্তু দিয়ে (যেমন পিন বা চিমটি) চোখ থেকে কিছু বের করার চেষ্টা করবেন না।

বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটির আহ্বায়ক কমিটি গঠন

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৯ পিএম
আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৯ পিএম
বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটির আহ্বায়ক কমিটি গঠন
অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সফিউদ্দিন, ডা. এএফ খবির উদ্দিন আহমেদ, ডা. একেএম মহিউদ্দিন ভূইয়া মাসুম। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটির ৪৯ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে এক সভায় এই কমিটি গঠন করা হয়।

নবগঠিত কমিটিতে অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সফিউদ্দিনকে আহ্বায়ক, ডা. এএফ খবির উদ্দিন আহমেদকে সদস্য সচিব এবং ডা. একেএম মহিউদ্দিন ভূইয়া মাসুমকে কোষাধ্যক্ষ করা হয়।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটি সদস্য সচিব ডা. এএফ খবির উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দীর্ঘদিনের মেয়াদোত্তীর্ণ ও অকার্যকর কমিটিকে বাতিল করে সাধারণ সদস্যদের সম্মতিতে এই কমিটি ঘোষিত হয়। কার্ডিয়াক সোসাইটির সর্বস্তরের সদস্যরা বিশ্বাস করেন নবগঠিত কমিটি পূর্বের ব্যর্থতা থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে কার্ডিয়াক সোসাইটিকে সত্যিকার অর্থে সদস্যদের আশা-ভরসার স্থলে রূপান্তর করবে।

এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটির নেতৃত্বে হৃদরোগের সকল বিভাগের চিকিৎসকদের পুঞ্জীভূত অপ্রাপ্তি দূর হবে এবং পাশাপাশি বাংলাদেশে হৃদরোগের চিকিৎসা বিশ্বমানে উন্নীত হবে।

হাঁটুর ব্যথা থেকে মুক্তি

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০০ এএম
আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৩ পিএম
হাঁটুর ব্যথা থেকে মুক্তি
সংগৃহীত

মানবদেহের ওজন বহনকারী যে কটি অস্থিসন্ধি রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো হাঁটু। এই হাঁটুর ব্যথা প্রধানত বয়স্কদের বেশি হয়ে থাকে। এটি একটি সাধারণ সমস্যা, যা বয়স্ক থেকে শুরু করে তরুণদের মধ্যেও দেখা দিতে পারে। সাধারণত পুরুষের তুলনায় নারীদের এই সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। তবে সঠিক চিকিৎসা ও যত্নের মাধ্যমে হাঁটুর ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

 

কারণ
নানা কারণে হাঁটুর ব্যথা হতে পারে। যেমন-
অস্টিওআর্থ্রাইটিস : হাঁটুর জয়েন্টের ক্ষয়জনিত সমস্যা।
আঘাত : লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়া বা হাঁটুর জয়েন্টে আঘাত।
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস : অটোইমিউন রোগ, যা হাঁটুর জয়েন্টে প্রদাহ সৃষ্টি করে।
ওজনাধিক্য : হাঁটুর ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে।
মাংসপেশির দুর্বলতা : হাঁটুর আশপাশের পেশি শক্তিশালী না হলে সমস্যা দেখা দেয়।


চিকিৎসা ও করণীয়
বিশ্রাম নিন : প্রাথমিক করণীয় হিসেবে হাঁটুর ওপর চাপ কমান। এ জন্য বিশ্রাম নিন।
বরফ দিন : হাঁটুতে ১০-১৫ মিনিট বরফের প্যাক ব্যবহার করুন দিনে ৩-৪ বার।
চাপ : হাঁটুর সাপোর্ট ব্যান্ডেজ ব্যবহার করুন।
পা উঁচু রাখা : হাঁটু উঁচু করে রাখুন। এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে।

 

ফিজিওথেরাপি
হাঁটুর ব্যথা উপশমের জন্য বিশেষ ব্যায়াম এবং কিছু থেরাপি কার্যকর। এ জন্য ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নিন।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন: আপনার ওজনাধিক্য থাকলে তা নিয়ন্ত্রণ করুন। সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন। চর্বি ও চিনিজাতীয় খাবার কম খান।
বিশেষ ধরনের সাপোর্ট ও জুতা: হাঁটুর জন্য সাপোর্টিং ব্রেস ব্যবহার করুন। নরম এবং আরামদায়ক জুতা পরুন।

 

ব্যায়াম ও স্ট্রেচিং
পেশির শক্তি বাড়াতে নিয়মিত ব্যায়াম করা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো বা মৃদু স্ট্রেচিং ব্যায়াম এবং হাঁটুর হালকা ব্যায়ামগুলো করুন। 

 

ওষুধ ও ব্যথানাশক
হাঁটুর ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই একজন অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। খুব বেশি ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন-জাতীয় ব্যথানাশক সেবন করা যেতে পারে। এ ছাড়াও তিনি কার্টিলেজ রক্ষাকারী ওষুধ (যেমন- গ্লুকোসামিন) দিতে পারেন। গুরুতর ক্ষেত্রে জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট বা লিগামেন্ট রিপেয়ার সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।

 

হাঁটুর ব্যথা প্রতিরোধে করণীয়
হাঁটুর জয়েন্টগুলোয় চাপ কমাতে স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন।
দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা বা ভারী কাজ এড়িয়ে চলুন।
প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম করুন।
সঠিক ভঙ্গিতে বসা ও হাঁটার অভ্যাস করুন।
খাদ্য উপাদান যেমন ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি গ্রহণ করুন।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন।

লেখক: অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের প্রধান, ল্যাবএইড হাসপাতাল লিমিটেড

শ্বেতি রোগ ভালো হয়

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪৭ পিএম
আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪৭ পিএম
শ্বেতি রোগ ভালো হয়
ছবি এআই

ত্বকের সাধারণ একটি সমস্যা শ্বেতি রোগ, যাতে ত্বক বা চর্ম সাদা হয়ে যায়। তবে সব সাদা ত্বকই কিন্তু শ্বেতি নয় এবং এটি প্রাণঘাতী বা ছোঁয়াচেও নয়। যে কারও শ্বেতি হতে পারে, যার আধুনিক চিকিৎসা বাংলাদেশেই রয়েছে। হেলথ লাইন অবলম্বনে লিখেছেন ফারজানা আলম

ত্বকে থাকে ‘মেলানোসাইট’ নামের এক ধরনের কোষ। এই কোষ দেহে একটি রঞ্জক পদার্থ তৈরি করে, যার নাম ‘মেলানিন’। মেলানিন শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি মানুষের ত্বক, চোখ ও চুলের রং নির্ধারণ করে থাকে। 
সূর্যের আল্ট্রাভায়োলেট বা অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে। যাদের চামড়া কালো, তাদের ত্বকে সহজে ক্যানসার হয় না এই মেলানিনের জন্য। 
এ জন্য বলা যায়, যাদের ত্বক কালো তাদের ত্বক ভালো। সাদা ত্বকে ঝুঁকি বেশি।
দেহে জীবাণু প্রবেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং তাকে ধ্বংস করে দেয় মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউন সিস্টেম। তবে মজার ব্যাপার হলো, শরীরের এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই মেলানিন সৃষ্টিকারী কোষ মেলানোসাইটকে চিনতে পারে না। বাইরের কোনো শত্রু মনে করে তাকে আক্রমণ করে বসে এবং ধ্বংস করে দেয়। 
এতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মেলানিন নামের অতি প্রয়োজনীয় এই কালো রঞ্জক পদার্থের স্বল্পতা দেখা দেয়। তখন ত্বকের কোষগুলো ক্ষয়প্রাপ্ত হয় অথবা মারা যায়। আর এ থেকেই শ্বেতির মতো রোগের সূত্রপাত হয়। সহজ কথায়, শ্বেতি রোগ হলে ত্বক প্রয়োজনীয় মেলানিন হারায়।

 

কারণ
ম্যালাসেজিয়া ফারফার নামের এক ধরনের ছত্রাক শ্বেতি রোগের জন্য দায়ী। এই ছত্রাক আক্রান্ত স্থানে তৈরি করে অ্যাজালাইক অ্যাসিড, যা ত্বকের রং নির্ধারক উপাদান পিগমেন্ট খেয়ে ফেলে। ফলে ওই স্থানটি সাদা বর্ণ ধারণ করে। ত্বকের এই রং পরিবর্তন হওয়াকে বলে পিটেরেসিস ভার্সিকালার। এ ছাড়া মানসিক চাপ, রোদে ত্বক বেশি পুড়ে যাওয়া বা সানবার্ন ইত্যাদি পরিবেশগত প্রভাব, ফাঙাল ইনফেকশন, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, বংশগত কারণ (৩০ শতাংশ ক্ষেত্রে) ইত্যাদিকে দায়ী করা হয়।

 

কাদের হয়
যে কারও শ্বেতি রোগ হতে পারে, তবে ১০ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের বেশি হয়। যাদের ডায়াবেটিস ও হাইপার থাইরয়েড রয়েছে, তাদের হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। পুরুষের তুলনায় নারীদের এই রোগ বেশি হয়। শ্বেতি রোগ বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যেমন-
শরীরের যেকোনো স্থানেই এই ছত্রাকের আক্রমণ হতে পারে। তবে সাধারণত মুখ, বুক, পিঠ, হাতে ও পায়ে এর সংক্রমণ বেশি দেখা যায়।
মুখ, চোখ, হাত-পায়ের আঙুলের চারপাশের রং লোপ পেতে পারে (অ্যাকরাল ভেটিলিগো)।
আবার কারও ক্ষেত্রে শরীরের বিভিন্ন স্থানে অল্প পরিসরে সাদা হতে পারে (সেগমেন্টাল ভিটিলিগো)।

 

লক্ষণ
এই রোগের কিছু উপসর্গ থাকে। যেমন-
প্রথম দিকে চামড়ার রং সাদা বা বিবর্ণ হয়ে যায়। পাশাপাশি চুলকানিও থাকতে পারে।
শরীরের যেসব স্থানে শ্বেতি হয়, সেসব জায়গার লোমগুলোও সাদা হয়ে যায়।
সাধারণত শরীরের যেকোনো একদিকে (ডান বা বাঁ দিকে) হয়।

 

পরীক্ষা-নিরীক্ষা
শ্বেতি হলে বা অন্য কোনো কারণে চামড়া সাদা হয়ে গেলে সহজে বোঝা যায়। একে চিহ্নিত করতে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা রয়েছে। যেমন-
রোগের ইতিহাস বা বংশগত ইতিহাস। ‘উডস ল্যাম্প’ নামের যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা। ত্বকের বায়োপসি। রক্ত পরীক্ষা। চক্ষু পরীক্ষা ইত্যাদি।

 

চিকিৎসা
শ্বেতি রোগের চিকিৎসা বেশ সহজ। মুখে খাওয়ার ওষুধ, ছত্রাকবিরোধী কিছু মলম ছাড়াও শ্বেতির উন্নত সার্জিক্যাল চিকিৎসা বাংলাদেশেই রয়েছে, যাতে স্বাভাবিক অবস্থায় আনা যায়। যেমন-
চিকিৎসকের পরামর্শে ‘অ্যান্টি-ফাঙাল’ বা ছত্রাকরোধী ওষুধ খেতে পারেন। এ ছাড়া ‘সিলেনিয়াম সালফাইড’ নামের শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। আক্রান্ত স্থানে শ্যাম্পু মাখিয়ে ৩০ মিনিট রেখে গোসল করে ফেলতে হয়। এভাবে সপ্তাহে দুদিন ব্যবহার করলে শ্বেতি থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
‘রিক্যাপ’ মলম ব্যবহার করা যেতে পারে। সকালের দিকে শ্বেতি আক্রান্ত স্থানে রোদ লাগালেও উপকার মেলে।
ফটোথেরাপি (Narrow Band UVB and Puva) একটি কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি। তবে সব মেলানোসাইট কোষ ধ্বংস হয়ে গেলে কোনো ওষুধ বা থেরাপিতে তেমন কাজ হয় না।
সার্জিক্যাল কিছু চিকিৎসার মধ্যে পাঞ্চ গ্রাফটিং, স্প্লিট থিকনেস, স্কিন গ্রাফটিং, ব্লিস্টার গ্রাফট ইত্যাদি অন্যতম। এসব চিকিৎসা ৬ থেকে ১৮ মাস স্থায়ী হতে পারে।
যাদের পুরো দেহের রং চলে গেছে অথবা অল্প কিছু স্থান বাকি আছে, তাদের ক্ষেত্রে বাকি রংগুলো সরিয়ে চিকিৎসা দেওয়া যায়। তবে অ্যাকরাল ভিটিলিগোর চিকিৎসা বেশ কঠিন, তখন ওসব স্থানে লোম থাকে না এবং রং ফিরিয়ে আনাটা দুরূহ হয়ে পড়ে। রং ছড়ানো শুরু হয় লোমের গোড়া থেকেই।

 

খাবার-দাবার
খুরমা, খেজুর, সবুজ মটরশুঁটি, শালগম, পালংশাক, মেথি, ডুমুর, সবুজ শাকসবজি, আম, পেঁয়াজ, পেস্তা, আলু, পিওর ঘি, মুলা, লাল মরিচ, শাকসবজি, আখরোট, গম ইত্যাদি খাবার শ্বেতি রোগ নিরাময়ে সহায়ক।


প্রতিরোধে করণীয়
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা পেতে দিনের বেলায় পারতপক্ষে প্রখর রোদে বের না হওয়াই শ্রেয়। বাইরে বের হলে সানস্ক্রিন বা ছাতা ব্যবহার করা উচিত।
ভালো মানের সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত, যার সান প্রটেকটিভ ফ্যাক্টল (এসপিএফ) হবে ৩০-এর ওপর।
রোদে বেরোনোর আধা ঘণ্টা আগে মুখে এবং হাত-পায়ে সানস্ক্রিনটি মেখে নিতে হবে। পরনের ব্যবহৃত কাপড় হতে হবে সামান্য মোটা প্রকৃতির, যাতে দেহে আলো প্রবেশ করতে না পারে। তবে সন্ধ্যার পর যেকোনো ধরনের কাপড় পরা যাবে।
ধূমপান, অ্যালকোহল, গুরুপাক খাবার বর্জন করা ভালো। তবে দুধ, ডিম, ছানা ইত্যাদি খাওয়া যাবে না বলে যেসব কুসংস্কার প্রচলিত রয়েছে, তা সঠিক নয়।
সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা উচিত। দীর্ঘ সময় ঘামে ভেজা কাপড় বেশিক্ষণ পরে থাকা ঠিক নয়। স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ এড়িয়ে চলতে হবে।
যারা দীর্ঘ সময় পানিতে কাজ করেন, বিশেষ করে বাড়ির গৃহিণীরা- কাজ শেষে তাদের হাত-মুখ ভালোভাবে ধুয়ে-মুছে ফেলতে হবে, যাতে হাতের বা পায়ের আঙুলের ফাঁকগুলোয় পানি জমে না থাকে।
কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে তার যথাযথ চিকিৎসা নিতে হবে।
শরীরে যেকোনো ধরনের সাদা দাগ হলে, কারও ত্বক হঠাৎ লাল বা কালো হলে, তাড়াতাড়ি বড় হয়ে যাচ্ছে বা চুলকাচ্ছে- এমন মনে হলে দ্রুত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

জ্বর কমানোর ১০ ঘরোয়া পদ্ধতি

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪৩ এএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৪ পিএম
জ্বর কমানোর ১০ ঘরোয়া পদ্ধতি
স্ট্রেস এবং উদ্বেগ জ্বরের লক্ষণগুলোকে বাড়িয়ে তুলতে পারে

জ্বর পাইরোক্সিয়া নামেও পরিচিত। সাধারণত মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৭-৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট হয়ে থাকে। শরীরের তাপমাত্রা যখন এর উপরে চলে যায় তখনই সেটাকে জ্বর বলে গণ্য করা হয়। 
চিকিৎসকরা বলেন, জ্বর আসলে কোনো রোগ নয়, বরং এটি রোগের একটি লক্ষণ বা উপসর্গ। ফলে জ্বর হওয়াকে শরীরের ভেতরের কোনো রোগের সতর্কবার্তা বলা যেতে পারে। অনেক সেময় সেটা সর্দি-কাশির মতো সাধারণ সংক্রমণের কারণে হতে পারে, আবার অনেক সময় গুরুতর কোনো রোগের উপসর্গও হতে পারে।

জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়

১. প্রচুর পানি পান করুন
জ্বর হলে বেশি বেশি পানি খেতে হবে। শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। তাই রিহাইড্রেট থাকতে পানি পান করুন বেশি বেশি। চাইলে জুস বা স্যুপও পান করা যায়। এমনকি খাবার স্যালাইনও ভালো।

২. বিশ্রাম নিন
জ্বর হলে এদিক-সেদিক না ঘুরে একটু বিশ্রাম নেওয়ার চেষ্টা করুন। শিশুদের ক্ষেত্রে এটিতে জোর দিতে হবে। এতে শরীর থেকে শক্তি কমে যায়। কারণ, ইমিউনিটি তখন সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করার জন্য নিরন্তর কাজ করে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্রাম নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। তাহলে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন।

জ্বর হলে কুসুম গরম পানিতে গোসল করুন

 

৩. জলপট্টি দিন
জ্বর কমানোর অন্যতম সেরা উপায় হলো মাথায় জলপট্টি দেওয়া। বাড়িতে কাউকে ঠাণ্ডা পানিতে কাপড় ভিজিয়ে মাথায় দিতে বলুন। জ্বর এলে এই পন্থা অবলম্বন করতে হয়। একটানা ১০ মিনিট জলপট্টি দিলে জ্বর কমে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

৪. গোসল করুন
জ্বর এলে অনেক ঠাণ্ডা লাগে। তাই গোসল করতে ইচ্ছে করে না। জ্বর হলে কুসুম গরম পানিতে গোসল করুন। তবে এই গোসল খুব দ্রুত করতে হবে, বেশি সময় নিয়ে করা যাবে না। আর জ্বর হলে ঠাণ্ডা পানিতে একদমই গোসল করবেন না। তবে গোসল করতে না চাইলে স্পঞ্জ বাথ নিতে পারেন। এক্ষেত্রে সারা শরীরে ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে দিতে হবে।

৫. তরল খাবার খান
প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার খেতে হবে এ সময়। জ্বর শরীরে যত বেশি হবে ততই ডিহাইড্রেশন বাড়ে। তাই সেই সময় প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়া উচিত। সেই সঙ্গে সম্ভব হলে ফলের রস, হার্বাল চাও খেতে পারেন। 
 
৬. গার্গেল করুন
ঠাণ্ডা লেগে গলায় ব্যথা হলে এবং জ্বর এলে বারবার গার্গেল করুন। তাতে গলায় আরাম পাওয়া যাবে। এক গ্লাস গরম পানিতে আদা, লবণ দিয়ে গার্গেল করুন।

৭. আরামদায়ক পোশাক পরুন
জ্বরের সময় সুতি কাপড়ের জামা পরা দরকার, যাতে ভেতর দিয়ে বাতাস প্রবাহিত হয়। দরজা-জানালা খুলে দেবেন, পাখা ছেড়ে দেবেন, যাতে বাতাস চলাচল করে।

জ্বরের সময় সুতি কাপড়ের জামা পরা দরকার

৮. ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমে যায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত হয়। হালকা গরম পানিতে লেবুর রস পান করলে জ্বরের পাশাপাশি সর্দি, ফ্লু এবং অন্যান্য রোগ কমাতে সহায়তা করে।

৯. খেতে হবে সুষম খাবার
জ্বর থেকে দ্রুত সুস্থ হতে মৌসুমি ফল, শাকসবজি, ডিম, মাছ, মাংস, দুধ, ওটস ও রুটির মতো সুষম খাবার খেতে হবে। সেই সঙ্গে চিকেন বা ফিশ স্যুপ করেও খেতে পারেন। 

১০. শান্ত থাকুন
স্ট্রেস এবং উদ্বেগ জ্বরের লক্ষণগুলোকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। ধৈর্য ধরে জ্বর মোকাবিলা করুন। মন শান্ত রাখতে গান শুনতে পারেন। করতে পারেন ধ্যান।

যদিও ঘরোয়া সমাধানগুলো হালকা থেকে মাঝারি জ্বরকে কার্যকরভাবে দূর করতে পারে, তবে আপনার জ্বর যদি বেশি থাকে (103°F বা 39.4°C এর উপরে) বা তিন দিনের বেশি সময় ধরে চলতে থাকে, তাহলে একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।