
▶ প্রচলিত ধারণা: শরীর, চোখ-মুখ ফোলা মানেই কিডনি রোগ।
সঠিক তথ্য: শরীর, চোখ-মুখ ফোলা মানেই কিডনি রোগ নয়। শরীরের অন্যান্য রোগ যেমন- হৃদরোগ, লিভারের রোগ বা অ্যালার্জির কারণেও শরীর, চোখ-মুখ ফুলে যেতে পারে।
▶ প্রচলিত ধারণা: কিডনি রোগে শরীর ফোলা মানেই ফেইলিওর।
সঠিক তথ্য: কিডনি রোগের কারণেই শরীর ফোলা মানেই কিডনি ফেইলিওর না। বাচ্চাদের নেফ্রোটিক সিনড্রোম হলে প্রস্রাবে অতিরিক্ত প্রোটিন যাওয়ার কারণে শরীর ফোলা থাকে। কিন্তু কিডনির কার্যকারিতা অটুট থাকে।
▶ প্রচলিত ধারণা: কিডনি রোগ হলে অবশ্যই কিছু লক্ষণ থাকবে। যেমন- শরীর ফোলা, প্রস্রাব কম হওয়া।
সঠিক তথ্য: কিডনি রোগ প্রাথমিক পর্যায়ে লক্ষণহীন থাকতে পারে। কিডনির কার্যকারিতা ৬০-৭০ ভাগ কমে যাওয়ার পর লক্ষণ দেখা দেয়। এ জন্য কিডনি রোগকে নীরব ঘাতক বলা হয়।
▶ প্রচলিত ধারণা: প্রস্রাবে রক্ত যাওয়া মানেই কিডনি রোগ।
সঠিক তথ্য: প্রস্রাবে রক্ত যাওয়া ছাড়াও মূত্রনালি, মূত্রথলি বা মূত্রপথের রোগের কারণে হতে পারে।
▶ প্রচলিত ধারণা: বেশি করে পানি পান করলে কিডনি রোগ ভালো হয়।
সঠিক তথ্য: কিডনি রোগ প্রতিরোধের জন্য পরিমিত পানি পান প্রয়োজন। কিডনি পাথরজনিত রোগে বেশি পানি পান করা ভালো। তবে উচ্চমাত্রার কিডনি রোগী বা ডায়ালাইসিস করছে এমন রোগী অতিরিক্ত পানি পান করলে বিপদ হতে পারে।
▶ প্রচলিত ধারণা: রক্তে সিরাম ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা না বাড়লে ধরে নেব কিডনি রোগ নেই।
সঠিক তথ্য: অনেক কিডনি রোগ যেমন- নেফ্রাইটিসে প্রাথমিক পর্যায়ে রক্তের সিরাম ক্রিয়েটিনিন স্বাভাবিক থাকতে পারে। তখন শুধু প্রস্রাবে অতিরিক্ত প্রোটিন বের হয়।
▶ প্রচলিত ধারণা: ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের কারণে কিডনি রোগ হলে একটি কিডনির কার্যকারিতা কমে যায়।
সঠিক তথ্য: ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের কারণে কিডনি রোগ হলে দুটি কিডনিই সমানভাবে আক্রান্ত হয়।
▶ প্রচলিত ধারণা: ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে রাখলে কিডনি রোগ হবে না।
সঠিক তথ্য: ডায়াবেটিস (HBA1C<7%) এবং উচ্চ রক্তচাপ (BP<130/80) কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ না করলে কিডনি রোগের ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি।
▶ প্রচলিত ধারণা: কিডনি ফেইলিওর মানেই নিশ্চিত মৃত্যু।
সঠিক তথ্য: কিডনি রোগ মানেই নিশ্চিত মৃত্যু নয়। কিডনি সংযোজন বা ডায়ালাইসিস করে কিডনি ফেইলিওর রোগী দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে পারে।
▶ প্রচলিত ধারণা: কিডনি ডায়ালাইসিস করলে রোগীর মৃত্যু দ্রুত হয়।
সঠিক তথ্য: সঠিক সময়ে ডায়ালাইসিস করলে রোগী অনেক দিন বেঁচে থাকে।
লেখক: বিভাগীয় প্রধান, কিডনি রোগ বিভাগ, স্যার সলিমুল্লাহ্ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল