ঢাকা ১৯ আশ্বিন ১৪৩১, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইসলামি জোট গঠনের আহ্বান এরদোয়ানের

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:২১ এএম
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইসলামি জোট গঠনের আহ্বান এরদোয়ানের
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ইসরায়েলের সাম্রাজ্যবাদের ক্রমবর্ধমান হুমকি ঠেকাতে ইসলামি দেশগুলোকে জোট গঠন করার আহ্বান জানিয়েছেন। 

গত শনিবার ইস্তাম্বুলের কাছে একটি ইসলামিক স্কুলের অনুষ্ঠানে এরদোয়ান এই আহ্বান জানান।

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, গত শুক্রবার অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার সময় এক তুর্কি-আমেরিকান নারী নিহত হন। তার মৃত্যুর একদিন পর তুর্কি প্রেসিডেন্ট এক মন্তব্যে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

এরদোয়ান বলেন, ‘ইসরায়েলের ঔদ্ধত্য, দস্যুতা ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করার একমাত্র উপায় হলো ইসলামি দেশগুলোর একজোট হওয়া। মিসর ও সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার জন্য তুরস্ক যে সাম্প্রতিক পদক্ষেপ নিয়েছে তার লক্ষ্যই হলো, ইসরায়েলি সাম্রাজ্যবাদের হুমকির বিরুদ্ধে সংহতি গড়ে তোলা।’

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এরদোয়ানের মন্তব্যটি বিপজ্জনক মিথ্যা ও উসকানিমূলক। এই তুর্কি নেতা মধ্যাঞ্চলের আরব শাসনকে দুর্বল করার জন্য ইরানের সঙ্গে কয়েক বছর ধরে কাজ করছেন।’

আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরায়েলের হামলা, ৮ ফিলিস্তিনি নিহত
এদিকে গতকাল রবিবার গাজা উপত্যকার জাবালিয়ায় জাতিসংঘ পরিচালিত একটি শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এ সময় রুটির জন্য লাইনে দাঁড়ানো আট ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। 

আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, আশ্রয়কেন্দ্রটিতে ইসরায়েল ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। যেখানে হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত লোকের অবস্থান। 

একই দিনে গাজা সিটির সাফাদ স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় ১১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় গাজাজুড়ে অন্তত ৩১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। 

ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্সের এক মুখপাত্র বলেছেন, অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ৮৩ ক্রু সদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২০০ জনেরও বেশি।

জর্ডান সীমান্তে বন্দুকধারীর গুলিতে তিন ইসরায়েলি নিহত
গতকাল অধিকৃত পশ্চিম তীরের অ্যালেনবি ব্রিজ সীমান্তে তিন ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিক হত্যার শিকার হয়েছেন। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জর্ডান থেকে আসা এক বন্দুকধারীর গুলিতে তারা নিহত হয়েছেন। পরে দেশটির নিরাপত্তাবাহিনী তাকে গুলি করে হত্যা করে। 

ইসরায়েলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একটি বাণিজ্যিক কার্গো এলাকায় এক ক্রসিংয়ে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। যেখানে জর্ডানের পণ্যবাহী ট্রাকগুলো পশ্চিম তীরে প্রবেশ করে। ক্রসিংটি কিং হুসেন ব্রিজ নামেও পরিচিত। এটি মৃত সাগরের ঠিক উত্তরে আম্মান ও জেরুজালেমের মাঝপথে অবস্থিত।

রয়টার্স জানিয়েছে, অক্টোবরের পর থেকে জর্ডান সীমান্তে এটিই প্রথম আক্রমণ। দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের আক্রমণেরে পর গাজায় যুদ্ধের জন্ম দেয়। তখন থেকে সমগ্র অঞ্চলজুড়ে এ যুদ্ধ বৃদ্ধি পেতে থাকে। সূত্র: রয়টার্স, আল-জাজিরা

ইসরায়েল বেশি দিন টিকবে না: আয়াতুল্লাহ খামেনি

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:০৩ পিএম
ইসরায়েল বেশি দিন টিকবে না: আয়াতুল্লাহ খামেনি
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েল বেশি দিন টিকবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, ইরান, ফিলিস্তিন, ইরাক, লেবানন, মিসর, সিরিয়া ও ইয়েমেনের ‘শত্রু এক’। 

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) তেহরানের ইমাম খোমেনি গ্র্যান্ড মোসাল্লা মসজিদে জুমার খুতবা দেন খামেনি। সেখানে ওই মন্তব্যগুলো করেন। ইসরায়েলে ইরান যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, তার পক্ষেও কথা বলেন খামেনি। তিনি যুক্তি দেন, ওই হামলা আইনসম্মত ও বৈধ। ইসরায়েলের অপরাধের ন্যূনতম শাস্তি ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা।

ইসরায়েল হিজবুল্লাহ ও হামাসের তেমন কোনো ক্ষতি করতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন খামেনি। শত্রু এক জানিয়ে খামেনি বলেন, ‘আমাদের শত্রুদের নীতি হলো বিভেদ ও বিদ্রোহের বীজ বপন করা। সব মুসলমানের মধ্যে বিভেদ তৈরি করে দেওয়া। তারা ফিলিস্তিনি, লেবানিজ, মিসরীয় ও ইরাকিদেরও শত্রু। তারা ইয়েমেনি ও সিরিয়ার জনসাধারণেরও শত্রু।

পাঁচ বছর পর খুতবা দিলেন খামেনি। এর আগে ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে জুমার নামাজে ইমামতি করেছিলেন ইরানের এই সর্বোচ্চ নেতা। শুক্রবার খুতবার দ্বিতীয় অংশে খামেনি আরবিতে কথা বলেন। এ সময় তিনি সরাসরি আরবদের উদ্দেশে বলেন, ইসরায়েলের ওপর যেকোনো হামলা ওই অঞ্চল ও বিশ্বের জন্য সেবাস্বরূপ।

ইসরায়েলকে সমর্থনকারী বিদেশি শক্তিগুলোর হস্তক্ষেপকে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবেও অভিহিত করেন খামেনি। তবে তিনি দাবি করেন, ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতি প্রতিরোধ জায়োনিস্ট শাসকগোষ্ঠীকে ৭০ বছর পেছনে ঠেলে দিয়েছে। এখন সেটি জন্মলগ্নের মতোই টিকে থাকার জন্য লড়াই করছে।

লেবাননের মানুষের উদ্দেশেও কথা বলেন খামেনি। তিনি তাদের হতাশ না হওয়ার এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। 
তীব্র বিস্ফোরণ লেবাননে

এদিকে লেবাননে ইসরায়েলের হামলা থেমে নেই। গত বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে প্রবল বিমান হামলা চালিয়েছে তারা। ইসরায়েলের হামলায় বৈরুতের দক্ষিণের শহরতলি কেঁপে উঠেছে কিছুক্ষণ পরপর। বৈরুতের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বোমাবর্ষণ এতটাই তীব্র ছিল যে গাড়ির এলার্ম বেজে উঠেছিল। ভবনগুলোও কেঁপে উঠছিল।

লেবাননের হিজবুল্লাহর এক সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েল ১১টি হামলা চালিয়েছে। বৈরুতে এখন পর্যন্ত হওয়া সবচেয়ে ভয়াবহ আক্রমণ সেটি। আল-জাজিরার খবর বলছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এখন আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। হিজবুল্লাহও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। ইসরায়েলের সর্বশেষ আঘাতে লেবাননে ৩৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ১৫১ জন। সূত্র: এএফপি, আল-জাজিরা 

ইউক্রেনে রাশিয়ার বড় আকারের ড্রোন হামলা

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩২ এএম
ইউক্রেনে রাশিয়ার বড় আকারের ড্রোন হামলা
ইউক্রেনের ১৫টি অঞ্চলজুড়ে ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে শহরগুলোর বিদ্যুৎ পরিবহন লাইন এবং বেশকিছু বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনের ১৫টি অঞ্চলজুড়ে ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। গত বুধবার সারা রাত ধরে জ্বালানি অবকাঠামো এবং আবাসিক ভবন লক্ষ্য করে এই হামলা চালায় তারা। তবে রাশিয়ার ছোড়া ১০৫টি ড্রোনের ৭৮টি ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।

ইউক্রেনের জ্বালানি মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) জানিয়েছে, ড্রোন হামলার ফলে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী কিয়েভ, ওডেসা এবং ইভানো-ফ্রাঙ্কিভস্ক শহরের বিদ্যুৎ পরিবহন লাইন এবং বেশকিছু বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ওডেসা অঞ্চলে রেল পরিবহন ব্যবস্থা সাময়িক ব্যাহত হয় এবং হাজারও মানুষ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় থাকে। তিন হাজার গ্রাহকের কাছে পুনরায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হলেও দুই হাজার গ্রাহক এখনো বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছেন বলে জানিয়েছেন ওডেসার গভর্নর ওলে কিপার। 

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদ সংস্থা তাস জানিয়েছে, রুশ সেনারা ইউক্রেনের জ্বালানি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে যেখান থেকে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে অপারেশন পরিচালনার সময় জ্বালানি সরবরাহ করা হতো। ইউক্রেন শিবির খারকিভ শহরের কিছু আবাসিক ভবনে রুশ হামলার অভিযোগ করলেও তা নাকচ করেছে মস্কো। সূত্র: রয়টার্স

মেক্সিকোতে সৈন্যদের গুলিতে ৬ অভিবাসী নিহত

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২২ এএম
মেক্সিকোতে সৈন্যদের গুলিতে ৬ অভিবাসী নিহত
মেক্সিকোর গুয়াতেমালা সীমান্তে সৈন্যদের গুলিতে ছয় অভিবাসী নিহত হয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত

মেক্সিকোতে সৈন্যদের গুলিতে ছয় অভিবাসী নিহত হয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উল্লেখ করেছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি। দেশটির দক্ষিণে ৩৩ জন অভিবাসীর একটি দলকে বহনকারী গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর পরে ছয় অভিবাসী নিহত হয়েছেন।

মেক্সিকোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গুয়াতেমালা সীমান্তের প্রায় ২৫ মাইল উত্তরে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে, এতে আরও ১০ জন অভিবাসী আহত হয়েছেন।

মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গাড়িটি চেকপোস্টে না থেমে গতি বাড়িয়ে পালাতে চাইলে সেনাদলের দুই কর্মকর্তা গুলি চালান। তদন্ত চলাকালীন ওই দুই কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। 

এক পুলিশ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, গাড়িটিকে থামাতে ব্যর্থ হয়ে থামানোর উদ্দেশ্যে তারা গুলি ছুড়েছিলেন।

প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হিসেবে যায়। এ নিয়ে কয়েক বছর ধরেই চাপে রয়েছে মেক্সিকো। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুসারে, অভিবাসীরা মিসর, নেপাল, কিউবা, ভারত ও পাকিস্তান থেকে এসেছিল। তবে যারা মারা গেছে তাদের জাতীয়তা প্রকাশ করেনি দেশটি। সূত্র: বিবিসি

আদালতের নথি প্রকাশ গত নির্বাচনে ‘অপরাধের আশ্রয়’ নিয়েছিলেন ট্রাম্প

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০৯ এএম
আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০৯ এএম
গত নির্বাচনে ‘অপরাধের আশ্রয়’ নিয়েছিলেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল উল্টে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এমনকি তিনি সে সময় হার আসন্ন দেখে জেনেশুনে ভোট জালিয়াতির মিথ্যা দাবি তুলে সমর্থকদের লেলিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি ক্ষমতা ধরে রাখার ব্যর্থ প্রচেষ্টা হিসেবে ‘অপরাধের আশ্রয় নিয়েছিলেন’। 

গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালতে ২০২০ সালে দায়ের করা সাবেক রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে যুগান্তকারী ফৌজদারি মামলায় এসব অভিযোগের বিপরীতে নতুন প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন আইনজীবীরা।

বিচারক তানিয়া চুটকান আদালতে ১৬৫ পৃষ্ঠার একটি নথি উপস্থাপন করেন যেখানে ট্রাম্পের এই মামলার বিচারকার্যের যাবতীয় যুক্তি-প্রমাণ রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার মেয়াদকালের শেষ মাসে নির্বাচনের ফল জালিয়াতির যে চেষ্টা করেছিলেন তা তিনি নিতান্তই ব্যক্তিগত জায়গা থেকে করেছিলেন। বিশেষ আইনজীবী জ্যাক স্মিথ পুনরায় বলেছেন, ট্রাম্পের এই ধরনের কাজগুলো প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাকে কখনোই দায়মুক্তি দেয় না। এর আগে ট্রাম্পের আইনজীবীরা দাবি করেছিলেন, তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দায়িত্বে তখনো বর্তমান ছিলেন বিধায় যাবতীয় অভিযোগ থেকে তার দায়মুক্তি পাওয়া উচিত। তাদের দাবি, ট্রাম্প যা করেছেন তা প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার কর্মকাণ্ডের মধ্যেই পড়ে।

আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, ট্রাম্প তার পরিবারের সদস্যদের বলেছিলেন; ‘আমরা হারি বা জিতি তাতে কিছু আসে যায় না, তোমাদের এখনো নারকীয় কায়দায় লড়ে যেতে হবে।’ এতে আরও বলা হয়, ২০২০ সালের নির্বাচনে জয়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কারচুপি করে জিতেছেন বলে ট্রাম্প বারবার যে অভিযোগ করেছিলেন, তার কোনো প্রমাণ নেই। তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই তা করেছিলেন।

আদালতের নথিতে বলা হয় ট্রাম্প একটি ব্যক্তিগত ষড়যন্ত্রকারী দলের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। বিভিন্ন অপরাধের মাধ্যমে তিনি একটি সরকারি অনুষ্ঠানকে বিতর্কিত প্রমাণের চেষ্টা করেছিলেন যেটি প্রতারণার শামিল। একজন প্রেসিডেন্টের এমন কোনো দাপ্তরিক কাজ নেই। সূত্র: আল-জাজিরা, এপি

বাড়ির বেজমেন্টে মিলল পিকাসোর চিত্রকর্ম

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫৭ এএম
বাড়ির বেজমেন্টে মিলল পিকাসোর চিত্রকর্ম
ইতালির এক ভিলার বেজমেন্ট পাবলো পিকাসোর আঁকা একটি ছবি পান বাতিল পণ্যের আড়তদার লুইজি লো রসো। পরে তার ছেলে এই চিত্রকর্মের আসল পরিচয় খুঁজে বের করে। ছবি: সংগ্রিহীত

ছয় দশক আগে ইতালির এক ভিলার বেজমেন্টে কিম্ভূত দর্শনের এক চিত্রকর্ম খুঁজে পান বাতিল পণ্যের চুক্তিভিত্তিক আড়তদার লুইজি লো রসো। তার মনে হয়েছিল এটি বিক্রি করে খুব একটা অর্থ পাওয়া যাবে না। তা-ই চিত্রকর্মটা তিনি ঝুলিয়ে রেখেছিলেন পারিবারিক বাড়ির দেয়ালে। সেখানেই চিত্রকর্মটি রয়ে যায় ৫০ বছর।

এত বছর পর এসে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওই চিত্রকর্মটি পাবলো পিকাসোর আঁকা। এখন এর দাম হতে পারে কয়েক লাখ ডলার। লুইজি লো রসো জীবদ্দশায় এটির কথা জেনে যেতে পারেননি। তিনি মারা যান ২০২১ সালে। চিত্রকর্মটির আসল পরিচয় সামনে এসেছে তার ছেলে আন্দ্রেয়া লো রসোর হাতে যাওয়ার পর।  

কাপ্রি দ্বীপের কাছাকাছি বাড়ির বেজমেন্টে চিত্রকর্মটি মিলেছিল ১৯৬২ সালে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওই চিত্রকর্মটি ফরাসি আলোকচিত্রী ও কবি ডোরা মারের বিকৃত ছবি বলেই মনে হচ্ছে। ডোরা মার এক সময় পিকাসোর প্রেমিকা ছিলেন বলেও দাবি করেছেন এক চিত্রশিল্প বিশেষজ্ঞ। 

মজার ব্যাপার হলো, লুইজি লো রসোর জন্য চিত্রকর্মটির মূল্য বোঝা খুব একটা কঠিন কিছু ছিল না। এটির এক কোণায় পিকাসোর নামও লেখা ছিল। কিন্তু সে সময় ২৪ বছর বয়সী লো রসোর কাছে ‘পিকাসো’ নামটি খুব একটা বোধগম্য হয়নি। আন্দ্রেয়া লো রসোর বরাতে জানা গেছে তথ্যটি। সূত্র: সিএনএন