ঢাকা ২৯ ভাদ্র ১৪৩১, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশে শান্তি ফেরানোর চেষ্টাকে স্বাগত জানালেন জাতিসংঘ মহাসচিব

প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৪, ০২:২২ পিএম
আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০২৪, ০৪:০৬ পিএম
বাংলাদেশে শান্তি ফেরানোর চেষ্টাকে স্বাগত জানালেন জাতিসংঘ মহাসচিব
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস

বাংলাদেশে শান্তি ফিরিয়ে আনা এবং সংসদ নির্বাচন আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। 

সোমবার (১২ আগস্ট) তার ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের সমর্থনে বাংলাদেশে শান্তি ফেরানো এবং সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব। বাংলাদেশ সংসদ নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই আগামী দিনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দেশব্যাপী নারী, তরুণ ও জনগণের পাশাপাশি সংখ্যালঘু ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের কণ্ঠস্বর বিবেচনা করে অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।’

ফারহান হক বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করে তাদের মানবাধিকারের প্রতি পূর্ণ সম্মান জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন মহাসচিব। একই সঙ্গে সব ধরনের সহিংসতামূলক কর্মকাণ্ডের পূর্ণ, স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়াও অব্যাহত রেখেছেন তিনি।’

পপি/

শেখ হাসিনাকে ফেরতের বিষয়ে যা বললেন জয়শঙ্কর

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৩০ পিএম
শেখ হাসিনাকে ফেরতের বিষয়ে যা বললেন জয়শঙ্কর
শেখ হাসিনা ও এস জয়শঙ্কর

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ভারত কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে কাজ করবে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এ তথ্য জানিয়েছেন। 

গত মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্নালেনা বায়েরবকের সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে পতন হয় হাসিনা সরকারের। তিনি পালিয়ে যান ভারতে। এখনো সেখানেই অবস্থান করছেন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার তার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, হাসিনা কতদিন থাকতে পারবেন ভারতে। তাকে প্রত্যর্পণের মাধ্যমে দেশে ফেরত পাঠানো হবে কি না। প্রশ্ন রয়েছে এ বিষয়ে ভারত কতটা সহযোগিতা করবে তা নিয়েও। এসবের মধ্যেই সামনে এল জয়শঙ্করের ওই মন্তব্য। 

ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের বরাতে জানা গেছে, শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল জয়শঙ্করকে। উত্তরে তিনি বলেন, ‘আপনি জানেন যে বাংলাদেশে সরকারের পরিবর্তন হয়েছে এবং আমরা অবশ্যই বর্তমান সরকারের সঙ্গে কাজ করছি। সেটি আমরা কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে করছি, গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের মাধ্যমে করছি না।’ 

ছাত্র-জনতার মৃত্যুর জন্য দেশে ফিরিয়ে এনে শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি রয়েছে। ভারতের সঙ্গে প্রত্যর্পণ চুক্তিও রয়েছে বাংলাদেশের। কিন্তু তাকে কীভাবে ফেরানো হবে বা এ বিষয়ে অগ্রগতি কতদূর, তা এখনো অনেকটাই অস্পষ্ট। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৫৩টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ১৩৫টি হত্যা মামলা, ৭টি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও গণহত্যা মামলা, ৭টি হত্যাচেষ্টা মামলা, ৩টি অপহরণের মামলা এবং একটি বিএনপির মিছিলে আক্রমণের মামলা। সূত্র: এএনআই

বিতর্কে জিতলেও মনোযোগ সরাচ্ছে না কমলা শিবির

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৬ পিএম
বিতর্কে জিতলেও মনোযোগ সরাচ্ছে না কমলা শিবির
কমলা হ্যারিস

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে বিতর্কে হারিয়ে আনন্দে আটখানা ছিলেন রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু দুই মাস পরই তার সেই আনন্দ ফুরিয়ে গেছে। গত মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে এবিসি নিউজ আয়োজিত বিতর্কে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিসের কাছে পরাজিত হয়েছেন তিনি।

গত জুনে বিতর্কে বাইডেনকে হারিয়ে দেওয়ার পর ট্রাম্প খুব উৎফুল্ল ছিলেন। তিনি মনে করেছেন নির্বাচনেও তিনি সহজেই বাইডেনকে হারিয়ে দিতে সক্ষম হবেন। এরপর বাইডেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন এবং কমলাকে প্রার্থী ঘোষণা করেন। ফলে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন ট্রাম্প। সেই অবস্থা থেকে এখনো নিজেকে সামলে উঠতে পারেননি, সেটিই ফুঁটে উঠেছে বিতর্কের মধ্য দিয়ে। বিতর্কের পর পরই যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত শিল্পী টেইলর সুইফটের সমর্থন পেয়েছেন কমলা হ্যারিস। এ বিষয়টিও কমলার পক্ষে কাজ করছে। টেইলর সুইফটের রয়েছে বৃহৎ এক ভক্তকুল। তাদের কাছ থেকেও ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছেন তিনি।

এদিকে জয়ের আনন্দে হ্যারিস প্রচার শিবির আত্মহারা হয়ে যায়নি বলেই উল্লেখ করেছে সিএনএন। এখনো ডেলাওয়ারের উইলমিংটনের হ্যারিস সদর দপ্তরে বিরাজ করছে টানটান উত্তেজনা। তারা জানিয়েছে, এখনো নির্বাচনের বিষয়টি ৫০-৫০ মাত্রায় রয়েছে। যেকোনো সময় যেকোনো দিকে জনমত ঘুরে যেতে পারে। 

হ্যারিস প্রচার শিবিরের এক কর্মী বলেন, ‘আমরা এখন নজর সরাতে পারব না। এমনকি ভালো মুহূর্ত বলে অনুভূতি কাজ করলেও না।’

বিতর্কে কমলার ভালো করার জেরে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কর্মীরাও ট্রাম্পকে একহাত নেওয়ার সুযোগ ছাড়ছেন না। বিতর্কের প্রস্তুতিতে কমলা হ্যারিসকে সহায়তাকারী ফিলিপ রেইনেস বলেছেন, ২০১৬ সালের তুলনায় ট্রাম্প অনেক ধীরগতির হয়ে গেছেন। তিনি তাকে ‘ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রের’ সঙ্গেও তুলনা করেছেন। 

রেইনস বলেন, ‘কিছুটা কাঠামোর মধ্যে থাকলেও তিনি বেশ এলোমেলো ছিলেন। আমার মনে হয় তিনি চিন্তার ধারাবাহিকতা আর ধরে রাখতে পারছেন না। তার মনে যা আসছে তা-ই বলে বসছেন।’

বিতর্কের কয়েক ঘণ্টা পর অবশ্য এক অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখা যায়। রাজনৈতিক তিক্ততা ভুলে কয়েক ঘণ্টার জন্য একত্রে দাঁড়াতে দেখা যায় বাইডেন, কমলা, ট্রাম্প ও তার রানিং মেট জেডি ভ্যান্সকে। ৯/১১ আক্রমণের ২৩ বছর পূর্তিতে তারা একত্রিত হয়েছিলেন নিউইয়র্কের গ্রাউন্ড জিরোতে, যেখানে একসময় দাঁড়িয়ে ছিল ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার। পুরো আয়োজনটির নেপথ্যে কলকাঠি নেড়েছেন নিউইয়র্কের সাবেক মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ।

স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ওই অনুষ্ঠানে থাকা বাইডেনকে হাসতে দেখা যায়। তিনি অল্প সময়ের জন্য মাথায় ট্রাম্পের বেজবল ক্যাপও পরেন। হোয়াইট হাউস মুখপাত্র অ্যান্ড্রু বেটস জানান, এক ট্রাম্প সমর্থকের অনুরোধে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ক্যাপটি পরেছিলেন তিনি।

তবে এসবের বাইরে রাজনৈতিক লড়াই থেমে নেই। ট্রাম্প ফক্স নিউজকে বুধবার বলেছেন, ‘মঙ্গলবারের বিতর্ক ছিল তার ভালো বিতর্কগুলোর মধ্যে অন্যতম। যদিও ক্রমাগত আসতে থাকা নেতিবাচক পর্যালোচনা বলছে ভিন্ন কথা। ট্রাম্প এবিসি নিউজকে লক্ষ্য করেও সমালোচনা করেছেন।’ 

তিনি দাবি করেছেন, ‘বিতর্কটি পাতানো ছিল এবং মডারেটররা সমস্যা তৈরি করেছে। আয়োজনে তাকে তিনজনের বিরুদ্ধে একা লড়তে হয়েছে।’ 

আগামীতে কমলা হ্যারিসকে ট্রাম্পের সঙ্গে আবারও বিতর্কে দেখা যাবে কি না, সেটি নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। তিনি আবারও এরকম কোনো বিতর্কের আহ্বানে সাড়া দেবেন কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। সূত্র: সিএনএন

ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের রাহুল বাংলাদেশে উগ্রবাদ উত্থানের আশঙ্কা নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১৪ পিএম
আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১৮ পিএম
বাংলাদেশে উগ্রবাদ উত্থানের আশঙ্কা নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত
ভারতীয় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে সম্ভাব্য ‘উগ্রবাদের’উত্থান নিয়ে ভারত উদ্বিগ্ন বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা ও ভারতীয় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তবে রাহুল আশা প্রকাশ করে বলেছেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি শিগগিরই স্থিতিশীল হবে। ভারত বর্তমান সরকার ও পরবর্তী অন্যান্য সরকারের সঙ্গে কাজ করতে সক্ষম হবে। নির্দিষ্ট কোনো দল কিংবা ব্যক্তির সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক নয়, বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কিংবা ভবিষ্যতে যেকোনো সরকারের সঙ্গে কাজ করতে সক্ষম হবে ভারত।

গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির ন্যাশনাল প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। 

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে একথা তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চার দিনের এক বেসরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন রাহুল। মঙ্গলবার সেই সফর শেষ হয়। 

এর আগে রাহুল গান্ধী যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ক্যাপিটল হিলে সেদেশের একদল আইনপ্রণেতার সঙ্গে বৈঠক করেন। রাহুল সে বিষয়ে বলেন, আইন প্রণেতাদের সঙ্গে বৈঠকে আমরা বাংলাদেশের প্রসঙ্গ তুলে ধরি। তারাও এ বিষয়ে কথা বলেছেন।

রাহুল জানান, আমরা যেকোনো ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে। আমরা তা বন্ধ করতে চাই। সত্যি বলতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সহিংসতা বন্ধ করা বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব। আমাদের সরকারের দায়িত্ব সহিংসতা বন্ধে চাপ প্রয়োগ করা।

এ ছাড়াও রাহুল ইঙ্গিত দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক, সন্ত্রাসবাদ বন্ধ না করা পর্যন্ত পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করা, ইসরাইল ইস্যু ও বাংলাদেশে উগ্রবাদের উপস্থিতিসহ ভারতের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান প্রধান ইস্যুতে তার দল কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন বিজেপির সঙ্গে জোটবদ্ধ। সূত্র: এনডিটিভি

সর্বোচ্চ কক্ষপথে পৌঁছে স্পেসএক্স মহাকাশযানের রেকর্ড!

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫০ এএম
আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৪ এএম
সর্বোচ্চ কক্ষপথে পৌঁছে স্পেসএক্স মহাকাশযানের রেকর্ড!
স্পেসএক্সের ড্রাগন ক্যাপসুলে সওয়ার ক্রু

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেল স্পেসএক্সের বাণিজ্যিক মহাকাশযান। পৃথিবীর চারপাশে সর্বোচ্চ কক্ষপথে আরোহণের রেকর্ড গড়ল তারা। 

গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে স্পেসএক্সের ফ্যালকন-৯ রকেটে চড়ে মহাশূন্যের উদ্দেশে রওনা হন চার বেসামরিক মহাকাশচারী। মহাশূন্যে পৌঁছে তারা স্পেসএক্সের ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুলে সওয়ার হন। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই রেকর্ডবুকে নাম লেখাল যানটি। 

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রাত ৯টা ১৯ মিনিটে ১ হাজার ৪০০ দশমিক ৭ কিলোমিটার (৮৭০ মাইল)  উচ্চতায় পৌঁছায় যানটি। এর আগের রেকর্ড ছিল ১৯৬৬ সালে নাসার গেমিনি-১১ মিশনে ব্যবহৃত মহাকাশযানের। যেটি ১ হাজার ৩৭৩ কিলোমিটার (৮৫৩ মাইল) উচ্চতায় পৌঁছেছিল। স্পেসএক্স ইতিহাসের প্রথম এই বাণিজ্যিক মিশনের নাম দিয়েছে পোলারিস ডন।

এই মিশনটি আরেকটি কারণে তাৎপর্যপূর্ণ। এই মিশনে রওনা হওয়া সব নভোচারীই বেসামরিক ক্রু। প্রথমবারের মতো কোনো বেসামরিক ক্রু এই মিশনের মধ্য দিয়ে মহাশূন্যে হাঁটবেন (স্পেসওয়াক)। স্পেসএক্স এবং পোলারিস ডন মিশনের ক্রুরা এই মাইলস্টোন উদযাপন করলেও পাঁচ দিনব্যাপী এই মিশনের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ধাপটি বাকি আছে এখনো। 

সাধারণত মহাশূন্যগামী মিশনগুলোতে অবতরণের ধাপটিকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করা হয়। সূত্র: সিএনএন

দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ইঙ্গিত বাইডেনের

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৬ এএম
দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ইঙ্গিত বাইডেনের
দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মিসাইল। ছবি: সংগৃহীত

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই মিত্র দেশ ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোট। তবে এই মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করে রুশ ভূখণ্ডে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলার অনুমতি নেই ইউক্রেনের। 

বহুদিন ধরে দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে অনুরোধ জানিয়ে আসছে কিয়েভ। বিশেষ করে ৬ আগস্ট থেকে রাশিয়ার কারস্কে ইউক্রেনের অভিযান এবং জবাবে ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলে রাশিয়া পূর্ণমাত্রার অভিযান শুরু করলে এই আর্জি তীব্র হয় ইউক্রেন কর্তৃপক্ষের। অবশেষে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। 

ইতোমধ্যে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ‘তাদের চাহিদা এবং তার প্রেক্ষিতে পশ্চিমারা কী করতে পারে’ সে সম্পর্কে আলোচনা করতে কিয়েভ সফরে গিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড লেমি। এর আগে তারা ইউক্রেন যুদ্ধ সম্পর্কে করণীয় ঠিক করতে লন্ডনে বৈঠকে বসেছিলেন।
 
ইউক্রেনের ওপর অস্ত্র ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পশ্চিমাদের তৎপরতা সম্পর্কে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি মস্কো। তবে এর আগে বিভিন্ন সময় এ ধরনের উদ্যোগ ‘গুরুতর সমস্যার কারণ’ হতে পারে বলে হুঁশিয়ার করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এটি যুদ্ধের পরিসরকে আরও বাড়িয়ে দেবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন।

এর আগে ব্লিঙ্কেন তার যুক্তরাজ্য সফরে ইরানকে অভিযুক্ত করে বলেন, রাশিয়াকে স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করছে দেশটি। যেসব অস্ত্র ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সপ্তাহের মধ্যেই মোতায়েন হতে পারে বলে আশঙ্কা করেন ব্লিঙ্কেন। 

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লেমি ইরানের এই পদক্ষেপকে ‘তাৎপর্যপূর্ণ এবং বিপজ্জনক’ বলে অভিহিত করেছেন। এ ধরনের অস্ত্র রুশদের ভাণ্ডারে যুক্ত হওয়ার ফলে ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে হামলা বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইরান বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করে এলেও ইতোমধ্যে রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহের জেরে দেশটির ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জার্মানি। সূত্র: বিবিসি