ঢাকা ২৫ ভাদ্র ১৪৩১, সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মাস্ককে লন্ডনের পুলিশ কমিশনারের হুমকি

প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৪, ০৯:২৯ এএম
মাস্ককে লন্ডনের পুলিশ কমিশনারের হুমকি
স্যার মার্ক রাউলি

অনলাইনে বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য ধনকুবের ইলন মাস্ককে দায়ী করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকি দিয়েছেন লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার স্যার মার্ক রাউলি। দেশটিতে সম্প্রতি চলমান অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভ ও দাঙ্গায় বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য মাস্ককে দায়ী করে তার ওপর চটেছেন রাউলি।

মার্ক রাউলি বলেন, বিলিয়নার ইলন মাস্ক হলেন ‘অনলাইনে বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য বিদেশিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ। গুজব ছড়ানো বিদেশিদের মধ্যে মাস্ক এমন একজন যার বিচার করা যেতে পারে।

কিছুদিন আগে যুক্তরাজ্যের সাউথপোর্ট শহরে রুয়ান্ডার বংশোদ্ভূত এক কিশোরের ছুরিকাঘাতে তিন শিশুকে হত্যা এবং দশজনকে আহত করে। ঘটনাটি পরে দাঙ্গায় রূপ নেয়। এ প্রসঙ্গে মাস্কসহ সমালোচকরা সরকারকে বাকস্বাধীনতাকে দমিয়ে রাখার এবং ত্রুটিপূর্ণ বিচারব্যবস্থা পরিচালনা করার অভিযোগ করেছেন, যেখানে শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশ সন্দেহভাজনদের অভিবাসীদের চেয়ে অনেক বেশি কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়।

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইসলামি জোট গঠনের আহ্বান এরদোয়ানের

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:২১ এএম
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইসলামি জোট গঠনের আহ্বান এরদোয়ানের
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ইসরায়েলের সাম্রাজ্যবাদের ক্রমবর্ধমান হুমকি ঠেকাতে ইসলামি দেশগুলোকে জোট গঠন করার আহ্বান জানিয়েছেন। 

গত শনিবার ইস্তাম্বুলের কাছে একটি ইসলামিক স্কুলের অনুষ্ঠানে এরদোয়ান এই আহ্বান জানান।

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, গত শুক্রবার অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার সময় এক তুর্কি-আমেরিকান নারী নিহত হন। তার মৃত্যুর একদিন পর তুর্কি প্রেসিডেন্ট এক মন্তব্যে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

এরদোয়ান বলেন, ‘ইসরায়েলের ঔদ্ধত্য, দস্যুতা ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করার একমাত্র উপায় হলো ইসলামি দেশগুলোর একজোট হওয়া। মিসর ও সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার জন্য তুরস্ক যে সাম্প্রতিক পদক্ষেপ নিয়েছে তার লক্ষ্যই হলো, ইসরায়েলি সাম্রাজ্যবাদের হুমকির বিরুদ্ধে সংহতি গড়ে তোলা।’

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এরদোয়ানের মন্তব্যটি বিপজ্জনক মিথ্যা ও উসকানিমূলক। এই তুর্কি নেতা মধ্যাঞ্চলের আরব শাসনকে দুর্বল করার জন্য ইরানের সঙ্গে কয়েক বছর ধরে কাজ করছেন।’

আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরায়েলের হামলা, ৮ ফিলিস্তিনি নিহত
এদিকে গতকাল রবিবার গাজা উপত্যকার জাবালিয়ায় জাতিসংঘ পরিচালিত একটি শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এ সময় রুটির জন্য লাইনে দাঁড়ানো আট ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। 

আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, আশ্রয়কেন্দ্রটিতে ইসরায়েল ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। যেখানে হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত লোকের অবস্থান। 

একই দিনে গাজা সিটির সাফাদ স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় ১১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় গাজাজুড়ে অন্তত ৩১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। 

ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্সের এক মুখপাত্র বলেছেন, অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ৮৩ ক্রু সদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২০০ জনেরও বেশি।

জর্ডান সীমান্তে বন্দুকধারীর গুলিতে তিন ইসরায়েলি নিহত
গতকাল অধিকৃত পশ্চিম তীরের অ্যালেনবি ব্রিজ সীমান্তে তিন ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিক হত্যার শিকার হয়েছেন। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জর্ডান থেকে আসা এক বন্দুকধারীর গুলিতে তারা নিহত হয়েছেন। পরে দেশটির নিরাপত্তাবাহিনী তাকে গুলি করে হত্যা করে। 

ইসরায়েলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একটি বাণিজ্যিক কার্গো এলাকায় এক ক্রসিংয়ে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। যেখানে জর্ডানের পণ্যবাহী ট্রাকগুলো পশ্চিম তীরে প্রবেশ করে। ক্রসিংটি কিং হুসেন ব্রিজ নামেও পরিচিত। এটি মৃত সাগরের ঠিক উত্তরে আম্মান ও জেরুজালেমের মাঝপথে অবস্থিত।

রয়টার্স জানিয়েছে, অক্টোবরের পর থেকে জর্ডান সীমান্তে এটিই প্রথম আক্রমণ। দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের আক্রমণেরে পর গাজায় যুদ্ধের জন্ম দেয়। তখন থেকে সমগ্র অঞ্চলজুড়ে এ যুদ্ধ বৃদ্ধি পেতে থাকে। সূত্র: রয়টার্স, আল-জাজিরা

প্রথমবার বিতর্কের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন কমলা-ট্রাম্প

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:১৪ এএম
প্রথমবার বিতর্কের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন কমলা-ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন।

এবিসি নিউজ আয়োজিত এক টেলিভিশন বিতর্কে উভয়ের মুখোমুখি হওয়ার কথা রয়েছে। আগামী মঙ্গলবার এই বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়া শহরে। এটি উভয়ের মধ্যে প্রথম টেলিভিশন বিতর্ক  হতে যাচ্ছে। 

এর আগে জুনে ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিভিশন বিতর্কে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিপর্যয়ের পর তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহারে বাধ্য হন।

লাখ লাখ আমেরিকান উভয়প্রার্থীর এই বিতর্ক সরাসরি প্রত্যক্ষ করবেন। এই বিতর্ককে উভয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল পরীক্ষা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। 

এদিকে দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলাকে নিয়ে ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক বক্তব্য থেমে নেই। সর্বশেষ জাতীয় জরিপে ট্রাম্পের চেয়ে কমলা এগিয়ে থাকলেও তাকে খাটো করে দেখানোর জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন ট্রাম্প। বিতর্কেও ট্রাম্প তার আক্রমণাত্মক ভঙ্গি বজায় রাখবেন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

রুটজার্স ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক এরিন ক্রিস্টি বলেছেন, ‘এই ধরনের একেবারে ভিন্ন ধরনের দুই প্রার্থী এর আগে কখনো মুখোমুখি হননি। তাই এই বিতর্ক হতে পারে খুবই আকর্ষণীয় এবং নির্বাচনে জয় নির্ধারক।’

এদিকে নিজ দলের প্রার্থী ট্রাম্পকে ভোট দেবেন কি না, সিদ্ধান্ত নেননি বলে জানিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ও জর্জ ডব্লিউ বুশ। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের একজন মুখপাত্র গত শনিবার এ তথ্য জানান। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই মুখপাত্র বলেন, ‘তিনি (বুশ) প্রেসিডেনশিয়াল রাজনীতি থেকে অনেক বছর আগেই অবসরে গেছেন।’ 

এর আগে বুশের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী নির্বাচনে তিনি দলীয় সমর্থনের বাইরে গিয়ে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে ভোট দেবেন। সূত্র: রয়টার্স ও বিজনেস ইনসাইডার

স্নায়ুযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় হুমকির মুখে বিশ্বব্যবস্থা

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:০৬ এএম
আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:২৩ এএম
স্নায়ুযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় হুমকির মুখে বিশ্বব্যবস্থা
সিআইএ ও এমআই-৬ প্রধানের বৈঠক

স্নায়ুযুদ্ধের পর বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা সবচেয়ে বড় হুমকির মুখে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) প্রধান বিল বার্নস ও যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা এমআই-৬ এর প্রধান স্যার রিচার্ড মুর। 

সিআইএ প্রধান এবং এমআই৬ প্রধান সম্প্রতি দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমসে প্রকাশিত এক নিবন্ধে লিখেছেন, তারা ইউক্রেনের যুদ্ধের পূর্বাভাস দিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সতর্ক করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এর অংশ হিসেবে তারা কিছু গোপনীয় তথ্য প্রকাশ করেছিল যা কিয়েভকে যুদ্ধে সাহায্য করেছে।

তারা আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইউরোপে রাশিয়ার বেপরোয়া ও নাশকতামূলক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ, গাজা যুদ্ধ বন্ধে তৎপরতা এবং পুনরুত্থিত ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের উপ-সম্পাদকীয়তে তারা লিখেছেন, ‘এটা নিশ্চিত যে আমাদের আন্তর্জাতিক বিশ্বব্যবস্থা এবং ভারসাম্য ব্যবস্থা যেটি শান্তি ও স্থিতিশীলতার বজায়, আমাদের জীবনযাত্রার মান, সুযোগ এবং সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করেছে- স্নায়ুযুদ্ধের পর থেকে এখন হুমকির মুখে রয়েছে।’ তারা আরও বলেন, এই ঝুঁকির বিরুদ্ধে সফলভাবে লড়াই করা যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ সম্পর্কের ভিত্তি। দুটি দেশই ইউক্রেন যুদ্ধের মতো নজিরবিহীন হুমকিগুলোর মোকাবিলা একসঙ্গে করছে, যেটি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া আগ্রাসন চালানোর পর থেকে তিন বছর যাবৎ চলমান। 

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) লন্ডনের কেনউড হাউসে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস আয়োজিত এক উৎসবে প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে বক্তব্য রাখেন দুই দেশের গোয়েন্দা প্রধান।

সিআইএ প্রধান বার্নস উপস্থিতদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘ইউক্রেনের সম্প্রতি রাশিয়ার ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত বিজয়’, তবে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের ক্ষমতা খর্ব হওয়ার কোনো লক্ষণ তিনি দেখেননি। ইউক্রেন পশ্চিমকে আরও অস্ত্র সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছে এবং রাশিয়ার অভ্যন্তরে তাদেরকে পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেছে।

রাশিয়ার পারমাণবিক হুমকিতে পশ্চিমের ভীত হওয়া উচিত নয়
রাশিয়ার পারমাণবিক হুমকিকে পশ্চিমাদের ভয় পাওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএ প্রধান বিল বার্নস। রাশিয়ার অভ্যন্তরে ইউক্রেনকে পশ্চিমাদের তৈরি স্টর্ম-শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে কি না এ নিয়ে বিতর্কের মধ্যে এই মন্তব্য করলেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাপ্রধান। তবে রাশিয়ার হুমকিকে একেবারে আক্ষরিক অর্থে নেওয়া উচিত নয় বলেও সতর্ক করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘পুতিন একজন গুন্ডা, তিনি সময়ের পর সময় ধরে সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে আগ্রাসন চালিয়ে আমাদের ভয় পাইয়ে দেওয়ার সামর্থ্য তার নেই।.....যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ব্যাপক সহায়তা দিয়েছে। এবং আমি নিশ্চিত আমাদের প্রেসিডেন্ট (বাইডেন) অন্যান্য বিষয়গুলোও (অস্ত্র ব্যবহারে শর্ত তুলে নেওয়া) বিবেচনা করবেন যাতে আমরা তাদের সহযোগিতা করতে পারি।’

যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দাপ্রধান গাজায় যথাসম্ভব দ্রুত যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে বলেন, ‘উভয় পক্ষের নেতারা স্বীকার করুন আর না করুন ইতোধ্যে যা হয়েছে তা যথেষ্টরও বেশি, এখনই সময় কঠিন কিছু শর্ত মেনে নিয়ে হলেও চুক্তিটি (যুদ্ধবিরতি) সম্পন্ন করার।’ সূত্র: বিবিসি ও রয়টার্স

দেশত্যাগ ছাড়লেন ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেতা গঞ্জালেজ

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:০২ এএম
দেশত্যাগ ছাড়লেন ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেতা গঞ্জালেজ
ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেতা এডমুন্ডো গঞ্জালেজ দেশত্যাগ করে স্পেনে আশ্রয় চাচ্ছেন

ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেতা এডমুন্ডো গঞ্জালেজ দেশত্যাগ করেছেন। তিনি স্পেনে আশ্রয় চাচ্ছেন। গত শনিবার রাতে ভেনেজুয়েলা ও স্পেনের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। 

গত জুলাইয়ে ভেনেজুয়েলায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিপক্ষে লড়েন বিরোধী প্রার্থী গঞ্জালেজ (৭৫)। 

গতকাল রবিবার বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিতর্কিত হওয়ার পর গঞ্জালেজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। এরপর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। নির্বাচনি ফলাফলে সরকার নিয়ন্ত্রিত জাতীয় নির্বাচনি কাউন্সিল (সিএনই) নিকোলাস মাদুরোকে বিজয়ী ঘোষণা করেছিল। তবে বিরোধীদের দাবি, নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থী গঞ্জালেজ জয়ী হয়েছেন।

ভেনেজুয়েলার ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেলসি রদ্রিগেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে বলেছেন, বেশ কয়েকদিন আগে রাজধানী কারাকাসের স্পেনের দূতাবাসে স্বেচ্ছায় আশ্রয় নেওয়ার পর এখন গঞ্জালেজ দেশ ছেড়েছেন। স্পেনের দূতাবাস তার নিরাপদ উত্তরণে সম্মত হয়েছে। পরে তিনি দেশ ছেড়েছেন।

স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসে ম্যানুয়েল আলবারেস বলেছেন, ‘গঞ্জালেজ কারাকাস থেকে স্প্যানিশ বিমানবাহিনীর একটি উড়োজাহাজে করে স্পেনের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন। গঞ্জালেজের কাছ থেকে আসা একটি অনুরোধে সাড়া দিচ্ছে মাদ্রিদ। স্পেন সরকার ভেনেজুয়েলার সমস্ত রাজনৈতিক অধিকারের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। স্প্যানিশ গণমাধ্যম অনুসারে গঞ্জালেজকে সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হবে।’ 

ভারতে থাকার অনুমতি না পেলে মারা যাব: তসলিমা নাসরিন

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:০৯ পিএম
ভারতে থাকার অনুমতি না পেলে মারা যাব: তসলিমা নাসরিন
তসলিমা নাসরিন

ভারতে থাকা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। তিনি বলেছেন, ‘ভারতে থাকার অনুমতি না পেলে আমি নিশ্চিত মারা যাব’। 

ভারতে নির্বাসিত তসলিমার ভিসার মেয়াদ গত জুলাইয়ে শেষ হয়ে যায়। মূলত সে দেশে তার ভিসার মেয়াদ না বাড়ায় তিনি চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।

সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘আজতক বাংলা’য় দেওয়া সাক্ষাৎকারে তসলিমা বলেন, ‘আমি ভারতে থাকতে পছন্দ করি। প্রায় দেড় মাস হয়ে গেছে কিন্তু এখনো কেন্দ্রীয় সরকার আমার ভিসার মেয়াদ বাড়ায়নি। ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে ভারত সরকারের কাছ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি না। আমি জানি না, কার সঙ্গে কথা বলব। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন? আমি কারও সঙ্গে কথা বলিনি। আমি কেবল অনলাইনে চেক করি। কিন্তু এখনো কোনো নিশ্চয়তা পাইনি।’

ভিসার মেয়াদ না বাড়ানোর পেছনে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি দায়ী কি না- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতির সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি এখানে একজন সুইডিশ নাগরিক হিসেবে থাকি। বাংলাদেশে বর্তমান টালমাটাল পরিস্থিতির আগেই আমার ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে। ২০১৭ সালেও এমন সমস্যা হয়েছিল কিন্তু সেই সময়ে সেটি প্রযুক্তিগত সমস্যাই ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ মনে করে আমার সঙ্গে সরকার ও নেতাদের ঘনিষ্ঠতা আছে, কিন্তু তা নয়। থাকার অনুমতি না পেলে আমি সত্যিই মারা যাব। এখন কোথাও যাওয়ার মতো অবস্থায় আমি নেই।’

তসলিমা নাসরিনের অভিযোগ তাকে দেশ থেকে উৎখাত করার ক্ষেত্রে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুজনেরই হাত রয়েছে। 

তিনি বলেন, ‘তারা কেউই আমাকে বাংলাদেশে থাকতে দেননি। দুজনেই মৌলবাদকে মাথাচাড়া দিতে সাহায্য করেছেন।’

তসলিমা নাসরিনের একাধিক লেখা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করা হলে ১৯৯৪ সালে তিনি দেশ ছাড়েন। বেশ কয়েক বছর ইউরোপে থাকার পর তিনি ভারতে বসবাস শুরু করেন। ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত কলকাতায় ছিলেন। সেখানে নিষিদ্ধ করা হয় তার ‘দ্বিখণ্ডিত’ উপন্যাসটি। সরকারি চাপে শেষ পর্যন্ত কলকাতা ছাড়তে হয় তাকে। কিছু দিনের জন্য তিনি ভারতের জয়পুরে ছিলেন। তারপর দিল্লিতে বসবাস শুরু করেন। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে