

চোখ জ্বালাপোড়া করার কারণ বিভিন্ন হতে পারে, যা সাধারণত পরিবেশগত, শারীরিক সমস্যা বা সংক্রমণের কারণে হয়। নিচে সম্ভাব্য কারণগুলো দেওয়া হলো—
১. ধুলোবালি ও দূষণ
ধুলো, ধোঁয়া বা রাসায়নিক পদার্থ চোখে ঢুকলে জ্বালাপোড়া হতে পারে।
২. শুষ্ক বাতাস বা এসির ঠাণ্ডা বাতাস
দীর্ঘ সময় এসিরুমে থাকলে চোখের আর্দ্রতা কমে গিয়ে শুষ্কতায় চোখে জ্বালাপোড়া হতে পারে।
৩. ডিভাইসের স্ক্রিনে বেশি সময় তাকিয়ে থাকা
কম্পিউটার, মোবাইল বা টিভি বেশি সময় দেখলে চোখের পানির পরিমাণ কমে গিয়ে চোখে জ্বালাপোড়া হতে পারে।
৪. শুষ্ক চোখের সমস্যা
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বা পর্যাপ্ত চোখের পানি না থাকলে জ্বালাপোড়া হতে পারে।
৫. অ্যালার্জি
ধুলো, ফুলের রেণু, পারফিউম, পশুর লোম ইত্যাদি চোখে প্রবেশ করলে চোখ জ্বালাপোড়া করতে পারে।
৬. সংক্রমণ
যেমন কনজাংক্টিভাইটিস (Conjunctivitis) বা চোখের প্রদাহ হলে লাল হওয়া, চুলকানি ও জ্বালাপোড়া হয়।
৭. ভিটামিনের অভাব
বিশেষ করে ভিটামিন ‘এ’র অভাব চোখ শুষ্ক করে দিতে পারে। সেক্ষেত্রে চোখে জ্বালাপোড়া হয়ে থাকে।
৮. কন্টাক্ট লেন্সের ব্যবহার
বেশি সময় কন্টাক্ট লেন্স পরে থাকলে চোখের জ্বালাপোড়া হতে পারে।
৯. অন্যান্য কারণ
চোখে সাবান বা মেকআপ প্রবেশ করা, অতিরিক্ত ধূমপান ও অ্যালকোহল গ্রহণ, নিদ্রাহীনতা ও অতিরিক্ত পরিশ্রম এবং ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের কারণে চোখের সমস্যা থেকে চোখে জ্বালাপোড়া হতে পারে।
চোখের জ্বালাপোড়া কমানোর উপায়
✅ বিশ্রাম নিন ও পর্যাপ্ত ঘুমান।
✅ চোখে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিন।
✅ কৃত্রিম চোখের পানি (Lubricant eye drops) ব্যবহার করুন।
✅ ধুলোবালি এড়াতে সানগ্লাস ব্যবহার করুন।
✅ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, যদি দীর্ঘদিন সমস্যা থাকে।
আপনার চোখে যদি দীর্ঘদিন ধরে জ্বালাপোড়া হয়, লাল হয়ে যায় বা অন্য কোনো সমস্যা দেখা দেয়, তবে দ্রুত একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
দাঁতের কালো দাগ দূর করার জন্য বিভিন্ন ঘরোয়া পদ্ধতি এবং পেশাদার চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। নিচে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
বেকিং সোডা এবং হাইড্রোজেন পারক্সাইড
বেকিং সোডা একটি হালকা অ্যাব্রাসিভ, যা দাঁতের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। হাইড্রোজেন পারক্সাইড প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এ দুটি উপাদান মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে দাঁতে লাগালে দাগ দূর হয়।
নারিকেল তেল দিয়ে কুলকুচি
নারিকেল তেল মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর করে এবং দাঁতের দাগ কমাতে সাহায্য করে। এক টেবিল চামচ নারিকেল তেল দিয়ে ১৫-২০ মিনিট কুলকুচি করুন, তার পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
অ্যাক্টিভেটেড চারকোল
অ্যাক্টিভেটেড চারকোল দাঁতের দাগ শুষে নেয় এবং দাঁত পরিষ্কার করে। এটি ব্যবহারের জন্য চারকোল গুঁড়ো করে ব্রাশে লাগিয়ে দাঁত মাজতে পারেন।
লেবুর রস
লেবুর রসে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড দাঁতের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। লেবুর রস সরাসরি দাঁতে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন।
তুলসী পাতা
তুলসী পাতার গুঁড়ো দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁতের দাগ দূর হয় এবং মুখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
স্ট্রবেরি ও বেকিং সোডা মিশ্রণ
স্ট্রবেরি পেস্টের সঙ্গে বেকিং সোডা মিশিয়ে দাঁতে লাগান এবং কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। দাঁতের দাগ চলে যাবে।
ডেন্টাল ক্লিনিং
ডেন্টিস্টের কাছে গিয়ে স্কেলিং এবং পলিশিং করালে দাঁতের কালো দাগ দূর হয়। এটি সবচেয়ে কার্যকরী পদ্ধতি।
টুথ হোয়াইটনিং
ডেন্টিস্টের কাছে গিয়ে হোয়াইটনিং ট্রিটমেন্ট দিয়ে দাঁতের গভীর দাগ দূর করা যায়। এটি দ্রুত ফল দেয় এবং দাঁতের রং উজ্জ্বল করে।
ধূমপান এবং তামাক পরিহার
ধূমপান এবং তামাক দাঁতের দাগের প্রধান কারণ। এগুলো পরিহার করলে দাঁতের দাগ কমবে।
চিনি ও কফি কম খান
বেশি চিনি বা ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় যেমন- চা, কফি, কোলা খেলে দাঁতে দাগ পড়তে পারে।
স্টেইনিং খাবার এবং পানীয় সীমিত করুন
কফি, চা, রেড ওয়াইন এবং ডার্ক সস-জাতীয় খাবার দাঁতের দাগ সৃষ্টি করে। এগুলো কম খাওয়ার চেষ্টা করুন।
নিয়মিত ব্রাশ এবং ফ্লস
দিনে দুবার ব্রাশ এবং ফ্লস করলে দাঁতের দাগ জমতে পারে না।
মাউথওয়াশ ব্যবহার
মাউথওয়াশ ব্যবহার করলে জীবাণু দূরে থাকে এবং মুখকে সতেজ রাখে।
ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহারের সময় অতিরিক্ত ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। যেমন- লেবুর রস বা বেকিং সোডা বেশি ব্যবহার করলে দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
দাঁতের দাগ যদি গভীর হয় বা ঘরোয়া পদ্ধতিতে না সারে, তা হলে ডেন্টিস্টের পরামর্শ নিন।
দাঁতের কালো দাগ দূর করতে ঘরোয়া পদ্ধতি এবং পেশাদার চিকিৎসা উভয়ই কার্যকরী। তবে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে দাঁতের দাগ হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।
কানে প্রচণ্ড ব্যথা, সঙ্গে রাতভর কান্নাকাটি এবং পরবর্তী সময়ে কান থেকে পুঁজ জাতীয় তরল পদার্থ বের হওয়া- এটিই হলো কান পাকার প্রধান লক্ষণ। প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের কানের সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মূলত ছয় মাস থেকে দুই বছর বয়সের মধ্যে এর প্রবণতা সবচেয়ে বেশি থাকে। কানের সংক্রমণ একাধিকবারও হতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা না করা হলে কানে শুনতে অসুবিধা হতে পারে।
কারণগুলো
ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের কারণে কানের সংক্রমণ হতে পারে।
অ্যালার্জির কারণে হতে পারে। যেমন- নাক বন্ধ, নাক দিয়ে পানি পড়া।
নাকের পেছনে থাকা এডিনয়েড গ্রন্থি বড় হয়ে যেতে পারে।
গলার টনসিলে বারবার সংক্রমণ হওয়া।
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকা।
পারিপার্শ্বিক পরিবেশের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নহীনতা, পুষ্টির অভাব, সিগারেটের ধোঁয়া।
যেসব শিশু শুয়ে থাকা অবস্থায় দুধ পান করে।
সমস্যাটি শীতকালে বেশি হয়।
জন্মগত মুখ গহ্বরে তালু ফাটা।
উপসর্গ
কানে সংক্রমণ হলে নানা ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। এর মধ্যে আছে
কানে ব্যথা।
শিশুর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কান্না।
ঘুমের সমস্যা।
ক্ষুধামান্দ্য।
জ্বর।
কানের পর্দা ফেটে পুঁজ পড়া।
হালকা কাশি, নাক দিয়ে পানি পড়া।
কানে ভার ভার লাগা।
শ্রবণক্ষমতা কমে যাওয়া।
রোগ নির্ণয়
রোগের ইতিহাস এবং নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এ রোগ শনাক্ত করা সম্ভব। কখনো কখনো কানের পুঁজ জাতীয় পদার্থের কালচার এবং সেনসিটিভিটি পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে। এর সঙ্গে অটোস্কোপি পরীক্ষা করে এই রোগ শনাক্ত করা সম্ভব।
চিকিৎসা
কান পরিষ্কার রাখতে হবে। এ জন্য জীবাণুমুক্ত তুলা এবং যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে হবে।
প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হবে। কমপক্ষে ১০ দিন অ্যান্টিবায়োটিক লাগতে পারে।
ব্যথানাশক প্যারাসিটামল সিরাপ ব্যবহার করা যেতে পারে।
অ্যান্টিবায়োটিকের পাশাপাশি কানের ড্রপ ব্যবহার করা যেতে পারে।
নাক পরিষ্কার রাখার জন্য নাকের ড্রপ।
মাইরিঙ্গোটমি, এডিনয়েডেকটমি লাগতে পারে।
জটিলতা
কানে সংক্রমণ হলে নানা জটিলতা দেখা দেয়। এর মধ্যে আছে শিশুদের মনোযোগহীনতা, লেখাপড়া করতে আগ্রহ কমে যাওয়া।
মেনিনজাইটাস (মস্তিষ্কে সংক্রমণ), স্নায়ুতন্ত্রে পুঁজ জমে যাওয়া।
মাস্টয়েডাইটাস (কানের পেছনের হাড়ে সংক্রমণ)
ফেসিয়াল নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া।
শ্রবণ ক্ষমতা হ্রাস হওয়ার সঙ্গে কথা বলতে দেরি হওয়া।
শারীরিক বৃদ্ধি বাধা প্রাপ্ত হওয়া।
প্রতিকার
ছয় মাস পর্যন্ত শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো।
অ্যালার্জি নিয়ন্ত্রণ করা।
ঠাণ্ডা, কাশি থাকলে শিশুকে তার থেকে দূরে রাখা।
শিশুরা আশপাশে থাকলে ধূমপান থেকে বিরত থাকা।
শিশুকে মুখ থেকে শ্বাস নিতে দেখলে এবং নাক ডাকতে দেখলে নাক পরিষ্কার রাখা।
কানের ভেতর যেন পানি না ঢোকে, সে বিষয়ে সজাগ থাকা।
শিশুদের পুষ্টির বিষয়ে সচেতন থাকা।
নিউমোকক্কাল এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধক টিকা দেওয়া।
অপারেশনের পর সঠিক খাবার গ্রহণ দ্রুত সুস্থ হতে সহায়তা করে। অপারেশনের ধরন, ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা এবং ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী খাদ্যতালিকা পরিবর্তিত হতে পারে। তবে সাধারণভাবে অপারেশনের পর নিচের খাবারগুলো খেতে বলা হয়—
১. হালকা ও সহজপাচ্য খাবার
অপারেশনের পর হালকা ও সহজপাচ্য খাবার খাওয়া ভলো। এর মধ্যে আছে ভাতের মাড় বা নরম ভাত, খিচুড়ি (ডাল ও চাল হালকা সেদ্ধ করে), ডাল (পাতলা করে রান্না করা) এবং নরম রুটি।
২. প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার
অপারেশনের পর ঘা শুকানোর জন্য প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি। এর মধ্যে আছে ডিম (সেদ্ধ বা নরমভাবে রান্না করা), মুরগির স্যুপ বা ঝোল, মাছ (সেদ্ধ বা ঝোল করা) এবং দুধ, দই বা পনির (যদি হজমে সমস্যা না হয়)।
৩. ভিটামিন ও মিনারেলসমৃদ্ধ খাবার
অপারেশনের পর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন ও মিনারেলসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। এর মধ্যে আছে ফলের জুস (কমলা, পেঁপে, আপেল), নরম ফল (কলা, পেঁপে, তরমুজ) এবং সবজির স্যুপ বা পাতলা ঝোল।
৪. পানীয় ও তরল খাবার
অপারেশনের পর প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। পাশাপাশি ডাবের পানি, হালকা গরম চা (ক্যাফেইন কম থাকলে ভালো) পান করতে পারেন।
৫. ফাইবারযুক্ত খাবার
অপারেশনের পর কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ফাইবারযুক্ত খাবার খেতে হবে। এর মধ্যে আছে ওটস বা দুধে ভেজানো চিঁড়া, সেদ্ধ সবজি (গাজর, কুমড়া) এবং পুরো গমের রুটি (যদি সহজে হজম হয়)।
যে খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে
ভাজা-পোড়া ও অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার।
বেশি তেল ও চর্বিযুক্ত খাবার।
অতিরিক্ত চিনি বা প্রসেসড ফুড।
অ্যালকোহল ও ক্যাফেইন-সমৃদ্ধ পানীয়।
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার খাওয়া সবচেয়ে ভালো। কারণ অপারেশনের ধরন অনুযায়ী ডাক্তার কিছু নির্দিষ্ট খাবার খেতে নিষেধ করতে পারেন।
মূত্রথলিতে পাথর (Bladder Stones) মূলত তখনই গঠিত হয় যখন মূত্রের মধ্যে খনিজ পদার্থ (যেমন- ক্যালসিয়াম, অক্সালেট, ইউরিক অ্যাসিড) জমা হয়ে কঠিন স্ফটিক তৈরি করে। ধীরে ধীরে এই স্ফটিকগুলো বড় হয়ে পাথরে রূপ নেয়।
অসম্পূর্ণ মূত্রত্যাগ
যদি মূত্রথলি সম্পূর্ণ খালি না হয়, তাহলে বেঁচে থাকা প্রস্রাবে খনিজ পদার্থ জমে পাথর তৈরি করতে পারে।
প্রস্রাবে বাধা সৃষ্টি হয় এমন কিছু সমস্যা
প্রোস্টেট গ্রন্থি বড় হয়ে গেলে (পুরুষদের ক্ষেত্রে), মূত্রনালির সংকীর্ণতা দেখা দিলে অথবা স্নায়বিক সমস্যা (যেমন- পারকিনসনস, স্ট্রোক) ইত্যাদি থাকলে মূত্রথলিতে পাথর হতে পারে।
ঘন ঘন প্রস্রাব আটকে রাখা
দীর্ঘ সময় ধরে প্রস্রাব আটকে রাখলে মূত্র থেমে থাকে এবং খনিজ পদার্থ স্ফটিকে পরিণত হতে পারে।
মূত্রথলিতে সংক্রমণ
সংক্রমণের কারণে প্রস্রাবে অতিরিক্ত খনিজ পদার্থ জমা হতে পারে, যা পরবর্তী সময়ে পাথর তৈরি করতে সাহায্য করে।
পানিশূন্যতা
পর্যাপ্ত পানি পান না করলে প্রস্রাব ঘন হয়ে যায় এবং এতে খনিজ পদার্থ সহজেই জমাট বেঁধে পাথর তৈরি করে।
কিডনির পাথর থেকে মূত্রথলির পাথর হওয়া
অনেক সময় কিডনিতে থাকা ছোট পাথর মূত্রনালি দিয়ে মূত্রথলিতে চলে আসে এবং সেখানে থেকে বড় হয়ে যায়।
খাবারের প্রভাব
অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম, অক্সালেট বা ইউরিক অ্যাসিডযুক্ত খাবার (যেমন- লাল মাংস, দুগ্ধজাত খাবার, চকলেট, পালংশাক) খেলে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
ডায়াবেটিস ও স্নায়ুর সমস্যা
কিছু রোগ (যেমন- ডায়াবেটিস, পারকিনসনস, মেরুদণ্ডের আঘাত) মূত্রথলির কার্যকারিতা দুর্বল করতে পারে, ফলে মূত্র পুরোপুরি বের হতে পারে না এবং পাথর তৈরি হয়।
কে বেশি ঝুঁকিতে?
৫০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষ।
প্রস্রাবে বাধাজনিত সমস্যা রয়েছে (প্রোস্টেট সমস্যা, ইউরেথ্রাল স্ট্রিকচার)।
পানি কম পান করেন এমন লোক।
দীর্ঘদিন ধরে মূত্রথলির সংক্রমণ আছে।
যারা দীর্ঘসময় ধরে বিছানায় শুয়ে থাকেন বা চলাফেরা কম করেন।
প্রতিরোধ ও করণীয়
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন (প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস)।
প্রস্রাব আটকে না রেখে সময়মতো প্রস্রাব করুন।
যদি প্রস্রাব করার সময় কোনো সমস্যা হয়, চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
কিডনি ও মূত্রথলির সংক্রমণ হলে দ্রুত চিকিৎসা করান।
স্বাস্থ্যকর খাবার খান, বেশি লবণ ও চর্বি এড়িয়ে চলুন।