ঢাকা ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪

ভারতে থাকার অনুমতি না পেলে মারা যাব: তসলিমা নাসরিন

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:০৯ পিএম
ভারতে থাকার অনুমতি না পেলে মারা যাব: তসলিমা নাসরিন
তসলিমা নাসরিন

ভারতে থাকা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। তিনি বলেছেন, ‘ভারতে থাকার অনুমতি না পেলে আমি নিশ্চিত মারা যাব’। 

ভারতে নির্বাসিত তসলিমার ভিসার মেয়াদ গত জুলাইয়ে শেষ হয়ে যায়। মূলত সে দেশে তার ভিসার মেয়াদ না বাড়ায় তিনি চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।

সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘আজতক বাংলা’য় দেওয়া সাক্ষাৎকারে তসলিমা বলেন, ‘আমি ভারতে থাকতে পছন্দ করি। প্রায় দেড় মাস হয়ে গেছে কিন্তু এখনো কেন্দ্রীয় সরকার আমার ভিসার মেয়াদ বাড়ায়নি। ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে ভারত সরকারের কাছ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি না। আমি জানি না, কার সঙ্গে কথা বলব। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন? আমি কারও সঙ্গে কথা বলিনি। আমি কেবল অনলাইনে চেক করি। কিন্তু এখনো কোনো নিশ্চয়তা পাইনি।’

ভিসার মেয়াদ না বাড়ানোর পেছনে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি দায়ী কি না- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতির সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি এখানে একজন সুইডিশ নাগরিক হিসেবে থাকি। বাংলাদেশে বর্তমান টালমাটাল পরিস্থিতির আগেই আমার ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে। ২০১৭ সালেও এমন সমস্যা হয়েছিল কিন্তু সেই সময়ে সেটি প্রযুক্তিগত সমস্যাই ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ মনে করে আমার সঙ্গে সরকার ও নেতাদের ঘনিষ্ঠতা আছে, কিন্তু তা নয়। থাকার অনুমতি না পেলে আমি সত্যিই মারা যাব। এখন কোথাও যাওয়ার মতো অবস্থায় আমি নেই।’

তসলিমা নাসরিনের অভিযোগ তাকে দেশ থেকে উৎখাত করার ক্ষেত্রে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুজনেরই হাত রয়েছে। 

তিনি বলেন, ‘তারা কেউই আমাকে বাংলাদেশে থাকতে দেননি। দুজনেই মৌলবাদকে মাথাচাড়া দিতে সাহায্য করেছেন।’

তসলিমা নাসরিনের একাধিক লেখা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করা হলে ১৯৯৪ সালে তিনি দেশ ছাড়েন। বেশ কয়েক বছর ইউরোপে থাকার পর তিনি ভারতে বসবাস শুরু করেন। ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত কলকাতায় ছিলেন। সেখানে নিষিদ্ধ করা হয় তার ‘দ্বিখণ্ডিত’ উপন্যাসটি। সরকারি চাপে শেষ পর্যন্ত কলকাতা ছাড়তে হয় তাকে। কিছু দিনের জন্য তিনি ভারতের জয়পুরে ছিলেন। তারপর দিল্লিতে বসবাস শুরু করেন। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

সর্বশেষ জরিপেও ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে কমলা

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৫৭ পিএম
সর্বশেষ জরিপেও ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে কমলা
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস

নতুন জনমত জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাটিক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গে আগের তুলনায় ব্যবধান কিছুটা কমিয়ে এনেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কমলা হ্যারিস এখন ৩ পয়েন্ট নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্পের চেয়ে। গত সেপ্টেম্বরেও এ চিত্র ছিল ভিন্ন। কমলার চেয়ে ৬ পয়েন্টে পিছিয়ে ছিলেন ট্রাম্প। 

গতকাল সোমবার (৭ অক্টোবর) সম্পন্ন হওয়া সর্বশেষ রয়টার্স/ইপসোস জনমত জরিপে কমলা পেয়েছেন ৪৬ পয়েন্ট। অন্যদিকে ট্রাম্প পেয়েছেন ৪৩ পয়েন্ট। জরিপে ট্রাম্পের এগিয়ে যাওয়ার পেছনে ভূমিকা রেখেছে নানাবিধ অর্থনৈতিক ইস্যু এবং অভিবাসন সমস্যা। অনেক ভোটারই ট্রাম্পের অভিবাসনসংক্রান্ত বক্তব্য বিশ্বাস করেছেন। 

তিনি বলেছেন, দেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী অভিবাসীদের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা বেশি। যদিও শিক্ষাবিদ ও চিন্তাবিদদের মতামত এ ক্ষেত্রে ভিন্ন।  

জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মতে, অর্থনীতি এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ইস্যু। ৪৪ শতাংশ মনে করছেন, জীবনযাত্রার খরচ কমাতে ট্রাম্প ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারবেন। অন্যদিকে জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৩৮ শতাংশ কমলা হ্যারিসের পক্ষে রায় দিয়েছেন।

অংশগ্রহণকারীদের ৭০ শতাংশ মনে করছেন, পরবর্তী প্রেসিডেন্টের যেসব অর্থনৈতিক ইস্যু সামাল দেওয়া উচিত, তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণটি হলো জীবনযাত্রার খরচ কমিয়ে আনা। অল্প কয়েকজন অংশগ্রহণকারী শুধু চাকরির বাজার, কর, ব্যক্তিগত আর্থিক উন্নয়নের মতো বিষয়গুলোকে জীবনযাত্রার খরচ কমিয়ে আনার চেয়ে প্রাধান্য দিয়েছেন। তবে সেসব ক্ষেত্রেও দেখা গেছে, কমলার চেয়ে ট্রাম্পের ওপরই মানুষ আস্থা রাখছেন বেশি। তবে সাধারণ মার্কিন নাগরিক ও সম্পদশালী মার্কিন নাগরিকদের মধ্যকার ব্যবধান নিয়ে ট্রাম্পের চেয়ে কমলা ভালোভাবে কাজ করতে পারবেন বলে মনে করছেন ৪২ শতাংশ অংশগ্রহণকারী। অন্যদিকে ট্রাম্পের পক্ষে রায় দিয়েছেন অংশগ্রহণকারীদের ৩৫ শতাংশ।  

অভিবাসনের ইস্যুটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভোটাররা বেশ চিন্তিত বলেই উঠে এসেছে রয়টার্স/ইপসোসের জরিপে। জরিপে অংশ নেওয়া ৫৩ শতাংশ ভোটার বলেছেন, দেশে অবৈধভাবে বসবাসকারী অভিবাসীরা জনসাধারণের সুরক্ষার জন্য বিপজ্জনক। অন্যদিকে ৪১ শতাংশ এর বিপক্ষে রায় দিয়েছেন। এ বিষয়ে জনমতে বিভক্তি আরও বেশি ছিল মে মাসে। সে সময় ৪৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারী অবৈধ অভিবাসীকে সুরক্ষার জন্য বিপজ্জনক বলে মনে করেছিলেন। আর ৪৬ শতাংশ অবস্থান নিয়েছিলেন এর বিপক্ষে। সূত্র: রয়টার্স

পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন জন হপফিল্ড ও জিওফ্রে হিন্টন

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩২ পিএম
আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৪৪ পিএম
পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন জন হপফিল্ড ও জিওফ্রে হিন্টন
জন জে হপফিল্ড-জিওফ্রে ই হিন্টন

পদার্থবিজ্ঞানে ২০২৪ সালে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী জন জে হপফিল্ড এবং কানাডার বিজ্ঞানী জিওফ্রে ই হিন্টন।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে মেশিন লার্নিং বিষয়ে গবেষণার স্বীকৃতি হিসেবে এই দুজনকে যৌথভাবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্স।

একাডেমি জানিয়েছে, ‘কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কের সঙ্গে মেশিন লার্নিং সক্ষম করে তোলার বুনিয়াদি আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের জন্য’ তাদেরকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্স জানায়, ‘হপফিল্ড এমন একটি কাঠামো তৈরি করেছেন যা তথ্য সংরক্ষণ এবং পুনর্গঠন করতে পারে। 
আর হিন্টন এমন একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন যা স্বাধীনভাবে ডেটার বৈশিষ্ট্য আবিষ্কার করতে সক্ষম এবং যা বর্তমানে ব্যবহৃত বৃহৎ নিউরাল নেটওয়ার্কগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’

গত বছর পদার্থবিদ্যায় যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন র পিয়ের অগস্টিনি, হাঙ্গেরির ফেরেঙ্ক ক্রাউৎজ এবং ফ্রান্সের অ্যানে এলহুইলার। পদার্থবিদ্যায় ২০২৩ সালের নোবেলজয়ী তিন বিজ্ঞানীরই গবেষণার বিষয় ছিল অভিন্ন- ইলেকট্রন গতিবিদ্যা।

রয়েল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্স, প্রতিবছর পদার্থবিজ্ঞানের মাধ্যমে মানবতার স্বার্থে অসামান্য অবদান রাখা বিজ্ঞানীদের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দিয়ে থাকে। ১৯০১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১১৭ বার পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল দেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে ২২৪ জন পদার্থবিদ এই পুরস্কার পেয়েছেন। এরমধ্যে জন বার্ডিন একমাত্র ব্যক্তি যিনি দুবার এই পুরস্কার জিতেছেন।

এর আগে গতকাল সোমবার চিকিৎসাশাস্ত্রে অনবদ্য অবদানের জন্য ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রুভকুনকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। মাইক্রোআরএনএর কার্যক্রম আবিষ্কারের জন্য এই পুরস্কার পান তারা।

অমিয়/

ভারতের ২ রাজ্যের ভোটের ফলাফল আজ

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৬ এএম
আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:১৪ পিএম
ভারতের ২ রাজ্যের ভোটের ফলাফল আজ
ভোট গণনা চলছে। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের হরিয়ানা ও জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হবে আজ। ইতোমধ্যে ভোট গণনা চলছে। হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, বুথ ফেরত সমীক্ষায় দেখা গেছে দুই রাজ্যেই বিজেপির পরাজয় হতে পারে। হরিয়ানায় টানা ১০ বছর সরকার চালিয়েছে বিজেপি। তবে কৃষক আন্দোলন এবং কুস্তিগিরদের আন্দোলনের জেরে সেখানে অস্বস্তিতে শাসক দল। অন্যদিকে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভার ভোট হয়েছে দীর্ঘ এক দশক পর।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল থেকে শুরু হওয়া ভোট গণনায় দেখা গেছে, হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে ইতোমধ্যেই ৫০টির বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। এই রাজ্যের আসনসংখ্যা ৯০। ম্যাজিক ফিগার হলো ৪৬। সে হিসেবে অনেকটাই ওপরে রয়েছে কংগ্রেস। আর বিজেপি এগিয়ে মাত্র ২২টি আসনে।

জম্মু ও কাশ্মীরে ন্যাশনাল কনফারেন্স ও কংগ্রেস জোট থেকে বিজেপি আপাতত এগিয়ে রয়েছে। এখন পর্যন্ত (সকাল ১০টা) বিজেপি ১৫টি আসনে, ইন্ডিয়া জোট ১০টি আসনে এবং অন্যরা ২টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।

এবার হরিয়ানায় বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে লড়াইয়ে কিংমেকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে দুষ্মন্ত চৌটালার জননায়ক জনতা পার্টি (জেপিপি), আম আদমি পার্টি (আপ) এবং ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দল (আইএনএলডি)।

আইএনএলডি থেকে বেরিয়ে বিজেপির সঙ্গে ২০১৯ সালে হাত মিলিয়েছিল জেপিপি। আইএনএলডির নেতৃত্বে আছেন চারবারের মুখ্যমন্ত্রী ওমপ্রকাশ চৌটালা।

এর আগে ২০১৯ সালে হরিয়ানায় ৪০টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। কংগ্রেস ৩১টি আসন আর জননায়ক জনতা পার্টি (জেপিপি) জিতেছিল ১০টি আসন।

এদিকে পিপলস পালসের সমীক্ষা অনুযায়ী, জম্মু ও কাশ্মীরে একক বৃহত্তম দল হতে পারে ন্যাশনাল কনফারেন্স। জিততে পারে ৩৩ থেকে ৩৫টি আসন। কংগ্রেস ১৩ থেকে ১৫টি আসনে জিততে পারে। বিজেপি জিততে পারে ২৩ থেকে ৩৭টি আসন। পিডিপির ঝুলিতে যেতে পারে সাত থেকে ১১টি আসন। অর্থাৎ ইন্ডিয়া জোট মিলে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে পারে।

এবার জম্মু ও কাশ্মীরে তিন দফায় ১৮ সেপ্টেম্বর, ২৫ সেপ্টেম্বর এবং ১ অক্টোবর বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, তিন দফায় জম্মু ও কাশ্মীরে মোট ৬৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।

জম্মু-কাশ্মীরে উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছে ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা তথা জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা, রাজ্য বিজেপি সভাপতি রবীন্দ্র রায়না, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তারিক হামিদ কাড়রা, জম্মু ও কাশ্মীর আপনি পার্টির প্রধান আলতাফ বুখারি।

হরিয়ানার ৯০টি কেন্দ্রে এক দফায় ভোট হয়েছে ৫ অক্টোবর। মোট প্রার্থী এক হাজার ৩১। এই রাজ্যে উল্লেখযোগ্য প্রার্থীরা হলেন- বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিংহ সাইনি, কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেতা ভূপেন্দ্র সিংহ হুডা, জেজেপি নেতা তথা প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌটালা, কংগ্রেসের টিকিটে প্রার্থী হয়েছেন অলিম্পিকে ফাইনালে ওঠা ভিনেশ ফোগট।

অমিয়/

পরিবার সম্পর্কে রিপাবলিকানদের চিন্তা ‘সেকেলে’: কমলা

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২৭ এএম
পরিবার সম্পর্কে রিপাবলিকানদের চিন্তা ‘সেকেলে’: কমলা
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে নিয়ে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেছিলেন আরকানসাস অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান গভর্নর সারাহ হাকাবি স্যান্ডার্স। তিনি বলেছিলেন, ‘কমলা বিনয়ী নন। কারণ তার নিজের কোনো সন্তান নেই।’

গত রবিবার গভর্নর হাকাবি স্যান্ডার্সের এমন মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন কমলা। আরকানসাসের গভর্নর পরিবার নিয়ে সেকেলে দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। নিজের ‘আধুনিক’ পরিবারেরও গল্প করেছেন কমলা। তিনি বলেন, স্বামী ডগ এমহফ এবং স্বামীর আগের সংসারের দুই সন্তান কোল ও এলাকে নিয়েই তার পরিবার।

গত সেপ্টেম্বরে মিশিগানে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক নির্বাচনি সমাবেশে কমলাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যটি করেন হাকাবি স্যান্ডার্স। তার দাবি, তার সন্তানরা তাকে বিনয়ী হতে ভূমিকা রাখেন। কিন্তু কমলার নিজেকে বিনয়ী রাখার মতো কিছু নেই।

গতকাল ‘কল হার ড্যাডি’ নামক এক জনপ্রিয় পডকাস্টে হাকাবি স্যান্ডার্সের সে মন্তব্যের জবাব দেন কমলা হ্যারিস। 

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, নারীদের একে অন্যকে মর্যাদা দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।’ বিনয়ী হওয়াটা সন্তান থাকা বা না থাকার ওপর নির্ভর করে না বলেও জানান কমলা।

পরিবার সম্পর্কে নিজের আধুনিক চিন্তাধারা তুলে ধরে কমলা বলেন, ‘পরিবার বিভিন্নভাবে গঠিত হতে পারে। রক্ত সম্পর্কের মাধ্যমে পরিবার গঠিত হয়, ভালোবাসার সম্পর্কের মাধ্যমেও গঠিত হয়। আমার উভয় রকম পরিবারই আছে, আমি মনে করি এটি আমার জন্য একটি সত্যিকারের আশীর্বাদ।’ 

স্বামীর আগের সংসারের সন্তানদের কথা উল্লেখ করে কমলা বলেন, ‘আমার সুন্দর দুটো সন্তান আছে, কোল ও এলা। তারা আমাকে মমালা বলে ডাকে। আমাদের পরিবার অনেক আধুনিক। আমার স্বামীর সাবেক স্ত্রী আমার বন্ধু।’

ট্রাম্পের রানিং মেট জে ডি ভ্যান্সও এর আগে বলেছিলেন, তিনি চান না কোনো নিঃসন্তান নারী দেশ পরিচালনা করুন। এর জবাবে গতকাল কমলা বলেন, ‘আমি এটাকে শুধু নোংরা ও নিচ মানসিকতা হিসেবে দেখছি।’ সূত্র: রয়টার্স

ফ্লোরিডার দিকে ধেয়ে আসছে হারিকেন মিল্টন

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:১২ এএম
ফ্লোরিডার দিকে ধেয়ে আসছে হারিকেন মিল্টন
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার দিকে ধেয়ে আসছে আরেক হারিকেন মিল্টন

কয়েকদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মারাত্মকভাবে আঘাত হেনেছিল হারিকেন হেলেন। ক্ষয়ক্ষতি এখনো কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই এবার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যটির দিকে ধেয়ে আসছে আরেক হারিকেন মিল্টন। গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

মেক্সিকো উপকূলে সৃষ্ট হারিকেন মিল্টন ফ্লোরিডা উপকূলের দিকে এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে শক্তি অর্জন করছে বলে সতর্কতা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে ফ্লোরিডা পিনেলাস কাউন্টির পাঁচ লাখ অধিবাসীকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার আদেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) রবিবার জানিয়েছে, হারিকেন মিল্টন ইতোমধ্যে ক্যাটাগরি ১ হারিকেনে পরিণত হয়েছে এবং ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা টাম্পা বে’র কাছে এটি আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে এনএইচসি। 

ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস সতর্ক করে বলেছেন,  ‘মিল্টনের আঘাত হেলেনের চেয়ে শক্তিশালী এবং অধিক ক্ষয়ক্ষতি বয়ে আনতে পারে।’

উল্লেখ্য, গত ২৬ সেপ্টেম্বর ফ্লোরিডা উপকূলে আঘাত হানে শক্তিশালী ক্যাটাগরি ৪ হারিকেন ‘হেলেন’। এ ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে রাজ্যটি। আকস্মিক বন্যায় ইতোমধ্যে রাজ্যটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩০ জনে পৌঁছেছে। এখনো উদ্ধারকাজ চলছে। সূত্র: রয়টার্স