ঢাকা ২৭ কার্তিক ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

মেক্সিকোর প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবম

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৪, ০৪:৪৮ পিএম
আপডেট: ০৪ জুন ২০২৪, ০৮:৪১ এএম
মেক্সিকোর প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবম
মেক্সিকোর নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শিনবাউম। ছবি: সংগৃহীত

বিপুল ভোটে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ক্লডিয়া শেইনবম। তিনিই দেশটির ইতিহাসের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট। এর আগে তিনি মেক্সিকো সিটির মেয়রের দায়িত্বে ছিলেন।

গত রবিবার (২ জুন) ভোট হয় মেক্সিকোয়। ফলাফলে দেখা যায় ক্লডিয়া শেইনবম ৫৮ থেকে ৬০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী শোচিতল গ্যালভেজের চেয়ে ৩০ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়েছেন তিনি।

মেক্সিকোর বিদায়ি প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর। তিনি ১ অক্টোবর বিদায় নেবেন। ওব্রাডর নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট শেইনবমের মেন্টর বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিবিসি। 

সাবেক জ্বালানিবিষয়ক বিজ্ঞানী শেইনবম ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, তিনি লোপেজ ওব্রাডরের অগ্রগতি বজায় রাখবেন এবং সেগুলোর ওপর কাজ করবেন। বিজয়ীর বক্তব্যে লোপেজ বলেন, আমি আপনাদের হতাশ করব না। তার সমর্থকদের মেক্সিকো সিটির প্রধান স্কয়ারে জড়ো হতে দেখা যায়। এ সময় তাদের হাতে থাকা ব্যানার লেখা ছিল– ক্লডিয়া শেইনবম, প্রেসিডেন্ট। 

মেক্সিকোর রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে মেয়র পদকে অন্যতম প্রভাব বিস্তারকারী একটি পদবী হিসেবে গণ্য করা হয়। প্রেসিডেন্ট হওয়ার একটি ধাপ হিসেবেও দেখা হয় সেটিকে। ফলে শেইনবমের প্রেসিডেন্ট পদে লড়ার বিষয়টি এক অর্থে আগে থেকেই অনুমিত ছিল। তিনি মেক্সিকোর মোরেনা পার্টির হয়ে নির্বাচনে লড়েছেন।

নাৎসি বাহিনীর নিধনযজ্ঞের মুখে বুলগেরিয়া থেকে পালিয়ে এসেছিলেন শেইনবমের মায়ের পরিবার। রাজনীতিতে আসার আগে তিনি বিজ্ঞানী হিসেবে বেশ সফল ছিলেন। তার বাবার পরিবার এসেছিল লিথুয়ানিয়া থেকে। সূত্র: বিবিসি

সাদিয়া নাহার/অমিয়/

ডিএনএ গবেষণায় কলম্বাসের জাতীয়তা উন্মোচন

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪০ পিএম
আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৭ পিএম
ডিএনএ গবেষণায় কলম্বাসের জাতীয়তা উন্মোচন
ক্রিস্টোফার কলম্বাস

১৫ শতকের বিখ্যাত অভিযাত্রী ক্রিস্টোফার কলম্বাস স্পেনীয় ও ইহুদি ছিলেন কি না তা নিয়ে বিতর্ক চলছে বহুকাল ধরে। তবে সম্প্রতি স্পেনের জাতীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ‘কলম্বাস ডিএনএ: হিজ ট্রু অরিজিনস’ নামের এক ডকুমেন্টারিতে তার উৎপত্তি বা জাতীয়তা নিয়ে নতুন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। যা এরইমধ্যে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

এ ডকুমেন্টারিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ডিএনএ গবেষণায় মাধ্যমে জানা গেছে, কলম্বাস সেফার্দিক ইহুদি ছিলেন। তার জন্ম বর্তমান স্পেনের অন্তর্ভুক্ত আইবেরিয়ান উপদ্বীপে। ঐতিহ্যগতভাবে তাকে ইতালির জেনোয়ার অধিবাসী মনে করা হলেও এই গবেষণা তার জন্ম বা জাতীয়তা নিয়ে নতুনভাবে আলোচনার দিগন্ত খুলেছে।

গ্রানাডা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিশেষজ্ঞ দল এই গবেষণা পরিচালনা করেছেন।

কলম্বাসের ইতিহাস নিয়ে দীর্ঘদিনের যে বিতর্ক রয়েছে তা সমাধানের চেষ্টা করাই ছিল এ গবেষণার লক্ষ্য। যদিও গবেষণার পূর্ণ বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া এখনও প্রকাশিত হয়নি। 

জার্মানির লাইপজিগে অবস্থিত ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর ইভল্যুশনারি অ্যানথ্রোপলজির গবেষক রদরিগ্রো বারকেরা। 

তিনি কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, এই ধরনের গবেষণায় ডিএনএ নমুনা বিশ্লেষণ করে প্রাচীন মানুষের উৎপত্তি এবং জাতীয়তা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। তবে ডিএনএ থেকে ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক পরিচয় নির্ণয় করা সম্ভব নয়।

ডকুমেন্টারি অনুযায়ী, কলম্বাস পশ্চিম ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের বাসিন্দা ছিলেন। সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে তার জেনেটিক মিল খুঁজে পাওয়া গেছে। 

তার জন্মস্থান সম্পর্কে প্রচলিত যে ধারণা ছিল সেটাকে এ গবেষণায় বাতিল করা হয়েছে। 

এদিকে কয়েক দশক ধরে কলম্বাসকে নিয়ে গবেষণা করা এক স্থপতি ফ্রান্সেস অ্যালবার্ডেনার আল-জাজিরাকে বলেন, ‘কলম্বাসের বাবা জেনোয়া প্রজাতন্ত্রের এবং তার মা ছিলেন ভ্যালেন্টিয়ার এক ইহুদি নারী। সময়ের প্রেক্ষাপটে ইহুদিদের প্রতি বিরূপ মনোভাবের কারণে কলম্বাস তার পরিচয় গোপন করেছিলেন বলে ধারণা করা হয়।’

১৪৯২ সালে আমেরিকা মহাদেশের আবিষ্কারক ক্রিস্টোফার কলম্বাসের আদি উৎস নিয়ে বিতর্ক চলছে বহুকাল ধরে। 

ফ্রান্সেস অ্যালবার্ডেনারের মতে, কলম্বাস সম্ভবত ইহুদিদের প্রতি নিপীড়নের কারণে বাবার পরিচয়ে নিজেকে তুলে ধরতেন।

তার মতে, আরাগনের ফার্দিনান্দের তৈরি নথিতে কলম্বাসের আদি স্থান নির্দিষ্ট করে উল্লেখ না থাকায় ‘জেনোয়া তত্ত্বের’ সমর্থকরা সমস্যায় পড়েন। অথচ কাস্তিলের শাসনে বিদেশিদের আদি স্থান সাধারণত উল্লেখ করা হতো। যেমন ইতালির অভিযাত্রী ক্যাবোটোকে ‘ভেনিসের’ বলে নিবন্ধিত করা হয়েছিল।

কলম্বাস সম্পর্কে এমন ধারণা প্রচলিত আছে তিনি ইহুদি হিসেবে ফার্দিনান্দের শাসনআমলে জন্মেছিলেন। একজন বিদেশি হিসেবে তাকে রাজ্যের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া ছিল বিরল ঘটনা।

অ্যালবার্ডেনারের মতে, গবেষণার মাধ্যমে কলম্বাসের প্রাথমিক জীবনের রহস্য উন্মোচন করা গেলে ইতিহাসবিদদের বিভ্রান্তী দূর হবে। 

উদাহরণস্বরূপ ১৫০১ সালে কলম্বাস দাবি করেন- তিনি ১৪৭০ সালের আগেই বহু স্থান ভ্রমণ করেছিলেন। যা অনেক ইতিহাসবিদ অসম্ভব বলে মনে করেন। 

ডিএনএ গবেষণার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উদাহরণ

কলম্বাস সম্পর্কে গবেষণা ছাড়াও বিজ্ঞানীরা ডিএনএর সাহায্যে বিভিন্ন ঐতিহাসিক চরিত্রের অজানা তথ্য বের করছেন।  

১৯৮৯ সালে স্পেনের ভ্যালেন্সিয়া প্রদেশের কোভা নেগ্রা প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান খনন করে টিনা নামের এক ছয় বছর বয়সী শিশুর জীবাশ্ম উদ্ধার করা হয়েছিল। এ বছরের শুরুতে এ জীবাশ্ম পরীক্ষা করা হয়।

পরীক্ষা থেকে জানা যায়, টিনা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত থাকা সত্ত্বেও ছয় বছর জীবিত ছিল। 

আরেকটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হলো- বিখ্যাত জার্মান সুরকার লুডভিগ ভান বিথোভেনের ডিএনএ গবেষণা। 

এ গবেষণায় দেখা যায়, বিথোভেন হেপাটাইটিস বি রোগে আক্রান্ত ছিলেন। এই গবেষণার মাধ্যমে ঐতিহাসিক তথ্যের সত্যতা পাওয়া গেছে।

এই ডিএনএ গবেষণাগুলো আধুনিক বিজ্ঞানকে ইতিহাসের অনেক পুরনো প্রশ্নের উত্তর দিতে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে এবং ভবিষ্যতে আরও বিস্ময়কর তথ্য উন্মোচিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সূত্র: আল জাজিরা 

তাওফিক/পপি/

ইসরায়েলকে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান সৌদি যুবরাজের

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৩ পিএম
ইসরায়েলকে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান সৌদি যুবরাজের
সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। ছবি: সংগৃহীত

গাজায় ইসরায়েলের হামলাকে ‘গণহত্যা’ বলে নিন্দা জানিয়ে গাজা ও লোবননে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।

মুসলিম ও আরব নেতাদের সম্মেলনে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) তিনি এই আহ্বান জানান।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি যুবরাজ ইরানের সঙ্গে সৌদির সম্পর্কের উন্নতির ইঙ্গিত দিয়ে ইরানে ইসরায়েলকে আক্রমণ না করার বিষয়ে সতর্ক করেন। 

এ সম্মলনে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ বলেন, গাজায় যুদ্ধ বন্ধ না হওয়া ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যর্থতা’।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের ফলে গাজায় যুদ্ধ শুরু হয়। এতে ইসরায়েলের প্রায় এক হাজার ২০০ মানুষ নিহত এবং ২৫১ জন অপহৃত হন।
এরপর ইসরায়েল হামাসকে ধ্বংস করতে একটি সামরিক অভিযান শুরু করে। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, গাজায় ৪৩ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় ভুক্তভোগীদের প্রায় ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।

এ ছাড়াও এ সম্মেলনে গাজায় জাতিসংঘের কর্মী ও স্থাপনার ওপর ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার নিন্দা জানান উপস্থিত অন্যান্য নেতারা।

এই শীর্ষ বৈঠকের প্রেক্ষাপট হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র- বিবিসি

সুমন/অমিয়/

কুরস্কে ৫০ হাজার রুশ সেনা দমিয়ে রাখছে ইউক্রেন: জেলেনস্কি

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৬ পিএম
আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৬ পিএম
কুরস্কে ৫০ হাজার রুশ সেনা দমিয়ে রাখছে ইউক্রেন: জেলেনস্কি
ভলোদিমির জেলেনস্কি

ইউক্রেনের সশস্ত্রবাহিনী রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে প্রায় ৫০ হাজার রুশ সৈন্যকে দমিয়ে রাখছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। 

সোমবার (১১ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন। 

ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী রাশিয়ার শত শত বর্গমাইল এলাকা নিজদের দখল বজায় রাখার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

২০২৪ সালের ৬ আগস্ট অতর্কিত হামলার মাধ্যমে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে অনুপ্রবেশ করে। এর পর থেকেই অঞ্চলটি পুনরায় নিজেদের দখলে আনতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে মস্কো।

অন্যদিকে কুরস্ককে ‘বাফার জোন’ বানিয়ে রাশিয়ার আক্রমণ সামলানোর উদ্দেশ্যে এলাকাটি থেকে নিজেদের দখল হারাতে চায় না ইউক্রেন। 

এদিকে কুরস্ক অঞ্চলের কিছু এলাকা রাশিয়া পুনররুদ্ধার করলেও ইউক্রেন নিজের প্রতিপত্তি বহাল রেখেছে। ২০২২ সালে ইউক্রেনে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে রাশিয়া যুদ্ধের সূচনা করার পর কুরস্ক অঞ্চলেই সবচেয়ে বেশি প্রতিরোধ দেখাতে পেরেছে ইউক্রেন।
 
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম সিএনএনের মতে, ইউক্রেনে বড় আকারের হামলার উদ্দেশ্যে প্রায় ১০ হাজার রুশ সৈন্য ও উত্তর কোরিয়ার সেনা সহায়তা নিয়ে শক্তিশালী বাহিনী প্রস্তুত করেছে মস্কো।
 
এদিকে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার সেনা সহায়তাবিষয়ক চুক্তির কথা জানালেও কুরস্ক অঞ্চলে আসা সেনাবাহিনীর উপস্থিতির বিষয়ে মস্কো এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। 

তবে জেলেনস্কির দাবি, কুরস্ক অঞ্চলের পাশাপাশি বেলগ্রেডেও রাশিয়ার সৈন্যদের সঙ্গে মিলে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা।

নিজেরদের অঞ্চল থেকে ইউক্রেনের দখল সরাতে রাশিয়া কঠিন পদক্ষেপ নিতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। চলমান এই যুদ্ধে দুই পক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনঢ় থাকায় দ্রুতই আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে মত তাদের।  

নাইমুর/অমিয়/

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলাকে ‘গণহত্যা’ বলে নিন্দা সৌদি যুবরাজের

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৯ পিএম
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলাকে ‘গণহত্যা’ বলে নিন্দা সৌদি যুবরাজের
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। ছবি: সংগৃহীত

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলাকে ‘গণহত্যা’ বলে নিন্দা জানিয়েছেন।
 
সোমবার (১১ নভেম্বর) মুসলিম ও আরব নেতাদের একটি শীর্ষ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

বক্তব্যে তিনি ইসরায়েলকে ইরানে হামলা বন্ধ এবং ইরানের সার্বভৌমত্বকে সম্মান জানাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান। 

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন সৌদি আরব এবং ইসরায়েলের মধ্যে একটি মধ্যস্থতা চুক্তির চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ইসরায়েলে হামাসের আক্রমণ এবং পরে ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলায় এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

এ ছাড়া সম্মেলনের সমাপনী বিবৃতিতে সব দেশকে ইসরায়েলে অস্ত্র ও গোলাবারুদ রপ্তানি বন্ধের দাবি জানানো হয় এবং ইসরায়েলের বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। সূত্র: এনডিটিভি 

মেহেদী/অমিয়/

 

৬ মাসেই ক্ষমতা হারালেন হাইতির প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৩ এএম
আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৯ পিএম
৬ মাসেই ক্ষমতা হারালেন হাইতির প্রধানমন্ত্রী
গ্যারি কনিল

হাইতির প্রধানমন্ত্রী গ্যারি কনিলকে দায়িত্বগ্রহণের মাত্র ছয় মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে।

রবিবার (১০ নভেম্বর) ক্ষমতাসীন ট্রানজিশনাল প্রেসিডেনশিয়াল কাউন্সিল (টিপিসি) তাকে অপসারণ করে।

এই কাউন্সিলের ৯ সদস্যের মধ্যে আট সদস্যের একটি নির্বাহী আদেশে কনিলকে অপসারণ করা হয়। 

তার জায়গায় ব্যবসায়ী এবং সাবেক হাইতি সিনেট প্রার্থী আলিক্স দিদিয়ের ফিলস এমিকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

কনিল এক চিঠিতে জানান, তার অপসারণের সিদ্ধান্তটি কোনো আইনগত ও সাংবিধানিক কাঠামো অনুযায়ী হয়নি। সংসদ ছাড়া কেউই তাকে অপসারণ করতে পারে না। 

এটি হাইতির ভবিষ্যতের জন্য ‘গভীর সংকট’ সৃষ্টি করবে। 

গ্যারি কনিল তার অপসারণকে অবৈধ বলে মন্তব্য করেছেন।

চলতি বছরের ৩ জুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন কলিন। তার পূর্বসূরি অ্যারিয়েল হেনরি সশস্ত্র গোষ্ঠীদের একটি নেটওয়ার্কের হাতে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর গত এপ্রিলে টিপিসি গড়ে ওঠে। হাইতির সশস্ত্র গোষ্ঠীর এই নেটওয়ার্ক পোর্ট অব প্রিন্সের বিভিন্ন অংশের নিয়ন্ত্রণ নেয়।

এ বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি গায়ানায় একটি সম্মেলনে যোগ দিতে হাইতি ছাড়েন অ্যারিয়েল হেনরি। এরপর হেনরি যেন আর দেশে ফিরতে না পারেন, সে জন্য শহরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দখল করে নেয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো।

এই প্রেসিডেনশিয়াল কাউন্সিলের লক্ষ্য ছিল ব্যাপক আকারে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়া হাইতিতে গণতান্ত্রিক শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।  

জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত হাইতির তিন হাজার ৬০০-এরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ তাদের বাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। বর্তমানে হাইতির ২০ লাখ মানুষ ব্যাপক খাদ্য সংকটে রয়েছেন এবং দেশের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যার খাবারের অভাব দেখা দিয়েছে।

হাইতির অন্যতম শক্তিশালী গ্যাং নেতা জিমি শেরিজিয়র। তিনি ‘বারবিকিউ’ নামে পরিচিত। 

জিমি শেরিজিয়র বলেন, যদি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে একটি নতুন সরকার প্রতিষ্ঠা করতে আলোচনার সুযোগ দেওয়া হয়, তবে তারা সহিংসতা বন্ধ করতে প্রস্তুত।

হাইতির সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় আট বছর আগে। সে সময় টেট কাল পার্টির জোভেনেল মুইজ নির্বাচিত হন। 

২০২১ সালের জুলাইয়ে তার হত্যার পর থেকে প্রেসিডেন্টের পদটি শূন্য রয়েছে।

হাইতির সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো এই শূন্যতা কাজে লাগিয়ে দেশের বিভিন্ন অংশে তাদের প্রভাব বাড়িয়েছে। এতে অনেক জায়গায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ব্যাহত হয়েছে।

এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় গত মাসে কেনিয়া থেকে শত শত পুলিশ কর্মকর্তার মোতায়েনের খবর পাওয়া গেছে এবং আরও পুলিশ সদস্যরা নভেম্বর মাসে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে। সূত্র: বিবিসি

তাওফিক/পপি/