ঢাকা ৯ মাঘ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫

শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরানো যে কারণে কঠিন

প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৪, ১২:১৮ পিএম
আপডেট: ২২ আগস্ট ২০২৪, ০১:০১ পিএম
শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরানো যে কারণে কঠিন
শেখ হাসিনা

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ‘প্রত্যর্পণযোগ্য অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত বা ফেরার আসামি ও বন্দিদের একে অপরের কাছে হস্তান্তরের জন্য একটি চুক্তি আছে সেই ২০১৩ সাল থেকেই। কিন্তু বর্তমানে ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেশে একের পর এক মামলা হলেও এই চুক্তির আওতায় তাকে ফেরানো যাবে- সেই সম্ভাবনা কার্যত নেই বলেই মনে করছেন দিল্লির পর্যবেক্ষক ও বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে সত্যিই যদি এ ধরনের কোনো অনুরোধ আসে, সে ক্ষেত্রে ভারত সরকারের অবস্থান কী হবে সে বিষয়টি নিয়েও দিল্লি আপাতত মুখ খুলতে চাইছে না।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল যেমন বলছেন, ‘যদি প্রত্যর্পণের কথা বলেন, তা হলে সেটা তো পুরোপুরি কাল্পনিক (হাইপোথেটিক্যাল) একটা প্রশ্ন। এ রকম পরিস্থিতিতে কাল্পনিক কোনো প্রশ্নের জবাব দেওয়াটা আমাদের রেওয়াজ নয়!’

আপাতত নির্দিষ্ট জবাব এড়িয়ে গেলেও ঢাকার কাছ থেকে এই ধরনের অনুরোধ যে আগামী দিনে আসতে পারে, সেই সম্ভাবনা কিন্তু দিল্লি নাকচ করছে না। পাশাপাশি বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ মহল থেকেও আভাস পাওয়া যাচ্ছে, এই সম্ভাবনাটা হয়তো খুব বেশি দিন আর ‘কাল্পনিক’ থাকবে না।

যেমন বাংলাদেশের বর্তমান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গত সপ্তাহেই বলেছেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যেসব মামলা রুজু হচ্ছে তার ভিত্তিতে স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে ভারতকে এই প্রত্যর্পণের অনুরোধ জানানো হবে কি না। ‘সে ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যেকার চুক্তি অনুযায়ী তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন হবে’, মন্তব্য করেন তিনি।

তবে বাস্তবতা হলো, ওই চুক্তির আওতায় যদি প্রত্যর্পণের অনুরোধ জানানোও হয়, তা হলেও সেই অনুরোধ রক্ষা করার কাজটা যে সহজ হবে না সেটা ঢাকারও বিলক্ষণ জানা। কারণ, ওই চুক্তিতে এমন কতগুলো বিধান বা শর্ত আছে, যার যে কোনোটাকে ব্যবহার করে ভারত এই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতে পারে। নানা আইনি জটিলতা বা মারপ্যাঁচ দেখিয়েও সেই অনুরোধ ফেলে রাখতে পারে দিনের পর দিন।

সবচেয়ে বড় কথা, শেখ হাসিনা বিগত প্রায় ৫০ বছর ধরে ভারতের সবচেয়ে আস্থাভাজন ও বিশ্বস্ত বন্ধুদের একজন। ফলে তাকে বিচারের জন্য বা দণ্ডিত হলে শাস্তিভোগের জন্য বাংলাদেশের হাতে ভারত তুলে দেবে- বাস্তবে এই সম্ভাবনা কার্যত নেই বললেই চলে।

এই পদক্ষেপের জন্য হাজারটা যুক্তি বের করাও কোনো কঠিন কাজ নয়। আর ইতোমধ্যে শেখ হাসিনা যদি তৃতীয় কোনো দেশে গিয়ে আশ্রয় নেন, তা হলে ভারতকে আর কোনো অস্বস্তিতেই পড়তে হবে না। এ কারণেই আপাতত প্রশ্নটিকে ‘কাল্পনিক’ বলে ভারত জবাব এড়িয়ে যাচ্ছে।

তবে প্রত্যর্পণের অনুরোধ সত্যিই এলে কোন কোন যুক্তিতে তা ঝুলিয়ে রাখা বা নাকচ করা সম্ভব- এই প্রতিবেদনে সেটাই দেখা হয়েছে।

‘রাজনৈতিক অভিসন্ধি’
বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে ২০১৩ সালে স্বাক্ষরিত প্রত্যর্পণ চুক্তিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা আছে। আর সেটা হলো- যার হস্তান্তরের জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগটা যদি ‘রাজনৈতিক প্রকৃতি’র হয়, তা হলে সেই অনুরোধ খারিজ করা যাবে। তবে, কোন কোন অপরাধের অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক’ বলা যাবে না, সেই তালিকাও বেশ লম্বা। এর মধ্যে হত্যা, গুম, অনিচ্ছাকৃত হত্যা ঘটানো, বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো ও সন্ত্রাসবাদের মতো নানা অপরাধ আছে।

এখন গত দুই সপ্তাহে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে যেসব মামলা রুজু হয়েছে তার মধ্যে হত্যা, গণহত্যা, গুম ও নির্যাতনেরও নানা অভিযোগ আছে। ফলে আপাতদৃষ্টিতে এগুলোকে ‘রাজনৈতিক’ বলে খারিজ করা কঠিন।

তার ওপর ২০১৬ সালে যখন মূল চুক্তিটি সংশোধন করা হয়, তখন এমন একটি ধারা যুক্ত করা হয়েছিল, যা হস্তান্তরের প্রক্রিয়াকে বেশ সহজ করে তুলেছিল। সংশোধিত চুক্তির ১০ (৩) ধারায় বলা হয়েছিল, কোনো অভিযুক্তের হস্তান্তর চাওয়ার সময় অনুরোধকারী দেশকে সেই সব অভিযোগের পক্ষে কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ পেশ না করলেও চলবে- শুধু সংশ্লিষ্ট আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পেশ করলেই সেটিকে বৈধ অনুরোধ হিসেবে ধরা হবে। তার মানে দাঁড়াচ্ছে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে যেসব মামলা দায়ের হয়েছে, তার কোনোটিতে যদি আদালত ‘ফেরার’ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেয়, তা হলে তার ভিত্তিতেই বাংলাদেশ সরকার ভারতের কাছে তার হস্তান্তরের অনুরোধ জানাতে পারবে।

কিন্তু এর পরও চুক্তিতে এমন কিছু ধারা আছে, যেগুলো প্রয়োগ করে অনুরোধ-প্রাপক দেশ তা খারিজ করার অধিকার রাখে। 
যেমন, অনুরোধ-প্রাপক দেশেও যদি ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো ‘প্রত্যর্পণযোগ্য অপরাধে’র মামলা চলে, তা হলে সেটা দেখিয়ে অন্য দেশের অনুরোধ খারিজ করা যায়। শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে অবশ্য এটা প্রযোজ্য নয়। কারণ ভারতে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা হচ্ছে না বা অচিরে হওয়ারও আশঙ্কা নেই।

দ্বিতীয় ধারাটি হলো, যদি অনুরোধ-প্রাপক দেশের মনে হয় ‘অভিযোগগুলো শুধুমাত্র ন্যায়বিচারের স্বার্থে, সরল বিশ্বাসে আনা হয়নি’- তা হলেও তাদের সেটি নাকচ করার ক্ষমতা থাকবে।

অভিযোগগুলো যদি ‘সামরিক অপরাধে’র হয়, যা সাধারণ ফৌজদারি আইনের পরিধিতে পড়ে না- তা হলেও একইভাবে অনুরোধ নাকচ করা যাবে।

এখন ভারত যদি সত্যিই শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের কোনো অনুরোধ পায়, তা হলে দ্বিতীয় ধারাটি প্রয়োগ করেই তা খারিজ করা যাবে বলে দিল্লিতে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

স্ট্র্যাটেজিক থিঙ্কট্যাঙ্ক আইডিএসএ-র সিনিয়র ফেলো স্ম্রুতি পট্টনায়ক বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘প্রথমেই বলা দরকার, আমি মনে করি না বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের কাছে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের জন্য কোনো আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানাবে।’

তার মতে, এতে দুই দেশের সম্পর্ক তিক্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে- যে ঝুঁকিটা হয়তো বাংলাদেশের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে সদ্য দায়িত্ব নেওয়া একটি সরকার নেবে না। তিনি সেই সঙ্গেই যোগ করেন, ‘তবে তারপরও যদি এই অনুরোধ জানানো হয়, তা হলেও সেটা রাজনৈতিক অভিসন্ধিমূলক বলে মনে করার জন্য ভারতের হাতে কিন্তু যথেষ্ট যুক্তি থাকবে।’

‘যেমন ধরুন, মঙ্গলবারই আদালতে তোলার সময় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিকে যেভাবে কিল-ঘুষি মারা হলো, কিংবা তার আগে সাবেক শিল্প উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বা সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে আদালতে হেনস্থা হতে হলো- তা হলে বিচারের জন্য বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া হলে শেখ হাসিনারও যে একই পরিণতি হবে না, এই নিশ্চয়তা কে দেবেন?’

সোজা কথায়, এসব ঘটনার দৃষ্টান্ত দিয়ে ভারত অনায়াসেই বলতে পারবে, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে সঠিক ও সুষ্ঠু বিচার পাবেন বলে তারা মনে করছে না এবং সে কারণেই তাকে হস্তান্তর করা সম্ভব নয়। অর্থাৎ ‘অভিযোগগুলো শুধুমাত্র ন্যায়বিচারের স্বার্থে, সরল বিশ্বাসে আনা হয়নি’- এই ধারাটি ব্যবহার করেই তখন প্রত্যর্পণের অনুরোধ নাকচ করা যাবে বলে দিল্লিতে অনেক পর্যবেক্ষকের অভিমত।

সময়ক্ষেপণের রাস্তা?
তবে, ভারতে আর একদল বিশ্লেষক মনে করেন, যদি সত্যিই শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনাকে হস্তান্তর করার জন্য ভারতের কাছে কোনো অনুরোধ আসে- তা হলে সঙ্গে সঙ্গে বা সরাসরি তা নাকচ না করে দিল্লি দিনের পর দিন তা ঝুলিয়েও রেখে দিতে পারে।

ভারতের সাবেক শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিবিদ টিসিএ রাঘবন সোজাসুজি বলছেন, বিপদের মুহূর্তে শেখ হাসিনাকে ভারত যেভাবে আশ্রয় দিয়েছে সেটাই ভারতের নীতি– তাকে ‘আরও বড় বিপদে ফেলা’টা ভারতের জন্য কোনো ‘অপশন’ হতেই পারে না! তার জন্য যেকোনো ‘উপায়’ বা যেকোনো ‘যুক্তি’ খুঁজে বের করাটাও তেমন কোনো সমস্যা নয় বলে মনে করেন তিনি।

‘একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, শেখ হাসিনার পাশে এখন যদি আমরা না দাঁড়াই, তা হলে বিশ্বের কোথাও আর কোনো বন্ধু দেশের নেতা ভারতকে বিশ্বাস করতে পারবেন না, ভারতের ওপর আস্থা রাখতে পারবেন না’, বলেন রাঘবন।

আর এই ‘পাশে দাঁড়ানোর’ই একটা রাস্তা হতে পারে- শেখ হাসিনাকে হস্তান্তরের অনুরোধ অনির্দিষ্টকালের জন্য অনিশ্চিত করে তোলা। কারণ, এই ধরনের সব চুক্তিতেই নানা ‘লুপহোল’ বা ‘ফাঁকফোকর’ থাকে- যেগুলো কাজে লাগিয়ে আইনি বিশেষজ্ঞরা কয়েক মাস বা কয়েক বছর পর্যন্ত একটা অনুরোধকে স্থগিত করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। শেখ হাসিনার ক্ষেত্রেও (যদি তার প্রত্যর্পণের অনুরোধ আসে) ভারতও একই ধরনের পথ নেবে বলে বহু বিশ্লেষক নিশ্চিত।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও ঢাকায় ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত পিনাকরঞ্জন চক্রবর্তী আবার মনে করিয়ে দিচ্ছেন, এই ধরনের চুক্তির আওতায় অনুরোধ মঞ্জুর হতে এমনিতেও অনেক সময় বছরের পর বছর লেগে যায়। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, ‘মুম্বাইয়ে ২৬/১১-র জঙ্গি হামলার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত তাহাউর হুসেন রানা- যিনি একজন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক- তাকে হাতে পাওয়ার জন্য ভারত চেষ্টা চালাচ্ছে সেই ২০০৮ সাল থেকে। এখন ধরুন, ভারত ও আমেরিকার মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি আছে কিন্তু সেই ১৯৯৭ সাল থেকে। অন্য বহু দেশেরও আগে আমেরিকার সঙ্গে ভারত এই চুক্তি করেছে। ফলে এতদিনে তাকে তো ভারতের হাতে পেয়ে যাওয়াই উচিত ছিল, তাই না?’

‘কিন্তু আমরা সবে গত সপ্তাহে (১৫ আগস্ট) দেখলাম ক্যালিফোর্নিয়ার একটি আদালত রায় দিয়েছে, রানাকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া যাবে। ইতোমধ্যেই প্রায় ১৬ বছর কেটে গেছে, এখন দেখুন হাতে পেতে আরও কত সময় লাগে’, বলছিলেন পিনাকরঞ্জন চক্রবর্তী।

ফলে শেখ হাসিনাকে হস্তান্তরের জন্য ভারতের কাছে কোনো অনুরোধ এলে সেটা যে কয়েক দিন বা কয়েক মাসের মধ্যেই নিষ্পত্তি হয়ে যাবে- তা মনে করার কোনো কারণ নেই। আর তারও আগে যদি শেখ হাসিনা ভারত ছেড়ে তৃতীয় কোনো দেশের উদ্দেশে পাড়ি দেন (যে সম্ভাবনা দিল্লিতে সরকারি কর্মকর্তারা এখনো নাকচ করছেন না)- তা হলে ওই ধরনের কোনো অনুরোধ আসার বা তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ারও প্রশ্ন উঠবে না। সূত্র: বিবিসি বাংলা

অমিয়/

মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করলেন ট্রাম্প

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৬ পিএম
আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৬ পিএম
মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করলেন ট্রাম্প
মেক্সিকো উপসাগেরর নাম পরিবর্তনের নির্বাহী আদেশে সই করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

ক্ষমতা গ্রহণের পরদিনই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করে ‘আমেরিকা উপসাগর’ রাখা হয়েছে। উপসাগেরর ছবি, ম্যাপ ও ডাটাবেজও প্রকাশ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) এই পরিবর্তনের ঘোষণা দেন মার্কিন কোস্টগার্ডের ভারপ্রাপ্ত কমান্ড্যান্ট অ্যাডমিরাল কেভিন লান্ডে।

ট্রাম্প প্রশাসন জানায়, নতুন নামের সঙ্গে উপসাগরীয় সীমান্তে অবৈধ অভিবাসন, মাদক পাচার ও শত্রুতাপূর্ণ কার্যক্রম রোধে নতুন নিরাপত্তা অপারেশন চালু হবে।

এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার অভিষেকের আগেই এই পরিবর্তনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) ট্রাম্প তার অভিষেক ভাষণেও মেক্সিকো উপসাগরের কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমেরিকা উপসাগর নামটি জাতীয় গৌরবের প্রতীক এবং এ নামটি আরও আকর্ষণীয় শোনায়।’

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সকল ফেডারেল সংস্থাকেও এখন থেকে ‘গালফ অব আমেরিকা’ বা আমেরিকান উপসাগর নামটি ব্যবহার করতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট্রাল ফ্লোরিডার রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক অবরি জিয়েট বলেন, এটা খুবই নজিরবিহীন বিষয় যে একজন প্রেসিডেন্ট তার ইচ্ছেমতো সকল ফেডারেল এজেন্সির জন্য কোনো কিছুর নাম পরিবর্তন করতে পারেন। তিনি আরও বলেন, এধরনের নাম পরিবর্তনের ক্ষমতা নেই তার (প্রেসিডেন্টের), সেটা মেক্সিকো কিংবা বিশ্বের যে প্রান্তেই হোক।

গালফ অব মেক্সিকো। ছবি: সংগৃহীত

এদিকে এ উপসাগেরর নাম পরিবর্তন করায় ট্রাম্পের তীব্র সমালোচনা করেছে মেক্সিকো। মেক্সিকোর প্রধানমন্ত্রী ক্লাউজিয়া শিনবাম মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেসকে বলেন, আমরা একে মেক্সিকো উপসাগরই বলব। সারা বিশ্বের মানুষও একে মেক্সিকো উপসাগর বলবে।

কেন নাম পরিবর্তন

ট্রাম্প বলেন, নাম পরিবর্তনের পেছনে উপসাগরটির কৌশলগত গুরুত্ব অন্যতম। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার উপকূলবর্তী সাগরে মৎস্য সম্পদ আহরণ, বিলিয়ন ডলারের ট্যুরিজম, জ্বালানি তেল উৎপাদনসহ যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক অর্থনীতি ও দেশের গৌরব জড়িত এ উপসাগরের সঙ্গে।

ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ফ্লোরিডার গ্লোবাল স্টাডিজের অধ্যাপক রব মেলেন জানান, এ উপসাগরে গুরুত্বপূর্ণ তেল ও গ্যাসের মজুত রয়েছে যা দেশের শিল্প কারখানার জন্য বড় যোগান হবে। তিনি আরও জানান, এখানে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ জীবাশ্ম জ্বালানির ১৫ শতাংশ মজুত রয়েছে।

ক্ষমতাগ্রহণের আগে ট্রাম্প কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ডেনমার্ক থেকে গ্রীনল্যান্ড দখল করার হুমকি দিয়েছেন। পানামার কাছ থেকে পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথা তিনি বার বার বলছেন। তার ফেরিফাইড এক্স অ্যাকাউন্টে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মানচিত্রের ছবি একত্রে করে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা জুড়ে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মানচিত্র হিসেবে প্রকাশ করেছেন। তিনি তার নির্বাচনি প্রচারে বার বার ‘মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ স্লোগান দিয়েছেন। তাহলে গ্রীনল্যান্ড, কানাডা, মেক্সিকো, পানামা খাল দখল করেই কি তিনি বৃহত্তর গ্রেট আমেরিকার স্বপ্ন দেখেন? সূত্র: ফক্স১৩, পিপল ডট কম

মাহফুজ/এমএ/

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পানামার নালিশ

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৪৯ পিএম
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পানামার নালিশ
ছবি: সংগৃহীত

পানামা খালের দখলদারিত্ব নিয়ে ট্রাম্পের বিতর্কিত মন্তব্যের পর জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে পানামা প্রশাসন।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা এএফপিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

এসময় পানামা  বন্দর কর্তৃপক্ষ বার্ষিক হিসেবের একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেসকে আনুষ্ঠানিক চিঠিতে ট্রাম্পের হুমকির বিষয়টি উল্লেখ করে সংকটের দ্রুত নিষ্পত্তি দাবি করে পানামা। 

পানামার সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় সম্মান রক্ষার্থে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের সহায়তা চেয়েছে দেশটির প্রশাসন।

এদিকে দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষেক অনুষ্ঠানের বক্তব্যে ট্রাম্প পানামা প্রশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। তার দাবি, এই খালের প্রশাসনিক কার্যক্রমে চীনা প্রভাব রয়েছে।
 
ট্রাম্প বলেন, ‘আমরাতো চীনকে এই খালের দখল দেইনি। পানামাকে দিয়েছিলাম। এখন ফিরিয়েও নেওয়া হবে।’

পানামা খালের দখল ফিরে পেতে প্রয়োজনে সামরিক সহায়তা নেওয়া হবে, জানান তিনি।

তবে ট্রাম্পের বক্তব্য প্রত্যাখান করে পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনো বলেন, ‘খাল পানামার ছিল। পানামারই থাকবে।’
পানামা খালের আয়-ব্যয় বিষয়ক বিস্তারিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই সমুদ্র অঞ্চলের কর্মপ্রক্রিয়া স্বচ্ছ রাখতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পানামা বন্দর কর্তৃপক্ষ।

পানামা খাল দিয়ে মোট যাতায়তের প্রায় ৪০ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্রের। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে চীন। ২০০০ সালের পর এই খাল থেকে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি আয় করেছে পানামা।

সর্বশেষ অর্থবছরে আয়ের পরিমান আড়াই বিলিয়ন ডলার।

এই পরিস্থিতিতে পানামা খালের দখল নিয়ে ট্রাম্প ও পানামা প্রশাসনের দ্বন্দ্ব বেশ জটিল পর্যায়ে অবস্থান করেছে। সূত্র: এএফপি

নাইমুর/

যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বিধান বাতিলের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৩৪ পিএম
আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৪৪ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বিধান বাতিলের বিরুদ্ধে মামলা
জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বিষয়ে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে করা মামলার বিষয়ে কথা বলছেন একজন আইনজীবী। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে নির্বাহী আদেশ দিয়েছিলেন সেটার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ২২টি ডেমোক্র্যাট ক্ষমতাসীন রাজ্য ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা মামলা করেছে। 

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) এই মামলা করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক প্রধান্য ২২টি রাজ্য, ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়া এবং সিটি অফ সানফ্রান্সিককো বোস্টনের ফেডারেল কোর্টে এই মামলা করে। তাদের দাবি ডোনাল্ড ট্রাম্প সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। 

এ ছাড়া আমেরিকান সিভিল লিবারেটিস ইউনিয়ন, বিভিন্ন অভিবাসী সংস্থা এবং একজন নাগরিকত্ব প্রত্যাশী মা একইসঙ্গে ট্রাম্পের ওই আদেশের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

ডেমোক্র্যাটদের দাবি জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল বিষয়ে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীর লঙ্ঘন। 

এর আগে সোমবার ট্রাম্প তার নির্বাহী আদেশে জানিয়েছিলেন, কোনো সন্তান যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ সত্ত্বেও তার বাবা বা মা যদি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক না হন, তবে সেই সন্তান যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাবে না। 

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী যেকোনো শিশু, তার বাবা বা মা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হোক বা না হোক যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করলে, সে জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাবে। 

ম্যাসাচুসেটস রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল আন্দ্রা জয় ক্যাম্পবেল এ বিষয়ে বলেন, ‘ ট্রাম্পের ওই নির্বাহী আদেশ প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করা ১,৫০,০০০ শিশুদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করবে। ট্রাম্পের কোনো অধিকার নেই যে, তিনি এই শিশুদের নাগরিকত্বের অধিকার খর্ব।’

এ বিষয়ে নিউ জার্সির অ্যাটর্নি জেনারেল ম্যাথিউ প্লাটকিন বলেন, ‘ ট্রাম্প প্রশাসনের হটকারী নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক মামলা প্রমাণ করে যে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ব্যক্তিদের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার রক্ষার পক্ষে আছি। 

এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসকে অনুরোধ করা হলেও সেখানকার কোনো কর্মকর্তা কোনো প্রকার মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। সূত্র: রয়টার্স

সুমন/

ইউক্রেন চুক্তি না হলে রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের ইঙ্গিত ট্রাম্পের

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৫৫ পিএম
আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৫৪ পিএম
ইউক্রেন চুক্তি না হলে রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের ইঙ্গিত ট্রাম্পের
ইউক্রেন চুক্তি না হলে রাশিয়ার উপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের ইঙ্গিত ট্রাম্পের। ছবি: সংগৃহীত

যদি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে একটি চুক্তির লক্ষ্যে আলোচনা করতে অস্বীকৃতি জানান, তা হলে রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারেন বলে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন ট্রাম্প। ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে জানতে চান, যদি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি না হন তা হলে যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর ওপর অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে কি না- জবাবে ট্রাম্প বলেছেন, ‘মনে হচ্ছে তাই’ হবে। 

গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) তার শপথ নেওয়ার আগে ট্রাম্প ক্ষমতাগ্রহণের পরপরই ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছিলেন, কিয়েভকে রাশিয়ার প্রতি ছাড় দিতে বাধ্য করার জন্য চাপ দেবেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করে।

পুতিনের অস্বাভাবিক সমালোচনামূলক মন্তব্যের জবাবে ট্রাম্প সোমবার বলেছেন, পুতিনকে ‘একটি চুক্তি করা উচিত। আমি মনে করি তিনি চুক্তি না করে রাশিয়াকে ধ্বংস করছেন।’

ট্রাম্প আরও বলেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তাকে বলেছিলেন, তিনি যুদ্ধের অবসান ঘটাতে একটি শান্তি চুক্তি চান।

বাসস/তাওফিক/ 

ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিরতি নিয়ে সুর পাল্টালেন ট্রাম্প

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:২১ পিএম
আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৫৬ পিএম
ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিরতি নিয়ে সুর পাল্টালেন ট্রাম্প
ক্ষমতা গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে প্রায় ১৫ মাসের সহিংসতার পর যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এই সমঝোতা বেশিদিন স্থায়ী হবে না বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে সদ্য আসীন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় সমঝোতায় পৌঁছে দুইপক্ষ।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক প্রতিবদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরেও ইসরায়েলের হামলায় বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনির মৃত্যুর খবর জানান গাজায় কর্মরত চিকিৎসকরা।

এ প্রসঙ্গে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হলে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা আমাদের যুদ্ধ না, হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধ।’

অভিষেকের আগে তড়িঘড়ি করে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অংশ নিতে দোহায় বিশেষ প্রতিনিধি দল পাঠান ট্রাম্প। গত রবিবার (১৯ জানুয়ারি) যুদ্ধবিরতি কায়েমের পর এই ঐতিহাসিক ফলাফলের নেপথ্যে নিজেই নায়ক বলে দাবি করেন।

তবে ক্ষমতাগ্রহণের পর ট্রাম্পের উদাসীন সুর ভাবাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের।

ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি যেকোনো সময় মুখথুবড়ে পড়তে পারে- এই আশঙ্কা থেকে মিশরের রাজধানী কায়রোতে একটি কমিউনিকেশন হাব তৈরি করা হচ্ছে।

যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের স্থায়িত্ব ছয় মাস। ফেব্রুয়ারিতে দুইপক্ষ আরও জটিল বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসবে। আলোচনার একপর্যায়ে এই সমঝোতা থেকে কোনো একপক্ষ সরে আসার সম্ভাবনা প্রবল, মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

কায়রোতে স্থাপিত হাবের মাধ্যমে সৃষ্ট দাঙ্গা মোকাবিলার চেষ্টা করা হবে।

এ প্রসঙ্গে দোহা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মজিদ আল-আনসারি বলেন, ‘গত ৪৮ ঘণ্টা যাবৎ আমরা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের খবর পেয়েছি। অনেক কল এসেছে এ বিষয়ে। তবে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন সমস্যা আমরা সহজেই সমাধান করেছি।’

এদিকে রবিবারের পর থেকে গাজায় ৯০০টির বেশি ত্রাণবাহী ট্রাক ও ১২ হাজার ৫০০ লিটার জ্বালানি পাঠিয়েছে কাতার। গাজার ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া অবকাঠামো পুনর্গঠনের কথাও ভাবছে দেশটি।

তবে ট্রাম্প ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরিয়ে অবকাঠামো পুননির্মাণের প্রস্তাব দিলে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে কাতার। সূত্র: গার্ডিয়ান

নাইমুর/