ঢাকা ২৪ আষাঢ় ১৪৩২, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২

ট্রাম্পকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করা ব্যক্তিই তার রানিংমেট

প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৬ এএম
ট্রাম্পকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করা ব্যক্তিই তার রানিংমেট
ছবি: সংগৃহীত

কানে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থাতেই গত সোমবার (১৫ জুলাই) উইসকনসনের মিলওয়াকিতে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনে উপস্থিত হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় উপস্থিত জনতাকে বলতে শোনা যায় ‘ফাইট’, ‘ফাইট’, ‘ফাইট’। 

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদন বলছে, রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনের প্রথম রাতে মনোযোগ নিজের দিকে টেনে নিয়েছিলেন ট্রাম্প। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাও ঘটেছে, তার মধ্যে একটি হলো- ট্রাম্পের রানিং মেট বেছে নেওয়ার বিষয়টি।

ওই আয়োজনে উপস্থিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেই ট্রাম্প রানিং মেট হিসেবে বেছে নেন ওহাইয়ো অঙ্গরাজ্যের সিনেটর জেডি ভ্যান্সকে। আগামীতে ট্রাম্প বিজয়ী হলে তিনিই হবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। 

২০১৬ সালে ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, সে সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর সমালোচকদের মধ্যে অন্যতম একজন ছিলেন জেডি ভ্যান্স। ওই বছর এক সাক্ষাৎকারে ভ্যান্স বলেছিলেন, আমি কখনই ট্রাম্পের লোক নই। আমি তাকে কখনই পছন্দ করিনি।’ ওই একই বছর ট্রাম্পকে হিটলারের সঙ্গেও তুলনা করেছিলেন ভ্যান্স। পরবর্তীতে তিনি হয়ে উঠেন ট্রাম্প ঘনিষ্ঠদের একজন।

রানিং মেট বেছে নেওয়ার বিষয়টি বেশ গোপন রেখেছিলেন ট্রাম্প। ট্রুথ সোশ্যালে ভাইস প্রেসিডেন্টের ঘোষণা দেওয়ার মাত্র ২০ মিনিট আগে তিনি ভ্যান্সকে ফোনে নিজ সিদ্ধান্ত জানান। সিএনএন বলছে, ভ্যান্সের যোগাযোগ দক্ষতা রয়েছে। তিনি ট্রাম্পের জনতুষ্টিবাদী বিষয়গুলো মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পারবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় গত শনিবার হামলার শিকার হন ট্রাম্প। সে সময় তিনি এক সমাবেশে বক্তব্য রাখছিলেন। গুলি ট্রাম্পের কান স্পর্শ করে বের হয়ে যায়। গোটা বিষয়টির মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিভক্তির চিত্রটি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে। তবে ওই ঘটনার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ট্রাম্প দুই নেতাই মার্কিনিদের এক হওয়ার আহ্বান জানান। 

এর আগে বাইডেন ট্রাম্পকে মার্কিন গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। গত সোমবার এনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেন, ট্রাম্পকে নিশানা বানানো উচিত গত সপ্তাহে এমন মন্তব্য করে তিনি ভুল করেছেন। সিক্রেট সার্ভিসের উপস্থিতি সত্ত্বেও ট্রাম্পকে হত্যার জন্য এত কাছে কীভাবে বন্দুকধারী আসতে পেরেছিলেন, তা খতিয়ে দেখতে স্বাধীন তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাইডেন।

এদিকে, রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশন চলবে চার দিন। আগামী বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বক্তব্য রাখবেন। সে অনুষ্ঠানেই তার আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় মনোনয়ন গ্রহণ করার কথা রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে পাকাপাকিভাবে বাইডেনের রাজনৈতিক ও নির্বাচনি প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে নামবেন তিনি। 

হত্যাচেষ্টার ঘটনায় অনেকটা নীরবই হয়ে গেছে বাইডেন বিতর্ক। ওই ঘটনার আগে বেশ সরবভাবেই অনেকে প্রশ্ন তুলছিলেন¬- বাইডেন আদৌ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মতো অবস্থায় আছেন কি না? ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে বাজে পারফরম্যান্সের পর অনেকেই তার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। 

ট্রাম্পের রানিং মেট ভ্যান্সকে তার ‘ক্লোন’ হিসেবে অভিহিত করেছেন বাইডেন। গত সোমবার ওই মন্তব্য করেন তিনি। মতামত জরিপে এখনো কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প। তবে নভেম্বরের নির্বাচনে শেষ হাসি কে হাসবেন, তা এখনই বলা মুশকিল। সূত্র: রয়টার্স, সিএনএন। 

গাজার সব বাসিন্দাকে ‘ক্যাম্পে বন্দি’ করার পরিকল্পনা ইসরায়েলের

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৬:৫২ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৬:৫৩ পিএম
গাজার সব বাসিন্দাকে ‘ক্যাম্পে বন্দি’ করার পরিকল্পনা ইসরায়েলের
ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ জানিয়েছেন, গাজার সব ফিলিস্তিনিকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের একটি শিবিরে স্থানান্তরের জন্য সামরিক বাহিনীকে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। দেশটির গণমাধ্যমগুলো সোমবার (৭ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছে।

কাটজ সাংবাদিকদের বলেন, রাফাহ শহরের ধ্বংসস্তূপের ওপর একটি ‘হিউম্যানিটারিয়ান সিটি’ অর্থাৎ মানবিক আশ্রয় শিবির হিসেবে একটি এলাকা গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে তার, যেখানে প্রাথমিকভাবে প্রায় ৬ লাখ ফিলিস্তিনিকে রাখা হবে, এবং পরে গাজার পুরো ২১ লাখ জনগোষ্ঠীকে সেখানে স্থানান্তর করা হবে।

ইসরায়েল কাটজ জানান, সবার আগে নিরাপত্তা যাচাই করে নিশ্চিত করা হবে তারা হামাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। যাচাইয়ের পর তাদের ভেতরে আনা হবে এবং বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, যদি পরিস্থিতি অনুকূল হয়, তাহলে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে প্রস্তাবিত ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির সময় এই নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।

এ পরিকল্পনাকে এক ইসরায়েলি মানবাধিকার আইনজীবী সরাসরি ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের একটি প্রক্রিয়াগত পরিকল্পনা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

মানবাধিকার আইনজীবী মাইকেল স্ফার্ড ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানকে বলেন, এটা গাজার দক্ষিণ প্রান্তে জনগণকে স্থানান্তরের মাধ্যমে পরবর্তীতে তাদের বহিষ্কারের প্রস্তুতি।

জাতিসংঘও এর আগে সতর্ক করেছে, কোনো দখলকৃত ভূখণ্ডের বেসামরিক জনগোষ্ঠীকে জোরপূর্বক স্থানান্তর বা বহিষ্কার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের পরিপন্থী এবং ‘জাতিগত নির্মূলের শামিল’।

এ বিষয়ে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা হামাসের পক্ষ থেকে কোনো তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

এদিন পরে, হোয়াইট হাউসে এক বৈঠকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবের কথা বলেন, যেখানে যুদ্ধোত্তর গাজা শাসনে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ ও ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র স্থায়ীভাবে পুনর্বাসনের কথা বলা হয়েছে।

নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমি মনে করি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি অসাধারণ। এটা 'স্বাধীন পছন্দ' নামে পরিচিত। কেউ থাকতে চাইলে থাকুক, আর কেউ যদি চলে যেতে চায়, তাহলে তাদের যাওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত… আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি এমন দেশ খুঁজতে, যারা ফিলিস্তিনিদের জন্য ভালো ভবিষ্যৎ চায়।’

ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা আশেপাশের দেশগুলোর কাছ থেকে অসাধারণ সহযোগিতা পেয়েছি… প্রতিটি দেশের কাছ থেকেই দারুণ সমর্থন এসেছে। তাই, কিছু ভালোই ঘটবে।’

গত মার্চে আরব রাষ্ট্রগুলো ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিকল্প হিসেবে মিশরের ৫৩ বিলিয়ন ডলারের গাজা পুনর্গঠন পরিকল্পনাকে সমর্থন করে, যেখানে ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূমিতেই থেকে যাওয়ার সুযোগ থাকবে।

তারা একে ‘ফিলিস্তিনি জনগণের যেকোনো প্রকার স্থানান্তরের ঘোরতর বিরোধতা’ বলে অভিহিত করে এবং এটিকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং জাতিগত নির্মূল’ হিসেবে আখ্যায়িত করে।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং হামাস মিশরের এই পরিকল্পনাকে সমর্থন জানালেও, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল বলেছে, এ পরিকল্পনা গাজার বাস্তবতা বিবেচনায় নেয়নি।

এদিকে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ভয় বাড়ছে আরেকটি নাকবার আশঙ্কায়। আরবি ভাষায় যার অর্থ ‘বিপর্যয়’, যখন ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র গঠনের আগে ও পরে লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান বা উৎখাত হন।

সেই সময়ের অনেক শরণার্থীই গাজায় এসে আশ্রয় নেন, এবং তাদের সন্তান-সন্ততিসহ তারা গাজার মোট জনসংখ্যার প্রায় তিন-চতুর্থাংশ। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, আরও ৯ লাখ নিবন্ধিত শরণার্থী পশ্চিম তীরে এবং ৩৪ লাখ ফিলিস্তিনি জর্ডান, সিরিয়া ও লেবাননে বাস করছেন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন সীমান্ত পেরিয়ে হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হলে, ইসরায়েল হামাসকে নিশ্চিহ্ন করতে সামরিক অভিযান শুরু করে।

হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, এরপর থেকে গাজায় ৫৭ হজার ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

গাজার অধিকাংশ মানুষ একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। বাড়িঘরের ৯০ শতাংশেরও বেশি ধ্বংস হয়েছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে স্বাস্থ্যব্যবস্থা, পানি, স্যানিটেশন এবং পরিচ্ছন্নতা ব্যবস্থা। তীব্র সংকটে রয়েছে খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধ ও আশ্রয়। সূত্র: বিবিসি

মাহফুজ/

 

কায়রোর টেলিকম ভবনের আগুনে নিহত ৪, ব্যাহত ইন্টারনেট ও ফোন সেবা

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৫:২৯ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৫:২৯ পিএম
কায়রোর টেলিকম ভবনের আগুনে নিহত ৪, ব্যাহত ইন্টারনেট ও ফোন সেবা
ছবি: সংগৃহীত

মিশরের রাজধানী কায়রোয় একটি প্রধান টেলিকমিউনিকেশন ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে চারজন কর্মী নিহত হয়েছেন এবং অন্তত ২২ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন মিশরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হোসাম আবদেল ঘাফফার।

সোমবার (৭ জুলাই) টেলিকম ইজিপ্টের (Telecom Egypt) একটি গুরুত্বপূর্ণ ডেটা সেন্টারে আগুন লাগার ঘটনায় কায়রোর বিভিন্ন এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে জানানো হয়, আগুন সোমবারই নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে মিশরের যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী আমর তালাত জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধাপে ধাপে সব সেবা স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

টেলিকম ইজিপ্ট মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে নিহত কর্মীদের জন্য শোক প্রকাশ করে এবং তাদের পরিবারকে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

আগুনের কারণে ফোন কল ও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ইন্টারনেট পর্যবেক্ষণ সংস্থা Netblocks জানায়, আগুনের পর জাতীয় ইন্টারনেট সংযোগ স্বাভাবিকের তুলনায় ৬২ শতাংশে নেমে আসে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, যারা জরুরি অ্যাম্বুলেন্স সেবা পেতে হটলাইন নম্বরে পৌঁছাতে পারছেন না, তাদের জন্য বিকল্প নম্বর চালু করা হয়েছে।

ফোন সেবা ছাড়াও, এই অগ্নিকাণ্ডের প্রভাবে কিছু ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা, যেমন ক্রেডিট কার্ড, এটিএম মেশিন এবং অনলাইন লেনদেন ব্যাহত হয় বলে সোমবার জানিয়েছেন ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা ও স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে সেদিন ব্যাংকগুলো বন্ধই ছিল।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, অধিকাংশ আহত ব্যক্তি ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা MENA সোমবার জানায়, আগুন পুরো ভবন এবং আশপাশের ছাদগুলোতে ছড়িয়ে পড়ার আগেই নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

দেশটির নিরাপত্তা সূত্র জানায়, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, আগুনের সূত্রপাত হয় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে। সূত্র: আনাদুলো এজেন্সি

মাহফুজ/

 

এবার নিজের টিভি স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চালু করলেন ট্রাম্প

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩০ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩৪ পিএম
এবার নিজের টিভি স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চালু করলেন ট্রাম্প
ছবি: সংগৃহীত

নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল চালুর পর এবার নতুন টিভি স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ প্লাস’ চালু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের মালিকানাধীন ট্রাম্প মিডিয়া অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপ (টিএমটিজি) এটি পরিচালনা করবে।

সোমবার (৭ জুলাই) ট্রাম্পের মিডিয়া কোম্পানি ট্রুথ প্লাস নামে্র এই টেলিভিশন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম উন্মোচন করে ঘোষণা করে যে, নিউজম্যাক্স - ট্রাম্প-পন্থী কন্টেন্টের জন্য পরিচিত একটি প্রচারণামূলক একটি ফ্ল্যাগশিপ চ্যানেল হবে।

প্ল্যাটফর্মটি কনজারভেটিভ (রক্ষণশীল) সংবাদমাধ্যম নিউজম্যাক্সের সঙ্গে অংশীদারত্বে শুরু হয়েছে। ট্রাম্প মিডিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্ল্যাটফর্মটি ‘পরিবারবান্ধব লাইভ টিভি চ্যানেল ও অন ডিমান্ড কনটেন্ট’ সম্প্রচারে গুরুত্ব দেবে।

আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ছাড়াও ইন্টারনেট, অ্যাপল টিভি, অ্যান্ড্রয়েড টিভি, অ্যামাজন ফায়ার ও রোকু কানেকটেড টিভিতে অ্যাপটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যাবে। এলজি ও স্যামসাংয়ের স্মার্ট টিভির জন্যও অ্যাপটি শিগগির চালু হবে এবং এটি অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

গত জুনের শেষ দিক থেকে এই প্ল্যাটফর্মের বেটা সংস্করণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করে ট্রাম্প মিডিয়া।

এক বিবৃতিতে ট্রাম্প মিডিয়ার সিইও ও চেয়ারম্যান ডেভিন নুনেস জানান, ‘ট্রুথ প্লাস’ এত দ্রুত আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করতে পেরে আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা সব ডিভাইস ও অপারেটিং সিস্টেমে এটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করতে কাজ করছি।
 
নিউজম্যাক্সের সিইও ক্রিস রুডি জানান, ডেভিন নুনেস যুক্তরাষ্ট্রে ট্রুথ সোশ্যাল এবং এখতাই তাদের বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারণ একেবারেই স্বাভাবিক। এই সম্প্রসারণে ট্রাম্প মিডিয়ার সঙ্গে অংশীদার হতে পেরে তিনি গর্বিত।

এদিকে ট্রুথ সোশ্যাল ও ট্রুথ প্লাস ছাড়াও ট্রাম্প মিডিয়া শিগগিরই ‘ট্রুথ ডট ফাই’ নামে একটি নতুন আর্থিক ও ফিনটেক ব্র্যান্ড চালু করতে যাচ্ছে। সেখানে থাকবে ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে বিনিয়োগের সুযোগ।

সুলতানা দিনা/

ভারত-মায়ানমারের কালাদান প্রকল্প শেষ হবে ২০২৭ সালে

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০২:৩২ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০২:৩২ পিএম
ভারত-মায়ানমারের কালাদান প্রকল্প শেষ হবে ২০২৭ সালে
ছবি: সংগৃহীত

ভারত এবং মায়ানমারের মধ্যে হতে চলা কালাদান প্রকল্প ২০২৭ সালের মধ্যেই চালু হবে বলে দাবি করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় জাহাজমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেওয়াল।

সোমবার (৭ জুলাই) আসামের গুয়াহাটিতে মন্ত্রী জানান, ইতোমধ্যে মায়ানমারের সিটওয়ে বন্দর পুরোপুরি প্রস্তুত। এখন মিজোরামের আইজল থেকে মায়ানমার পর্যন্ত সড়কপথে সংযোগ তৈরির কাজ চলছে। ২০২৭ সালের মধ্যেই পুরো প্রকল্প চালু হয়ে যাবে। এতে আইজল থেকে কলকাতার দূরত্ব ৭০০ কিলোমিটার কমে যাবে।

কালাদান মাল্টি-মোডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্টের কাজ শেষ হলে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে দেশের বাকি অংশের দূরত্বও অনেকটা কমে যাবে।

কালাদান নদীর নামে ভারত এবং মায়ানমার মাল্টি-মোডাল প্রকল্প তৈরি করছে। এর ফলে বিভিন্ন পরিবহণ ব্যবস্থার মাধ্যমে পূর্ব ভারতের বন্দর থেকে মায়ানমারে পণ্য পরিবহণ করা যাবে। একইভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব ভারতেও পণ্য পৌঁছে দেওয়ার কাজ সহজ হয়ে যাবে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে অবস্থিত সিটওয়ে বন্দরে কলকাতা থেকে পণ্যবাহী জাহাজ পৌঁছে গেছে। 

এই বন্দর কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে গেলে চট্টগ্রাম বা মোংলা বন্দরের উপর আর ভারতকে নির্ভর করতে হবে না।

জানা যায়, কালাদান প্রকল্পের মাধ্যমে কলকাতা থেকে সমুদ্রপথে পণ্য মায়ানমারের সিটওয়ে বন্দরে যাবে। সেখান থেকে কালাদান নদী ধরে পালেতোয়ায় পৌঁছে যাবে পণ্য। আর সেখান থেকে সড়কপথে উত্তর-পূর্ব ভারতের মিজোরামে পৌঁছে যাবে।

অমিয়/

অ্যারিজোনায় উড়ন্ত ডায়নোসরের ফসিল আবিষ্কার

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০২:২৬ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০২:৩৯ পিএম
অ্যারিজোনায় উড়ন্ত ডায়নোসরের ফসিল আবিষ্কার
ছবি: সংগৃহীত

ডিজনি মুভির প্রাগৈতিহাসিক কালের সেই উড়ন্ত ডায়নোসরকে এতদিন শুধু কাল্পনিক একটি প্রাণী হিসেবেই ধরা হতো। যাদেরকে টেরোসর (pterosaur) বলা হয়।

এবার যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় প্রাচীন এই উড়ন্ত সরীসৃপের একটি ফসিল আবিষ্কৃত হয়েছে। অর্থাৎ পৃথিবীতে এক সময় সত্যিই এই প্রাণীরা বিচরণ করতো!

অ্যারিজোনার পেট্রিফাইড ফরেস্ট ন্যাশনাল পার্কের একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে কয়েক দশক ধরে চলা প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কাজের সময় হাজার হাজার অন্যান্য জীবাশ্মের সঙ্গে এই জীবাশ্মটি আবিষ্কৃত হয়।

এটির আবিষ্কারক ক্লিগম্যান প্রজাতি সম্পর্কে বলেন, ‘ডানাওয়ালা সরীসৃপ টেরোসর- ডাইনোসরের ঘনিষ্ঠ চাচাতো ভাই এবং পোকামাকড়ের পরে প্রথম প্রাণী যারা উড়তে পারতো। এরা- এতই ছোট ছিল যে, কোনও ব্যক্তির কাঁধে আরামে বসে থাকতে পারত,একটি বড়সড় সীগালের মতো।'

সোমবার (৭ জুলাই) প্রসিডিংস অফ দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেস জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে নতুন এই টেরোসর জীবাশ্ম আবিষ্কারের কয়েকটির বিবরণ সহ ট্রায়াসিক যুগের শেষের দিক সম্পর্কে নানান গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করা হয়।

২০২৫ সালে অ্যারিজোনার পেট্রিফাইড ফরেস্ট ন্যাশনাল পার্কে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কাজের সময় স্মিথসোনিয়ানের ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ ন্যাচারাল হিস্ট্রির পিটার বাক পোস্টডক্টরাল ফেলো এবং জীবাশ্মবিদ বেন ক্লিগম্যান এটি খুঁজে পান। 

এরপর ক্লিগম্যান এবং অন্যান্য গবেষকরা বিভিন্ন পরীক্ষা করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে, এটি অবশ্যই একটি টেরোসর এবং এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আবিষ্কার।

এই দলটি টেরোসরের নাম দিয়েছে ইওটেফ্রাড্যাক্টাইলাস ম্যাসিনটিরিয়া, যার অর্থ ছাই-ডানাওয়ালা ভোরের দেবী। প্রজাতির নাম দেন এটির আবিষ্কারক সুজান ম্যাকইনটায়ার, যিনি ১৮ বছর ধরে  স্মিথসোনিয়ানের ফসিল্যাবে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেন।

টেরোসরের জীবাশ্মটি পেট্রিফাইড ফরেস্ট ন্যাশনাল পার্ক থেকে জাদুঘরে আনা হয়। এখানে এটির সাথে হাড়, দাঁত, মাছের আঁশ এবং কোপ্রোলাইট, অথবা জীবাশ্মকৃত মলমূত্র সহ আরও ১,২০০টি জীবাশ্ম রয়েছে। 

গবেষকরা জীবাশ্মটিকে ২০৯.২ মিলিয়ন বছর আগের বলে মনে করছেন। কারণ জীবাশ্মটি যেখানে পাওয়া গিয়েছিল সেখানে আগ্নেয়গিরির ছাইয়ের পরিমাণ বেশি ছিল। এই আবিষ্কার ট্রায়াসিক বিলুপ্তির পূর্ববর্তী জীবাশ্ম রেকর্ডের একটি শূন্যস্থান পূরণ করতে সাহায্য করছে। 

তাদের মতে, এই আবিষ্কারটি টেরোসর কী ছিল এবং তারা কীভাবে পরিণত হয়েছিল, তাদের শেষ পরিণতি কী হয়েছিল সেটি বুঝতে সাহায্য করবে।  

গবেষকরা এসময়, টেরোসরের পাশাপাশি,তাদের গবেষণায় অন্যান্য আবিষ্কারেরও বিস্তারিত বিবরণ দেন, যার মধ্যে রয়েছে বিশ্বের প্রাচীনতম কচ্ছপের জীবাশ্ম, বিশাল উভচর প্রাণী  সাঁজোয়া কুমির যারা ব্যাঙ, কচ্ছপ এবং টেরোসরের মতো বিবর্তনীয় উপজাত প্রাণীর পাশাপাশি বাস করত। 

সুলতানা দিনা/