
সুস্থ দাঁত ও মাড়ির জন্য সঠিকভাবে দাঁত ব্রাশ করা অত্যন্ত জরুরি। অনেকেই নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করলেও সঠিক নিয়ম না জানার কারণে নানা ধরনের দাঁতের সমস্যায় ভোগেন। নিচে দাঁত ব্রাশ করার সঠিক নিয়মগুলো ধাপে ধাপে দেওয়া হলো—
সঠিক টুথব্রাশ নির্বাচন করুন
• সফ্ট ব্রিসলযুক্ত ব্রাশ ব্যবহার করুন যাতে দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
• ব্রাশের মাথা ছোট ও সহজে নড়ানো যায় এমন হলে মুখের সব জায়গায় পৌঁছানো সহজ হয়।
• প্রতি ৩ মাস পরপর বা ব্রাশের ব্রিসল নষ্ট হলে ব্রাশ বদলান।
ফ্লুরাইডযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করুন
• ফ্লুরাইড দাঁতের এনামেল শক্ত করে এবং ক্যাভিটি প্রতিরোধে সাহায্য করে।
• পরিমাণমতো পেস্ট ব্যবহার করুন – প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য মটরদানার সমান, শিশুদের জন্য তার চেয়ে কম।
দিনে দু’বার দাঁত ব্রাশ করুন
• সকালে নাশতার পর এবং রাতে ঘুমানোর আগে নিয়ম করে ব্রাশ করুন।
• রাতে ব্রাশ না করলে মুখে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া দাঁতের ক্ষয় বাড়ায়।

সময় নিয়ে ধীরে ধীরে ব্রাশ করুন
• অন্তত ২ মিনিট সময় নিয়ে প্রতিটি দিক ভালভাবে ব্রাশ করুন। ওপরের দাঁত, নিচের দাঁত, সামনের ও পেছনের দিক।
সঠিক কৌশলে ব্রাশ করুন
• ব্রাশটি দাঁতের গামের লাইনে ৪৫ ডিগ্রি কোণে ধরে ছোট ছোট গোলাকার গতিতে ব্রাশ করুন।
• ওপর থেকে নিচ ও নিচ থেকে ওপর দিকে ব্রাশ করুন – শুধু ডানে–বাঁয়ে ঘষাঘষি না করে।
• চিবানোর জায়গাগুলোও ভালভাবে ব্রাশ করুন।
জিহ্বা ও মুখের ভেতর পরিষ্কার করুন
• জিহ্বায় ব্যাকটেরিয়া জমে মুখের দুর্গন্ধ তৈরি করে, তাই জিহ্বা ব্রাশ বা স্ক্র্যাপার দিয়ে পরিষ্কার করুন।
• মুখের ভেতর পানি দিয়ে কুলিকুচি করে টুথপেস্ট ধুয়ে ফেলুন।
ব্রাশ ব্যবহারের পর পরিষ্কার ও শুকনো জায়গায় রাখুন
• ব্যবহারের পর ব্রাশ ভাল করে ধুয়ে দিন এবং খোলা জায়গায় শুকিয়ে রাখুন।
• আপনার ব্রাশ অন্যের ব্রাশের সঙ্গে একসাথে রাখবেন না, এতে জীবাণু ছড়াতে পারে।
সঠিক নিয়মে দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতের ক্ষয়, ক্যাভিটি, মাড়ির রোগ ও মুখের দুর্গন্ধ অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়। তাই নিয়ম মেনে প্রতিদিন দাঁত ব্রাশ করুন ও সুস্থ থাকুন।