
হৃদরোগকে নীরব ঘাতক বলা হয়। তাই ত্রিশোর্ধ্ব প্রত্যেকের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা উচিত। অনেক সময় উত্তরাধিকারসূত্রেও কেউ হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন। হৃদরোগ থেকে প্রতিকারের জন্য মানসিক চাপ কমাতে হবে এবং দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনতে হবে।
অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস মানুষকে স্বাস্থ্যঝুঁকির দিকে ঠেলে দেয়। এতে হজমের জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইমগুলো ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না, ফলে হজমে ব্যাঘাত ঘটে। যাদের হৃদরোগ রয়েছে, তারা জগিং করলে দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়েন এবং জয়েন্টে ব্যথা অনুভব করেন। এজন্য জগিংয়ের চেয়ে হাঁটা বেশি উপকারী।
হার্ট ভালো রাখতে যা করণীয়:
১. খাবার বিষয়ে সচেতন হতে হবে। শর্করা ও চর্বিজাতীয় খাবার কম খেতে হবে, আমিষের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
২. সপ্তাহে অন্তত পাঁচদিন আধা ঘণ্টা করে হাঁটতে হবে। লিফটে ওঠা এড়িয়ে সিঁড়ি ব্যবহার করতে হবে। দীর্ঘক্ষণ একটানা বসে থাকা যাবে না।
৩. ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। ওজন, রক্তচাপ ও রক্তে শর্করার (সুগার) মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
৪. সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত হাঁটাহাঁটি এবং আখরোট খাওয়ার মাধ্যমে কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
হৃদরোগ প্রতিরোধে ফল ও সবজি অত্যন্ত উপকারী। অন্যদিকে, তৈলাক্ত খাবার হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে সুগার ও কোলেস্টেরলের মাত্রা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। রক্তচাপ পরিমাপ করাও জরুরি।
হার্ট অ্যাটাক হলে করণীয়:
রোগীকে প্রথমে শুইয়ে দিতে হবে। এরপর জিহ্বার নিচে একটি অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট রাখতে হবে। সম্ভব হলে একটি সরবিট্রেট ট্যাবলেটও দিতে হবে। এরপর দ্রুত রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে, কারণ প্রথম এক ঘণ্টার মধ্যেই হার্টের মাংসপেশির সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়।
লেখক: অ্যালোক হেলথকেয়ার, মিরপুর-১০।