ঢাকা ২০ আশ্বিন ১৪৩১, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

ট্রাম্প-কমলা বিতর্কের যত মিথ্যা ও অর্ধসত্য দাবি

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:১৬ এএম
আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:২৫ এএম
ট্রাম্প-কমলা বিতর্কের যত মিথ্যা ও অর্ধসত্য দাবি
বিতর্ক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। সংগৃহীত ছবি

প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের গত মঙ্গলবারের বিতর্কে নানা মিথ্যা ও অর্ধসত্য দাবি করা হয়েছে। আল-জাজিরার সত্যতা যাচাইয়ে উঠে এসেছে বিষয়গুলো। মিথ্যা দাবির দৌড়ে ট্রাম্প এগিয়ে থাকলেও খুব একটা পিছিয়ে ছিলেন না কমলা।

ট্রাম্পের দাবি ১: ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যখন কংগ্রেসে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখতে যান, সে সময় কমলা হ্যারিস তার সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করতে রাজি হননি।

একে অর্ধসত্য হিসেবে অভিহিত করেছে আল-জাজিরা। হ্যারিস নেতানিয়াহুর বক্তব্যের এক যৌথ অধিবেশন বাদ দিয়েছিলেন ২৪ জুলাই। কিন্তু তা ভিন্ন এক রাজনৈতিক ব্যস্ততার কারণে। পরের দিনই নেতানিয়াহুর সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাৎ করেন হ্যারিস এবং সে সাক্ষাতের পর ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন বৃদ্ধি করেন তিনি।

ট্রাম্পের দাবি ২: যুক্তরাষ্ট্র ৮ হাজার ৫০০ কোটি ডলার মূল্যমানের নতুন ও সুন্দর সুন্দর সামরিক রসদ আফগানিস্তানে ফেলে এসেছে।
আল-জাজিরা বলছে, এ দাবি মিথ্যা। যুক্তরাষ্ট্র কিছু সামরিক রসদ ফেলে এসেছিল। কিন্তু অর্থের মূল্যমানে সেগুলোর দাম অনেক কম। ট্রাম্প যতটা বাড়িয়ে বলেছেন, অঙ্কটি তত বড় নয়। ৭০০ কোটি ডলারের অস্ত্র ফেলে আসতে হয়েছে তাদের। সেগুলো পরে তালেবানের হাতে চলে যায়।

ট্রাম্পের দাবি ৩: হাইতি থেকে আসা অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইয়োর স্প্রিংফিল্ডের বাসিন্দাদের পোষা কুকুর, বিড়াল খেয়ে ফেলছে। 
আল-জাজিরার বরাতে জানা গেছে, এটি মিথ্যা দাবি। স্প্রিংফিল্ড শহরের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, হাইতি থেকে আসা অভিবাসীরা এমন কিছুই ঘটাননি। তাদের কাছে এ রকম কোনো অভিযোগ নেই। পুলিশের পক্ষ থেকেও একই তথ্য জানানো হয়েছে। 

হ্যারিসের দাবি ১: মহামন্দার পর সবচেয়ে প্রতিকূল বেকারত্ব রেখে গেছেন ট্রাম্প।
তার এ দাবিটি মিথ্যা বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা। ২০২০ সালের এপ্রিলে বেকারত্বের হার ১৪ দশমিক ৮ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছিল, সেটিকে মহামন্দার পরবর্তী অবস্থার সঙ্গে তুলনা করা হয়। কিন্তু পরে ওই বছরের ডিসেম্বরে তা কমে ৬ দশমিক ৪ শতাংশে আসে। ফলে ট্রাম্প এ রকম কোনো প্রতিকূল অবস্থা রেখে যাননি তার উত্তরসূরীদের জন্য।

ট্রাম্পের দাবি ৪: ৮ লাখ ১৮ হাজার ভুয়া চাকরি তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের জো বাইডেনের প্রশাসন।
অর্থনীতিবিদদের দেওয়া তথ্যানুসারেই ট্রাম্পের এ দাবির কোনো ভিত্তি নেই। ভালো সংখ্যক চাকরিই তৈরি হয়েছে ডেমোক্র্যাট আমলে। আগামীতে এসবের ব্যাপারে আরও সুনির্দিষ্ট তথ্য আসবে।

ট্রাম্পের দাবি ৫: যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অঙ্গরাজ্যে নবজাতক ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর পরই মেরে ফেলার অনুমতি দেওয়া হয়। দাবিটি মিথ্যা। বিতর্কের সঞ্চালক সরাসরিই বলেছেন, এ রকম কোনো নিয়ম যুক্তরাষ্ট্রের কোথাও নেই।

ট্রাম্পের দাবি ৬: বিতর্কে ট্রাম্প দাবি করেন, ইউক্রেন যুদ্ধ কখনো শুরুই হওয়ার কথা ছিল না। কমলা হ্যারিসকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলাপের জন্য পাঠানো হয়েছিল এবং তিন দিন পরই যুদ্ধ শুরু হয়।

আল-জাজিরার প্রতিবেদন বলছে, দাবিটি মিথ্যা। কমলা হ্যারিস ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। কিন্তু তিনি কখনো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি। তাদের তিনজনের মধ্যে কখনো কোনো আলোচনাও হয়নি। সূত্র: আল-জাজিরা

বাংলাকে ‘ধ্রুপদী ভাষার’ মর্যাদা দিল ভারত

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩৮ পিএম
আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩৯ পিএম
বাংলাকে ‘ধ্রুপদী ভাষার’ মর্যাদা দিল ভারত
বাংলাসহ মারাঠি, পালি, প্রাকৃত ও অসমীয়াকে ‘ধ্রুপদী ভাষার’ মর্যাদা দিয়েছে ভারত। ছবি: সংগৃহীত

বাংলা, মারাঠি, পালি, প্রাকৃত ও অসমীয়াকে ‘ধ্রুপদী ভাষার’ মর্যাদা দিয়েছে ভারত। গত বৃহস্পতিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে নরেন্দ্র মোদি তার এক্স হ্যান্ডেলে এক বার্তায় বলেন, ‘বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। বিশেষত দুর্গাপূজার শুভ সময়ে, এটা খুবই আনন্দের বিষয়।’

তিনি বলেন, ‘বাংলা সাহিত্য বছরের পর বছর অসংখ্য মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে। বিশ্বের সব বাংলা ভাষাভাষিকে আমি অভিনন্দন জানাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে অসমীয়া ভাষা এখন ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা পাবে, যা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে। অসমীয়া সংস্কৃতি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সমৃদ্ধ হয়েছে। এটি আমাদের সমৃদ্ধ সাহিত্যিক-ঐতিহ্য উপহার দিয়েছে। ভবিষ্যতে এই ভাষা আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠুক। আমার অভিনন্দন।’

মোদি আরও বলেন, ‘মারাঠি হলো ভারতের গর্ব। এই অসাধারণ ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়ার জন্য অভিনন্দন। মারাঠি সর্বদাই ভারতের ঐতিহ্যের একটি প্রধান ভিত্তি হয়েছিল। আমি নিশ্চিত যে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা পাওয়ার পর আরও অনেকে এই ভাষা শিখতে অনুপ্রাণিত হবেন।’

এক্স হ্যান্ডেল বার্তায় তিনি আরও বলেন, ‘পালি ও প্রাকৃত হলো ভারতের সংস্কৃতির মূল ভিত্তি। এগুলো আধ্যাত্মিকতা, জ্ঞান ও দর্শনের ভাষা। এই ভাষাগুলোর সাহিত্যিক ঐতিহ্যও সুপরিচিত। ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে তাদের স্বীকৃতি ভারতের চিন্তা, সংস্কৃতি ও ইতিহাসকে সম্মানিত করে।’

মোদি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের পর আরও অনেক মানুষ এই ভাষাগুলো সম্পর্কে জানার জন্য অনুপ্রাণিত হবেন।’

ছত্তিশগড়ে বন্দুকযুদ্ধে ৩৬ মাওবাদী নিহত

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৫ পিএম
ছত্তিশগড়ে বন্দুকযুদ্ধে ৩৬ মাওবাদী নিহত
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

ভারতের ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে অন্তত ৩৬ জন সন্দেহভাজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। 

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুর জেলায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় পুলিশ এই তথ্য প্রকাশ করেছে। 

বাস্তার পুলিশের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এদিন দুপুর ১টা নাগাদ নারায়ণপুর ও দান্তেওয়াড়া জেলার সীমান্তবর্তী অংশে বিস্তৃত অবুঝমাড় জঙ্গলে দুই পক্ষের মধ্য়ে বন্দুকযুদ্ধ হয়। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই মাওবাদী দমনের উদ্দেশে এই এলাকায় একটি যৌথ অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। সেই অভিযান চলাকালে সংঘাত ঘটে। গত এপ্রিল মাসের পর থেকে মাওবাদী দমন অভিযানে এটাই নিরাপত্তাবাহিনীর সব থেকে বড় সাফল্য বলে দেখা হচ্ছে। 

অবুঝমাড়ের এই জঙ্গল ছত্তিশগড় ও মহারাষ্ট্রের মধ্যে বিস্তৃত। এই এলাকাকে অনেকেই ‘অপরিচিত পাহাড়’ বলে অবহিত করেন। কারণ সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই এখানকার প্রায় ৬ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা কেউ কখনো জরিপ করেনি। যে কারণে এই ঘন জঙ্গল মাওবাদীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। সূত্র: এনডিটিভি

মায়ানমার ইস্যুতে জাতিসংঘের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার বৈঠক

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০৬ এএম
মায়ানমার ইস্যুতে জাতিসংঘের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার বৈঠক
মায়ানমারে গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটাতে জাতিসংঘ, আসিয়ান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং এনইউজির সদস্যদের নিয়ে আন্তর্জাতিক বৈঠকের আয়োজন করেছে ইন্দোনেশিয়া। ছবি: সংগৃহীত

মায়ানমারে গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটাতে আন্তর্জাতিক বৈঠকের আয়োজন করেছে ইন্দোনেশিয়া। এই বৈঠকে জাতিসংঘ ও মায়ানমারের সামরিক শাসকবিরোধীরা অংশগ্রহণ করছেন।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বৈঠকের বিষয়ে অবগত কয়েকটি সূত্রের বরাতে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।

দুই দিনের এই বৈঠকে জাতিসংঘ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০ দেশের জোট আসিয়ান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মায়ানমারের ছায়া জাতীয় ঐক্য সরকারের (এনইউজি) সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।

একটি কূটনৈতিক সূত্র নিশ্চিত করে বলেছে, এনইউজি ইন্দোনেশিয়ায় আলোচনা করতে এসেছে। অন্য আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, মায়ানমার সংক্রান্ত একটি বিশেষ সভায় রয়েছে জাতিসংঘ। চতুর্থ আরেকটি সূত্র বলেছে যে, ইন্দোনেশিয়ায় মায়ানমার সংকটের ‘স্টেকহোল্ডারদের’ সঙ্গে একটি সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে এসব সূত্র অন্য অংশগ্রহণকারী বা আলোচিত প্রস্তাব নিয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রদান করেনি।

অং সান সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি দলের নির্বাচিত সরকার হটিয়ে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ক্ষমতা নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় মায়ানমার সেনাবাহিনী। এরপরই সামরিক অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে সারা দেশে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তাদের দমনে সেনা সদস্যরা বল প্রয়োগ শুরু করলে বিক্ষোভ সশস্ত্র বিদ্রোহে পরিণত হয়। এতে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মানুষ নিহত এবং ২০ হাজারের বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে। সূত্র: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রে হারিকেন হেলেনের আঘাতে দুই শতাধিক নিহত

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫৬ এএম
যুক্তরাষ্ট্রে হারিকেন হেলেনের আঘাতে দুই শতাধিক নিহত
যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানা দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাণঘাতী ঝড় হারিকেন হেলেনের আঘাতে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটে উত্তর ক্যারোলিনায়। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি রাজ্যে হারিকেন হেলেনের আঘাতে প্রাণহানির সংখ্যা ২১০ জন ছাড়িয়েছে। দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময়ে এটি যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানা দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাণঘাতী ঝড় বলে মন্তব্য করেছেন। 

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে।

সরকারি পরিসংখ্যানের হিসাবের বরাত দিয়ে এএফপি উত্তর ও দক্ষিণ ক্যারোলিনা, জর্জিয়া, ফ্লোরিডা, টেনেসি ও ভার্জিনিয়াজুড়ে ২১২ জন প্রাণহানির বিষয় নিশ্চিত করেছে। এর মধ্যে উত্তর ক্যারোলিনায় অর্ধেকেরও বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। ২০০৫ সালের হারিকেন ক্যাটরিনার পর যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানা দ্বিতীয় শক্তিশালী হারিকেন হেলেন। ক্যাটরিনার আঘাতে দেশটিতে ১ হাজার ৩৯২ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল সফরের দ্বিতীয় দিনে এই দুর্যোগে কয়েক লাখ মানুষের জীবন বিপর্যস্ত করে তোলা ক্ষতিগ্রস্ত এক অঞ্চল পরিদর্শন করেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করেন। বাইডেন বলেন, আমি আপনাদের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি এবং প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি- আমরা আপনাদের পাশে আছি। এই ঝড়ে অনেক শহর ও নগর প্লাবিত হয়েছে। অসংখ্য রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ-পানি পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সূত্র: এএফপি

কমলার জন্য প্রচারে নামছেন ওবামা

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪৬ এএম
কমলার জন্য প্রচারে নামছেন ওবামা
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিসের জন্য প্রচারণায় নামছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর খুব বেশি দিন বাকি নেই। আগামী নভেম্বরের ৫ তারিখেই শুরু হবে ভোটযুদ্ধ। নির্বাচনকে সামনে রেখে তাই পিছিয়ে পড়তে চাইছেন না কোনো পক্ষই। দুই শিবিরই চেষ্টা করছে নিজ নিজ সর্বোচ্চটা দিয়ে ভোটারদের আকৃষ্ট করতে। আর এ রকম একটি সময়ে ঘোষণা এল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিসের জন্য প্রচার কাজে খোদ নামছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ওয়াশিংটন পোস্টের বরাতে এ খবর জানা যায়। পুরো এক মাস কমলার পক্ষে প্রচারে দেখা যাবে ওবামাকে। তিনি অবশ্য নিজ সমর্থন আগেই দিয়েছিলেন। জুলাইয়েই কমলা হ্যারিস পেয়ে যান ওবামা দম্পতির আশীর্বাদ। তবে এবার আর শুধু মুখে নয়, ওবামা নামবেন সশরীরে। এর আগে গতবার জো বাইডেনের প্রচারেও মাঠে নামতে দেখা গিয়েছিল ওবামাকে।

নাম না প্রকাশের শর্তে এক সূত্র জ্যেষ্ঠ এক নির্বাচনি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানান, ওবামা আগামী বৃহস্পতিবার পিটসবার্গ সফরের মধ্য দিয়ে নিজ কর্মসূচি শুরু করবেন।

এর আগে আগস্টে ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কনভেনশনে ওবামাকে কমলার পক্ষে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল। সেবার ওবামা মার্কিনিদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘আমেরিকা নতুন অধ্যায়ের জন্য প্রস্তুত। আমেরিকা আরও ভালো গল্পের জন্য প্রস্তুত। আমরা প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের জন্য প্রস্তুত।’

বর্তমানে জনমত জরিপে রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ও নির্বাচনি প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে কয়েক পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন কমলা হ্যারিস। তবে নির্বাচনে যে তাকে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হবে, সে বিষয়টি একরকম স্পষ্ট। আর তাই হয়তো দলীয় প্রার্থীর জন্য প্রচারে নামছেন ওবামা। সূত্র: রয়টার্স