৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি মনোনীত প্রার্থী কমলা হ্যারিস হেরে যেতে পারেন, যদি না তিনি দুটি ভুল থেকে বেরিয়ে আসেন। এমনটাই বলছেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের সাবেক রাষ্ট্রদূত কিম ডরিচ। আটলান্টিকের উভয় পাড়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক হিসেবে তিনি সম্প্রতি জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন।
ডরিচ ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ওয়াশিংটনে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন। একটি রাষ্ট্রীয় গোপন ই-মেইল ফাঁস হওয়ার জেরে তিনি ২০১৯ সালে পদত্যাগ করেন, যেখানে তিনি তৎকালীন ট্রাম্প প্রশাসনকে ‘আনাড়ি এবং অযোগ্য’ বলে সমালোচনা করেছিলেন। বর্তমানে ট্রাম্প সম্পর্কে ডরিচের এই ধারণার কোনো পরিবর্তন হয়নি বরং আরও নেতিবাচক হয়েছে। ডেইলি অবজার্ভারে প্রকাশিত এক নিবন্ধে আগের তুলনায় ট্রাম্প এখন ‘খুবই দুর্বল প্রচারক’ আখ্যা দিয়ে ডরিচ বলেন, ‘২০১৬ সালের তুলনায় এখন তিনি খর্ব শক্তির, বিভ্রান্তিকর, অভিযোগে ভরা একটি বিশৃঙ্খল হৃদয়ের অধিকারী। এখনও তার নীতি বা কৌশল বলে কিছু নেই।’ তবে এই ট্রাম্পই আবার ক্ষমতায় আসতে পারেন যদি কমলা দুটি ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে থাকেন।
কিম ডরিচের মতে, প্রথমত কমলা ট্রাম্পের তুলনায় দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোর (সুইং স্টেট) বিষয়ে কম মনোযোগী। তিনি মনে করেন, মিশিগান, পেনসিলভানিয়া ও উইসকনসিনের মতো রাজ্যগুলোর মানুষের উদ্দেশে যদি ‘কিছু মুখরোচক প্রতিশ্রুতি এবং তাদের প্রত্যাশা সম্পর্কে যদি নির্দিষ্ট ও লক্ষ্যপ্রসূত কোনো কৌশল হাজির করতে না পারেন তবে এসব অঙ্গরাজ্যের মানুষ ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকে পড়তে পারেন।’ যারা ২০২০ সালের নির্বাচনে বাইডেনকে ভোট দিয়েছিলেন।
ডরিচের মতে কমলার দ্বিতীয় ভুল হচ্ছে তিনি মিডিয়ার চৌহদ্দি থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, যে ভুলটি ২০১৬ সালের নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটন করেছিলেন। ২০১৬ সালে মিডিয়ায় ট্রাম্পের সর্বময় উপস্থিতি তাকে নির্বাচনে জেতাতে ভূমিকা রেখেছিল বলে মনে করেন ডরিচ। ডরিচের মতে, ‘কমলা যেন হিলারির নির্দেশিত পথই অনুসরণ করছেন।’ সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান