ঢাকা ৩০ ভাদ্র ১৪৩১, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পেজেশকিয়ানের সঙ্গে স্টারমারের ফোনালাপ মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের দামামা

প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৪৫ এএম
মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের দামামা
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার ও ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান

মধ্যপ্রাচ্যে বাজছে যুদ্ধের দামামা। ইরানের মাটিতে ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার জবাব দিতে চায় তেহরান। দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। এ সময় পেজেশকিয়ান তেহরানের জবাব দেওয়ার পরিকল্পনাকে সঠিক বলে অভিহিত করেন। অন্যদিকে স্টারমার তাকে উত্তেজনা আর না বৃদ্ধির আহ্বান জানান।

গত সোমবার শেষভাগে পেজেশকিয়ান ও স্টারমারের মধ্যে ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয় বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ। পেজেশকিয়ান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলের ‘নজিরবিহীন অমানবিক অপরাধের’ ব্যাপারে পশ্চিমা দেশগুলোর চুপ থাকার বিষয়টি মধ্যপ্রাচ্য ও অন্যান্য স্থানে ইসরায়েলি আক্রমণে ইন্ধন জোগাচ্ছে। 

বিষয়টিকে দায়িত্বজ্ঞানহীন আখ্যা দিয়ে পেজেশকিয়ান বলেছেন, ইসরায়েল আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সুরক্ষাকে ঝুঁকির মুখে এনে দাঁড় করাচ্ছে। অঞ্চলে শান্তি ও স্থিরতা ফিরিয়ে আনার পন্থা নিয়েও আলোচনা করেন দুই নেতা। এ ছাড়া দুই নেতা নিজেদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেন। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়নি।  

ইসরায়েল জুলাইয়ে হানিয়ার মৃত্যুতে নিজ ভূমিকার কথা স্বীকার করেনি, আবার এ দাবি অস্বীকারও করেনি। এর আগে অবশ্য ইসরায়েল হানিয়া ও অন্যান্য হামাস নেতাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। ইসরায়েল গাজার যুদ্ধ শুরু করেছিল হামাসকে নির্মূলের লক্ষ্য নিয়েই।

ইসরায়েলের সঙ্গে লেবাননের হিজবুল্লাহরও সাম্প্রতিক সময়ে উত্তেজনাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনাও ঘটেছে। 

ইসরায়েলি আক্রমণে গাজায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৩২ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় ৩২ হাজার ৯২৯ জন মারা গেছে। আহত হয়েছে ৯২ হাজার ২৪০ জন। সূত্র: গার্ডিয়ান

ন্যাটো মিত্রদের পুতিনের হুঁশিয়ারি, ৬ ব্রিটিশ কূটনীতিক বহিষ্কার

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০৮ এএম
ন্যাটো মিত্রদের পুতিনের হুঁশিয়ারি, ৬ ব্রিটিশ কূটনীতিক বহিষ্কার
রাশিয়ার কারস্ক অঞ্চলে পড়ে আছে ইউক্রেনের হামলায় বিধ্বস্ত ট্যাংক। কারস্কে ইউক্রেনীয় আক্রমণের তীব্রতা ফুঁটিয়ে তুলেছে বিষয়টি। সংগৃহীত

পশ্চিমকে সতর্ক করে দিয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেন্ট পিটার্সবার্গে এক বক্তব্যে তিনি গত বৃহস্পতিবার বলেছেন, রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালানোর জন্য ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়া হলে তা হবে যুদ্ধ-কর্মকাণ্ডের শামিল।

পুতিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এর অর্থ হলো ন্যাটো দেশগুলো– যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলো– রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়াচ্ছে। আর এ রকমটি হলে মনে রাখবেন আমাদের ওপর আসা হুমকি মোকাবিলায় আমরাও প্রতিক্রিয়ায় যথাযথ সিদ্ধান্ত নেব।’

পুতিনের মন্তব্য এমন একটি সময়ে এল যখন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো মিত্র অংশীদাররা ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিতে চাইছে। ওই অস্ত্র হাতে পেলে ইউক্রেন রাশিয়ার বিভিন্ন সামরিক অবকাঠামোতে আঘাত হানতে পারবে। কিয়েভ যুদ্ধের শুরু থেকেই এটি নিয়ে প্রকাশ্যে চাপ দিয়ে আসছে ন্যাটো মিত্রদের।

কিয়েভে সাম্প্রতিক এক সফরের সময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে এ ধরনের অস্ত্র সরবরাহ প্রশ্নে নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে। এদিকে, ন্যাটোর অন্যতম সদস্য যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমার বর্তমানে ওয়াশিংটনে রয়েছেন। সেখানে থেকেই তিনি পুতিনের হুমকির প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

বিবিসির খবর বলছে, হুমকি খুব একটা আমলে নেননি স্টারমার। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ইস্যুতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ইউক্রেনের নিজেকে রক্ষার অধিকার রয়েছে। 

পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্কও জানিয়েছেন, পুতিনের হুঁশিয়ারিতে তিনি উদ্বিগ্ন নন। 

এক সংবাদ সম্মেলনে টাস্ক বলেন, ‘এটি খুব জরুরি যে ইউক্রেন ও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রের সব বিষয়কে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। তবে আমি প্রেসিডেন্ট পুতিনের সর্বশেষ বিবৃতিকে বেশি গুরুত্ব দেব না। রাশিয়া যে যুদ্ধক্ষেত্রে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে, সেটিই উঠে এসেছে তাদের বক্তব্যে।’

ছয় ব্রিটিশ কূটনীতিককে মস্কো থেকে বহিষ্কার
রাশিয়ার এফএসবি নিরাপত্তা সেবা গত শুক্রবার ছয় ব্রিটিশ কূটনীতিককে মস্কো থেকে বহিষ্কার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি ও ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষতিসাধনের অভিযোগ এনেছে তারা। 

এ প্রসঙ্গে মস্কোর ব্রিটিশ দূতাবাস থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

সোভিয়েত ইউনিয়নের আমলে গোয়েন্দা সংস্থা হিসেবে গোটা বিশ্বেই পরিচিতি লাভ করেছিল কেজিবি। পরে দেশটি ভেঙে রাশিয়া হওয়ার পর কেজিবির উত্তরসূরি হয় এফএসবি। 

গোয়েন্দা সংস্থাটি বলছে, তাদের কাছে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করছে এ রকম নথি রয়েছে। এ রকমই এক নথির বরাতে তারা জেনেছে, পূর্ব ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ায় রাজনৈতিক ও সামরিক পরিস্থিতি প্রতিকূল করে তোলার পেছনে ভূমিকা রাখছে লন্ডনের ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর। এ ছাড়া তারা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার কৌশলগত পরাজয় নিশ্চিত করতে কাজ করছিল। 

তবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এ অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন। 

এ প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ গত মাসে যুক্তরাজ্যের ৬ কূটনীতিকের কূটনৈতিক মর্যাদা বাতিল করেছে। ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যে রাশিয়া যে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে, সেটির প্রতিক্রিয়াতেই যুক্তরাষ্ট্র সরকার যা করেছে তারই জেরে ওই ঘটনা ঘটিয়েছে রাশিয়া। সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স

পশ্চিমবঙ্গে কর্মবিরতিতে মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা মমতার

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০৩ এএম
পশ্চিমবঙ্গে কর্মবিরতিতে মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা মমতার
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতির ফলে এখন পর্যন্ত বিনা চিকিৎসায় ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, ওই ২৯ জনের পরিবারকে দুই লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) মমতা বলেন, ‘জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির ফলে স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। তার ফলে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক। মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে রাজ্য সরকার দুই লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করেছে। ২৯ জন মৃতের পরিবারকে ওই টাকা দেওয়া হবে।’

আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে গত এক মাসের বেশি সময় ধরে আন্দোলন করছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। তারা রাজ্যজুড়ে কর্মবিরতি পালন করছেন। বর্তমানে তারা সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে প্রতিবাদে বসেছেন। গতকাল প্রতিবাদের চতুর্থ দিন ছিল। সূত্র: এনডিটিভি, আনন্দবাজার

জামিনে মুক্ত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৬ এএম
জামিনে মুক্ত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল

মদ নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় ভারতের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জামিন দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। ছয় মাস বিনা বিচারে জেলে থাকার পর কারামুক্ত হতে যাচ্ছেন দেশটির আম আদমি পার্টির (এএপি) প্রধান এই নেতা।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, দিল্লি সরকারের মদ নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) গত মার্চে কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করেছিল। তারপর থেকে কারাগারে আছেন তিনি।

গত জুনে নিম্ন আদালতে তিনি জামিন পেলেও কারামুক্ত হওয়ার আগ মুহূর্তে তার জামিন আটকাতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। তাদের যুক্তি শুনে দিল্লি হাইকোর্ট এক মৌখিক আদেশে কেজরিওয়ালের জামিন স্থগিত করেন। পরে আদালত চত্বর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। এই পদক্ষেপের বৈধতা তুলে উচ্চ আদালতে আবেদন করেছিলেন তিনি।

গতকাল সকালে কেজরিওয়ালের দুটি আবেদনের বিষয়ে পৃথক আদেশ দিয়েছেন দুই বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়া ও সূর্য কান্ত। তবে দিল্লির গভর্নর ভি কে সাক্সেনার অনুমতি ছাড়া কেজরিওয়াল তার অফিসে বা দিল্লির সচিবালয়ে যেতে পারবেন না এবং ফাইলে স্বাক্ষর করতে পারবেন না। 

ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৪০ ফিলিস্তিনি

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫২ এএম
ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৪০ ফিলিস্তিনি

মধ্য গাজার নুসেইরাতে জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুল আল-জাউনিতে ইসরায়েলি হামলায় ছয় জাতিসংঘ কর্মীসহ অন্তত ১৮ জন নিহতের ঘটনায় আন্তর্জাতিক নিন্দা ও ক্ষোভ বিদ্যমান রয়েছে। এরই মধ্যে আবারও ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস আল-জাউনি স্কুলে হামলার পর গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, গাজা উপত্যকায় ‘ভয়াবহ সহিংসতা’ বন্ধ করতে হবে।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জাতিসংঘপ্রধান বলেন, ‘গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে ইসরায়েলের ওপর আরও চাপ দেওয়া উচিত যুক্তরাষ্ট্রের। আমি আমেরিকান রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে যথেষ্ট জানি, এটি ঘটবে না। তবে মার্কিন চাপ অব্যাহত রাখা এবং দ্বিরাষ্ট্র সমাধানকে অবমূল্যায়ন করা উচিত নয়- এটা স্পষ্ট করা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় আহত হয়েছেন প্রায় ২৫ শতাংশ লোক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, আহতদের মধ্যে কমপক্ষে ২২ হাজার ৫০০ জন গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত। ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ৪১ হাজার ১১৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৯৫ হাজার ১২৫ জন। সূত্র: আল-জাজিরা

কমলার সঙ্গে আর বিতর্ক করবেন না ট্রাম্প

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১৫ পিএম
কমলার সঙ্গে আর বিতর্ক করবেন না ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম ও কমলা হ্যারিস

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিখ্যাত টিভিতে নিজেকে আকর্ষণীয় ও চটকদার হিসেবে উপস্থাপন করার জন্য অনেকের কাছে তার আচরণ ভালো না লাগলেও বেশ আগ্রহ নিয়ে অনেকে দেখেন সেসব। তবে এবার সেই ট্রাম্প হতাশ করতে চলেছেন সবাইকে। কমলা হ্যারিসের সঙ্গে আর কোনো বিতর্কে অংশ নেবেন না তিনি। অন্তত আপাতত এটিই তার সিদ্ধান্ত।

কমলা হ্যারিসের সঙ্গে গত মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে এবিসি নিউজের আয়োজনে এক বিতর্কে অংশ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্লেষকদের দৃষ্টিতে কমলা জিতেছেন। আর এতে বিপাকে পড়েছেন ট্রাম্প। কারণ বাকপটু ট্রাম্পের জন্য এভাবে পরাজিত হওয়ার অর্থ, তা নির্বাচনে প্রভাব ফেলা। 

তবে ট্রাম্প অবশ্য শুরু থেকেই দাবি করে যাচ্ছেন, তিনিই জিতেছেন এবং এটি তার করা সেরা বিতর্কগুলোর মধ্যে অন্যতম। তার এ দাবি অবশ্য মানতে নারাজ অনেকেই। খোদ ট্রাম্পের পক্ষে সাফাই গাওয়া টিভি চ্যানেল ফক্স নিউজের বিশ্লেষকরাও রায় দিয়েছেন, কমলাই জিতেছেন। এরকম পরিস্থিতিতে ট্রাম্প সুর পাল্টে চেষ্টা করেছিলেন ‘বিতর্কটি পাতানো ছিল’ এমন দাবি তোলারও।

এখন আবার পুরোনো দাবিতেই ফিরে গেছেন রিপাবলিকান পার্টির এই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। তিনি জানান, যেহেতু বিতর্কে তিনিই জিতেছেন, সেহেতু নতুন করে আর বিতর্কের কোনো প্রয়োজন নেই। ট্রাম্প বলছেন, ‘যেহেতু আমরা দুটি বিতর্ক করেছি এবং দুটি সফল ছিল, সেহেতু তৃতীয় আর কোনো বিতর্ক হবে না। অবশ্য এ ক্ষেত্রেও অনেক দেরি হয়ে গেছে। প্রচার এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে।’ 

গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) অ্যারিজোনাতে এক বক্তব্যে ওই মন্তব্য করেন তিনি। দুটি বিতর্ক বলতে মূলত তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে করা প্রথম বিতর্কের কথা বোঝাচ্ছেন। তিনি জুনের ওই বিতর্কটিতে জিতেছিলেন। সেটায় শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়ে বাইডেনকে বিদায় নিতে হয়েছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড় থেকেই। তার স্থলাভিষিক্ত হয়ে ইতিহাস গড়েছেন কমলা হ্যারিস।

তবে ট্রাম্পের কমলা হ্যারিসের সঙ্গে আর বিতর্ক করতে না চাওয়ার পেছনে সম্ভাব্য আরেকটি কারণ থাকতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন। হয়তো তিনি আর সবার সামনে নিজেকে অপ্রস্তুত, অমনোযোগী হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছেন না। হয়তো এর মধ্য দিয়ে নিজের নির্বাচনি ঝুঁকি কমাতে চাইছেন তিনি। 

জনমত জরিপ বলছে, কমলা হ্যারিসের সঙ্গে ব্যাপক টক্কর দিতে হচ্ছে ট্রাম্পকে। কিছুটা পিছিয়েও আছেন তিনি। তবে অর্থনীতি ও অভিবাসন ইস্যুর মতো বিষয়গুলো সামনে ভোটারদের সমর্থন পেতে তাকে সহায়তা করতে পারে। 

এদিকে বিতর্কের পর যে শুধু ট্রাম্পের সুর পাল্টে গেছে, তা নয়। কমলা হ্যারিসের সুরও পাল্টেছে। তিনি মঙ্গলবার রাতের বিতর্কের পর বলেছেন, ভোটারদের জন্য তার ও ট্রাম্পের আবার বিতর্ক করা প্রয়োজন। অথচ বিতর্কের আগে বিশ্লেষকদের মনে সংশয় ছিল কমলা ভালো পারফর্ম করতে পারবেন কি না। বিতর্কটি বাইডেনের মতো তার জন্যও আত্মঘাতী হয়ে দাঁড়াবে কি না, সেসব সংশয় এখন আর নেই। উল্টো এখন ভবিষ্যৎ বিতর্ক থেকে পিছিয়ে আসার জন্য কমলার প্রচার শিবির থেকেও ট্রাম্পকে নিয়ে নানা ধরনের পোস্ট করা হচ্ছে। যেমন- হ্যারিসের প্রচার শিবিরের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ডেভিড প্লাউফ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ট্রাম্পকে তাচ্ছিল্য করে ‘চিকেন ম্যান’ বা ‘ভীতু মানুষ’ আখ্যা দিয়েছেন।

সিএনএনের প্রতিবেদন বলছে, রিপাবলিকান পার্টির মনোনীত প্রার্থী ট্রাম্পের মন পরিবর্তনের রেকর্ড রয়েছে। হয়তো সামনে মন বদলাতেও পারেন তিনি। সূত্র: সিএনএন