ঢাকা ২৫ ভাদ্র ১৪৩১, সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ খান ইউনিসে নতুন উচ্ছেদ আদেশ ইসরায়েলের

প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৩৭ এএম
খান ইউনিসে নতুন উচ্ছেদ আদেশ ইসরায়েলের
দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের পূর্ব অংশ থেকে পালিয়ে যাচ্চেন বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা। ছবি: সংগৃহীত

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসে গত অক্টোবরের পর থেকে তিনটি সামরিক স্থল অভিযান পরিচালনার পর আবার সেখানে উচ্ছেদ আদেশ জারি করল দখলদার দেশ ইসরায়েল। অঞ্চলটি থেকে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে বাসিন্দাদের। দক্ষিণ গাজার শহরটির বাস্তুচ্যুত অধিবাসীদের নিজ আবাসে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার মাত্র কয়েক দিনের মাথায় এই আদেশ জারি করা হলো।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট এবং ওই এলাকার বাসিন্দাদের ফোনে ম্যাসেজ ও অডিও বার্তা পাঠিয়ে এ নির্দেশনা দেয় ইসরায়েল। 

এক্সের পোস্টে বলা হয়, ‘আপনাদের নিজের নিরাপত্তার জন্য অবশ্যই এই এলাকা থেকে অবিলম্বে সরে যেতে হবে। আপনি যে এলাকায় আছেন, সেটি একটি বিপজ্জনক যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত।’

আদেশ জারির পর গত শনিবার মধ্যরাতেই গাজার পশ্চিমাঞ্চলীয় আল-মাওয়াসি এবং উত্তরের দেইর-আল-বালাহইয়ের দিকে ছুটতে শুরু করেছেন খান ইউনিসের প্রায় ১০ হাজার বাসিন্দা। 

বাস্তুচ্যুতদের একজন ২৮ বছর বয়সী জাকি মোহাম্মদ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা ক্লান্ত। দশমবারের মতো আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যদের আশ্রয়স্থল ছাড়তে হচ্ছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ তাদের জিনিসপত্র, সন্তান-সন্ততি, আশা এবং ভয় সঙ্গে নিয়ে অজানার উদ্দেশে পাড়ি জমাচ্ছে। কারণ এখানে কোনো নিরাপদ জায়গা অবশিষ্ট নেই।’

এদিকে নতুন করে বিতর্কিত মন্তব্য করে আবার সমালোচনার মুখে পড়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের উচিত গাজায় (ইহুদিদের) অভিবাসনে উৎসাহিত করা এবং স্থায়ীভাবে উপত্যকাটি দখল করা।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘পুরোপুরি আত্মসমর্পণ না করা পর্যন্ত হামাসকে ধ্বংস করার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।’ কট্টর ডানপন্থি হিসেবে পরিচিত বেন-গভির শুরু থেকেই যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিপক্ষে তার অবস্থান ব্যক্ত করে আসছেন।

স্নায়ুযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় হুমকির মুখে বিশ্বব্যবস্থা

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:০৬ এএম
স্নায়ুযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় হুমকির মুখে বিশ্বব্যবস্থা
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ)

স্নায়ুযুদ্ধের পর বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা সবচেয়ে বড় হুমকির মুখে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) প্রধান বিল বার্নস ও যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা এমআই-৬ এর প্রধান স্যার রিচার্ড মুর। 

সিআইএ প্রধান এবং এমআই৬ প্রধান সম্প্রতি দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমসে প্রকাশিত এক নিবন্ধে লিখেছেন, তারা ইউক্রেনের যুদ্ধের পূর্বাভাস দিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সতর্ক করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এর অংশ হিসেবে তারা কিছু গোপনীয় তথ্য প্রকাশ করেছিল যা কিয়েভকে যুদ্ধে সাহায্য করেছে।

তারা আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইউরোপে রাশিয়ার বেপরোয়া ও নাশকতামূলক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ, গাজা যুদ্ধ বন্ধে তৎপরতা এবং পুনরুত্থিত ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের উপ-সম্পাদকীয়তে তারা লিখেছেন, ‘এটা নিশ্চিত যে আমাদের আন্তর্জাতিক বিশ্বব্যবস্থা এবং ভারসাম্য ব্যবস্থা যেটি শান্তি ও স্থিতিশীলতার বজায়, আমাদের জীবনযাত্রার মান, সুযোগ এবং সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করেছে- স্নায়ুযুদ্ধের পর থেকে এখন হুমকির মুখে রয়েছে।’ তারা আরও বলেন, এই ঝুঁকির বিরুদ্ধে সফলভাবে লড়াই করা যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ সম্পর্কের ভিত্তি। দুটি দেশই ইউক্রেন যুদ্ধের মতো নজিরবিহীন হুমকিগুলোর মোকাবিলা একসঙ্গে করছে, যেটি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া আগ্রাসন চালানোর পর থেকে তিন বছর যাবৎ চলমান। 

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) লন্ডনের কেনউড হাউসে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস আয়োজিত এক উৎসবে প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে বক্তব্য রাখেন দুই দেশের গোয়েন্দা প্রধান।

সিআইএ প্রধান বার্নস উপস্থিতদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘ইউক্রেনের সম্প্রতি রাশিয়ার ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত বিজয়’, তবে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের ক্ষমতা খর্ব হওয়ার কোনো লক্ষণ তিনি দেখেননি। ইউক্রেন পশ্চিমকে আরও অস্ত্র সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছে এবং রাশিয়ার অভ্যন্তরে তাদেরকে পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেছে।

রাশিয়ার পারমাণবিক হুমকিতে পশ্চিমের ভীত হওয়া উচিত নয়
রাশিয়ার পারমাণবিক হুমকিকে পশ্চিমাদের ভয় পাওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএ প্রধান বিল বার্নস। রাশিয়ার অভ্যন্তরে ইউক্রেনকে পশ্চিমাদের তৈরি স্টর্ম-শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে কি না এ নিয়ে বিতর্কের মধ্যে এই মন্তব্য করলেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাপ্রধান। তবে রাশিয়ার হুমকিকে একেবারে আক্ষরিক অর্থে নেওয়া উচিত নয় বলেও সতর্ক করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘পুতিন একজন গুন্ডা, তিনি সময়ের পর সময় ধরে সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে আগ্রাসন চালিয়ে আমাদের ভয় পাইয়ে দেওয়ার সামর্থ্য তার নেই।.....যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ব্যাপক সহায়তা দিয়েছে। এবং আমি নিশ্চিত আমাদের প্রেসিডেন্ট (বাইডেন) অন্যান্য বিষয়গুলোও (অস্ত্র ব্যবহারে শর্ত তুলে নেওয়া) বিবেচনা করবেন যাতে আমরা তাদের সহযোগিতা করতে পারি।’

যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দাপ্রধান গাজায় যথাসম্ভব দ্রুত যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে বলেন, ‘উভয় পক্ষের নেতারা স্বীকার করুন আর না করুন ইতোধ্যে যা হয়েছে তা যথেষ্টরও বেশি, এখনই সময় কঠিন কিছু শর্ত মেনে নিয়ে হলেও চুক্তিটি (যুদ্ধবিরতি) সম্পন্ন করার।’ সূত্র: বিবিসি ও রয়টার্স

দেশত্যাগ ছাড়লেন ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেতা গঞ্জালেজ

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:০২ এএম
দেশত্যাগ ছাড়লেন ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেতা গঞ্জালেজ
ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেতা এডমুন্ডো গঞ্জালেজ দেশত্যাগ করে স্পেনে আশ্রয় চাচ্ছেন

ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেতা এডমুন্ডো গঞ্জালেজ দেশত্যাগ করেছেন। তিনি স্পেনে আশ্রয় চাচ্ছেন। গত শনিবার রাতে ভেনেজুয়েলা ও স্পেনের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। 

গত জুলাইয়ে ভেনেজুয়েলায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিপক্ষে লড়েন বিরোধী প্রার্থী গঞ্জালেজ (৭৫)। 

গতকাল রবিবার বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিতর্কিত হওয়ার পর গঞ্জালেজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। এরপর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। নির্বাচনি ফলাফলে সরকার নিয়ন্ত্রিত জাতীয় নির্বাচনি কাউন্সিল (সিএনই) নিকোলাস মাদুরোকে বিজয়ী ঘোষণা করেছিল। তবে বিরোধীদের দাবি, নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থী গঞ্জালেজ জয়ী হয়েছেন।

ভেনেজুয়েলার ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেলসি রদ্রিগেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে বলেছেন, বেশ কয়েকদিন আগে রাজধানী কারাকাসের স্পেনের দূতাবাসে স্বেচ্ছায় আশ্রয় নেওয়ার পর এখন গঞ্জালেজ দেশ ছেড়েছেন। স্পেনের দূতাবাস তার নিরাপদ উত্তরণে সম্মত হয়েছে। পরে তিনি দেশ ছেড়েছেন।

স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসে ম্যানুয়েল আলবারেস বলেছেন, ‘গঞ্জালেজ কারাকাস থেকে স্প্যানিশ বিমানবাহিনীর একটি উড়োজাহাজে করে স্পেনের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন। গঞ্জালেজের কাছ থেকে আসা একটি অনুরোধে সাড়া দিচ্ছে মাদ্রিদ। স্পেন সরকার ভেনেজুয়েলার সমস্ত রাজনৈতিক অধিকারের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। স্প্যানিশ গণমাধ্যম অনুসারে গঞ্জালেজকে সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হবে।’ 

ভারতে থাকার অনুমতি না পেলে মারা যাব: তসলিমা নাসরিন

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:০৯ পিএম
ভারতে থাকার অনুমতি না পেলে মারা যাব: তসলিমা নাসরিন
তসলিমা নাসরিন

ভারতে থাকা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। তিনি বলেছেন, ‘ভারতে থাকার অনুমতি না পেলে আমি নিশ্চিত মারা যাব’। 

ভারতে নির্বাসিত তসলিমার ভিসার মেয়াদ গত জুলাইয়ে শেষ হয়ে যায়। মূলত সে দেশে তার ভিসার মেয়াদ না বাড়ায় তিনি চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।

সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘আজতক বাংলা’য় দেওয়া সাক্ষাৎকারে তসলিমা বলেন, ‘আমি ভারতে থাকতে পছন্দ করি। প্রায় দেড় মাস হয়ে গেছে কিন্তু এখনো কেন্দ্রীয় সরকার আমার ভিসার মেয়াদ বাড়ায়নি। ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে ভারত সরকারের কাছ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি না। আমি জানি না, কার সঙ্গে কথা বলব। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন? আমি কারও সঙ্গে কথা বলিনি। আমি কেবল অনলাইনে চেক করি। কিন্তু এখনো কোনো নিশ্চয়তা পাইনি।’

ভিসার মেয়াদ না বাড়ানোর পেছনে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি দায়ী কি না- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতির সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি এখানে একজন সুইডিশ নাগরিক হিসেবে থাকি। বাংলাদেশে বর্তমান টালমাটাল পরিস্থিতির আগেই আমার ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে। ২০১৭ সালেও এমন সমস্যা হয়েছিল কিন্তু সেই সময়ে সেটি প্রযুক্তিগত সমস্যাই ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ মনে করে আমার সঙ্গে সরকার ও নেতাদের ঘনিষ্ঠতা আছে, কিন্তু তা নয়। থাকার অনুমতি না পেলে আমি সত্যিই মারা যাব। এখন কোথাও যাওয়ার মতো অবস্থায় আমি নেই।’

তসলিমা নাসরিনের অভিযোগ তাকে দেশ থেকে উৎখাত করার ক্ষেত্রে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুজনেরই হাত রয়েছে। 

তিনি বলেন, ‘তারা কেউই আমাকে বাংলাদেশে থাকতে দেননি। দুজনেই মৌলবাদকে মাথাচাড়া দিতে সাহায্য করেছেন।’

তসলিমা নাসরিনের একাধিক লেখা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করা হলে ১৯৯৪ সালে তিনি দেশ ছাড়েন। বেশ কয়েক বছর ইউরোপে থাকার পর তিনি ভারতে বসবাস শুরু করেন। ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত কলকাতায় ছিলেন। সেখানে নিষিদ্ধ করা হয় তার ‘দ্বিখণ্ডিত’ উপন্যাসটি। সরকারি চাপে শেষ পর্যন্ত কলকাতা ছাড়তে হয় তাকে। কিছু দিনের জন্য তিনি ভারতের জয়পুরে ছিলেন। তারপর দিল্লিতে বসবাস শুরু করেন। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

ইউক্রেনে রাশিয়ার রাতভর ড্রোন হামলা

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৩০ এএম
ইউক্রেনে রাশিয়ার রাতভর ড্রোন হামলা
দূরপাল্লার শাহেদ ড্রোন

ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে ৬৭টি দূরপাল্লার শাহেদ ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ইউক্রেনের বিমানবাহিনী বলেছে, এর মধ্যে ৫৮টিকেই ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে তারা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে বিমানবাহিনী বলেছে, রাশিয়া অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপ এবং সীমান্তবর্তী কয়েকটি এলাকা থেকে ড্রোনগুলো নিক্ষেপ করা হয়। এর ফলে ইউক্রেনের ১১টি ইউনিটেই বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলোকে সক্রিয় থাকতে দেখা যায়।

অফিশিয়াল টেলিগ্রামে বেশ কয়েকটি ছবিসহ পোস্ট করে পার্লামেন্টের এক আইনপ্রণেতা আলাদা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এমনকি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের পার্লামেন্ট ভবনের পাশে ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। ছবিতে পার্লামেন্ট ভবনের কাছে মাটিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অন্তত চারটি ধ্বংসাবশেষ দেখা গেছে। একটি টুকরো বিল্ডিংয়ের প্রধান প্রবেশদ্বারের কাছে পড়েছিল।

২০২২ সাল থেকেই রাশিয়া ইরান নির্মিত শাহেদ ড্রোনগুলো ব্যাপক আকারে ইউক্রেনে হামলায় ব্যবহার করছে। সস্তা এবং কার্যকরী হওয়ায় এই ড্রোনগুলো ক্ষেপণাস্ত্রের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করছে রাশিয়া। ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন প্রক্রিয়া বেশ জটিল এবং ব্যয়বহুল। এ ছাড়া অনেক নিচ দিয়ে চলে এবং কম তাপ নির্গত করে বিধায় শাহেদ ড্রোন সহজে রাডারকে ফাঁকি দিতে পারে।

কমলাকে ভোট দেবেন সাবেক রিপাবলিকান ভাইস প্রেসিডেন্ট

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:২২ এএম
কমলাকে ভোট দেবেন সাবেক রিপাবলিকান ভাইস প্রেসিডেন্ট
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি

বর্ষীয়ান রিপাবলকান ও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি বলেছেন, তিনি আগামী ৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে ভোট দেবেন। 

রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নয়। জর্জ ডব্লিউ বুশ প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ছিলেন ডিক চেনি।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে চেনি  এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের দেশের ২৪৮ বছরের ইতিহাসে এমন কোনো ব্যক্তিই নেই যিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে প্রজাতন্ত্রের জন্য বেশি হুমকিস্বরূপ।’ 

চেনি আরও বলেন, ভোটাররা ট্রাম্পকে প্রত্যাখ্যান করার পর নিজেকে ক্ষমতায় রাখার জন্য মিথ্যা ও সহিংসতার মাধ্যমে গত নির্বাচন চুরি করার চেষ্টা করেছিলেন ট্রাম্প। তাকে আর কখনো বিশ্বাস করে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনা যাবে না।’ 

চেনি আরও বলেন, ‘নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের কর্তব্য সংবিধান রক্ষার জন্য দেশকে পক্ষপাতের ঊর্ধ্বে রাখা। তাই আমি ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে আমার ভোট দেব।’

এদিকে চেনির এই মন্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে হ্যারিস শিবির। কমলার প্রচারাভিযান ম্যানেজার জেন ও’ম্যালি ডিলন বলেন, ‘ভাইস প্রেসিডেন্ট (সাবেক) চেনির সমর্থন পেয়ে আমরা গর্বিত। এ ছাড়া দেশকে দলের ওপরে রাখার জন্য তার সাহসের প্রশংসা করেছেন তিনি।

এর আগে টেক্সাসে এক অনুষ্ঠানে তার মেয়ে সাবেক রিপাবলিকান আইন প্রণেতা লিজ চেনি বলেছিলেন, আসছে নির্বাচনে তার বাবা ডেমোক্র্যাট মনোনীত প্রার্থীকে সমর্থন দেবেন। লিজ চেনি নিজেও গত বুধবার কমলাকে সমর্থন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। 

২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্পের সমর্থকরা নৈরাজ্য সৃষ্টি করার পর থেকে তার বড় সমালোচক হয়ে ওঠেন লিজ। 

ডিক চেনির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথে লিখেন, চেনির বক্তব্য ‘অপ্রাসঙ্গিক’। এ ছাড়া ট্রাম্প চেনিকে ‘নামমাত্র রিপাবলিকান’ বলে তিরস্কার করেন। সূত্র: আল-জাজিরা