ঢাকা ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪

কমলার সঙ্গে আর বিতর্ক করবেন না ট্রাম্প

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১৫ পিএম
কমলার সঙ্গে আর বিতর্ক করবেন না ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম ও কমলা হ্যারিস

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিখ্যাত টিভিতে নিজেকে আকর্ষণীয় ও চটকদার হিসেবে উপস্থাপন করার জন্য অনেকের কাছে তার আচরণ ভালো না লাগলেও বেশ আগ্রহ নিয়ে অনেকে দেখেন সেসব। তবে এবার সেই ট্রাম্প হতাশ করতে চলেছেন সবাইকে। কমলা হ্যারিসের সঙ্গে আর কোনো বিতর্কে অংশ নেবেন না তিনি। অন্তত আপাতত এটিই তার সিদ্ধান্ত।

কমলা হ্যারিসের সঙ্গে গত মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে এবিসি নিউজের আয়োজনে এক বিতর্কে অংশ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্লেষকদের দৃষ্টিতে কমলা জিতেছেন। আর এতে বিপাকে পড়েছেন ট্রাম্প। কারণ বাকপটু ট্রাম্পের জন্য এভাবে পরাজিত হওয়ার অর্থ, তা নির্বাচনে প্রভাব ফেলা। 

তবে ট্রাম্প অবশ্য শুরু থেকেই দাবি করে যাচ্ছেন, তিনিই জিতেছেন এবং এটি তার করা সেরা বিতর্কগুলোর মধ্যে অন্যতম। তার এ দাবি অবশ্য মানতে নারাজ অনেকেই। খোদ ট্রাম্পের পক্ষে সাফাই গাওয়া টিভি চ্যানেল ফক্স নিউজের বিশ্লেষকরাও রায় দিয়েছেন, কমলাই জিতেছেন। এরকম পরিস্থিতিতে ট্রাম্প সুর পাল্টে চেষ্টা করেছিলেন ‘বিতর্কটি পাতানো ছিল’ এমন দাবি তোলারও।

এখন আবার পুরোনো দাবিতেই ফিরে গেছেন রিপাবলিকান পার্টির এই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। তিনি জানান, যেহেতু বিতর্কে তিনিই জিতেছেন, সেহেতু নতুন করে আর বিতর্কের কোনো প্রয়োজন নেই। ট্রাম্প বলছেন, ‘যেহেতু আমরা দুটি বিতর্ক করেছি এবং দুটি সফল ছিল, সেহেতু তৃতীয় আর কোনো বিতর্ক হবে না। অবশ্য এ ক্ষেত্রেও অনেক দেরি হয়ে গেছে। প্রচার এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে।’ 

গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) অ্যারিজোনাতে এক বক্তব্যে ওই মন্তব্য করেন তিনি। দুটি বিতর্ক বলতে মূলত তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে করা প্রথম বিতর্কের কথা বোঝাচ্ছেন। তিনি জুনের ওই বিতর্কটিতে জিতেছিলেন। সেটায় শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়ে বাইডেনকে বিদায় নিতে হয়েছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড় থেকেই। তার স্থলাভিষিক্ত হয়ে ইতিহাস গড়েছেন কমলা হ্যারিস।

তবে ট্রাম্পের কমলা হ্যারিসের সঙ্গে আর বিতর্ক করতে না চাওয়ার পেছনে সম্ভাব্য আরেকটি কারণ থাকতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন। হয়তো তিনি আর সবার সামনে নিজেকে অপ্রস্তুত, অমনোযোগী হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছেন না। হয়তো এর মধ্য দিয়ে নিজের নির্বাচনি ঝুঁকি কমাতে চাইছেন তিনি। 

জনমত জরিপ বলছে, কমলা হ্যারিসের সঙ্গে ব্যাপক টক্কর দিতে হচ্ছে ট্রাম্পকে। কিছুটা পিছিয়েও আছেন তিনি। তবে অর্থনীতি ও অভিবাসন ইস্যুর মতো বিষয়গুলো সামনে ভোটারদের সমর্থন পেতে তাকে সহায়তা করতে পারে। 

এদিকে বিতর্কের পর যে শুধু ট্রাম্পের সুর পাল্টে গেছে, তা নয়। কমলা হ্যারিসের সুরও পাল্টেছে। তিনি মঙ্গলবার রাতের বিতর্কের পর বলেছেন, ভোটারদের জন্য তার ও ট্রাম্পের আবার বিতর্ক করা প্রয়োজন। অথচ বিতর্কের আগে বিশ্লেষকদের মনে সংশয় ছিল কমলা ভালো পারফর্ম করতে পারবেন কি না। বিতর্কটি বাইডেনের মতো তার জন্যও আত্মঘাতী হয়ে দাঁড়াবে কি না, সেসব সংশয় এখন আর নেই। উল্টো এখন ভবিষ্যৎ বিতর্ক থেকে পিছিয়ে আসার জন্য কমলার প্রচার শিবির থেকেও ট্রাম্পকে নিয়ে নানা ধরনের পোস্ট করা হচ্ছে। যেমন- হ্যারিসের প্রচার শিবিরের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ডেভিড প্লাউফ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ট্রাম্পকে তাচ্ছিল্য করে ‘চিকেন ম্যান’ বা ‘ভীতু মানুষ’ আখ্যা দিয়েছেন।

সিএনএনের প্রতিবেদন বলছে, রিপাবলিকান পার্টির মনোনীত প্রার্থী ট্রাম্পের মন পরিবর্তনের রেকর্ড রয়েছে। হয়তো সামনে মন বদলাতেও পারেন তিনি। সূত্র: সিএনএন

সর্বশেষ জরিপেও ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে কমলা

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৫৭ পিএম
সর্বশেষ জরিপেও ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে কমলা
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস

নতুন জনমত জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাটিক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গে আগের তুলনায় ব্যবধান কিছুটা কমিয়ে এনেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কমলা হ্যারিস এখন ৩ পয়েন্ট নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্পের চেয়ে। গত সেপ্টেম্বরেও এ চিত্র ছিল ভিন্ন। কমলার চেয়ে ৬ পয়েন্টে পিছিয়ে ছিলেন ট্রাম্প। 

গতকাল সোমবার (৭ অক্টোবর) সম্পন্ন হওয়া সর্বশেষ রয়টার্স/ইপসোস জনমত জরিপে কমলা পেয়েছেন ৪৬ পয়েন্ট। অন্যদিকে ট্রাম্প পেয়েছেন ৪৩ পয়েন্ট। জরিপে ট্রাম্পের এগিয়ে যাওয়ার পেছনে ভূমিকা রেখেছে নানাবিধ অর্থনৈতিক ইস্যু এবং অভিবাসন সমস্যা। অনেক ভোটারই ট্রাম্পের অভিবাসনসংক্রান্ত বক্তব্য বিশ্বাস করেছেন। 

তিনি বলেছেন, দেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী অভিবাসীদের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা বেশি। যদিও শিক্ষাবিদ ও চিন্তাবিদদের মতামত এ ক্ষেত্রে ভিন্ন।  

জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মতে, অর্থনীতি এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ইস্যু। ৪৪ শতাংশ মনে করছেন, জীবনযাত্রার খরচ কমাতে ট্রাম্প ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারবেন। অন্যদিকে জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৩৮ শতাংশ কমলা হ্যারিসের পক্ষে রায় দিয়েছেন।

অংশগ্রহণকারীদের ৭০ শতাংশ মনে করছেন, পরবর্তী প্রেসিডেন্টের যেসব অর্থনৈতিক ইস্যু সামাল দেওয়া উচিত, তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণটি হলো জীবনযাত্রার খরচ কমিয়ে আনা। অল্প কয়েকজন অংশগ্রহণকারী শুধু চাকরির বাজার, কর, ব্যক্তিগত আর্থিক উন্নয়নের মতো বিষয়গুলোকে জীবনযাত্রার খরচ কমিয়ে আনার চেয়ে প্রাধান্য দিয়েছেন। তবে সেসব ক্ষেত্রেও দেখা গেছে, কমলার চেয়ে ট্রাম্পের ওপরই মানুষ আস্থা রাখছেন বেশি। তবে সাধারণ মার্কিন নাগরিক ও সম্পদশালী মার্কিন নাগরিকদের মধ্যকার ব্যবধান নিয়ে ট্রাম্পের চেয়ে কমলা ভালোভাবে কাজ করতে পারবেন বলে মনে করছেন ৪২ শতাংশ অংশগ্রহণকারী। অন্যদিকে ট্রাম্পের পক্ষে রায় দিয়েছেন অংশগ্রহণকারীদের ৩৫ শতাংশ।  

অভিবাসনের ইস্যুটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভোটাররা বেশ চিন্তিত বলেই উঠে এসেছে রয়টার্স/ইপসোসের জরিপে। জরিপে অংশ নেওয়া ৫৩ শতাংশ ভোটার বলেছেন, দেশে অবৈধভাবে বসবাসকারী অভিবাসীরা জনসাধারণের সুরক্ষার জন্য বিপজ্জনক। অন্যদিকে ৪১ শতাংশ এর বিপক্ষে রায় দিয়েছেন। এ বিষয়ে জনমতে বিভক্তি আরও বেশি ছিল মে মাসে। সে সময় ৪৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারী অবৈধ অভিবাসীকে সুরক্ষার জন্য বিপজ্জনক বলে মনে করেছিলেন। আর ৪৬ শতাংশ অবস্থান নিয়েছিলেন এর বিপক্ষে। সূত্র: রয়টার্স

পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন জন হপফিল্ড ও জিওফ্রে হিন্টন

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩২ পিএম
আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৪৪ পিএম
পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন জন হপফিল্ড ও জিওফ্রে হিন্টন
জন জে হপফিল্ড-জিওফ্রে ই হিন্টন

পদার্থবিজ্ঞানে ২০২৪ সালে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী জন জে হপফিল্ড এবং কানাডার বিজ্ঞানী জিওফ্রে ই হিন্টন।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে মেশিন লার্নিং বিষয়ে গবেষণার স্বীকৃতি হিসেবে এই দুজনকে যৌথভাবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্স।

একাডেমি জানিয়েছে, ‘কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কের সঙ্গে মেশিন লার্নিং সক্ষম করে তোলার বুনিয়াদি আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের জন্য’ তাদেরকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্স জানায়, ‘হপফিল্ড এমন একটি কাঠামো তৈরি করেছেন যা তথ্য সংরক্ষণ এবং পুনর্গঠন করতে পারে। 
আর হিন্টন এমন একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন যা স্বাধীনভাবে ডেটার বৈশিষ্ট্য আবিষ্কার করতে সক্ষম এবং যা বর্তমানে ব্যবহৃত বৃহৎ নিউরাল নেটওয়ার্কগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’

গত বছর পদার্থবিদ্যায় যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন র পিয়ের অগস্টিনি, হাঙ্গেরির ফেরেঙ্ক ক্রাউৎজ এবং ফ্রান্সের অ্যানে এলহুইলার। পদার্থবিদ্যায় ২০২৩ সালের নোবেলজয়ী তিন বিজ্ঞানীরই গবেষণার বিষয় ছিল অভিন্ন- ইলেকট্রন গতিবিদ্যা।

রয়েল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্স, প্রতিবছর পদার্থবিজ্ঞানের মাধ্যমে মানবতার স্বার্থে অসামান্য অবদান রাখা বিজ্ঞানীদের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দিয়ে থাকে। ১৯০১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১১৭ বার পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল দেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে ২২৪ জন পদার্থবিদ এই পুরস্কার পেয়েছেন। এরমধ্যে জন বার্ডিন একমাত্র ব্যক্তি যিনি দুবার এই পুরস্কার জিতেছেন।

এর আগে গতকাল সোমবার চিকিৎসাশাস্ত্রে অনবদ্য অবদানের জন্য ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রুভকুনকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। মাইক্রোআরএনএর কার্যক্রম আবিষ্কারের জন্য এই পুরস্কার পান তারা।

অমিয়/

ভারতের ২ রাজ্যের ভোটের ফলাফল আজ

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৬ এএম
আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:১৪ পিএম
ভারতের ২ রাজ্যের ভোটের ফলাফল আজ
ভোট গণনা চলছে। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের হরিয়ানা ও জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হবে আজ। ইতোমধ্যে ভোট গণনা চলছে। হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, বুথ ফেরত সমীক্ষায় দেখা গেছে দুই রাজ্যেই বিজেপির পরাজয় হতে পারে। হরিয়ানায় টানা ১০ বছর সরকার চালিয়েছে বিজেপি। তবে কৃষক আন্দোলন এবং কুস্তিগিরদের আন্দোলনের জেরে সেখানে অস্বস্তিতে শাসক দল। অন্যদিকে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভার ভোট হয়েছে দীর্ঘ এক দশক পর।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল থেকে শুরু হওয়া ভোট গণনায় দেখা গেছে, হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে ইতোমধ্যেই ৫০টির বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। এই রাজ্যের আসনসংখ্যা ৯০। ম্যাজিক ফিগার হলো ৪৬। সে হিসেবে অনেকটাই ওপরে রয়েছে কংগ্রেস। আর বিজেপি এগিয়ে মাত্র ২২টি আসনে।

জম্মু ও কাশ্মীরে ন্যাশনাল কনফারেন্স ও কংগ্রেস জোট থেকে বিজেপি আপাতত এগিয়ে রয়েছে। এখন পর্যন্ত (সকাল ১০টা) বিজেপি ১৫টি আসনে, ইন্ডিয়া জোট ১০টি আসনে এবং অন্যরা ২টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।

এবার হরিয়ানায় বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে লড়াইয়ে কিংমেকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে দুষ্মন্ত চৌটালার জননায়ক জনতা পার্টি (জেপিপি), আম আদমি পার্টি (আপ) এবং ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দল (আইএনএলডি)।

আইএনএলডি থেকে বেরিয়ে বিজেপির সঙ্গে ২০১৯ সালে হাত মিলিয়েছিল জেপিপি। আইএনএলডির নেতৃত্বে আছেন চারবারের মুখ্যমন্ত্রী ওমপ্রকাশ চৌটালা।

এর আগে ২০১৯ সালে হরিয়ানায় ৪০টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। কংগ্রেস ৩১টি আসন আর জননায়ক জনতা পার্টি (জেপিপি) জিতেছিল ১০টি আসন।

এদিকে পিপলস পালসের সমীক্ষা অনুযায়ী, জম্মু ও কাশ্মীরে একক বৃহত্তম দল হতে পারে ন্যাশনাল কনফারেন্স। জিততে পারে ৩৩ থেকে ৩৫টি আসন। কংগ্রেস ১৩ থেকে ১৫টি আসনে জিততে পারে। বিজেপি জিততে পারে ২৩ থেকে ৩৭টি আসন। পিডিপির ঝুলিতে যেতে পারে সাত থেকে ১১টি আসন। অর্থাৎ ইন্ডিয়া জোট মিলে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে পারে।

এবার জম্মু ও কাশ্মীরে তিন দফায় ১৮ সেপ্টেম্বর, ২৫ সেপ্টেম্বর এবং ১ অক্টোবর বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, তিন দফায় জম্মু ও কাশ্মীরে মোট ৬৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।

জম্মু-কাশ্মীরে উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছে ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা তথা জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা, রাজ্য বিজেপি সভাপতি রবীন্দ্র রায়না, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তারিক হামিদ কাড়রা, জম্মু ও কাশ্মীর আপনি পার্টির প্রধান আলতাফ বুখারি।

হরিয়ানার ৯০টি কেন্দ্রে এক দফায় ভোট হয়েছে ৫ অক্টোবর। মোট প্রার্থী এক হাজার ৩১। এই রাজ্যে উল্লেখযোগ্য প্রার্থীরা হলেন- বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিংহ সাইনি, কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেতা ভূপেন্দ্র সিংহ হুডা, জেজেপি নেতা তথা প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌটালা, কংগ্রেসের টিকিটে প্রার্থী হয়েছেন অলিম্পিকে ফাইনালে ওঠা ভিনেশ ফোগট।

অমিয়/

পরিবার সম্পর্কে রিপাবলিকানদের চিন্তা ‘সেকেলে’: কমলা

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২৭ এএম
পরিবার সম্পর্কে রিপাবলিকানদের চিন্তা ‘সেকেলে’: কমলা
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে নিয়ে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেছিলেন আরকানসাস অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান গভর্নর সারাহ হাকাবি স্যান্ডার্স। তিনি বলেছিলেন, ‘কমলা বিনয়ী নন। কারণ তার নিজের কোনো সন্তান নেই।’

গত রবিবার গভর্নর হাকাবি স্যান্ডার্সের এমন মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন কমলা। আরকানসাসের গভর্নর পরিবার নিয়ে সেকেলে দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। নিজের ‘আধুনিক’ পরিবারেরও গল্প করেছেন কমলা। তিনি বলেন, স্বামী ডগ এমহফ এবং স্বামীর আগের সংসারের দুই সন্তান কোল ও এলাকে নিয়েই তার পরিবার।

গত সেপ্টেম্বরে মিশিগানে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক নির্বাচনি সমাবেশে কমলাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যটি করেন হাকাবি স্যান্ডার্স। তার দাবি, তার সন্তানরা তাকে বিনয়ী হতে ভূমিকা রাখেন। কিন্তু কমলার নিজেকে বিনয়ী রাখার মতো কিছু নেই।

গতকাল ‘কল হার ড্যাডি’ নামক এক জনপ্রিয় পডকাস্টে হাকাবি স্যান্ডার্সের সে মন্তব্যের জবাব দেন কমলা হ্যারিস। 

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, নারীদের একে অন্যকে মর্যাদা দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।’ বিনয়ী হওয়াটা সন্তান থাকা বা না থাকার ওপর নির্ভর করে না বলেও জানান কমলা।

পরিবার সম্পর্কে নিজের আধুনিক চিন্তাধারা তুলে ধরে কমলা বলেন, ‘পরিবার বিভিন্নভাবে গঠিত হতে পারে। রক্ত সম্পর্কের মাধ্যমে পরিবার গঠিত হয়, ভালোবাসার সম্পর্কের মাধ্যমেও গঠিত হয়। আমার উভয় রকম পরিবারই আছে, আমি মনে করি এটি আমার জন্য একটি সত্যিকারের আশীর্বাদ।’ 

স্বামীর আগের সংসারের সন্তানদের কথা উল্লেখ করে কমলা বলেন, ‘আমার সুন্দর দুটো সন্তান আছে, কোল ও এলা। তারা আমাকে মমালা বলে ডাকে। আমাদের পরিবার অনেক আধুনিক। আমার স্বামীর সাবেক স্ত্রী আমার বন্ধু।’

ট্রাম্পের রানিং মেট জে ডি ভ্যান্সও এর আগে বলেছিলেন, তিনি চান না কোনো নিঃসন্তান নারী দেশ পরিচালনা করুন। এর জবাবে গতকাল কমলা বলেন, ‘আমি এটাকে শুধু নোংরা ও নিচ মানসিকতা হিসেবে দেখছি।’ সূত্র: রয়টার্স

ফ্লোরিডার দিকে ধেয়ে আসছে হারিকেন মিল্টন

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:১২ এএম
ফ্লোরিডার দিকে ধেয়ে আসছে হারিকেন মিল্টন
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার দিকে ধেয়ে আসছে আরেক হারিকেন মিল্টন

কয়েকদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মারাত্মকভাবে আঘাত হেনেছিল হারিকেন হেলেন। ক্ষয়ক্ষতি এখনো কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই এবার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যটির দিকে ধেয়ে আসছে আরেক হারিকেন মিল্টন। গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

মেক্সিকো উপকূলে সৃষ্ট হারিকেন মিল্টন ফ্লোরিডা উপকূলের দিকে এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে শক্তি অর্জন করছে বলে সতর্কতা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে ফ্লোরিডা পিনেলাস কাউন্টির পাঁচ লাখ অধিবাসীকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার আদেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) রবিবার জানিয়েছে, হারিকেন মিল্টন ইতোমধ্যে ক্যাটাগরি ১ হারিকেনে পরিণত হয়েছে এবং ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা টাম্পা বে’র কাছে এটি আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে এনএইচসি। 

ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস সতর্ক করে বলেছেন,  ‘মিল্টনের আঘাত হেলেনের চেয়ে শক্তিশালী এবং অধিক ক্ষয়ক্ষতি বয়ে আনতে পারে।’

উল্লেখ্য, গত ২৬ সেপ্টেম্বর ফ্লোরিডা উপকূলে আঘাত হানে শক্তিশালী ক্যাটাগরি ৪ হারিকেন ‘হেলেন’। এ ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে রাজ্যটি। আকস্মিক বন্যায় ইতোমধ্যে রাজ্যটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩০ জনে পৌঁছেছে। এখনো উদ্ধারকাজ চলছে। সূত্র: রয়টার্স