ঢাকা ২৯ আষাঢ় ১৪৩২, রোববার, ১৩ জুলাই ২০২৫
English

ট্রাম্পের ওপর রাইফেল দিয়ে গুলি চালিয়েছিলেন ক্রুকস

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৪, ০১:১১ পিএম
আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৪, ০১:৫৩ পিএম
ট্রাম্পের ওপর রাইফেল দিয়ে গুলি চালিয়েছিলেন ক্রুকস
ইনসেটে থমাস ম্যাথিউ ক্রুকস। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ায় নির্বাচনি প্রচারণায় দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্টের ওপর হামলাকারী ২০ বছর বয়সী থমাস ম্যাথিউ ক্রুকস সেমিঅটোমেটিক রাইফেল দিয়ে গুলি চালিয়েছিলেন বলে জানায় এফবিআই।

পেনসিলভেনিয়া রাজ্যের ভোটার স্ট্যাটাস রেকর্ড অনুযায়ী বেথেল পার্কের বাসিন্দা ক্রুকস একজন নিবন্ধিত রিপাবলিকান।

ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘একটি গুলি করা হয়েছিল যা আমার ডান কানের উপরের অংশে বিদ্ধ হয়েছে।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বলেছেন, নিহত বন্দুকধারী হামলা চালানোর জন্য একটি AR-15 সেমিঅটোমেটিক রাইফেল ব্যবহার করেছিলেন।

হামলার পরে সিক্রেট সার্ভিস এক বিবৃতিতে জানায়, ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচার মঞ্চ লক্ষ্য করে সন্দেহভাজন হামলাকারী একাধিক গুলি ছুড়েন। সমাবেশস্থলের বাইরে থেকেই এই হামলা চালানো হয়। এ হামলায় মঞ্চের সামনে দর্শকসারিতে থাকা একজন নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন। গুলিতে ট্রাম্পের ডান কানের ওপরের অংশ ফুটো হয়ে গেছে। এ সময় সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যদের গুলিতে সন্দেহভাজন হামলাকারীও নিহত হয়েছেন।

এপি জানায়, ট্রাম্প নিউ জার্সিতে পৌঁছেছেন। মধ্যরাতের পরপরই তার ডেপুটি ডিরেক্টর (মিডিয়া) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। এ ভিডিওতে ট্রাম্পকে নিউয়ার্ক লিবার্টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি জেট থেকে নামতে দেখা যায়। ট্রাম্পকে স্থির এবং ভালো অবস্থায় দেখা গেছে। তিনি তার নিকটবর্তী প্রাইভেট গলফ ক্লাবে রাত কাটানোর পরিকল্পনা করেছেন। সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট

অমিয়/

সকাল থেকে গাজায় নিহত ৮৭, ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রাণ যায় ৩০ জনের

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৫, ১১:০৩ পিএম
সকাল থেকে গাজায় নিহত ৮৭, ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রাণ যায় ৩০ জনের
ছবি: সংগৃহীত

গাজায় শনিবার (১২ জুলাই) ভোর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর ধারাবাহিক হামলায় অন্তত ৮৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে একমাত্র ত্রাণকেন্দ্রের সামনে গোলাবর্ষণে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩০ জন। ইসরায়েলের দীর্ঘমেয়াদি অবরোধ ও মানবিক সহায়তা সীমিত হওয়ায় মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগে মারা যাচ্ছে শিশুরা। চলমান যুদ্ধবিরতি আলোচনা কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে।

গাজা সিটির তুফাহ এলাকার জাফফা স্ট্রিটে একটি বাসায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৪ জন নিহত হন, আহত হন আরও ১০ জন। শহরটির বিভিন্ন অংশে এদিন নিহত হন আরও ১৪ জন।

অন্যদিকে দক্ষিণ গাজার রাফাহর আল-শাকুশ এলাকায় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে সহায়তা নিতে আসা মানুষের ওপর ইসরায়েলি সেনারা গুলি চালায়। এতে অন্তত ৩০ জন প্রাণ হারান। এ হামলার সময় ঘটনাস্থলেই পড়ে থাকে বহু মরদেহ। আহতদের খান ইউনুসের নাসের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা

গাজার উত্তরের ক্ষুধার্ত পরিবারগুলো দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে রাফাহর একমাত্র সক্রিয় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে আসতে বাধ্য হচ্ছে। অথচ এই কেন্দ্রগুলোকে জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো আগেই ‘মৃত্যুকূপ’ ও ‘মানুষ হত্যার কারখানা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

গাজার সরকার পরিচালিত মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, অবরোধ ও খাদ্য সংকটে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৭ শিশু অপুষ্টিতে মারা গেছে। পাঁচ বছরের নিচের প্রায় ৬ লাখ ৫০ হাজার শিশু আগামী সপ্তাহগুলোতে চরম অপুষ্টির ‘প্রকৃত ও তাৎক্ষণিক ঝুঁকিতে’ রয়েছে।

এক বিবৃতিতে গাজা প্রশাসন বলেছে, গত তিন দিনে খাদ্য ও ওষুধের সংকটে বহু মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে, যা এক নিষ্ঠুর মানবিক বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দেয়। তারা এটিকে গাজায় নজিরবিহীন মানবিক ট্র্যাজেডির প্রতিফলন বলে উল্লেখ করেছে।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ–এর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, ইসরায়েল একটি নির্মম ও নিষ্ঠুর পরিকল্পনায় গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের চোখের সামনেই গাজা হয়ে উঠেছে শিশু ও অনাহারী মানুষের কবরস্থান।’

জাতিসংঘ আরও জানিয়েছে, গ্লোবাল হিউম্যানিটেরিয়ান ফোরাম (GHF) মে মাসে কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে সহায়তা নিতে গিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সূত্র: আল জাজিরা

মাহফুজ/

 

বিধবা গৃহবধূকে বিয়ে করলেন শ্বশুর

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৫, ০৯:০৯ পিএম
বিধবা গৃহবধূকে বিয়ে করলেন শ্বশুর
প্রতীকী ছবি

ভারতের উত্তর ২৪ পরগনায় দেগঙ্গায় এক বিধবা গৃহবধূকে (৩৫) বিয়ে করেছেন তার আপন চাচাশ্বশুর (৫০)।

গত বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, গৃহবধূকে বিয়ে করা ওই শ্বশুরের ছেলে, পুত্রবধূ, নাতি সবাই রয়েছে। তবু তিন বছর আগে স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকেই একাকী তিনি। এর মধ্যে দুই বছর আগে মৃত্যু হয় তার ভাতিজার। তারপর থেকে একাকী হয়ে পড়েন ওই নারী। পরে বউ-শ্বশুরের মধ্যে ধীরে ধীরে শুরু হয় মেলামেশা। ঘনিষ্ঠতা বাড়ে, একে অপরের প্রতি দুর্বলতা তৈরি হয়।
এরপর মাসখানেক আগে তারা নতুন করে সংসার করার জন্য বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। নিয়ম মেনে দুজনে রেজিস্ট্রিও করে ফেলেন।

এর পর বিষয়টি জানতে পেরে তাদের পরিবারের লোকজন আপত্তি জানালেও কেউই তাদের সিদ্ধান্ত টলাতে পারেনি। অবশেষে বৃহস্পতিবার রাতে বিবাহ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা।

বর্তমানে ওই নারীর বাড়িতেই তারা বসবাস করছেন।

মেহেদী/

লুটপাটে বাধা দেওয়ায় বৃদ্ধাকে ধর্ষণ

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৫, ০৮:৩৪ পিএম
লুটপাটে বাধা দেওয়ায় বৃদ্ধাকে ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

লুটপাট চালাতে ঘরে ঢুকলে বাধা দেওয়ায় ৬৫ বছরের বৃদ্ধাকে ধর্ষণ করার ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (১২ জুলাই) সকালে ভারতের বারুইপুরে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, সকালে হাঁটতে বের হন ওই বৃদ্ধার স্বামী। ছেলে ও পুত্রবধূও বাড়িতে ছিলেন না। ফলে বাড়িতে একাই ছিলেন তিনি। এ সুযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তি বাড়িতে ঢুকে লুটপাট চালাতে শুরু করেন। এসময় গিয়ে ওই বৃদ্ধার বাধা দিলে তাকে ধর্ষণ করা হয়।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দোতলা বাড়ির একতলাতে থাকতেন বৃদ্ধা ও তার স্বামী। দোতালায় থাকেন তার ছেলে ও পুত্রবধূ। অভিযুক্ত ব্যক্তি ঘরে ঢুকে প্রথমে বৃদ্ধার কাছে আলমারির চাবি চান। বৃদ্ধা এর প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করে আংটি ও হাতের বালা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এর পর তাকে শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি ধর্ষণ করা হয়।

এ ঘটনার পর পরিবারের পক্ষ থেকে বারুইপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়।

পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যেই বৃদ্ধার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এদিকে দিনেদুপুরে এমন ঘটনায় হতবাক ওই এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয়দের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।

মেহেদী/

ইউরোপ ও মেক্সিকোর পণ্যে ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৫, ০৮:০৯ পিএম
ইউরোপ ও মেক্সিকোর পণ্যে ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও মেক্সিকো থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর আগামী ১ আগস্ট থেকে ৩০ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হবে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন এবং মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউমকে পাঠানো চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে নিজের ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে দুটি পৃথক চিঠিতে এ ঘোষণা দেন ট্রাম্প। 

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইইউ বা মেক্সিকো যদি পাল্টা কোনো বাণিজ্যিক ব্যবস্থা নেয়, তবে তাদের পণ্যে আরও উচ্চহারে শুল্ক আরোপ করা হবে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি একধাপ ছাড় দিয়ে ট্রাম্প বলেন, ইইউ বা তাদের কোনো কোম্পানি যদি যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য উৎপাদন বা নির্মাণ করে, তবে ওই পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করা হবে না।

মেক্সিকোর উদ্দেশে লেখা চিঠিতে ট্রাম্প বলেন, মেক্সিকো সীমান্ত নিরাপত্তায় আমাদের সহায়তা করেছে, তবে তারা যথেষ্ট করছে না।’

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে ইইউ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় পণ্য রপ্তানিকারক, যার রপ্তানি মূল্য ৫৫৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়।

এদিকে, ২৭ সদস্য দেশের ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যা যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার, এই সপ্তাহের শুরুতেই জানিয়েছিল, ১ আগস্টের আগেই ওয়াশিংটনের সঙ্গে একটি বাণিজ্যিক সমঝোতায় পৌঁছানোর জন্য তারা কাজ করছে।

চলতি সপ্তাহে কানাডা, জাপান, ব্রাজিল, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ-সহ আরও অন্তত ২৩টি দেশের নেতাদের উদ্দেশে অনুরূপ চিঠি পাঠিয়েছেন। এসব চিঠিতে বিভিন্ন দেশের ওপর ২০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

ট্রাম্প বলছেন, বৈশ্বিক বাণিজ্যে ‘পারস্পরিকতা’ আনার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের ২ এপ্রিল ‘লিবারেশন ডে’তে ঘোষণা দিয়ে প্রায় পুরো বিশ্বের ওপর ১০% শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প এবং ৬০টি নির্দিষ্ট দেশের জন্য শুল্কহার আরও বাড়িয়ে দেন। এর ফলে বৈশ্বিক শেয়ারবাজারে ব্যাপক মন্দা দেখা দেয়।

তবে এক সপ্তাহের মাথায় এসব শুল্ক কার্যকরের ওপর ৯০ দিনের বিরতি দেন ট্রাম্প। এই সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৯০টি নতুন বাণিজ্য চুক্তি করতে চায় বলে জানিয়েছিল প্রশাসন, যদিও বাস্তবে কেবল যুক্তরাজ্য ও ভিয়েতনামের সঙ্গে প্রাথমিক সমঝোতা হয়।

এরপর গত সোমবার আবারও ১ আগস্ট পর্যন্ত শুল্ক বিরতির সময়সীমা বাড়ানো হয়। ট্রাম্পের নতুন চিঠিগুলোতে ঘোষিত শুল্ক কার্যকর হবে একই দিনে।

এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘বাকি সব দেশকে আমরা জানিয়ে দিচ্ছি, তারা হয় ২০%, না হয় ১৫% শুল্ক দেবে। আমরা এটা এখন ঠিক করে নিচ্ছি।’

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে বিশ্ববাণিজ্যে উত্তেজনা বাড়তে পারে এবং ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার মধ্যে সম্পর্কেও প্রভাব পড়তে পারে। সূত্র: বিবিসি, সিএনবিসি

মাহফুজ/

 

বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হবে ভারত: রিপোর্ট

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৫, ০৫:৪৬ পিএম
বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হবে ভারত: রিপোর্ট
প্রতীকী ছবি

আগামী ২৫ বছরে বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে চলেছে ভারত। চাঞ্চল্যকর এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনেছে আন্তর্জাতিক সংস্থা পিউ।

পিউ যে রিপোর্ট সামনে এনেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিগত ১০ বছরে (২০১০-২০২০ সাল) বিশ্বে মুসলিমদের জনসংখ্যা বেড়েছে ৩৪ দশমিক ৭ কোটি, যা অন্য সব ধর্মের মোট জনসংখ্যার বৃদ্ধির চেয়েও বেশি। বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের সংখ্যা যেখানে ২০১০ সালে ছিল ২৩ দশমিক ৯ শতাংশ সেটাই ২০২০ সালে হয়েছে ২৫ দশমিক ৬ শতাংশ।

এর কারণ হিসেবে দাবি করা হয়, মুসলিমদের জন্মহার মৃত্যু হারের চেয়ে অনেক বেশি। তবে এই সংখ্যায় ধর্মান্তকরণের ঘটনাও রয়েছে। যদিও তার পরিমাণ কম। মুসলিম জনসংখ্যার সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি দেখা গেছে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। 

পিউ-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বে মুসলিম জনসংখ্যা দাঁড়াবে ২ দশমিক ৮ বিলিয়ন। সেই হিসেবে ২০৫০ সালের মধ্যে ইন্দোনেশিয়াকে পিছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হয়ে উঠবে ভারত।

অন্যদিকে পিউ’র রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১০-২০ সময়কালে হিন্দুদের জনসংখ্যা বেড়েছে ১২ শতাংশ। যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রায় সমান। ২০২০ সালে বিশ্বে হিন্দুদের জনসংখ্যা ১ দশমিক ২ বিলিয়ন, যা বিশ্বের জনসংখ্যার ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ।

এদিকে সবচেয়ে বেশি হিন্দু জনসংখ্যার দেশ ভারতে হিন্দুদের জনসংখ্যা কিছুটা কমেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১০ সালে ভারতে হিন্দুদের জনসংখ্যা যেখানে ছিল ৮০ শতাংশ। ২০২০ সালে সেটা কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ৭৯ শতাংশ। সেখানে মুসলিমদের জনসংখ্যা ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ২ শতাংশ। 

এই ১০ বছরে ভারতে মুসলিমদের জনসংখ্যা ৩ দশমিক ৫৬ কোটি বেড়েছে বলে জানায় পিউ। এই বৃদ্ধির জন্য অধিক প্রজননকেই দায়ী করা হয়েছে। ধর্ম পরিবর্তনের ঘটনা থাকলেও তা তুলনায় অনেক কম।

এই রিপোর্টে অন্যান্য ধর্মের জনসংখ্যার রিপোর্টও সামনে আনা হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, এই ১০ বছরে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা ২ দশমিক ১৮ বিলিয়ন থেকে ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন হয়েছে। অর্থাৎ ৩০ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে কমে ২৮ দশমিক ৮ শতাংশ হয়েছে।

বৌদ্ধ ধর্মে মানুষের জনসংখ্যা আগের চেয়ে অনেক কমেছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, বিশ্বের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বেশি মানুষের বাস চিনে। সাম্প্রতিক সময়ে চিনে জন্মহার নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ির জেরে বৌদ্ধদের সংখ্যা কমেছে।

শুধু তাই নয়, মুসলিমদের পর সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নাস্তিকদের। ২৭ কোটি বেড়ে নাস্তিকদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন।

রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২৪ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ নাস্তিক। সূত্র: সংবাদপ্রতিদিন

অমিয়/