ঢাকা ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫
English
শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

পশ্চিমবঙ্গে রিমালের তাণ্ডবে দুজনের মৃত্যু

প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৪, ১২:২১ পিএম
আপডেট: ২৭ মে ২০২৪, ০৪:০৯ পিএম
পশ্চিমবঙ্গে রিমালের তাণ্ডবে দুজনের মৃত্যু
ছবি : আনন্দবাজার

ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, রবিবার রাত ও সোমবার সকালে এই দুজনের মৃত্যু হয়।

এর মধ্যে রবিবার (২৬ মে) রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে কলকাতায় মারা যান মহম্মদ সাজিদ (৫১)। অন্যদিকে সোমবার (২৭ মে) সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানার মৌসুনির পঞ্চায়েতের বাগডাঙা এলাকায় মারা যান রেণুকা মণ্ডল (৮০)।

ভারতীয় সংবাদপত্র সংবাদ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার সকালে নিজ ঘরে খাওয়া-দাওয়া করছিলেন রেণুকা মণ্ডল। এ সময় ঘরের চালের ওপর গাছ পড়লে মারা যান তিনি। আবহাওয়া অফিস আগে থেকেই নামখানায় ঝড়বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছিল। সে অনুযায়ী, ওই এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়েও নেওয়া হলেও বাড়িতেই ছিলেন বৃদ্ধা রেণুকা।

অন্যদিকে কলকাতায় রিমালের তাণ্ডবের সময় বাড়ির বাইরে থাকা ছেলেকে ফিরিয়ে আনতে গিয়ে মারা যান মহম্মদ সাজিদ। তিনি প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে ১০ নম্বর বিবির বাগানে একটি বাড়ির নিচে আশ্রয় নিলে এ সময় তার ওপর বাড়ির কার্নিশ ভেঙে পড়ে। পরে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কতর্ব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

পপি/অমিয়/

ন্যাটোতে নতুন মার্কিন শীর্ষ জেনারেল

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ১১:২৫ পিএম
ন্যাটোতে নতুন মার্কিন শীর্ষ জেনারেল
ছবি: সংগৃহীত

ইউরোপে মার্কিন সামরিক বাহিনীর শীর্ষ পদে এবং ন্যাটোর সুপ্রিম অ্যালিড কমান্ডার ইউরোপ পদে লেফটেন্যান্ট জেনারেল অ্যালেক্সাস গ্রিনকেভিচকে মনোনয়ন দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ঐতিহ্যগতভাবে এই পদে একজন মার্কিন জেনারেল দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

বৃহস্পতিবার  (৫ জুন) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এই খবর  জানায়।

ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত দেশটির ইউরোপীয় মিত্রদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে কারণ গত কয়েক মাস ধরে ট্রাম্প ইউরোপকে তার নিজস্ব প্রতিরক্ষা ব্যয় আরও বাড়ানোর জন্য চাপ দিয়ে আসছেন। এতে ন্যাটোয় যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়।

গ্রিনকেভিচের এই নিয়োগ চূড়ান্ত করতে মার্কিন সিনেটের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। তিনি বর্তমানে পেন্টাগনে জয়েন্ট স্টাফের পরিচালনা বিভাগের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

২০২২ সালে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর ন্যাটো বাহিনীর দায়িত্ব নেওয়া জেনারেল ক্রিস্টোফার কাভোলির স্থলাভিষিক্ত হবেন গ্রিনকেভিচ। কাভোলি ইউক্রেনকে সহায়তায় বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহযোগিতা তদারকি করেছেন।

ট্রাম্প প্রশাসন শুরু থেকেই ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোকে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়াতে চাপ দিচ্ছে। বর্তমানে জিডিপির ২ শতাংশ প্রতিরক্ষা ব্যয়ের লক্ষ্য থাকলেও ট্রাম্প চাইছেন এই হার ৫ শতাংশে উন্নীত করতে। যদিও এখন পর্যন্ত কোনও দেশই এই লক্ষ্য পূরণে পৌঁছায়নি, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রও নয়।

ন্যাটো সদর দফতরে এক সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেন, ‘সকালের বৈঠকে যা শুনেছি, তাতে আমি আশাবাদী। অনেক দেশই ইতোমধ্যে ২ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে এবং আমরা প্রায় ৫ শতাংশ লক্ষ্যে একমত হওয়ার কাছাকাছি চলে এসেছি।’

১৯৫১ সালে প্রথম এই পদে ছিলেন মার্কিন জেনারেল ডুইট ডি. আইজেনহাওয়ার। ইউরোপে ন্যাটোর সব অভিযান তদারকি করা এই পদের দায়িত্ব অনেকটাই প্রতীকি হলেও এর কৌশলগত গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে ন্যাটোর একীভূত প্রতিরক্ষা পুনর্গঠনের সময়ে তা আরও গুরুত্বপূর্ণ।

সুলতানা দিনা/

বরখাস্ত হলেন নিউজিল্যান্ডের সংসদে হাকা নৃত্য করা সেই মাওরি সাংসদ

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ০৯:০৯ পিএম
আপডেট: ০৫ জুন ২০২৫, ০৯:১০ পিএম
বরখাস্ত হলেন নিউজিল্যান্ডের সংসদে হাকা নৃত্য করা সেই মাওরি সাংসদ
হানা মাইপি ক্লার্ক। ছবি: সংগৃহীত

নিউজিল্যান্ডের সংসদে মাওরি সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী হাকা নৃত্য করে প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পাওয়া বিরোধী দল তে-পাতি মাওরি পার্টির সংসদ সদস্য হানা মাইপি ক্লার্ক বরখাস্ত হয়েছেন। এই প্রতিবাদে তার সঙ্গে যোগ দেয়া আরও দুই মাওরি এমপিকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (০৫ জুন) ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা বিবিসি জানায়, বিরোধী দল তে-পাতি মাওরি পার্টির সংসদ সদস্য হানা মাইপি ক্লার্ককে সাত দিনের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে। আর দলটির দুই সহ-নেতা রাওইরি ওয়াইতিতি ও ডেবি এনগারেওয়া-প্যাকারকে ২১ দিনের জন্য সংসদ কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

নিউজিল্যান্ডের সংসদে বিরোধী ওই পার্টিকে যখন প্রশ্ন করা হয়—তারা মাওরি জনগোষ্ঠীর সঙ্গে ব্রিটিশ রাজের ১৮৪০ সালের চুক্তি পুনঃ ব্যাখ্যা করার একটি বিতর্কিত বিলকে সমর্থন করে কি না, তখনই তিন সাংসদ হাকা শুরু করেন। পরে ‘ট্রিটি প্রিন্সিপালস’ নামের এই বিলটি শেষ পর্যন্ত অবশ্য বাতিলই করা হয়েছে।

এই বিলকে কেন্দ্রকরে দেশজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ তৈ্রি হয় এবং গত নভেম্বরে দেশটির পার্লামেন্টের সামনে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ বিক্ষোভ করেন।
ডেবি এনগারেওয়া-প্যাকার বলেন, ‘আমাদের মাওরি হওয়ার কারণে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। আমরা আমাদের জনগণের দাবি ও প্রত্যাশাকেই সবার আগে গুরুত্ব দেই।’

এদিকে তিন সাংসদের বরখাস্ত নিয়ে সংসদে তীব্র বিতর্ক হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রী উইনস্টন পিটার্স তে পাতি মাওরি পার্টিকে ‘চরমপন্থী দল’ বলায় ক্ষমা চাইতে বলা হয়। 

আর বরখাস্ত হওয়া সবচেয়ে কম বয়সী ও আলোচিত সাংসদ মাইপি ক্লার্ক আবেগ নিয়ে বলেন, ‘আমাদের কণ্ঠ কি এতই উচ্চ যে শাস্তি পেতে হচ্ছে?’

অন্যদিকে,সংসদের একটি কমিটি জানায়, হাকা করার ফলে সংসদ সাময়িকভাবে থেমে যায় এবং এটি অন্য সদস্যদের শঙ্কিত করতে পারে।

তবে প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লাক্সন দাবি করেন, ‘শাস্তির বিষয়টি হাকার বিরুদ্ধে নয়, বরং সংসদের নিয়ম না মানার বিরুদ্ধে।’ তবে শাস্তি হিসেবে এই সাংসদেরা বরখাস্ত হলেও বিলটি বাতিল হওয়ায় মাওরি জনগণের পক্ষে এটি ছিল বড় এক বিজয়।

সুলতানা দিনা/

দেশজুড়ে গুপ্তচর সন্দেহে গ্রেপ্তারি, কিসের এত ভয় ভারতের?

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ০৮:১৭ পিএম
আপডেট: ০৫ জুন ২০২৫, ০৮:২২ পিএম
দেশজুড়ে গুপ্তচর সন্দেহে গ্রেপ্তারি, কিসের এত ভয় ভারতের?
প্রতীকী ছবি

বিভিন্ন দেশে গুপ্তচরবৃত্তি নতুন ঘটনা নয়। তবে অপারেশান সিঁদুরের পর থেকেই রীতিমতো অস্বাভাবিক হারে গুপ্তচর সন্দেহে গ্রেপ্তার হচ্ছেন বেশ কিছু ভারতীয় নাগরিক। সেই লম্বা নামের তালিকায় রয়েছেন, হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা, সিআরপিএফ জওয়ান মোতি রাম জাট, রাজস্থানের সরকারি কর্মী শকুর খান-সহ একাধিক সন্দেহভাজন। তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির বিভিন্ন থানার পুলিশ এবং গোয়েন্দা বিভাগ। 

তবে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি, সিআরপিএফ জওয়ান মোতি রাম জাটের গ্রেপ্তারের ঘটনাটিকে সুরক্ষা বাহিনীর কর্তৃপক্ষকে বেশি চিন্তায় ফেলেছে।

বুধবার (০৪) মোহালি থেকে গ্রেপ্তার হন আরেক ইউটিউবার জসবীর সিং। পাঞ্জাব পুলিশ জানায়, জ্যোতি মালহোত্রার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল জসবীরের।

সোমবার (০২) কলকাতার বেশ কিছু জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে এনআইএ। এর পর মহম্মদ মাসুদ আলম নামে এক ট্র্যাভেল এজেন্টকে জেরা করেন এনআইএ কর্মকরতারা। তাকে সন্দেহভাজন টাকা লেনদেনের  বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার সিআরপিএফ জওয়ান মোতি রাম জাটের সূত্র ধরেই এই তল্লাশি চালানো হয়।

এছাড়া মঙ্গলবার (০৩)পাঞ্জাব এবং রাজস্থান থেকে গ্রেপ্তার হন আরো দুই ব্যক্তি। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা গোয়েন্দা বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘গুপ্তচরেরা সব দেশেই থাকেন। তবে রাজনৈতিক বা সামরিক শান্তি বিঘ্নিত হলে তাদের গতিবিধি বাড়ে। 

তবে ভারতের ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশের গুপ্তচরের ধরপাকড় নতুন নয়। সাধারণত অর্থ, ধর্মীয় মত বা রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রভাব ইত্যাদির টোপে সাধারণ মানুষ এই কাজে জড়িয়ে দেন। সব সময় গোপন তথ্য পাচার নয়, সাধারণ দৈনন্দিন তথ্য সরবরাহ যুদ্ধ পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।’

তার মতে, ‘কারো কাছে তথ্য থাকলে এবং কোথায় বা কার সেই তথ্য প্রয়োজন তা জানা থাকলেই, সে বিপজ্জনক।’
সুরক্ষা বাহিনীতে গুপ্তচর!

সিআরপিএফ জওয়ান মোতি রাম জাটের গ্রেপ্তারের ঘটনায়, গোয়েন্দা বিভাগের এক কর্মকর্তা ডিডাব্লিউকে জানান, ‘চর যেই হোক না কেন, তাদের হ্যান্ডলাররা সাধারণ মানুষ হন। ফোর্সের কেউ হন না। সামরিক বাহিনীর অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা বিভাগ শক্তিশালী। এখন প্রায় সব তথ্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাওয়া যায়। তবে যে কোনো অপারেশনের আগে অঞ্চল প্রস্তুত করার জন্য গুপ্তচরদের কাজে লাগানো হয়। তাই যে কোনো সুরক্ষা বাহিনীর কেউ মোল বা অন্য দেশের চর হলে তা বিপদের।’

সাধারণত সুরক্ষা বাহিনীর তথ্যের গোপনীয়তার বিভিন্ন স্তর আছে। সামরিক বাহিনীর সংখ্যা কত হবে বা পারমাণবিক ওয়ারহেডসের ঠিকানা কী হবে, তা গোপন বা ক্লাসিফায়েড তথ্য। এ ধরনের তথ্য সম্পূর্ণ গোপনীয়তার মোড়কে মুড়ে ফেলা হয়। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতার রাজনৈতিক মহলের এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা অবশ্য বলেন,‘গুপ্তচর হওয়ার জন্য সামরিক বাহিনী বা পুলিশ বাহিনীতে থাকার প্রয়োজন হয় না। হ্যাঁ, কেউ যদি গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকে তা হলে তথ্যের উপর তার নিয়ন্ত্রণ বেশি থাকবে। কিন্তু সাধারণ মানুষকে দিয়েও যথেষ্ট তথ্য পাচার করা সম্ভব।’ 

সুলতানা দিনা/

পার্লামেন্ট ভাঙার আশঙ্কা, জলে কুমির ডাঙায় বাঘ পরিস্থিতিতে নেতানিয়াহু

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ০৫:৪৭ পিএম
আপডেট: ০৫ জুন ২০২৫, ০৫:৫৫ পিএম
পার্লামেন্ট ভাঙার আশঙ্কা, জলে কুমির ডাঙায় বাঘ পরিস্থিতিতে নেতানিয়াহু
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: সংগৃহীত

নিজের জোট ও বিরোধীদের চাপে মারাত্মক বেকায়দায় পড়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এবার জোট ছাড়ার হুমকি দিয়ে তার গদি আরও নড়বড়ে করে দিলো কট্টর রক্ষণশীল দল ইউনাইটেড তোরাহ জুডাইজম (ইউটিজে)। এছাড়া তৈরি হয়েছে পার্লামেন্ট ভাঙার আশঙ্কা।

গাজায় যুদ্ধ পরিচালনা নিয়ে দেশে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দীর্ঘদিন ধরেই যথেষ্ট বেকায়দা অবস্থায় আছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

এমতাবস্থায় বুধবার (৪ জুন)  ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, নেতানিয়াহুর জোট সরকারের শরিক ইউটিজে হুমকি দিয়েছে, ধর্মীয় শিক্ষায় ব্যস্ত কট্টর রক্ষণশীল পুরুষদের বাধ্যতামূলক সেনাবাহিনীতে যোগদানের বিধি সংশোধন না করলে তারা জোট ছেড়ে নেতানিয়াহুকে দুর্বল করেই ক্ষান্ত হবে না, বরং আগামী সপ্তাহে বিরোধীদলের প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়ে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার চেষ্টাও করবে।

কঠোর ধর্ম চর্চারত পুরুষদের সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক যোগদান নিয়ে জোটের মধ্যে কয়েকদিন ধরেই চরম মতবিরোধ চলছে। এরমধ্যে গাজায় নেতানিয়াহুর যুদ্ধ পরিচালনা নিয়ে বিভিন্ন কারণে নাখোশ থাকায় আগামী সপ্তাহে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট উত্থাপন করবে প্রধান বিরোধী দল ইয়েশ আতিদ।

বিরোধীদলের নেতা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ বলেন, ‘এই নেসেট (ইসরায়েলি পার্লামেন্টের নাম নেসেট) শেষ। তাদের সামনে আর কোনও পথ খোলা নেই।’

পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার জন্য ১২০ সদস্যের আইনবিভাগের ৬১ জনের সমর্থন প্রয়োজন।

সাম্প্রতিক এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, দেশের মানুষের কাছে নেতানিয়াহুর জনপ্রিয়তা খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থানে নেই। গাজায় যুদ্ধ এবং জিম্মিদের রক্ষায় নেতানিয়াহু সরকারের পন্থায় ক্ষুব্ধ রয়েছেন অনেক ইসরায়েলি। এ অবস্থায় ভোট হলে নেতানিয়াহুর ক্ষমতা হারানোর যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে।

ইউটিজের নেতা ইতঝাক গোল্ডনোপফের এক মুখপাত্র রয়টার্সকে জানান, তাদের দাবি মেনে না নিলে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পক্ষে বিরোধীদের সমর্থন দেবে ইউটিজে।

অবশ্য,পরিস্থিতি খুব একটা সরলীকরণও করা যাচ্ছে না। বিধি সংশোধন না করলে যেমন কট্টরপন্থিদের সমর্থন হারানোর ঝুঁকি আছে, তেমনি অন্যদিকে, ইউটিজের দাবি মেনে নিলে ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলো আবার নেতানিয়াহুর ওপর ক্ষুব্ধ হতে পারে। 

অর্থাৎ, পুরো জলে কুমির ডাঙায় বাঘ পরিস্থিতিতে পড়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী।

দেশটিতে সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন নেতানিয়াহু। দীর্ঘদিন ধরেই একের পর এক সংকট কোনও রকম উতরে গিয়ে টিকে আছেন তিনি। 

আগামী সপ্তাহের ভোটের আগে সমঝোতার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে নেতানিয়াহু আর তার মিত্রদের হাতে আছে খুব অল্প কিছু সময়।
ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, ‘জোট শরিকদের মধ্যে সমঝোতা চলছে।’

পার্লামেন্টে নেতানিয়াহুর কট্টরপন্থী ও ধর্মনিরপেক্ষ ডানপন্থি জোটের আট আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। ইউটিজের দখলে আছে সাতটি এবং আরেক কট্টর দল শাসের আছে ১১টি আসন।

এদিকে,পুরো সংকট নিয়ে নেতানিয়াহুর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি শব্দও জানানো হয়নি।

সুলতানা দিনা/

জার্মান শহরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বোমা আতঙ্ক: ২০ হাজার বাসিন্দা স্থানান্তর

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ০৫:০০ পিএম
আপডেট: ০৫ জুন ২০২৫, ০৫:৫৬ পিএম
জার্মান শহরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বোমা আতঙ্ক: ২০ হাজার বাসিন্দা স্থানান্তর
ছবি: সংগৃহীত

জার্মানির কোলন শহরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ১০ থেকে ২০ টন ওজনের তিনটি অবিস্ফোরিত বোমা নিষ্ক্রিয় করতে শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে প্রায় ২০ হাজার ৫০০ বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

শহরের কর্মকর্তারা জানান, প্রথমত, তাদের বোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করার পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে আরেকটি বিকল্প হতে পারে নিরাপদে বিস্ফোরণ ঘটানো।

তবে সেটি অনেক বড় একটি অভিযান হবে। বিস্ফোরণের ক্ষয়ক্ষতি সীমিত করার জন্য এই এলাকায় বালি এবং পানি আনতে হবে। কর্তৃপক্ষ এটিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় অভিযান বলে উল্লেখ করেছে।

কর্তৃপক্ষ আশা করছে, সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী হলে, বোমা নিষ্ক্রিয়করণ বিশেষজ্ঞরা সময়মতো বোমা নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হবেন যাতে বুধবার রাতের মধ্যে মানুষ তাদের ঘরে ফিরে যেতে পারে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কোলন হচ্ছে প্রথম জার্মান শহর যেটি রয়্যাল এয়ার ফোর্সের ,০০০ বোমারু বিমানের আক্রমণের সম্মুখীন হয়েছিল। ১৯৪২ সালের ৩০শে মে এক রাতে শহরটিতে প্রায় ,৪০০ টন বোমা ফেলা হয়েছিল। তবে আজ যে বোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছে সেগুলো কোন অঞ্চলের তা স্পষ্ট নয়।

সোমবার (০২ জুন) ডয়ৎস এলাকার একটি জাহাজ নির্মাণকেন্দ্রে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এই বোমাগুলো শনাক্ত  করা হয়। বোমাগুলোর এখনও বিপজ্জনক হতে পারে বলে জানায় জার্মানির বোমা নিষ্ক্রিয়কারী সংস্থা।

বুধবার (০৪ জুন)  এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায় মার্কিন সংবাদ সংস্থা দ্য বস্টন গ্লোব।

বুধবার (০৪ জুন) নিষ্ক্রিয়করণ কাজ শুরুর আগে হাজার মিটার ব্যাসার্ধের একটি এলাকা পুরোপুরি সিল করে দেওয়া হয়। ওই এলাকার আবাসিক ভবন থেকে শুরু করে দোকান, হোটেল, সরকারি ভবন, নয়টি স্কুল এবং ৫৮টি হোটেলসহ একটি বড় হাসপাতাল এবং মেসে/ডয়ৎস ট্রেন স্টেশন খালি করে ফেলা হয়।

কর্তৃপক্ষ জানায়, যদি কেউ নিজ থেকে না বের হয়, তাহলে তাকে পুলিশ জোরপূর্বক সরিয়ে নেবে। প্রয়োজনে মোটা অঙ্কের জরিমানাও করা হবে।

সকালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে লোকজনকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। এসময় শহরের ব্যস্ত রাস্তাগুলো ফাঁকা হয়ে যায়। ফিলহারমোনি কনসার্ট হল বিভিন্ন জাদুঘরসহ সব সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দিনের বেলায় কার্যক্রম বন্ধ রাখে। এডুয়ারডাস হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে থাকা রোগীদের অ্যাম্বুলেন্সে করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।

এদিকে যেসব মানুষ সময়ে থাকার জায়গা পাচ্ছেন না তাদের জন্য দুটি জরুরি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বলা হয়েছে, শান্ত থাকুন, আইডি কার্ড, প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং পোষা প্রাণী সঙ্গে নিয়ে বের হন।

যদিও কোলন বন বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলবে, তবে ট্রেন সড়ক যোগাযোগে বিপর্যয়ের কারণে সেখানে পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে।

তবে এই অভিযানের কারণে অনেক মানুষের ব্যক্তিগত পরিকল্পনাও ভেস্তে গেছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, শহরের ঐতিহাসিক টাউন হল ভবনে বুধবার ১৫টি বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। সেগুলো শহরের অন্য একটি জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সূত্র: দ্য বস্টন গ্লোব

সুলতানা দিনা/