মধ্যপ্রাচ্যে বাজছে যুদ্ধের দামামা। ইরানের মাটিতে ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার জবাব দিতে চায় তেহরান। দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। এ সময় পেজেশকিয়ান তেহরানের জবাব দেওয়ার পরিকল্পনাকে সঠিক বলে অভিহিত করেন। অন্যদিকে স্টারমার তাকে উত্তেজনা আর না বৃদ্ধির আহ্বান জানান।
গত সোমবার শেষভাগে পেজেশকিয়ান ও স্টারমারের মধ্যে ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয় বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ। পেজেশকিয়ান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলের ‘নজিরবিহীন অমানবিক অপরাধের’ ব্যাপারে পশ্চিমা দেশগুলোর চুপ থাকার বিষয়টি মধ্যপ্রাচ্য ও অন্যান্য স্থানে ইসরায়েলি আক্রমণে ইন্ধন জোগাচ্ছে।
বিষয়টিকে দায়িত্বজ্ঞানহীন আখ্যা দিয়ে পেজেশকিয়ান বলেছেন, ইসরায়েল আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সুরক্ষাকে ঝুঁকির মুখে এনে দাঁড় করাচ্ছে। অঞ্চলে শান্তি ও স্থিরতা ফিরিয়ে আনার পন্থা নিয়েও আলোচনা করেন দুই নেতা। এ ছাড়া দুই নেতা নিজেদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেন। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়নি।
ইসরায়েল জুলাইয়ে হানিয়ার মৃত্যুতে নিজ ভূমিকার কথা স্বীকার করেনি, আবার এ দাবি অস্বীকারও করেনি। এর আগে অবশ্য ইসরায়েল হানিয়া ও অন্যান্য হামাস নেতাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। ইসরায়েল গাজার যুদ্ধ শুরু করেছিল হামাসকে নির্মূলের লক্ষ্য নিয়েই।
ইসরায়েলের সঙ্গে লেবাননের হিজবুল্লাহরও সাম্প্রতিক সময়ে উত্তেজনাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনাও ঘটেছে।
ইসরায়েলি আক্রমণে গাজায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৩২ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় ৩২ হাজার ৯২৯ জন মারা গেছে। আহত হয়েছে ৯২ হাজার ২৪০ জন। সূত্র: গার্ডিয়ান