চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য পশ্চিমবঙ্গের নবান্নের (সচিবালয়) সভাস্থলে ২ ঘণ্টার বেশি সময় বসে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বৈঠক হলো না। এরপর নবান্ন থেকে সংবাদ সম্মেলন করে মমতা জানালেন, তিনি পদত্যাগ করতে রাজি আছেন।
তিনি বলেন, ‘ওরা (চিকিৎসকরা) বিচার চায় না। ওরা চেয়ার চায়। মানুষের স্বার্থে আমি পদত্যাগ করতে রাজি আছি। মুখ্যমন্ত্রীর পদ চাই না। আমি চাই তিলোত্তমা বিচার পাক। সাধারণ মানুষ বিচার পাক।’
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার থেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এর আগে পর পর ২ দিন তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবারও (১২ সেপ্টেম্বর) তৃতীয় বারের জন্য বৈঠক ভেস্তে গেল।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টানা ২ ঘণ্টা অপেক্ষায় রেখেও নবান্নের (সচিবালয়) আলোচনা কক্ষে পা রাখলেন না ডাক্তাররা। তাদের দাবি ছিল, এই বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং অর্থাৎ সরাসরি সম্প্রচার করতে হবে। রাজ্য সরকার তাতে রাজি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত কাটল না অচলাবস্থা।
সরকারের তরফে বলা হয়, কোনো বড় প্রশাসনিক বৈঠকে লাইভ স্ট্রিমিং সম্ভব নয়। জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে ভিডিও রেকর্ডিং করা যেতে পারে। আমরা চাইব আন্দোলনকারীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে দ্রুত বৈঠকে বসুক। আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বার্তা দেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ও ডিআইজি রাজীব কুমার। বৈঠক কার্যত ভেস্তে যাওয়ার পর নবান্ন থেকে মমতা বলেন, ‘ডাক্তাররা ভগবান। এত মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন। আমার হৃদয় কাঁদছে।’
মঙ্গল, বুধের পর বৃহস্পতিবারও নবান্নে বৈঠকের জন্য ফের ডাকা হয়েছিল আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের। কিন্তু জট কাটল না। গতকাল বিকেলে ১৫ জনের প্রতিনিধিদলকে ডাকা হয়েছিল নবান্নে। কিন্তু প্রায় ৩০-৩২ জন জুনিয়র ডাক্তার বাসে চেপে নবান্নে যান। তাতেও রাজি হয়েছে প্রশাসন। যে বর্ধিত প্রতিনিধিদল গিয়েছে, সবাইকে নিয়ে আলোচনায় রাজি নবান্ন। কিন্তু সরাসরি সম্প্রচারে রাজি হয়নি সরকার। পরিবর্তে বৈঠকের ভিডিও রেকর্ডিং করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে নবান্ন।