যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটলগ্রাউন্ড অঙ্গরাজ্য পেনসিলভানিয়ায় ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসের প্রচারে নামবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মূলত তাকে সহায়তা করবেন প্রয়োজনীয় সমর্থন অর্জনে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গত রবিবার ওই তথ্য জানান বাইডেন।
এর আগে জুলাইয়ের শেষ ভাগে নির্বাচনি দৌড় থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি। রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাজে বিতর্কের পর যোগ্যতা নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। পরে একপর্যায়ে নিজে সরে দাঁড়িয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে নির্বাচনে লড়ার জন্য সমর্থন দেন বাইডেন।
বাইডেন-ট্রাম্প লড়াইয়ের সময়ে জনমত জরিপে কিছুটা পিছিয়েই ছিলেন বাইডেন। তবে কমলা হ্যারিস আসার পর তাতে পরিবর্তন এসেছে। কমলা হ্যারিস এগিয়ে গেছেন। পেনসিলভানিয়া, উইসকনসিন ও মিশিগানের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যগুলোতে হ্যারিস ট্রাম্পের চেয়ে চার পয়েন্টে এগিয়ে আছে। গত শনিবার নিউইয়র্ক টাইমস ও সিয়েনা কলেজের প্রকাশিত জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
সিবিএসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের সময় বাইডেনকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি হ্যারিসের জন্য প্রচার চালাবেন কি না। এর উত্তরে বাইডেন বলেন, হ্যাঁ। আমি আর গভর্নর জশ শাপিরো পেনসিলভানিয়ায় একত্রে প্রচার সফর শুরু করছি। আমি অন্যান্য অঙ্গরাজ্যেও যাব এবং কমলা যেখানে যেখানে মনে করে সহায়তা বেশি প্রয়োজন, সেখানেই যাব আমি।’
এর চেয়ে বেশি বিস্তারিত তাৎক্ষণিকভাবে আর জানা যায়নি। বাইডেন ও হ্যারিসের আগামী বৃহস্পতিবার একত্রে ম্যারিল্যান্ডে উপস্থিত হওয়ার কথা। সেখানে তারা মার্কিনিদের জন্য খরচ কমানো নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
হ্যারিস আনুষ্ঠানিকভাবে গত সপ্তাহে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হন। গত শনিবার তিনি জানান, আসন্ন সপ্তাহগুলোতে নিজ নীতিগত অবস্থান প্রকাশ করবেন।
কমলা হ্যারিস গত সপ্তাহে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর টিম ওয়ালজকে রানিং মেট হিসেবে বেছে নেন। তার প্রসঙ্গে বাইডেন বলেন, তিনি (টিম ওয়ালজ) আমার মতো। তিনি নিখাদ, বুদ্ধিদীপ্ত এবং আমি তাকে কয়েক দশক ধরে চিনি। আমি মনে করি দুর্দান্ত একটি টিম হয়েছে।’
নিজের সরে দাঁড়ানো প্রসঙ্গে বাইডেন বলেন, ‘যা হয়েছে, তা হলো- হাউস ও সিনেটের আমাদের কিছু সংখ্যক ডেমোক্র্যাটিক সহকর্মীরা মনে করছিলেন যে আমি তাদের নির্বাচনি দৌড়কে ক্ষতিগ্রস্ত করব এবং আমিও উদ্বিগ্ন ছিলাম যে আমি যদি থেকে যাই, তাহলে ওই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে।’
নির্বাচনে ট্রাম্প পরাজিত হলে ক্ষমতার হস্তান্তর শান্তিপূর্ণ হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বাইডেন। সূত্র: রয়টার্স