তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ইসরায়েলের সাম্রাজ্যবাদের ক্রমবর্ধমান হুমকি ঠেকাতে ইসলামি দেশগুলোকে জোট গঠন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত শনিবার ইস্তাম্বুলের কাছে একটি ইসলামিক স্কুলের অনুষ্ঠানে এরদোয়ান এই আহ্বান জানান।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, গত শুক্রবার অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার সময় এক তুর্কি-আমেরিকান নারী নিহত হন। তার মৃত্যুর একদিন পর তুর্কি প্রেসিডেন্ট এক মন্তব্যে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
এরদোয়ান বলেন, ‘ইসরায়েলের ঔদ্ধত্য, দস্যুতা ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করার একমাত্র উপায় হলো ইসলামি দেশগুলোর একজোট হওয়া। মিসর ও সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার জন্য তুরস্ক যে সাম্প্রতিক পদক্ষেপ নিয়েছে তার লক্ষ্যই হলো, ইসরায়েলি সাম্রাজ্যবাদের হুমকির বিরুদ্ধে সংহতি গড়ে তোলা।’
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এরদোয়ানের মন্তব্যটি বিপজ্জনক মিথ্যা ও উসকানিমূলক। এই তুর্কি নেতা মধ্যাঞ্চলের আরব শাসনকে দুর্বল করার জন্য ইরানের সঙ্গে কয়েক বছর ধরে কাজ করছেন।’
আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরায়েলের হামলা, ৮ ফিলিস্তিনি নিহত
এদিকে গতকাল রবিবার গাজা উপত্যকার জাবালিয়ায় জাতিসংঘ পরিচালিত একটি শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এ সময় রুটির জন্য লাইনে দাঁড়ানো আট ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, আশ্রয়কেন্দ্রটিতে ইসরায়েল ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। যেখানে হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত লোকের অবস্থান।
একই দিনে গাজা সিটির সাফাদ স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় ১১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় গাজাজুড়ে অন্তত ৩১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্সের এক মুখপাত্র বলেছেন, অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ৮৩ ক্রু সদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২০০ জনেরও বেশি।
জর্ডান সীমান্তে বন্দুকধারীর গুলিতে তিন ইসরায়েলি নিহত
গতকাল অধিকৃত পশ্চিম তীরের অ্যালেনবি ব্রিজ সীমান্তে তিন ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিক হত্যার শিকার হয়েছেন। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জর্ডান থেকে আসা এক বন্দুকধারীর গুলিতে তারা নিহত হয়েছেন। পরে দেশটির নিরাপত্তাবাহিনী তাকে গুলি করে হত্যা করে।
ইসরায়েলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একটি বাণিজ্যিক কার্গো এলাকায় এক ক্রসিংয়ে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। যেখানে জর্ডানের পণ্যবাহী ট্রাকগুলো পশ্চিম তীরে প্রবেশ করে। ক্রসিংটি কিং হুসেন ব্রিজ নামেও পরিচিত। এটি মৃত সাগরের ঠিক উত্তরে আম্মান ও জেরুজালেমের মাঝপথে অবস্থিত।
রয়টার্স জানিয়েছে, অক্টোবরের পর থেকে জর্ডান সীমান্তে এটিই প্রথম আক্রমণ। দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের আক্রমণেরে পর গাজায় যুদ্ধের জন্ম দেয়। তখন থেকে সমগ্র অঞ্চলজুড়ে এ যুদ্ধ বৃদ্ধি পেতে থাকে। সূত্র: রয়টার্স, আল-জাজিরা