ঢাকা ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

ব্রণ এবং ব্রণের দাগ কমানোর ১২ ঘরোয়া উপায়

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০১ পিএম
আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৯ পিএম
ব্রণ এবং ব্রণের দাগ কমানোর ১২ ঘরোয়া উপায়
ব্রণ আমাদের ত্বকের ঔজ্জ্বল্য এবং সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়

ব্রণ আমাদের ত্বকের ঔজ্জ্বল্য এবং সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। আমাদের ত্বকের তৈলগ্রন্থি ব্যাটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হলে এর আকৃতি বৃদ্ধি পায় এবং এর ভিতরে পুঁজ জমা হতে থাকে, যা ধীরে ধীরে ব্রণের আকার ধারণ করে। সাধারণত টিনেজাররা ব্রণ ও ব্রণের দাগ নিয়ে বেশি ভোগে। ব্রণ থেকে বাঁচতে ঘরোয়া, প্রাকৃতিক ও অরগানিক সামগ্রীই সবচেয়ে ভালো আর নিরাপদ। এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ারও ভয় থাকে না। চলুন দেখে নেই তেমন কিছু উপায়।

মুলতানি মাটি
ত্বকে অতিরিক্ত তেলতেলে ভাবের ফলে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। এ ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে মুখে মুলতানি মাটি পানি দিয়ে পেস্ট করে লাগাতে পারেন। মুলতানি মাটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ বন্ধ করতে সাহায্য করে।

 

মুলতানি মাটি

 

কাঁচা হলুদ এবং চন্দনকাঠের গুঁড়ো
কাঁচা হলুদ এবং চন্দনকাঠের গুঁড়ো ব্রণের জন্য খুবই কার্যকর দুটো উপাদান। সমপরিমাণ বাটা কাঁচা হলুদ এবং চন্দন কাঠের গুঁড়ো একত্রে নিয়ে এতে পরিমাণ মত পানি মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করতে হবে। মিশ্রণটি ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে রেখে কিছুক্ষণ পর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মিশ্রণটি শুধুমাত্র ব্রণদূর করার কাজ করে না বরং ব্রণের দাগ দূর করতেও সাহায্য করে।

 

আপেল এবং মধুর মিশ্রণ
আপেল এবং মধুর মিশ্রণ হচ্ছে ব্রণের দাগ দূর করার সবচেয়ে জনপ্রিয় ঘরোয়া পদ্ধতি। প্রথমে আপেলের পেষ্ট তৈরি করে তাতে ৪-৬ ফোঁটা মধু মিশাতে হবে। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষন অপেক্ষা করে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি ত্বকের টানটান ভাব বজায় রাখে এবং গায়ের রঙ হালকা করে। সপ্তাহে ৫-৬ বার এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। 

 

আপেল এবং মধুর মিশ্রণ

 

চালের গুঁড়া ও মধু
শশার রসের সঙ্গে চালের গুঁড়া মিশিয়ে নিন। যাদের মধুতে অ্যালার্জি নেই, তারা সামান্য মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন এই মিশ্রণে। সপ্তাহে দুই দিন এই প্যাক ব্যবহার করলে ত্বক পরিষ্কার হবে। ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস দূর হয়ে যাবে। খেয়াল রাখতে হবে, ব্রণ থাকলে স্ক্রাব করা যাবে না।

 

তুলসি পাতার রস
ব্রণের জন্য তুলসি পাতার রস খুব উপকারী। কারণ তুলসি পাতায় আছে আয়ূরবেদিক গুণ। শুধুমাত্র তুলসি পাতার রস ব্রণ আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে রেখে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।

 

তুলসি পাতা

 

চন্দন কাঠের গুড়োঁ, গোলাপ জল ও লেবুর রস
প্রথমে চন্দন কাঠের গুড়োঁর সাথে গোলাপ জল মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন। এরপর এতে ২-৩ ফোঁটা লেবুর রস মিশান। গোলাপজল অনেকের ত্বকের সাথে অ্যাডজাষ্ট হয় না। সেই ক্ষেত্রে গোলাপ জলের পরিবর্তে মধু ব্যবহার করতে পারেন। এই মিশ্রণ আপনার ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করবে। সপ্তাহে ৩-৪দিন ব্যবহার করতে পারলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

 

শসার রস
শসার রস তৈলাক্ততা দূর করতে খুবই কার্যকর। প্রতিদিন বাইরে থেকে এসে শসার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। কিংবা রস ফ্রিজে জমিয়ে আইস কিউব করেও ব্যবহার করতে পারেন। এতে ওপেন পোরসের সমস্যাওর সমাধান হবে।

শসার রস

 

দারুচিনি গুঁড়ার ও গোলাপজল
গোলাপজলের নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণের দাগ কমে যায়। দারুচিনি গুঁড়ার সাথে গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট ব্রণের ওপর লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রণের সংক্রমণ, চুলকানি এবং ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।

 

ডিমের সাদা অংশ
রাতে শোয়ার আগে ডিমের সাদা অংশ ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় ম্যাসেজ করে সারারাত রাখতে পারেন। এটি ত্বকের খসখসে ভাব দূর করে। সবচেয়ে ভালো হয়, যদি এর সাথে লেবুর রস যোগ করা যায়। ব্যবহারের আধ ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলতে হবে।

 

ডিমের সাদা অংশ

 

পেঁপে ও চালের গুঁড়ো
ব্রণ হবার অন্যতম কারণ হলো অপরিষ্কার ত্বক। তাই ত্বক রাখতে হবে পরিষ্কার। নিয়মিত স্ক্রাবিং ত্বককে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। পাকা পেঁপে চটকে নিন এক কাপ। এর সাথে মেশান এক টেবিল চামচ লেবুর রস এবং প্রয়োজন অনুযায়ী চালের গুঁড়ো। মিশ্রণটি মুখসহ পুরো শরীরে লাগান। ২০-২৫ মিনিট মাসাজ করে গোসল করে ফেলুন।

 

পুদিনা পাতা
অতিরিক্ত গরমের কারণে ত্বকে যেসব ফুসকুড়ি এবং ব্রণ হয় সেগুলো দূর করতেও পুদিনা পাতা উপকারী। টাটকা পুদিনা পাতা বেটে ব্রণের ওপর লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

 

পুদিনা পাতা

 

মুলতানি মাটি ও নিম পাতা
চার-পাঁচটা নিম পাতা ভালো করে ধুয়ে পিষে নিন। এর মধ্যে এক চামচ মুলতানি মাটি, অল্প গোলাপ জল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটা যদি গাঢ় হয়ে যায় তাহলে এর মধ্যে গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। মুখে লাগিয়ে বেশ কিছুক্ষণ রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে হালকা পানি দিয়ে মুখটা ধুয়ে ফেলুন।

যে ১০ খাবার খেলে ভালো থাকবে আপনার হার্ট

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৫ পিএম
আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০৭ পিএম
যে ১০ খাবার খেলে ভালো থাকবে আপনার হার্ট
ফল ও সবুজ শাকসবজি হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে

হার্ট ভালো রাখতে সঠিক খাবারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিছু খাবার হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। নিচে এমন কিছু খাবারের তালিকা দেওয়া হলো, যা হার্টের জন্য ভালো।

১. ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড-সমৃদ্ধ খাবার

চিয়া সিডস

হার্ট ভালো রাখতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড-সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। এর মধ্যে আছে স্যামন, ম্যাকারেল, সার্ডিনস, টুনা। পাশাপাশি চিয়া সিডস এবং ফ্ল্যাক্স সিডস খাওয়া যেতে পারে।

 

২. ফল এবং শাকসবজি

সবজি

ফল ও সবুজ শাকসবজি হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাজ করে। ফলের মধ্যে আছে ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, কমলালেবু এবং আঙুর। শাকসবজির মধ্যে আছে পালংশাক, ব্রোকলি, ক্যালে ইত্যাদি।

 

৩. সম্পূর্ণ শস্য (Whole Grains)

সম্পূর্ণ শস্য

হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সম্পূর্ণ শস্য খাওয়ার বিকল্প নেই। এসব শস্যের মধ্যে আছে ওটস, ব্রাউন রাইস, কোয়িনোয়া। চাইলে খেতে পারেন পুরো গমের রুটি বা পাস্তা।

 

৪. বাদাম ও বীজ

বাদাম ও বীজ

অবসর সময়ে অল্প করে বাদাম এবং বীজ খেতে পারেন। আলমন্ড, ওয়ালনাট, চিনাবাদাম হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাজ করে। পাশাপাশি খান কুমড়োর বীজ, সূর্যমুখীর বীজ।

 

৫. অলিভ অয়েল

অলিভ অয়েল

এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল হার্টের জন্য উপকারী। দৈনন্দিন খাবারে সোয়াবিন কিংবা সরিষা তেলের পরিবর্তে খেতে পারেন অলিভ অয়েল। 

 

৬. ডার্ক চকলেট (৭০% কোকো বা তার বেশি)

ডার্ক চকলেট

পরিমিত ডার্ক চকলেট রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। ডার্ক চকলেট মস্তিষ্কের নার্ভ সিস্টেমকে সতেজ রাখে। এতে হাইপারটেনশন বা হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

 

৭. লেবুজাতীয় ফল (Citrus Fruits)

লেবুজাতীয় ফল

ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল হৃৎপিণ্ডের জন্য ভালো। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে লেবুর পটাশিয়াম সোডিয়াম সাহায্য করে। তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের ডায়েটে রাখা হয় লেবু। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের গবেষণা অনুসারে, নিয়মিত লেবু খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।

 

৮. রসুন

রসুন

রসুন রক্তে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। রসুন হার্টের জন্যও অনেক ভালো। নিয়মিত রসুন ব্লাঞ্চিং (গরম পানিতে ২ মিনিট ফোটানো) করে খেলে অথবা তরকারিতে আস্ত রসুন খেলে হার্ট সতেজ থাকে।

 

৯. সবুজ চা

সবুজ চা

সবুজ চা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-সমৃদ্ধ, যা হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করে। এটা শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, সবুজ চা রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। পাশাপাশি শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে সাহায্য করে। 

 

১০. লিন প্রোটিন

মুরগির মাংস

যে প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবারে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকে, সেটাই হলো লিন প্রোটিন। অর্থাৎ প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার, কিন্তু এতে ফ্যাট ও ক্যালোরির পরিমাণ অনেক কম রয়েছে। যেমন- চর্বিহীন মাংস, মুরগি এবং মটরশুঁটি।

 

আরও মনে রাখুন...
হার্ট সুস্থ রাখতে চাইলে লবণ কম খান। প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন। সঙ্গে প্রচুর পানি পান করুন। সুষম খাবার খান। যদি বিশেষ কোনো শারীরিক সমস্যা থাকে, তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ডায়েট ঠিক করুন।

কানের ব্যথার ৭ ঘরোয়া সমাধান

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৭ পিএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৬ পিএম
কানের ব্যথার ৭ ঘরোয়া সমাধান
বিভিন্ন কারণে কানের ব্যথা হতে পারে

কানের ব্যথা- শুনতে হালকা মনে হলেও বিষয়টি মোটেও হালকা নয়। হয়তো আরামে ঘুমাচ্ছিলেন, ঘুম ভাঙল প্রচণ্ড কানের ব্যথা নিয়ে। এমন পরিস্থিতিতে পড়তে পারেন যে কেউ। কানে ব্যথা বলে অবহেলা করা যাবে না। কারণ, ছোটখাটো সমস্যা থেকেই দেখা দেয় গুরুতর সমস্যা। তবে এমন সময় যদি কানে ব্যথা হয় যখন চিকিৎসকের কাছে যাওয়া সম্ভব নয়, তখন কী করবেন? সেজন্য জানা থাকা প্রয়োজন এমনকিছু ঘরোয়া উপায়, যা আপনার কানে ব্যথা দূর করতে সাহায্য করবে।

কান ব্যথার কারণ
কানের ব্যথার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে-
কানের সংক্রমণ (ওটিটিস মিডিয়া): ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাল সংক্রমণ সাধারণত মধ্য কানকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, যার ফলে প্রদাহ এবং ব্যথা হয়।
ছত্রাক বৃদ্ধি (ওটিটিস এক্সটার্না): কানের যে ক্যানাল আছে সেটা আর্দ্র থাকে। যার কারণে সেখানে ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক বৃদ্ধির পরিবেশ তৈরি হয়। ফলে সংক্রমণ এবং কানের ব্যথা হয়।
সাইনাসের সংক্রমণ: সাইনাসে প্রদাহ এবং কনজেশন কানে চাপ এবং ব্যথা তৈরি করতে পারে।
অ্যালার্জি: অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়ার কারণে কানের প্যাসেজ ফুলে যেতে পারে এবং এর ফলে কানে ব্যথা হতে পারে।
ইউস্টাচিয়ান টিউব কর্মহীনতা: যখন ইউস্টাচিয়ান টিউবগুলো মধ্যকর্ণে সঠিকভাবে চাপ দিতে ব্যর্থ হয়, তখন ব্যথা হতে পারে।
কটনবাড: কানের মধ্যে কটনবাড ঢুকিয়ে খোচাখুচির ফলে জ্বালা, সংক্রমণ এবং কানে ব্যথা হতে পারে।

ঘরোয়া সমাধান


১. গরম ভাপ নিন
একটি পরিষ্কার কাপড় নিয়ে গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। অতিরিক্ত পানি ছেঁকে নিন এবং আক্রান্ত কানের ওপরে গরম কাপড় রাখুন। এই উষ্ণতা রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে এবং প্রদাহ কমিয়ে ব্যথা প্রশমিত করতে সাহায্য করবে। চাইলে হট ওয়াটার ব্যাগ দিয়েও কাজটি করতে পারেন।

হট ওয়াটার ব্যাগ

 

২. নিমপাতা
নিমপাতার রস ব্যথা কমাতে পারে। বেশ কয়েকটি পরিষ্কার নিমপাতা পাটায় থেঁতলে রস বের করুন। দুই-তিন ফোঁটা রস সরাসরি কানে দিন। চাইলে নিমের তেল কানে দিয়ে একভাবে শুয়ে থাকুন। ব্যথা কমবে।

নিমপাতার তেল

 

৩. পেঁয়াজ 
পেঁয়াজে প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা কানের ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে পারে। একটি তাজা পেঁয়াজ কেটে নিন এবং গরম না হওয়া পর্যন্ত অল্প সময়ের জন্য মাইক্রোওয়েভ করুন। একটি পরিষ্কার কাপড়ে উষ্ণ পেঁয়াজ মুড়িয়ে কানের সঙ্গে ৫ থেকে ১০ মিনিট ধরে রাখুন। পেঁয়াজের উষ্ণতা এবং উপকারী বৈশিষ্ট্য ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করবে।

পেঁয়াজ

 

৪. হাইড্রোজেন পারক্সাইড
যদি মনে করেন, কানে অতিরিক্ত ময়লার কারণে ব্যথা হচ্ছে তাহলে এই পদ্ধতিটি প্রয়োগ করুন। হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড কানের ময়লা অপসারণ করতে পারে। সেজন্য মাথাটি পাশে কাত করুন এবং আক্রান্ত কানে কয়েক ফোঁটা হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড দিন। বুদবুদ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন। কয়েক মিনিটের মধ্যে এটি কানের ময়লা ভেঙে নরম করে ফেলবে। এবার মাথাটি বিপরীত দিকে কাত করুন। ময়লা বেরিয়ে এসে ব্যথা কমাবে। 

হাইড্রোজেন পারক্সাইড

 

৫. ভিনেগার
ভিনেগারের মধ্যে যে অ্যাসিড থাকে তা কানের সংক্রমণ কমাতে পারে। সমপরিমাণে সাদা ভিনেগার আর রাবিং অ্যালকোহল একটা পাত্রে নিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। ড্রপার দিয়ে সংক্রমিত কানে দুই-তিন ফোঁটা দিন। পাঁচ মিনিট ওভাবেই শুয়ে থাকুন। তারপর মাথা অন্যদিকে কাত করে তরলটা কান থেকে বের করে দিন।

ভিনেগার

 

৬. রসুন তেল
রসুনে প্রাকৃতিক অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা কানের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। কয়েক ফোঁটা রসুনের তেল গরম করুন বা একটি তাজা রসুন গুঁড়া করে অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। একটি ড্রপারের সাহায্যে আক্রান্ত কানে তেলটি কয়েক ফোঁটা দিন। ব্যথা কমবে।

রসুন তেল

 

৭. চা গাছের তেল
চা গাছের তেল তার অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। অলিভ অয়েল বা নারকেল তেলে কয়েক ফোঁটা চা গাছের তেল মিশিয়ে নিন। একটি পরিষ্কার ড্রপার ব্যবহার করে মিশ্রণটির কয়েক ফোঁটা আক্রান্ত কানে লাগান। উপকার পাবেন। মনে রাখবেন, সরাসরি কানে চা গাছের তেল প্রয়োগ করবেন না।

চা গাছের তেল

 

মনে রাখবেন...
এসব সমাধান আপনাকে কানে ব্যথা থেকে সাময়িক মুক্তি দেবে। কারণ, আপনার কানে যদি সংক্রমণ হয়ে থাকে তবে ঘরোয়া চিকিৎসায় তা সারানো সম্ভব হবে না। তাই ব্যথা কমানো এবং আরামের জন্য আপনি এসব উপায় বেছে নিতে পারেন। তবে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।

সূত্র: হেলথ লাইন

চোখে কিছু পড়লে যা করবেন

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৪ পিএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৭ পিএম
চোখে কিছু পড়লে যা করবেন
ময়লা হাত দিয়ে চোখ স্পর্শ করবেন না

হঠাৎ করে চোখে বালু, পোকা কিংবা ইটের কণা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে বিচলিত না হয়ে নিচের লেখা ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে। 

১. শান্ত থাকুন এবং চোখ ঘষবেন না
চোখে অযাচিত কিছু গেলে শান্ত থাকুন। আঙুল দিয়ে চোখ ঘষা যাবে না। কারণ তাতে চোখের কর্নিয়া (cornea) ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

২. চোখের পলক ফেলুন
বারবার চোখের পলক ফেললে অশ্রু বেরিয়ে এসে কণাকে ধীরে ধীরে বের করে আনতে সাহায্য করতে পারে। তাই যে চোখে সমস্যা হয়েছে, বারবার সেই চোখের পলক ফেলুন।

৩. পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন
চোখে কিছু গেলে ধীরে ধীরে ঠাণ্ডা ও পরিষ্কার পানিতে চোখ ধুয়ে নিন। এতে বস্তুটি বেরিয়ে আসতে পারে। যতক্ষণ পর্যন্ত বস্তুটি বেরিয়ে না আসে ততক্ষণ পর্যন্ত পানি দিন। 

৪. আলোতে চোখ পরীক্ষা করুন
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বা অন্য কারও সাহায্য নিয়ে দেখতে চেষ্টা করুন চোখে কী গিয়েছে। যদি ছোট কণা থাকে এবং সহজে দেখা যায়, তা হলে পরিষ্কার টিস্যু বা কটন বাড দিয়ে আলতো করে সরানোর চেষ্টা করতে পারেন।

৫. চিকিৎসকের কাছে যান
যদি কিছুতেই কণা না বের হয়, চোখে লালচে ভাব বা ব্যথা থাকে অথবা দেখাতে সমস্যা হয়, তা হলে দ্রুত চোখের ডাক্তার বা নিকটস্থ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগে যান। তারা এটি বের করে আনতে সাহায্য করবেন।

সতর্কতা
চোখে কোনো রাসায়নিক গেলে সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর পরিমাণ পানি দিয়ে ধুয়ে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। ধারালো বা কঠিন কিছু চোখে প্রবেশ করলে নিজ থেকে বের করার চেষ্টা না করে সরাসরি চিকিৎসকের কাছে যাওয়া ভালো। ময়লা হাত দিয়ে চোখ স্পর্শ করবেন না। প্রয়োজনে সাবান ও পানি দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিন। বড় কোনো বস্তু বা চোখের মধ্যে গেঁথে থাকা কিছু নিজে বের করার চেষ্টা করবেন না। তীক্ষ্ণ বস্তু দিয়ে (যেমন পিন বা চিমটি) চোখ থেকে কিছু বের করার চেষ্টা করবেন না।

বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটির আহ্বায়ক কমিটি গঠন

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৯ পিএম
আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৯ পিএম
বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটির আহ্বায়ক কমিটি গঠন
অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সফিউদ্দিন, ডা. এএফ খবির উদ্দিন আহমেদ, ডা. একেএম মহিউদ্দিন ভূইয়া মাসুম। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটির ৪৯ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে এক সভায় এই কমিটি গঠন করা হয়।

নবগঠিত কমিটিতে অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সফিউদ্দিনকে আহ্বায়ক, ডা. এএফ খবির উদ্দিন আহমেদকে সদস্য সচিব এবং ডা. একেএম মহিউদ্দিন ভূইয়া মাসুমকে কোষাধ্যক্ষ করা হয়।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটি সদস্য সচিব ডা. এএফ খবির উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দীর্ঘদিনের মেয়াদোত্তীর্ণ ও অকার্যকর কমিটিকে বাতিল করে সাধারণ সদস্যদের সম্মতিতে এই কমিটি ঘোষিত হয়। কার্ডিয়াক সোসাইটির সর্বস্তরের সদস্যরা বিশ্বাস করেন নবগঠিত কমিটি পূর্বের ব্যর্থতা থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে কার্ডিয়াক সোসাইটিকে সত্যিকার অর্থে সদস্যদের আশা-ভরসার স্থলে রূপান্তর করবে।

এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটির নেতৃত্বে হৃদরোগের সকল বিভাগের চিকিৎসকদের পুঞ্জীভূত অপ্রাপ্তি দূর হবে এবং পাশাপাশি বাংলাদেশে হৃদরোগের চিকিৎসা বিশ্বমানে উন্নীত হবে।

হাঁটুর ব্যথা থেকে মুক্তি

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০০ এএম
আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৩ পিএম
হাঁটুর ব্যথা থেকে মুক্তি
সংগৃহীত

মানবদেহের ওজন বহনকারী যে কটি অস্থিসন্ধি রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো হাঁটু। এই হাঁটুর ব্যথা প্রধানত বয়স্কদের বেশি হয়ে থাকে। এটি একটি সাধারণ সমস্যা, যা বয়স্ক থেকে শুরু করে তরুণদের মধ্যেও দেখা দিতে পারে। সাধারণত পুরুষের তুলনায় নারীদের এই সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। তবে সঠিক চিকিৎসা ও যত্নের মাধ্যমে হাঁটুর ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

 

কারণ
নানা কারণে হাঁটুর ব্যথা হতে পারে। যেমন-
অস্টিওআর্থ্রাইটিস : হাঁটুর জয়েন্টের ক্ষয়জনিত সমস্যা।
আঘাত : লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়া বা হাঁটুর জয়েন্টে আঘাত।
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস : অটোইমিউন রোগ, যা হাঁটুর জয়েন্টে প্রদাহ সৃষ্টি করে।
ওজনাধিক্য : হাঁটুর ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে।
মাংসপেশির দুর্বলতা : হাঁটুর আশপাশের পেশি শক্তিশালী না হলে সমস্যা দেখা দেয়।


চিকিৎসা ও করণীয়
বিশ্রাম নিন : প্রাথমিক করণীয় হিসেবে হাঁটুর ওপর চাপ কমান। এ জন্য বিশ্রাম নিন।
বরফ দিন : হাঁটুতে ১০-১৫ মিনিট বরফের প্যাক ব্যবহার করুন দিনে ৩-৪ বার।
চাপ : হাঁটুর সাপোর্ট ব্যান্ডেজ ব্যবহার করুন।
পা উঁচু রাখা : হাঁটু উঁচু করে রাখুন। এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে।

 

ফিজিওথেরাপি
হাঁটুর ব্যথা উপশমের জন্য বিশেষ ব্যায়াম এবং কিছু থেরাপি কার্যকর। এ জন্য ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নিন।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন: আপনার ওজনাধিক্য থাকলে তা নিয়ন্ত্রণ করুন। সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন। চর্বি ও চিনিজাতীয় খাবার কম খান।
বিশেষ ধরনের সাপোর্ট ও জুতা: হাঁটুর জন্য সাপোর্টিং ব্রেস ব্যবহার করুন। নরম এবং আরামদায়ক জুতা পরুন।

 

ব্যায়াম ও স্ট্রেচিং
পেশির শক্তি বাড়াতে নিয়মিত ব্যায়াম করা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো বা মৃদু স্ট্রেচিং ব্যায়াম এবং হাঁটুর হালকা ব্যায়ামগুলো করুন। 

 

ওষুধ ও ব্যথানাশক
হাঁটুর ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই একজন অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। খুব বেশি ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন-জাতীয় ব্যথানাশক সেবন করা যেতে পারে। এ ছাড়াও তিনি কার্টিলেজ রক্ষাকারী ওষুধ (যেমন- গ্লুকোসামিন) দিতে পারেন। গুরুতর ক্ষেত্রে জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট বা লিগামেন্ট রিপেয়ার সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।

 

হাঁটুর ব্যথা প্রতিরোধে করণীয়
হাঁটুর জয়েন্টগুলোয় চাপ কমাতে স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন।
দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা বা ভারী কাজ এড়িয়ে চলুন।
প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম করুন।
সঠিক ভঙ্গিতে বসা ও হাঁটার অভ্যাস করুন।
খাদ্য উপাদান যেমন ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি গ্রহণ করুন।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন।

লেখক: অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের প্রধান, ল্যাবএইড হাসপাতাল লিমিটেড

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });