ঢাকা ১৭ কার্তিক ১৪৩১, শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪

হুতি অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের হামলা, নিহত ১১

প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৪, ০৭:০৭ পিএম
হুতি অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের হামলা, নিহত ১১
ছবি : সংগৃহীত

পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিনে ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠী হুতিদের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যৌথ বাহিনী। এতে অন্তত ১১ জন নিহত এবং আহত হয়েছেন আরও ১৪ জন। 

হুতি পরিচালিত টেলিভিশন নিউজ আউটলেট আল মাসিরাহর বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সোমবার দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দর শহর এবং এর আশপাশের ছোট শহরগুলোর কমপক্ষে ১৭টি অবস্থানে হামলা চালানো হয়। 

ইয়েমেনের পশ্চিমা স্বীকৃত সরকারের একজন মুখপাত্র দাবি করেছেন, লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলকে নিরাপদ করতেই এই হামলা চালানো হয়েছে। 

নতুন এই হামলার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সামরিক বাহিনী। তবে হুতি নিয়ন্ত্রিত একাধিক এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে বলা হয়েছে, নতুন এই হামলা এডেন উপসাগর ও লোহিত সাগরে হুতিদের হামলা করা থেকে বিরত রাখতে পারবে না। 

এর আগে গত সপ্তাহে প্রথম হুতিদের হামলায় বাণিজ্যিক জাহাজে বেসামরিক নাগরিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। বার্বাডোসের পতাকাযুক্ত ও গ্রিক পরিচালিত ট্রু কনফিডেন্স কার্গো জাহাজে হুতি হামলায় ৩ জন নিহত হন। এর আগে রুবিমার নামের একটি ব্রিটিশ কার্গো জাহাজও হুতিদের হামলায় ডুবে যায়। 

বহু জাহাজ কোম্পানি হুতিদের হামলা এড়াতে এডেন উপসাগর ও লোহিত সাগর এড়িয়ে চলছে। ফলে পণ্য রপ্তানির ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে নাটকীয়ভাবে। এতে পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনীতিতে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে। 

মূলত গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে গত নভেম্বর থেকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত জাহাজে হামলা শুরু করে হুতি গোষ্ঠী। পরে অন্যান্য পশ্চিমা দেশের বাণিজ্যিক জাহাজেও হামলা শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্র হুতিদের হামলা থেকে জাহাজগুলোকে রক্ষা করতে আন্তর্জাতিক সমুদ্র জোটও গঠন করে। সূত্র : রয়টার্স/ আল-জাজিরা 

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন: অভিবাসনসহ ৭ ইস্যু প্রভাব ফেলবে

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩০ এএম
অভিবাসনসহ ৭ ইস্যু প্রভাব ফেলবে
ছবি: সংগৃহীত

২৩ বছর বয়সী সাবিহার বাবা প্যালেস্টাইন থেকে এ দেশে এসে থিতু হন। সেই অর্থে সাবিহা দ্বিতীয় প্রজন্মের অভিবাসী। নিউইয়র্কের ব্রুকলিন কলেজে ‘শিক্ষা’ বিভাগে মাস্টার্স ডিগ্রিতে অধ্যয়নরত এই তরুণী তার পড়ার খরচ বহন করতে চাকরিও করেন।

গাজায় গত এক বছরে ৪২ হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যু নিঃসন্দেহে সাবিহাকে বেদনার্ত করেছে। কিন্তু নারী হিসেবে সাবিহা মেয়েদের গর্ভপাতসহ পুনরুৎপাদনমূলক স্বাস্থ্য অধিকারের প্রশ্নে ডেমোক্র্যাটদেরই সমর্থক। তবে গত চার বছরে মার্কিনিদের অর্থনৈতিক অবস্থা যে বেশ খারাপ হয়েছে, সেটা সাবিহা অস্বীকার করেন না। 

সাবিহার মতোই অসংখ্য মার্কিনি ভোটার এবারের নির্বাচনে যে কয়েকটি প্রধান ইস্যু নিয়ে চিন্তিত বা বিড়ম্বিত, সেগুলো সংক্ষেপে এ রকম-

বৈদেশিক নীতি

ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ন্যাটো প্রশ্নে ডেমোক্র্যাটরা যখন রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মার্কিনি সাহায্য অব্যাহত রাখার কথা বলছে, ট্রাম্প তখন এই প্রশ্নে ঠাণ্ডা পানি ছুড়ে মারেন। ডেমোক্র্যাটরা যখন রাশিয়া ও চীনের মতো পরাশক্তিগুলোর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর ঠাণ্ডা যুদ্ধের সময়ের মতোই প্রধানত যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সামরিক জোট ন্যাটোকে সক্রিয় রাখতে চান, ট্রাম্প তখন ন্যাটোর সমালোচনা করে চলেছেন এবং বৈশ্বিক পরিসরে যুক্তরাষ্ট্রকে অন্যের বদলে ‘নিজের চরকায় তেল’ দেওয়ার নীতি গ্রহণে উন্মুখ। সম্প্রতি তিনি এমনটিও বলেছেন, ‘রাশিয়া যা খুশি তাই করুক।’ 

গত বছরের ৩১ আগস্ট মার্কিন নাগরিক হার্শ গোল্ডবার্গ-পলিনসহ হামাস কর্তৃক ধৃত ও জিম্মি ছয়জনের লাশ উদ্ধার হওয়ার পর কমলা হ্যারিস লিখেছিলেন, ‘ইসরায়েলের জনতা এবং ইসরায়েলে বসবাসরত মার্কিনিদের যে আতঙ্কের ভেতর হামাস ফেলে দিয়েছে, তাকে অবশ্যই নির্মূল করতে হবে এবং হামাস গাজাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। ফিলিস্তিনি জনতাও প্রায় দুই দশক ধরে হামাসের শাসন সহ্য করে আসছে।’ ডোনাল্ড ট্রাম্প তখন এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তার এক্স-হ্যান্ডেলে জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিস উভয়ের হাতেই ‘রক্ত লেগে আছে’ বলে মতামত ব্যক্ত করেছিলেন। ২০২৪-এর আগস্ট নাগাদ ফিলিস্তিনে ৪০ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন, যাদের ভেতর আছে ১৬ হাজার শিশু। অন্যদিকে আজ (১ নভেম্বর) ‘দিওয়ালি টুইট’-এ ট্রাম্প ডেমোক্র্যাটদের উদ্দেশে ‘তারা ইসরায়েল থেকে ইউক্রেন হয়ে আমাদের নিজেদের দক্ষিণ সীমান্তে সর্বত্র সর্বনাশ ডেকে এনেছে’ বলে মন্তব্য করেছেন। 

গর্ভপাত

২০২০-২৪ নাগাদ ডেমোক্র্যাট সরকার ‘উইমেনস হেলথ প্রটেকশন অ্যাক্ট’ বা যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি প্রদেশে ফেডারেল আইনের আওতায় নারীর গর্ভপাতের অধিকার সুরক্ষা এবং গর্ভপাতের অধিকার পেতে অপ্রয়োজনীয় বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন যেন তাদের হাসপাতাল বা অন্যত্র কোথাও না হতে হয়, সে বিষয়ে একটি বিল আনেন। অন্যদিকে রক্ষণশীল ক্রিশ্চিয়ান নৈতিকতায় বিশ্বাসী রিপাবলিকানরা নারীর গর্ভপাতের অধিকারকে স্বীকার করতে চান না। 

এ বছর লাতিন বা হিস্পানি পুরুষরা অনেকেই তাদের সমাজের চিরায়ত ‘মাচিসমো’ বা ‘আলফা মেল’ সত্তাকে স্বীকৃতি দিতেই যেন অনেকেই ট্রাম্পের দিকে ‘গর্ভপাত’ প্রশ্নে ঝুঁকছিলেন। তবে দু-তিন দিন আগে নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেনে লাতিনোদের সম্পর্কে ট্রাম্প সমর্থকদের কটু মন্তব্যের কারণে তারা এখন বিরক্ত। 

অভিবাসন

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান সীমান্ত আইনকে ট্রাম্প বহুবারই দেশের জন্য একটি ‘অস্তিত্বগত হুমকি’ বলে উল্লেখ করেছেন এবং এমনকি অভিবাসীরা ‘আমাদের দেশের রক্তকে বিষাক্ত করছে’ এবং নতুন ‘ভাষাগুলো’ নিয়ে আসছে বলেও হতাশা ব্যক্ত করেন। ডেমোক্র্যাটরা সীমান্তের প্রশ্নে যে দুর্দশার সৃষ্টি করেছে, তা তিনি দূর করবেন বলেও ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারাভিযানের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে।

গত চার বছরে ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্পের সময়কার অভিবাসন-সম্পর্কিত অনেক নীতিই বদলে দেয়। ‘ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট’-এর মাধ্যমে, এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাস করা মানুষেরাও ঠিকমতো কর প্রদান এবং পরিপ্রেক্ষিত যাচাইয়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়।

ট্রাম্প যখন দেশে কম অভিবাসীর আগমন চান, কমলা নিজেই তখন অভিবাসী পিতা-মাতার সন্তান এবং ডেমোক্র্যাটরা বিশ্বাস করে যে, অভিবাসীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আরও ভালো দেশ হিসেবে গড়বে। 

স্বাস্থ্য সুরক্ষা

স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রশ্নে সেই ২০১০ সালে বারাক ওবামার সময়েই ডেমোক্র্যাটরা ‘অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট’ নামে একটি আইন পাস করেন, যা দেশজুড়ে জনপ্রিয়। এই আইনটিকে ‘ওবামা কেয়ার’ও বলা হয়। ভর্তুকির মাধ্যমে এই আইনটি সারা দেশে ৪৫ মিলিয়ন বা ৪ কোটি ৫ লাখ মানুষকে সুরক্ষা দেয়। ক্ষমতায় থাকাকালীন ট্রাম্প এই আইনটি বারবার বাতিল করার ব্যর্থ প্রয়াস চালিয়েছিলেন।

কর

২০১৭ সালে ট্রাম্পের গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কর কর্তনের নীতি ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ সমাপ্ত হবে। কিন্তু গত চার বছরের ডেমোক্র্যাট শাসনের সময় জো বাইডেন ৪ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি আয়সম্পন্ন পরিবারগুলোর ওপর বিভিন্ন ধরনের কর বাড়ানোর আহ্বান জানান। এ বিষয়ে কংগ্রেস ও ২০২৪-এর নির্বাচনে বিজয়ী দলই সিদ্ধান্ত নেবে। সম্প্রতি দিওয়ালি টুইটে ট্রাম্প কর কর্তনের মাধ্যমে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সম্প্রসারিত হতে দেবেন বলেছেন। তবে ডেমোক্র্যাট শিবিরের অভিযোগ, এই কর কর্তনের নীতি ধনীদের আরও ধনী করবে এবং গরিবদের আরও গরিব করবে। 

সুপ্রিম কোর্টের বিচারক মনোনয়ন

রিপাবলিকানরা এবং বিশেষত ট্রাম্প যখন চাইছেন সুপ্রিম কোর্টে তরুণ, রক্ষণশীল বিচারকদের নিযুক্ত করতে; যারা অল্প বয়সে নিয়োগ পেয়ে দীর্ঘদিন ধরে আদালতে কাজ করতে পারবেন, তখন হ্যারিসের নেতৃত্বে ডেমোক্র্যাটরা চাইছেন নানা জাতিসত্তার বিচারকদের নিযুক্ত করতে, যাদের ভেতর থাকবেন নাগরিক অধিকার আইনজীবীরা। 

বাণিজ্য

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন রিপাবলিকানরা যখন আমদানীকৃত সব পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক ধার্য করার পক্ষে এবং সম্প্রতি ফক্স নিউজকে তিনি চীন থেকে আমদানীকৃত সব পণ্যের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ বা তার চেয়েও বেশি শুল্ক ধার্য করার কথা বলেছেন, ডেমোক্র্যাটরা তখন শুল্ক বাড়ানোর পক্ষপাতী নন। যেহেতু এতে করে গড়ে প্রতিটি মার্কিনি পরিবারকে পরিবার পিছু ১ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার বেশি খরচ করতে হবে। 
এই ইস্যুগুলোর সমাধান কে করতে পারবেন, তার ওপরই মার্কিন ভোটের গতি-প্রকৃতি নির্ভর করবে।

‘জাতিসংঘের সমঝোতা প্রস্তাব বাস্তবায়নে এগোচ্ছে ইসরায়েল-লেবানন’

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২২ পিএম
আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৩ পিএম
‘জাতিসংঘের সমঝোতা প্রস্তাব বাস্তবায়নে এগোচ্ছে ইসরায়েল-লেবানন’
অ্যান্টনি জন ব্লিঙ্কেন

দীর্ঘসময় ধরে জাতিসংঘের সমঝোতা প্রস্তাব লঙ্ঘনের মাধ্যমে ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে যে অস্থিরতা বিরাজ করছে, তা কিছুটা স্থিতিশীল জায়গায় পৌঁছেছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি জন ব্লিঙ্কেন।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিল ২০০৬ সালে ‘১৭০১ রেজ্যুলেশন’ গ্রহণ করে।

সংবাদ সম্মেলনে ব্লিঙ্কেন বলেন, “‘১৭০১ রেজ্যুলেশন’ বাস্তবায়নে সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে ইসরায়েল ও লেবানন দুই পক্ষেরই চাওয়া কি সে সম্পর্কে তাদের স্বচ্ছ অবস্থান থাকা।”

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে বলতে পারি, যে কাজ হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে সমঝোতার ব্যাপারে বেশ কিছুটা আগাতে পেরেছি।’
 
তবে ব্লিঙ্কেনের মতে, কাজ এগোলেও এখনো অনেক কিছু করার বাকি।

লেবাননের সার্বিক পরিস্থিতির পরিবর্তন খুব দ্রুতই দেখার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহী জানালেও, তা কবে নাগাদ হতে পারে এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি। 

তবে যুক্তরাষ্ট্র এ ব্যাপারে চাপ বজায় রাখবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘লেবাননের পরিস্থিতির পরিবর্তনের বেশ ভালো একটা সুযোগ আছে। আমরা আশাবাদী, এই পরিবর্তনের জন্য দূর-ভবিষ্যৎ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না।’

সম্মেলনে ব্লিঙ্কেনের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স সেক্রেটারি লয়েড অস্টিন ও দক্ষিণ কোরিয়ার কূটনৈতিকতারও উপস্থিত ছিলেন। 

লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ গত বছর হামাসের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের ঘাঁটিতে আক্রমণের মধ্য দিয়ে এই পাল্টাপাল্টি আক্রমণের সূত্রপাত হয়।

এমন পরিস্থিতিতে গত পাঁচ সপ্তাহে লেবাননের দাঙ্গা এক বছরের মধ্যে তীব্রতর আকার ধারণ করেছে। 

লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত ১২ মাসে প্রায় দুই হাজার ৮০০ জন লেবানন নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন।

এদিকে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী বুধবার (৩০ অক্টোবর) যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এবং ইসরায়েলের গণযোগাযোগ মাধ্যমে বলা হয়েছে, এটি একটি খসড়া চুক্তি হবে, যেখানে ৬০ দিনের সমঝোতার কথা উল্লেখ থাকবে। সূত্র: রয়টার্স

নাইমুর/পপি/

সহিংসতার আশঙ্কা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫১ পিএম
সহিংসতার আশঙ্কা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা
যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রে আসন্ন নির্বাচনের আগেই ব্যাপক সহিংসতা, ফলাফল পাল্টানোর চেষ্টা ও রাজনৈতিক সংঘাতের কারণে দেশটির ভোটাররা আছেন শঙ্কায়। হঠাৎ করেই রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ে সাধারণ ভোটাররা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার ও রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে ভোটারদের মধ্যে দেশের গণতন্ত্র নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এএফপির বরাতে এ খবর জানিয়েছে বাসস।

এনওআরসি, সেন্টার ফর পাবলিক অ্যাফেয়ার্স রিসার্চ-এর এক জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধিত ভোটারদের ৪০ ভাগই বলেছেন, তারা নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার চেষ্টায় সহিংসতা নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করে আসছেন, কেবল নির্বাচনে কারচুপি হলে তিনি পরাজিত হবেন। এসব আগাম অভিযোগ নিয়ে ভোটারদের মধ্যে ক্রমেই উদ্বেগ বাড়ছে।

নিবন্ধিত ভোটারদের ৯০ ভাগই মনে করেন, প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে ভোট গণনা শেষ করে এবং অভিযোগের চ্যালেঞ্জগুলো আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে সমাধান করলে নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীকে তা অবশ্যই মেনে নেওয়া উচিত।

ভোটারদের এক-তৃতীয়াংশ মনে করেন, রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প নির্বাচনে হেরে গেলে তিনি পরাজয় মেনে নেবেন। এদিকে ডেমোক্র্যাটদের প্রতি দশজনের মধ্যে একজন ট্রাম্পের পরাজয় মেনে নেওয়ার বিষয়ে একমত প্রকাশ করেছেন।

ইমরানের সঙ্গে ‘দুর্ব্যবহার’ করলে শাটডাউন: পিটিআই

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৫ এএম
আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৫ এএম
ইমরানের সঙ্গে ‘দুর্ব্যবহার’ করলে শাটডাউন: পিটিআই
ইমরান খান

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে কারাগারে দুর্ব্যবহার চলতে থাকলে দেশজুড়ে শাটডাউন দিয়ে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করার হুমকি দিয়েছে তার দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। 

গত বুধবার খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এবং পিটিআইয়ের সিনিয়র নেতা আলী আমিন গান্দাপুর ফেডারেল সরকার এবং পাঞ্জাব সরকারের কাছে এই ‘হুঁশিয়ারি’ দেন। পাকিস্তানের ডনসহ আরও একাধিক সংবাদমাধ্যমে এ খবর জানানো হয়েছে।

গত বছরের আগস্ট থেকে কারাবন্দি অবস্থায় আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সম্প্রতি কারাগারে তার সেলের বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। অতি নিম্নমানের খাবার দেওয়া হচ্ছে। তাকে স্বজন ও দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গেও দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না এবং হেফাজতে মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইমরান খানের বোন আলেমা এবং উজমা খান ।

এদিকে পিটিআই নেতা সাঈদ জুলফি বুখারি জানিয়েছেন, খাইবার পাখতুনখোয়ার রাজধানী পেশোয়ারে একটি বড় বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে তারা দেশব্যাপী শাটডাউন কর্মসূচি পালনের পরিকল্পনা করছেন।

স্পেনে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯৫

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৭ এএম
স্পেনে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯৫
ছবি: সিবিসি নিউজ

স্পেনে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ৯৫-তে দাঁড়িয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। ২৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভেলেন্সিয়া প্রদেশ ও তার আশপাশের এলাকা।

স্পেনের আবহাওয়া সংস্থার তথ্যানুসারে, গত মঙ্গলবার স্পেনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় কয়েক ঘণ্টায় ৪০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় শুধু ভেলেন্সিয়াতেই ৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তা ছাড়া কাস্তিল-লা-মাঞ্চে প্রদেশে দুজন ও আন্দালুসিয়ায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। 

স্পেনের সিভিল গার্ড জানিয়েছে, ভেলেন্সিয়ার প্রায় সব হাইওয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে এবং সড়কে প্রায় পাঁচ হাজার গাড়ি বিকল হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় এখনো ১ হাজার ২০০ মানুষ আটকা পড়ে আছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিখোঁজদের উদ্ধারে তৎপরতা চলমান রয়েছে।

বন্যার কারণে মাদ্রিদ, বার্সেলোনাসহ অনেক শহরে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো শানচেজ বন্যায় হতাহতের জন্য দেশটিতে তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন। সূত্র: সিএনএন