যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্যগুলোতে নিজ দলের অবস্থান শক্ত করতে নির্বাচনি প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন ডেমোক্রেটিক পার্টি মনোনীত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান পার্টি মনোনীত প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) পশ্চিমের রাজ্য অ্যারিজোনায় রানিংমেট টিম ওয়ালজকে নিয়ে লোকারণ্য ভেন্যুতে নির্বাচনি সমাবেশ করেন কমলা। সেখানে ফিলিস্তিনপন্থি ও উদারপন্থি ভোটারদের তোপের মুখেও পড়তে হয় তাকে।
অ্যারিজোনা এমনিতে ডেমোক্রেটিক পার্টি অধ্যুষিত রাজ্য হিসেবে পরিচিত। গত নির্বাচনে রিপাবলিকানদের সঙ্গে এই অঙ্গরাজ্যে পপুলার ভোটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও ১১টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের সবকটিই পেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্পও দলের নির্বাচনি র্যালিতে যোগ দিয়েছেন পশ্চিমাঞ্চলীয় আরেক রাজ্য মন্টানায়।
সম্প্রতি নিজের রানিং মেট হিসেবে মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজের নাম ঘোষণা করেন কমলা। এর পরই এই ডেমোক্র্যাট প্রার্থী নির্বাচনি প্রচার চালাতে তাকে সঙ্গে নিয়ে এক সপ্তাহের সফর শুরু করেছেন। এ সময়ের মধ্যে তিনি পশ্চিমের সাত অঙ্গরাজ্যে প্রচার চালাতে চান।
গতকাল কমলা অ্যারিজোনায় প্রচার চালানোর সময় লাতিন নাগরিক অধিকার সংস্থা লুলাক আদেলান্তের রাজনৈতিক কার্যনির্বাহী কমিটির সমর্থন পেয়েছেন। সংস্থাটির পক্ষ থেকে কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম। লুলাক আদেলান্তে দেশটির সবচেয়ে প্রাচীন লাতিন নাগরিক অধিকার সংস্থা।
সমাবেশের জন্য নির্ধারিত ভেন্যুতে ১৫ হাজারের বেশি সমর্থক কমলাকে স্বাগত জানান। সেখানে তিনি কিছু ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীর তোপের মুখে পড়েন যারা কমলার ভাষণে বাধা দেন। কমলা উদারপন্থি ভোটারদেরও ক্ষোভের মুখে পড়েন, তারা গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনকে সমর্থনের জন্য কমলার নিন্দা করেন।
গাজা যুদ্ধে কমলার ভূমিকায় অসন্তুষ্ট ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট (বাইডেন) এবং আমি প্রতিদিন পুরো সময়জুড়ে একটি ফলপ্রসূ যুদ্ধবিরতি চুক্তি ও বন্দিদের ঘরে ফিরিয়ে আনতে কাজ করে যাচ্ছি। যাই হোক, আমি আপনাদের আবেদনকে সম্মান করি, কিন্তু আমরা আজ এখানে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে এসেছি।’ সূত্র: রয়টার্স