ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকার মোট জনসংখ্যার ১ দশমিক ৮ শতাংশ জনসাধারণ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৭৫ শতাংশই ৩০ বছরের কম বয়সী। গত রবিবার ফিলিস্তিনের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো (পিসিবিএস) এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানায়।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুসারে, গাজায় এ পর্যন্ত ৩৯ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ২৪ শতাংশই ছিলেন তরুণ বয়সী। আল-জাজিরা খবর বলছে, ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় গাজায় অন্তত ২৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলায় এ পর্যন্ত সর্বমোট ৩৯ হাজার ৮৯৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ১০ মাসের বেশি সময় ধরে চলা এই সংঘাতে আহত হয়েছেন আরও ৯২ হাজার ১৫২ জন।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কয়েক হাজার ফিলিস্তিনিকে খান ইউনিস ছেড়ে দক্ষিণ গাজায় স্থানান্তরিত হতে নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। গত শনিবার গাজার উত্তরে একটি স্কুল আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলায় শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর তারা এই নির্দেশ দিয়েছে। যার ফলে এখন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বাধ্য হয়ে উপত্যকার রাস্তা-ঘাটে খাবার ও পানীয় ছাড়া দিন পার করছেন।
এদিকে গাজার চারপাশে সামরিক অঞ্চল বাড়িয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, নতুন করে মূল্যায়নের পর সেনাবাহিনী এমন আদেশ দিয়েছে। নতুন নির্দেশ অনুসারে, ইসরায়েলি বাহিনীর অনুমতি ব্যতীত নতুন এলাকাগুলোতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নিকটবর্তী অঞ্চলগুলোর মধ্যে রয়েছে বেইত হানুন ক্রসিং (ইসরায়েলিদের কাছে এরেজ নামে পরিচিত), ইয়াদ মোরদেচাই, শার হানেগেভ জংশন, নাটিভোট জংশন ও নাহাল ওজের মধ্যবর্তী খামার।
নেটিভোট ও রুট ২৩৪ এর কবরস্থানে প্রবেশের রাস্তা এবং সেখান থেকে গাজার সীমান্ত বেষ্টনী পর্যন্ত খোলা জায়গাগুলোও সামরিক অঞ্চলের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া রিইম ও ইউরিম জংশনের মধ্যবর্তী এলাকা এবং সেখান থেকে বেষ্টনী পর্যন্ত স্থানটুকু অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই আদেশে। সূত্র: আল-জাজিরা, আনাদুলো এজেন্সি