ঢাকা ২০ আশ্বিন ১৪৩১, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

বিতর্কে জয়ী কমলা, ধরাশায়ী ট্রাম্প

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৯ পিএম
বিতর্কে জয়ী কমলা, ধরাশায়ী ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প টেলিভিশন বিতর্ক অনুষ্ঠানে একে অন্যকে বাক্যবাণে জর্জরিত করেন। ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের বিতর্কে উঠে আসে অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, গর্ভপাতের অধিকার, গাজার যুদ্ধ, ইউক্রেন যুদ্ধের মতো বিষয়গুলো।

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়ায় স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় এবিসি নিউজের ওই বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সিএনএনের বিশ্লেষণ বলছে, বিতর্কে কমলা হ্যারিসই বিজয়ী বলে রায় দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। বিতর্কের শুরুতে দুই প্রার্থীর মধ্যে হয়ে যাওয়া ভার্চুয়াল কয়েন টসে ট্রাম্প জিতেছিলেন। গোটা আয়োজনে তার বিজয় শুধু সেটুকুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এমনকি ট্রাম্পের পক্ষে সাফাই গাওয়ার জন্য সুপরিচিত ফক্স নিউজও বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিতর্কে কমলা হ্যারিসই বিজয়ী হয়েছেন। বাগযুদ্ধে পটু ট্রাম্প বিতর্কে সুবিধা করে উঠতে পারেননি।

শুরু থেকেই ট্রাম্প ছিলেন চাপের মুখে। যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস বিতর্কের আগে ট্রাম্পের পোডিয়ামের দিকে এগিয়ে যান এবং বাধ্য করেন হাত মেলাতে।

বিতর্কের আগে আশঙ্কা ছিল কমলা সুবিধা করে উঠতে পারবেন কি না ট্রাম্পের সঙ্গে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাক্যবাণের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবেন কি না সেটি নিয়েও সংশয় ছিল অনেকের মনেই। বিতর্কের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রবাসী কমলা হ্যারিস সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী এমন তথ্যও সামনে এসেছিল। 

সব প্রশ্ন ও সংশয় দূর করে কমলাকে মঙ্গলবার রাতে দেখা যায় আত্মপ্রত্যয়ী ও উদ্যমী রূপে। তার নেতৃত্বকাল কেমন হতে পারে সেটিরই যেন একটা ধারণা পেয়ে যান জনগণ।

অন্যদিকে ট্রাম্প প্রতি পদে পর্যদুস্ত হন কমলার হাতে। এমন সব আক্রমণ তাকে সামাল দিতে হয় যা হয়তো তিনি কল্পনাও করতে পারেননি। তবে পাল্টা আক্রমণ যে তিনি একবারেই করেননি তা নয়। মোটের ওপর সেগুলোকে ততটা দৃঢ় বলা যায় না বলেই উল্লেখ করেছে সিএনএন।

বিতর্কে ট্রাম্পকে আক্রমণ করে কমলা বলেন, ট্রাম্প ক্ষমতা ছাড়ার সময় বেকারত্বকে তীব্র মাত্রায় রেখে গেছেন। তিনি তুলে ধরেন ১৬ জন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ট্রাম্পের অর্থনৈতিক নীতির সমালোচনা করেছেন। ট্রাম্প শুধু বড় ব্যবসায়ীদের সুযোগ দেবেন বলেও অভিযোগ তুলেন কমলা।

জবাবে ট্রাম্প চীনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, তার আমলে চীন থেকে শত শত কোটি ডলার শুল্ক এসেছে এবং পরেও তা অব্যাহত ছিল। তিনি ক্ষমতায় এলে অন্য দেশের ওপর কর আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকের ব্যয় কমাবেন বলেও উল্লেখ করেন। 

গর্ভপাতের অধিকার বিষয়ে নিজের অবস্থান সুস্পষ্ট করতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, ডেমোক্র্যাটিক পার্টি নারীদের ৯ মাসেও গর্ভপাতের অধিকার দিতে চায় এবং অনেক মার্কিন অঙ্গরাজ্যে শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরও হত্যার অনুমতি রয়েছে। তবে বিতর্কের সঞ্চালক জানান, এ রকম কোনো নিয়ম যুক্তরাষ্ট্রের কোথাও নেই। কমলার পক্ষ থেকে এ প্রসঙ্গে বলা হয়, মার্কিন নারীরা গর্ভপাতের অধিকার কেড়ে নেওয়ার পক্ষে নন।

গাজা যুদ্ধ ও ইউক্রেন যুদ্ধও আলোচনার বড় একটি অংশ জুড়ে ছিল। গাজার যুদ্ধ ইসুতে কমলা হ্যারিস বলেন, এটি থামা প্রয়োজন। ইসরায়েলের অবশ্যই নিজেকে রক্ষার অধিকার রয়েছে। কিন্তু সেটি কীভাবে তা ভাবতে হবে। অন্যদিকে ট্রাম্প বলেন, ইসরায়েলকে ঘৃণা করেন কমলা হ্যারিস এবং তিনি (কমলা) প্রেসিডেন্ট হলে দুই বছরের মধ্যে ইসরায়েলের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না।

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে চান বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প। আর কমলা বলেন, আপনি এখন আর আমাদের প্রেসিডেন্ট নেই, এতে আমাদের ন্যাটো জোটের মিত্ররা খুবই কৃতজ্ঞ। তিনি আরও বলেন, পুতিন একজন স্বৈরশাসক। যিনি আপনাকে খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিতেন। ট্রাম্প অভিযোগ তুলেন, ইউরোপের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র এ যুদ্ধে অনেকে বেশি খরচ করছে।

এদিকে সিএনএনের বিশ্লেষণ বলছে, বিতর্কে জিতে গেলেই তা নির্বাচনি বিজয় নিশ্চিত করে না। ২০১৬ সালে ট্রাম্প ও ২০০৪ সালে জর্জ ডব্লিউ বুশ বিতর্কে বিজয়ী না হয়েও নির্বাচনে জিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। আর কমলার পারফরম্যান্স নিয়ে ডেমোক্র্যাটরা উদ্বেলিত হলেও বিভিন্ন পক্ষ নিজ নিজ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে গোটা বিতর্ক বিশ্লেষণ করবেন।

নির্বাচনের দুটি ইসুতে ট্রাম্প বরাবরই এগিয়ে। আর সে দুটি হলো অর্থনীতি ও অভিবাসন। এখনো অনেক ভোটার কোভিড-পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য অপেক্ষা করছেন। তাদের ভোট পাওয়ার জন্য শুধু বিতর্কের বিজয় যথেষ্ট হবে না।

কমলা হ্যারিস ভালো পারফর্ম করলেও বিজয় লাভ করবেন এমনটা এখনই বলা যাচ্ছে না। নির্বাচনের ফলাফল নির্ভর করছে প্রায় ২ লাখের মতো মতপরিবর্তনকারী ভোটারের ওপর। তবে কমলার প্রচার শিবির আশাবাদী যে তাদের ভোট পাওয়া সম্ভব হবে। সূত্র: সিএনএন

বাংলাকে ‘ধ্রুপদী ভাষার’ মর্যাদা দিল ভারত

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩৮ পিএম
আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩৯ পিএম
বাংলাকে ‘ধ্রুপদী ভাষার’ মর্যাদা দিল ভারত
বাংলাসহ মারাঠি, পালি, প্রাকৃত ও অসমীয়াকে ‘ধ্রুপদী ভাষার’ মর্যাদা দিয়েছে ভারত। ছবি: সংগৃহীত

বাংলা, মারাঠি, পালি, প্রাকৃত ও অসমীয়াকে ‘ধ্রুপদী ভাষার’ মর্যাদা দিয়েছে ভারত। গত বৃহস্পতিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে নরেন্দ্র মোদি তার এক্স হ্যান্ডেলে এক বার্তায় বলেন, ‘বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। বিশেষত দুর্গাপূজার শুভ সময়ে, এটা খুবই আনন্দের বিষয়।’

তিনি বলেন, ‘বাংলা সাহিত্য বছরের পর বছর অসংখ্য মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে। বিশ্বের সব বাংলা ভাষাভাষিকে আমি অভিনন্দন জানাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে অসমীয়া ভাষা এখন ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা পাবে, যা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে। অসমীয়া সংস্কৃতি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সমৃদ্ধ হয়েছে। এটি আমাদের সমৃদ্ধ সাহিত্যিক-ঐতিহ্য উপহার দিয়েছে। ভবিষ্যতে এই ভাষা আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠুক। আমার অভিনন্দন।’

মোদি আরও বলেন, ‘মারাঠি হলো ভারতের গর্ব। এই অসাধারণ ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়ার জন্য অভিনন্দন। মারাঠি সর্বদাই ভারতের ঐতিহ্যের একটি প্রধান ভিত্তি হয়েছিল। আমি নিশ্চিত যে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা পাওয়ার পর আরও অনেকে এই ভাষা শিখতে অনুপ্রাণিত হবেন।’

এক্স হ্যান্ডেল বার্তায় তিনি আরও বলেন, ‘পালি ও প্রাকৃত হলো ভারতের সংস্কৃতির মূল ভিত্তি। এগুলো আধ্যাত্মিকতা, জ্ঞান ও দর্শনের ভাষা। এই ভাষাগুলোর সাহিত্যিক ঐতিহ্যও সুপরিচিত। ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে তাদের স্বীকৃতি ভারতের চিন্তা, সংস্কৃতি ও ইতিহাসকে সম্মানিত করে।’

মোদি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের পর আরও অনেক মানুষ এই ভাষাগুলো সম্পর্কে জানার জন্য অনুপ্রাণিত হবেন।’

ছত্তিশগড়ে বন্দুকযুদ্ধে ৩৬ মাওবাদী নিহত

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৫ পিএম
ছত্তিশগড়ে বন্দুকযুদ্ধে ৩৬ মাওবাদী নিহত
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

ভারতের ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে অন্তত ৩৬ জন সন্দেহভাজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। 

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুর জেলায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় পুলিশ এই তথ্য প্রকাশ করেছে। 

বাস্তার পুলিশের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এদিন দুপুর ১টা নাগাদ নারায়ণপুর ও দান্তেওয়াড়া জেলার সীমান্তবর্তী অংশে বিস্তৃত অবুঝমাড় জঙ্গলে দুই পক্ষের মধ্য়ে বন্দুকযুদ্ধ হয়। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই মাওবাদী দমনের উদ্দেশে এই এলাকায় একটি যৌথ অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। সেই অভিযান চলাকালে সংঘাত ঘটে। গত এপ্রিল মাসের পর থেকে মাওবাদী দমন অভিযানে এটাই নিরাপত্তাবাহিনীর সব থেকে বড় সাফল্য বলে দেখা হচ্ছে। 

অবুঝমাড়ের এই জঙ্গল ছত্তিশগড় ও মহারাষ্ট্রের মধ্যে বিস্তৃত। এই এলাকাকে অনেকেই ‘অপরিচিত পাহাড়’ বলে অবহিত করেন। কারণ সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই এখানকার প্রায় ৬ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা কেউ কখনো জরিপ করেনি। যে কারণে এই ঘন জঙ্গল মাওবাদীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। সূত্র: এনডিটিভি

মায়ানমার ইস্যুতে জাতিসংঘের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার বৈঠক

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০৬ এএম
মায়ানমার ইস্যুতে জাতিসংঘের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার বৈঠক
মায়ানমারে গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটাতে জাতিসংঘ, আসিয়ান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং এনইউজির সদস্যদের নিয়ে আন্তর্জাতিক বৈঠকের আয়োজন করেছে ইন্দোনেশিয়া। ছবি: সংগৃহীত

মায়ানমারে গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটাতে আন্তর্জাতিক বৈঠকের আয়োজন করেছে ইন্দোনেশিয়া। এই বৈঠকে জাতিসংঘ ও মায়ানমারের সামরিক শাসকবিরোধীরা অংশগ্রহণ করছেন।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বৈঠকের বিষয়ে অবগত কয়েকটি সূত্রের বরাতে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।

দুই দিনের এই বৈঠকে জাতিসংঘ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০ দেশের জোট আসিয়ান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মায়ানমারের ছায়া জাতীয় ঐক্য সরকারের (এনইউজি) সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।

একটি কূটনৈতিক সূত্র নিশ্চিত করে বলেছে, এনইউজি ইন্দোনেশিয়ায় আলোচনা করতে এসেছে। অন্য আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, মায়ানমার সংক্রান্ত একটি বিশেষ সভায় রয়েছে জাতিসংঘ। চতুর্থ আরেকটি সূত্র বলেছে যে, ইন্দোনেশিয়ায় মায়ানমার সংকটের ‘স্টেকহোল্ডারদের’ সঙ্গে একটি সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে এসব সূত্র অন্য অংশগ্রহণকারী বা আলোচিত প্রস্তাব নিয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রদান করেনি।

অং সান সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি দলের নির্বাচিত সরকার হটিয়ে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ক্ষমতা নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় মায়ানমার সেনাবাহিনী। এরপরই সামরিক অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে সারা দেশে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তাদের দমনে সেনা সদস্যরা বল প্রয়োগ শুরু করলে বিক্ষোভ সশস্ত্র বিদ্রোহে পরিণত হয়। এতে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মানুষ নিহত এবং ২০ হাজারের বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে। সূত্র: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রে হারিকেন হেলেনের আঘাতে দুই শতাধিক নিহত

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫৬ এএম
যুক্তরাষ্ট্রে হারিকেন হেলেনের আঘাতে দুই শতাধিক নিহত
যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানা দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাণঘাতী ঝড় হারিকেন হেলেনের আঘাতে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটে উত্তর ক্যারোলিনায়। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি রাজ্যে হারিকেন হেলেনের আঘাতে প্রাণহানির সংখ্যা ২১০ জন ছাড়িয়েছে। দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময়ে এটি যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানা দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাণঘাতী ঝড় বলে মন্তব্য করেছেন। 

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে।

সরকারি পরিসংখ্যানের হিসাবের বরাত দিয়ে এএফপি উত্তর ও দক্ষিণ ক্যারোলিনা, জর্জিয়া, ফ্লোরিডা, টেনেসি ও ভার্জিনিয়াজুড়ে ২১২ জন প্রাণহানির বিষয় নিশ্চিত করেছে। এর মধ্যে উত্তর ক্যারোলিনায় অর্ধেকেরও বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। ২০০৫ সালের হারিকেন ক্যাটরিনার পর যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানা দ্বিতীয় শক্তিশালী হারিকেন হেলেন। ক্যাটরিনার আঘাতে দেশটিতে ১ হাজার ৩৯২ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল সফরের দ্বিতীয় দিনে এই দুর্যোগে কয়েক লাখ মানুষের জীবন বিপর্যস্ত করে তোলা ক্ষতিগ্রস্ত এক অঞ্চল পরিদর্শন করেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করেন। বাইডেন বলেন, আমি আপনাদের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি এবং প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি- আমরা আপনাদের পাশে আছি। এই ঝড়ে অনেক শহর ও নগর প্লাবিত হয়েছে। অসংখ্য রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ-পানি পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সূত্র: এএফপি

কমলার জন্য প্রচারে নামছেন ওবামা

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪৬ এএম
কমলার জন্য প্রচারে নামছেন ওবামা
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিসের জন্য প্রচারণায় নামছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর খুব বেশি দিন বাকি নেই। আগামী নভেম্বরের ৫ তারিখেই শুরু হবে ভোটযুদ্ধ। নির্বাচনকে সামনে রেখে তাই পিছিয়ে পড়তে চাইছেন না কোনো পক্ষই। দুই শিবিরই চেষ্টা করছে নিজ নিজ সর্বোচ্চটা দিয়ে ভোটারদের আকৃষ্ট করতে। আর এ রকম একটি সময়ে ঘোষণা এল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিসের জন্য প্রচার কাজে খোদ নামছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ওয়াশিংটন পোস্টের বরাতে এ খবর জানা যায়। পুরো এক মাস কমলার পক্ষে প্রচারে দেখা যাবে ওবামাকে। তিনি অবশ্য নিজ সমর্থন আগেই দিয়েছিলেন। জুলাইয়েই কমলা হ্যারিস পেয়ে যান ওবামা দম্পতির আশীর্বাদ। তবে এবার আর শুধু মুখে নয়, ওবামা নামবেন সশরীরে। এর আগে গতবার জো বাইডেনের প্রচারেও মাঠে নামতে দেখা গিয়েছিল ওবামাকে।

নাম না প্রকাশের শর্তে এক সূত্র জ্যেষ্ঠ এক নির্বাচনি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানান, ওবামা আগামী বৃহস্পতিবার পিটসবার্গ সফরের মধ্য দিয়ে নিজ কর্মসূচি শুরু করবেন।

এর আগে আগস্টে ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কনভেনশনে ওবামাকে কমলার পক্ষে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল। সেবার ওবামা মার্কিনিদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘আমেরিকা নতুন অধ্যায়ের জন্য প্রস্তুত। আমেরিকা আরও ভালো গল্পের জন্য প্রস্তুত। আমরা প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের জন্য প্রস্তুত।’

বর্তমানে জনমত জরিপে রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ও নির্বাচনি প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে কয়েক পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন কমলা হ্যারিস। তবে নির্বাচনে যে তাকে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হবে, সে বিষয়টি একরকম স্পষ্ট। আর তাই হয়তো দলীয় প্রার্থীর জন্য প্রচারে নামছেন ওবামা। সূত্র: রয়টার্স