মধ্য ও দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) অন্তত ২৭ জন মারা গেছে ইসরায়েলি আক্রমণে। দিনটিকে ‘বিশেষভাবে রক্তাক্ত দিন’ বলে অভিহিত করা হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে এক ফিলিস্তিনি মা ও তার চার সন্তান রয়েছে যারা ইসরায়েলি বোমা হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। বোমার আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে তাদের থাকার তাঁবুটি। তারা নিহত হয়েছেন দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে।
উত্তর গাজার বেইত লাহিয়া থেকে বাসিন্দা ও বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের তাৎক্ষণিকভাবে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে বড় মাপের সামরিক অভিযান পরিচালনা করা হবে।
ফিলিস্তিনি বন্দিদের ওপর পদ্ধতিগত নির্যাতন খতিয়ে দেখতে প্যালেস্টিনিয়ান প্রিজনারস সোসাইটি থেকে জাতিসংঘকে আহ্বান জানানো হয়েছে। ইসরায়েলি কারাগারে ফিলিস্তিনি বন্দিদের নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ইসরায়েলে আক্রমণের মুখে ফিলিস্তিনে তাদের পোলিও মহামারি ঠেকানোর কর্মসূচি কঠিন হয়ে উঠেছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৩৯ হাজার ৬৯৯ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ৯১ হাজার ৭২২ জন। অন্যদিকে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাস যে আঘাত হেনেছিল, তাতে মারা যায় আনুমানিক ১ হাজার ১৩৯ জন।
এদিকে হামাসের নতুন নেতা ইয়াহিয়া সিনাওয়ারকে নির্মূল করার অঙ্গীকার করেছে ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গত বুধবার এক সামরিক ঘাঁটিতে উপস্থিত হয়ে বলেন, ইসরায়েল নিজেকে রক্ষায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিজেদের রক্ষায় আক্রমণাত্মক ও রক্ষণাত্মক দুই দিক থেকেই প্রস্তুত।’ সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেভি সিনাওয়ারকে খুঁজে বের করে তাকে হত্যা করতে এবং হামাসকে নতুন নেতা খুঁজে নিতে বাধ্য করবে।
সিনাওয়ার ২০১৭ সাল থেকে হামাস নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে তাকে আর দেখা যায়নি।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়া গত ৩১ জুলাই ভোররাতে ইরানের রাজধানী তেহরানে এক গুপ্তহত্যায় নিহত হন। ইসরায়েল তাকে হত্যা করেছে বলে দাবি করেছে ইরান। তবে ইসরায়েল এ বিষয়ে এখনো কিছু বলেনি। সূত্র: আল-জাজিরা, এএফপি