
পশ্চিম মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে থান্ডওয়ে বিমানবন্দর দখলে নিয়েছে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। বিমানবন্দরটি সমুদ্রসৈকতের আন্তর্জাতিক প্রবেশপথ হিসেবে পরিচিত।
সোমবার (২৪ জুন) মায়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইরাবতি এক প্রতিবেদনে জানায়, ২০২১ সালে জান্তার বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু হওয়ার পর এবারই প্রথম বিমানবন্দর দখল করল বিদ্রোহীরা।
গতকাল রবিবার (২৩ জুন) এএর ঘনিষ্ঠ এক সূত্র বিমানবন্দর দখলের বিষয়ে জানায়।
তবে এএ এখনো সরাসরি এটি নিশ্চিত করেনি। রাখাইনে মোট চারটি বিমানবন্দর রয়েছে। তার মধ্যে থান্ডওয়ে একটি। যদিও জান্তা-সমর্থিত টেলিগ্রাম চ্যানেলগুলোতে থান্ডওয়ে বিমানবন্দর দখল হয়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে পাহাড়ের কাছে সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। বিমানবন্দরে কোনো সংঘর্ষ হয়েছে কি না, সে বিষয়ে নীরব ভূমিকা পালন করেছে জান্তা সরকার।
সূত্র জানায়, জান্তা সৈন্যরা বিমানবন্দরে কামান মোতায়েন করেছে। কিছু জান্তা সেনা ওই স্থান থেকে পালিয়ে গেছে বলেও জানা যায়। মায়ানমারের সামরিক বাহিনীর ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি বলেন, ‘রবিবার সন্ধ্যায় জেইকতাও থেকে গোলাগুলির শব্দ শুনেছি। আমি শুনেছি, তারা (বিদ্রোহী সৈন্যরা) পদাতিক ব্যাটালিয়ন-৫৫-এর কিছু জান্তা সৈন্যকে ধাওয়া করেছে এবং এমনকি যারা অস্ত্র ত্যাগ করেছে তাদের ওপরও গুলি চালিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আহত জান্তা সৈন্যরা ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়ন-৫৫-এ চিকিৎসা নিয়েছেন। পরে তাদের থান্ডওয়ে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। ব্যাটালিয়ন-৫৬৬ থেকে জান্তা সৈনিকদের পরিবারের নারীদের ব্যাটালিয়ন-৫৫তে স্থানান্তর করা হয়েছে।’
এদিকে জান্তার প্রচারণায় বলা হয়েছে, যুদ্ধটি বিমানবন্দর থেকে দূরে তিনটি স্থানে সীমাবদ্ধ ছিল। জান্তা সৈন্যরা ২ জুন থেকে থান্ডওয়ে বিমানবন্দর দখলে রেখেছে। সেখান থেকে লোকজন সরিয়ে নিয়ে তারা শক্তি বৃদ্ধির জন্য সৈন্য ও অস্ত্র মোতায়েন করেছে।
থান্ডওয়ে শহরের উপকণ্ঠে শ্বে কিয়াং পাইন গ্রামের পশ্চিমেও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। মায়ানমারের গণমাধ্যম বলছে, জান্তা যুদ্ধবিমান থেকে আবাসিক এলাকায় বোমাবর্ষণ করা হয়েছে। এতে বেসামরিক মানুষ আহত হয়েছে। ভয়ে থান্ডওয়ের বাসিন্দারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। সূত্র: ইরাবতি