ঢাকা ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

ইসরায়েলে ইরানের ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০১:০০ এএম
আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০১:০৩ এএম
ইসরায়েলে ইরানের ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে মঙ্গলবার রাতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান: সংগৃহীত ছবি

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ওই হামলা চালানো হয়। ইরান থেকে প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে বলে বিবিসি জানায়। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী হামলার বিষয়টি স্বীকার করে দাবি করেছে, আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ‘আয়রন ডোমে’র মাধ্যমে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হয়েছে। তবে কতটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা গেছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি। যদিও ওই হামলায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
বিবিসির ভিডিও চিত্রে ইসরায়েলের আকাশে অসংখ্য ক্ষেপণাস্ত্র ছুটে আসতে দেখা গেছে। জেরুজালেমে অবস্থানরত বিবিসির সাংবাদিক জানিয়েছেন, তিনি আকাশে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধের শব্দ শুনেছেন। এ ছাড়া রয়টার্সের সাংবাদিকরা ইসরায়েলের প্রতিবেশী দেশ জর্ডানের আকাশসীমায় ক্ষেপণাস্ত্রকে লক্ষ্যভ্রষ্ট করতে দেখেছেন। 
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের ওপর ইরানের সরাসরি সামরিক হামলার জবাব দেওয়া হবে। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা গতকাল হামলার পর বিবৃতিতে বলেন, ইরানকে অবশ্যই এর পরিণতি ভোগ করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের এই হুমকির পর ইরানসহ মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। 
গত রাতে ইরানের হামলার আগে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিজ্ঞপ্তিতে দেশের নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে স্থানীয় সেনা কমান্ডের নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সাইরেন শুনলে আপনাকে অবশ্যই একটি সুরক্ষিত এলাকায় যেতে হবে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে থাকতে হবে।’
এর আগে গত সোমবার রাতে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, লেবাননে সোমবার রাতে অভিযান শুরু হয়েছে। তাদের ৯৮তম এলিট ডিভিশন এই অভিযান চালাচ্ছে। এর আগে এই ডিভিশনটি গাজায় হামাসের সঙ্গে লড়াইয়ে নিয়োজিত ছিল। সেখান থেকে তাদের এনে হিজবুল্লাহর সঙ্গে লড়াইয়ে নিয়োজিত করা হয়েছে। সেনারা লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ‘সীমিত, স্থানীয় এবং সুনির্দিষ্ট স্থল অভিযান’ চালাচ্ছে।
লেবাননে ইসরায়েলের বোমা হামলায় ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ নিহত হওয়ার পর এর বদলা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল তেহরান। সেই বদলা নিতেই গতকাল রাতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় দেশটি। তবে হামলার আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়, ইরান থেকে বড় ধরনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হতে পারে। একই সঙ্গে নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে অবস্থান করতে বলা হয়।
এর আগে দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর সঙ্গে প্রবল যুদ্ধে জড়ায় ইসরায়েল। সেখানে ইসরায়েলি প্যারাট্রুপার ও কমান্ডোরা স্থল অভিযান শুরু করার পরপরই শুরু হয় তীব্র লড়াই। একে অপরকে লক্ষ্য করে হামলা-পাল্টাহামলার ঘটনা ঘটে। এর আগে টানা কয়েক দিন লেবাননের বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। হিজবুল্লাহর নেতৃস্থানীয়দের অনেকেই তাতে মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরাল্লাহও। 
লেবাননের দুটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলি ইউনিট লেবাননে রাতের আঁধারে প্রবেশ করেছে এবং অভিযান শুরু করেছে। লেবাননের সেনারা সীমান্তের এলাকাগুলোর অবস্থান থেকে সরে গেছে।
এদিকে হিজবুল্লাহ গতকাল জানিয়েছে, পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ইসরায়েলের ভেতরে সে দেশের সেনাদের অবস্থান লক্ষ্য করে তারা রকেট ছুড়েছে ও গোলাবর্ষণ করেছে। তবে লেবাননের ভেতরে থাকা ইসরায়েলি সেনাদের বিষয়ে কোনো কিছু বলেনি হিজবুল্লাহ। এ ছাড়া ইয়েমেনের হুতি গোষ্ঠী ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। রয়টার্সের খবর বলছে, তেল আবিব ও এইলাত এলাকায় ইসরায়েলি সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। হুতির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বক্তব্যে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
লেবানন নিজেদের সেনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টিকে নিয়মিত কাজ বলে জানিয়েছে। ঐতিহাসিকভাবেই লেবাননের সামরিক বাহিনী সব সময় ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়ায়নি। গত বছরের সংঘাতের সময়ও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ওপর গুলি চালায়নি তারা।
লেবাননের সীমান্তবর্তী শহর আইতা আল-শাব থেকে তীব্র গোলাবর্ষণ, ড্রোন ও হেলিকপ্টারের আওয়াজ শোনা গেছে। সীমান্ত শহর আরমেইশ থেকে ফ্লেয়ার ছুড়তে দেখা গেছে। রাতের আকাশ আলোকিত হয়ে উঠেছিল ফ্লেয়ারের আলোতে। ইসরায়েল গতকাল ফিলিস্তিনি ফাতাহ আন্দোলনের সামরিক দলের লেবানন শাখার কমান্ডার মৌনির মাকদাহকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। গতকাল প্রথমভাগে হামলাটি চালানো হয়। তার ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা এখনো জানা যায়নি। দক্ষিণের সাইডন শহরের কাছে ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েল হামলাটি চালায়। এ হামলা নিয়ে এখনো ইসরায়েল কোনো মন্তব্য করেনি। 
তবে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েল নিজেদের ‘সীমিত’ অভিযান পরিচালনার যে তথ্য জানিয়েছে, তা প্রত্যাখ্যান করেছে হিজবুল্লাহ। তারা একে ‘বানোয়াট’ আখ্যা দিয়েছে। হিজবুল্লাহর গণমাধ্যম কর্মকর্তা মুহাম্মদ আফিফ বলেছেন, ‘লেবাননে অনুপ্রবেশের জায়োনিস্টদের সব দাবি মিথ্যা।’ তিনি আরও জানান, এখনো হিজবুল্লাহ যোদ্ধা ও অধিকৃত বাহিনীর মধ্যে কোনো প্রত্যক্ষ সংঘর্ষ হয়নি। 
আফিফ বলেন, ‘আমাদের যোদ্ধারা লেবাননে অনুপ্রবেশের দুঃসাহস দেখানো শত্রুর সঙ্গে লড়তে প্রস্তুত।’ সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স

ইউক্রেন সীমান্ত থেকে ৩০ হাজার রাশিয়ান বাস্তুচ্যুত

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২৪ এএম
আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২৫ এএম
ইউক্রেন সীমান্ত থেকে ৩০ হাজার রাশিয়ান বাস্তুচ্যুত
ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনীয় বাহিনীর হামলা থেকে বাঁচতে সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে প্রায় ৮ হাজার শিশুসহ ৩০ হাজার ৪১৫ জন রুশ নাগরিক ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাশিয়ার মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার তাতিয়ানা মস্কালকোভা স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানান। বাস্তুচ্যুতদের রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলজুড়ে প্রায় এক হাজার অস্থায়ী আবাসনে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর প্রকাশ করেছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে রুশ আগ্রাসনের শিকার ইউক্রেন সম্প্রতি প্রতিরোধের চেষ্টা করছে। গত আগস্ট মাস থেকে রাশিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলাসহ বিভিন্ন উপায়ে পাল্টা হামলা চালাচ্ছে। রাশিয়ার কারস্কে পাল্টা আগ্রাসন চালিয়ে তারা প্রায় ১২টি বসতিসহ অঞ্চলটির বেশির ভাগ জায়গা দখলে নেয়। মস্কালকোভা জানিয়েছেন, তিনি কারস্ক থেকে ১ হাজারটি আবেদন পেয়েছেন যারা তাদের উদ্ধারের আকুতি জানিয়েছেন। তাদের অবস্থান এখনো অজানা এবং ধারণা করা হচ্ছে তাদের ইউক্রেনীয় বাহিনী নিয়ে গেছে। তবে এই অভিযোগটি স্বাধীনভাবে যাচাই করেনি রয়টার্স। কিয়েভের পক্ষ থেকেও এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

যুদ্ধের শুরু থেকেই উভয়পক্ষ বেসামরিক নাগরিকদের গ্রেপ্তার ও লক্ষ্যবস্তু বানানোর কথা অস্বীকার করে আসলেও এ পর্যন্ত হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ যুদ্ধে নিহত হয়েছেন। যাদের অধিকাংশই ইউক্রেনীয়।

এদিকে রুশ বাহিনী ইউক্রেনের জাপুরিঝিয়া অঞ্চলের আরেকটি গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। সোমবার লেভাদন নামক গ্রামটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে তারা। এর আগে যুদ্ধের শুরুর দিকে গ্রামটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল রুশরা। ২০২৩ সালে ইউক্রেন বাহিনী পুনরুদ্ধার করার পর তাদের কাছ থেকে আবারও হাতছাড়া হলো গ্রামটি।

এদিকে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে শুধু অস্ত্র-সরঞ্জাম সরবরাহ করেই থেমে নেই, এবার সামরিক কর্মীও সরবরাহ করছে দেশটি। এই অজুহাত দেখিয়ে বড় যুদ্ধ ঠেকাতে পশ্চিমের কাছ থেকে আরও বেশি সহায়তার আবেদন করেছেন তিনি। সূত্র: রয়টার্স ও দ্য গার্ডিয়ান

আজ সমগ্র ভারতে ১২ ঘণ্টার অনশন করবেন চিকিৎসকরা

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১:০৫ এএম
আজ সমগ্র ভারতে ১২ ঘণ্টার অনশন করবেন চিকিৎসকরা
ভারতজুড়ে ১২ ঘণ্টা অনশনের ডাক দিয়েছে চিকিৎসকদের সর্বভারতীয় অ্যাপেক্স বডি ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)

একাধিক দাবি দাওয়া নিয়ে কলকাতার ধর্মতলায় অনশন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাদের প্রতি সমর্থন জানাতে রাজ্যের একাধিক মেডিকেল কলেজের ডাক্তাররা গণইস্তফা দিচ্ছেন। এবার এই আন্দোলনের আঁচ দ্রুত ছড়াতে শুরু করেছে ভারতের অন্যান্য প্রান্তেও।

দিল্লিসহ কয়েকটি রাজ্যে বিক্ষিপ্ত ধৰ্মঘট-অনশনের পর মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দেশজুড়ে ১২ ঘণ্টা অনশনের ডাক দিয়েছে চিকিৎসকদের সর্বভারতীয় অ্যাপেক্স বডি ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)।

বাংলার জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অনশনে বসবেন সব রাজ্যের জুনিয়র ডাক্তাররা। এমনটাই জানানো হয়েছে আইএমএর তরফে। এই মর্মে একটি চিঠি তারা দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে।

সংগঠনের তরফে প্রতি রাজ্যের শাখাকে অনশনের কথা জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার অনশন করবেন আইএমএর জুনিয়র ডক্টর্স নেটওয়ার্ক ও আইএমএর মেডিকেল স্টুডেন্টস নেটওয়ার্ক।

এদিকে গত রবিবার আইএমএর পশ্চিমবঙ্গ শাখার তরফে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে বসেন চিকিৎসকরা। গত রবিবার সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অনশনে ছিলেন তারা।

ইতোমধ্যে কলকাতার ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে এসে অনশনকারীদের সঙ্গে দেখা করে গেছেন আইএমএর প্রেসিডেন্ট আর ভি অশোকান। স্বাস্থ্যের কথা ভেবে ডাক্তারদের অনশন থেকে সরে আসতে অনুরোধ করেছিলেন তিনি।

ইসরায়েলকে ‘বিরল’ সামরিক সহায়তা যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৫৬ এএম
আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৫৭ এএম
ইসরায়েলকে ‘বিরল’ সামরিক সহায়তা যুক্তরাষ্ট্রের
ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলে মার্কিন সেনা ও অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পাঠাবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

গত রবিবার দেশটি এ সিদ্ধান্ত জানায়। এর মধ্য দিয়ে ইসরায়েলের আকাশ ও স্থলভাগ আরও সুরক্ষিত হবে। 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইসরায়েলকে সুরক্ষিত করতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া। মূলত ইরানের হাত থেকে ইসরায়েলকে রক্ষা করতেই এ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বাইডেন প্রশাসন।

গত ১ অক্টোবর ইরান ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ১৮০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। ওই হামলায় ইসরায়েলি অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখন সে হামলার জবাব দিতে যাচ্ছে ইসরায়েল। তবে তেহরান হুঁশিয়ারি জানিয়ে রেখেছে যে তাদের ওপর হামলা হলে আবারও পাল্টা হামলায় ইসরায়েল কেঁপে উঠবে।

যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই চেষ্টা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলকে নিবৃত্ত করে মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে। বাইডেন প্রকাশ্যেই বলেছেন, ইসরায়েল তেহরানের তেলের মজুত বা পারমাণবিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে আক্রমণ চালাক এমনটা চান না তিনি।

পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার ইসরায়েলের মার্কিন সেনা নিয়োজিত করা প্রসঙ্গে বলেছেন, এটি সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর করা বড় সমন্বয়গুলোর একটি অংশ। ইরান ও ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর হামলা থেকে ইসরায়েলে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের সুরক্ষিত রাখতেই এটি করা হচ্ছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, এভাবে ইসরায়েলে মার্কিন সেনা নিয়োজিত করার ঘটনাটি বিরল। সাধারণত মহড়ার বাইরে এটি করা হয় না। কারণ ইসরায়েলের নিজস্ব সেনা সক্ষমতা রয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইসরায়েলের যুদ্ধজাহাজ ও রণতরিকে সহায়তা করেছে মার্কিন সেনারা। তবে সেগুলোর সবই ছিল ইসরায়েলি সীমানার বাইরে। 

ইসরায়েলে যে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি পাঠানো হচ্ছে, সেটির নাম- টার্মিনাল হাই অলটিটিউড এরিয়া ডিফেন্স সিস্টেম বা থাড। এটি ইসরায়েলে আগে থেকেই থাকা আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার পাশাপাশি কাজ করবে। একটি থাড ব্যাটারি পরিচালনা করতে প্রায় এক শ সেনা লাগে। এতে ছয় ট্রাক লঞ্চার রয়েছে। প্রত্যেক লঞ্চারে আটটি করে ইন্টারসেপ্টর রয়েছে। এ ছাড়া এতে রয়েছে শক্তিশালী রাডার।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি রবিবার সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা বসিয়ে যুক্তরাষ্ট্র নিজ সেনাদের জীবন বিপন্ন করছে। আরাগচি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বলেন, ‘আমরা সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের এই অঞ্চলে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ব্যাপক প্রচেষ্টা চালিয়েছি। আমি স্পষ্টভাবেই বলছি নিজেদের মানুষ ও স্বার্থের সুরক্ষায় কোনো শেষ সীমারেখা নেই আমাদের জন্য।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরান সব সময়ই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যুদ্ধ এড়িয়ে এসেছে। ফলে ইসরায়েলে মার্কিন সেনা নিয়োজিত করার ঘটনাটি হিসাবে নতুন মাত্রা যোগ করছে।

ইসরায়েলে কত দ্রুত সিস্টেমটি পাঠানো হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাননি মার্কিন কর্মকর্তারা। এর আগে ২০১৯ সালে ইসরায়েলে মহড়ার সময় থাড আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সেখানে বসানো হয়েছিল। ওই একবারই এ রকম ঘটনা ঘটেছিল।

আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাটি তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিন। এটি স্বল্প ও মধ্যবর্তী পরিসীমার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে সক্ষম। এর সঙ্গে থাকা সর্বাধুনিক রাডারটি তৈরি করেছে রেথিয়ন। 

হিজবুল্লাহর ড্রোন হামলায় ৪ ইসরায়েলি সেনা নিহত
ইসরায়েলি সেনা ক্যাম্পে গতকাল সোমবার ভয়াবহ ড্রোন হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। এতে চার ইসরায়েলি নিহত ও ৬১ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে সাতজনের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানা গেছে। সশস্ত্র গোষ্ঠীটি এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানায়, তেল আবিব ও হাইফার মাঝামাঝি এলাকায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) গোলানি ব্রিগেডের একটি প্রশিক্ষণ শিবির লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ লেবানন ও বৈরুতে ইসরায়েলি হামলার প্রতিক্রিয়ায় এই হামলা চালানো হয়েছে। 

সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, এই ড্রোন হামলার সময় ইসরায়েলের স্বয়ংক্রিয় সাইরেন ব্যবস্থা সক্রিয় হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, এই হামলায় নিচ দিয়ে চলাচলকারী ড্রোন অথবা অপেক্ষাকৃত অপ্রত্যাশিত অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে যা রাডারকে ফাঁকি দিতে সক্ষম।

ইসরায়েলি সংবাদ মাধ্যমগুলোতে প্রচার করা ফুটেজে দেখা গেছে, আহতদের হেলিকপ্টার, অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি বাহনে করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়ার তোড়জোড় চলছে। আহতদের মধ্যে অনেককে নিকটবর্তী হাদেরার হিল্লেল ইয়াফে মেডিকেল সেন্টারে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে- অন্যদের তেল হাশোমার, হাইফা, আফুলা এবং নেতানিয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এর আগে হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের হামলায় গত রবিবার দখলদার ইসরায়েলের ২৫ সেনা আহত হয়েছেন। এসব সেনা উত্তর লেবাননে স্থল হামলা চালাতে গিয়েছিল। আহত ২৫ জনের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম কান নিউজ।

এদিকে ইসরায়েলি জ্বালানিমন্ত্রী এলি কোহেন লেবাননে নিযুক্ত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ‘অকেজো বাহিনী’ বলে তিরষ্কার করেছেন। তার অভিযোগ, এই বাহিনী ইসরায়েলে হিজবুল্লাহর ধারাবাহিক হামলা ঠেকাতে কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি।

এদিকে দক্ষিণ লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ওপর ইসরায়েলি হামলাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ মন্তব্য করে নিন্দা জানিয়েছে স্পেন।

দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসে আলবারেস বলেন, ‘জাতিসংঘের একটি সদস্যরাষ্ট্রের কাছ থেকে এমন আচরণ একেবারেই অপ্রত্যাশিত, যারা বিশ্বশান্তির জন্য কাজ করছে তাদের ওপরই হামলা করা হচ্ছে।’

এ ছাড়া ইসরায়েল জাতিসংঘকে অবমূল্যায়ন করছে বলে মন্তব্য করেছেন আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইকেল মার্টিন। সূত্র: বিবিসি, আল-জাজিরা, রয়টার্স

অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন যারা

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৪৫ পিএম
আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫৩ পিএম
অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন যারা
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির অধ্যাপক ড্যারন আসেমোগলু  ও সিন জনসন এবং ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোর অধ্যাপক জেমস এ রবিনসন

এ বছর অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছেন তিন অধ্যাপক। তারা হলেন- যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির অধ্যাপক ড্যারন আসেমোগলু  ও সিন জনসন এবং ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোর অধ্যাপক জেমস এ রবিনসন।

সোমবার (১৪ অক্টােবর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে সুইডেনের স্টকহোম থেকে অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে দ্য রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস।

প্রতিষ্ঠান কীভাবে গঠন করা হয় এবং সমৃদ্ধির ওপর তা কীভাবে প্রভাব ফেলে তা অধ্যয়নের জন্য অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন এই তিন অর্থনীতিবিদ। 

গত বছর অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিবিদ ক্লডিয়া গোল্ডিন। শ্রমবাজারে নারীদের অংশগ্রহণের ফলাফল সম্পর্কে বোঝাপড়ার উন্নতিতে অবদান রাখার জন্য তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।

প্রতি বছর অক্টোবরের প্রথম সোমবার শুরু হয় নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা। এ বছর ৭ অক্টোবর চিকিৎসাশাস্ত্র, ৮ অক্টোবর পদার্থবিদ্যা, ৯ অক্টোবর রসায়ন, ১০ অক্টোবর সাহিত্য, ১১ অক্টোবর শান্তিতে এবং ১৪ অক্টোবর অর্থনীতিতে পুরস্কারজয়ীর নাম প্রকাশের মাধ্যমে শেষ হয়েছে এ বছরের নোবেল পুরস্কার ঘোষণা।

প্রত্যেক ক্ষেত্রে পুরস্কার বিজয়ীরা একটি সোনার মেডেল, সনদপত্র এবং এক কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকা) পাবেন।

অমিয়/

দেড় লাখ টাকায় বাবা সিদ্দিকি হত্যা! যা বলছে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৪২ পিএম
আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:১৬ পিএম
দেড় লাখ টাকায় বাবা সিদ্দিকি হত্যা! যা বলছে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং
নিহত এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি। ইনসেটে লরেন্স বিষ্ণোই

ভারতের মহারাষ্ট্রের এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি হত্যাকাণ্ডের পর গ্রেপ্তার তিনজনকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ। মহারাষ্ট্র পুলিশ বলছে- খুনের জন্য তিনজনের প্রত্যেককে আগাম ৫০ হাজার টাকা করে আগাম দেওয়া হয়েছিল। আর বাইরে থেকে বন্দুক আনা হয়েছিল হত্যাকাণ্ডের আগের দিন।

ভারতের সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন জানাচ্ছে, গ্রেপ্তারদের দেওয়া তথ্য পর পর সাজালে খুনের ঘটনা সম্পর্কে চিত্র খানিকটা স্পষ্ট হয়। কুখ্যাত লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে তাদের যোগ রয়েছে বলে স্বীকার করেছে খুনীরা। গ্রেপ্তারদের একজন নাবালক বলে প্রথমে তথ্য দিলেও, পরে হাড়ের পরীক্ষায় দেখা গেছে সে নাবালক নয়।

শনিবার রাতে দশেরা উৎসবের দিনে নিজের বিধায়ক ছেলের অফিসের সামনে আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন বাবা সিদ্দিকি। এরইমধ্যে এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে নিয়েছে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং।

গ্রেপ্তাররা হলেন- হরিয়ানার বাসিন্দা গুরমাইল বলজিৎ সিং ও উত্তরপ্রদেশের ধর্মরাজ রাজেশ কাশ্যপ। তৃতীয় অভিযুক্ত উত্তপ্রদেশের শিব কুমারের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। তাদের পরিচয় নিয়ে চমকপ্রদ সব তথ্য পেয়েছে পুলিশ। মূল পান্ডা হিসেবে চিহ্নিত হওয়া মহম্মদ জিশান আখতার দুই বছর আগে পাঞ্জাবের জলন্ধর থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতির মামলা রয়েছে। পাতিয়ালা জেলেই বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্যদের সঙ্গে তার আলাপ হয়। জেলমুক্তির পর তিনি মুম্বইয়ে এসে এসব কাজে হাত পাকায়।

পুলিশ সূত্রে খবর, বাবা সিদ্দিকিকে হত্যার মূল চক্রী এই আখতার। তিনিই বাকিদের নির্দেশ দিয়েছিল, কীভাবে ঘটনা ঘটাতে হবে। তার জন্য ৫০ হাজার টাকা করে অগ্রিম দেওয়া হয়েছিল। বাইরে থেকে বন্দুক আনা ছাড়াও স্থানীয় এলাকায় তাদের জন্য ঘর ভাড়া করা হয়েছিল। সেই ব্যবস্থাও করেছিল আখতার। শনিবার বাবা সিদ্দিকিকে হত্যার পর থেকে আখতার পলাতক।

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, বন্দুকধারীরা দশেরা উৎসবের সুবিধা নেয়। তারা সিদ্দিকিকে হত্যার জন্য তার গাড়ির কাছে অপেক্ষা করেছিলেন। গাড়িতে উঠার সময় কিছু যন্ত্র ব্যবহার করে হামলাকারীরা সেখানে ধোঁয়া সৃষ্টি করে। অনেকেই ধারণা করেছিল এটি আতশবাজির ধোঁয়া। ফলে এর শব্দে মিলিয়ে যায় হামলাকারীদের গুলির শব্দও। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, বাবা সিদ্দিকের বুকে ও পেটে চারবার গুলি করা হয়। তার এক সহযোগীও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। 

লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং জানিয়েছে, ২৫ কোটি রুপি চুক্তিতে তারা বাবা সিদ্দিকিকে হত্যা করেছে। তারা আরও সতর্ক করে বলেছেন, অভিনেতা সালমান খানকে যারা সাহায্য করবেন তাদের লক্ষ্যবস্তু বানানো হবে।

এর মধ্যে গতকাল রবিবার লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং সদস্যের একটি ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল হয়। সেখানে বলা হয়েছে ‘বলিউড অভিনেতা সালমান খানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং দাউদ ইব্রাহিমের মতো আন্ডারওয়ার্ল্ড ডনের সঙ্গে যোগযোগ রাখার কারণে সিদ্দিকিকে টার্গেট করা হয়েছে।’

পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘ওম, জয় শ্রী রাম, জয় ভারত। আমি জীবনের সারমর্ম বুঝি এবং সম্পদ এবং শরীরকে ধূলিকণা মনে করি। আমি কেবলমাত্র কর্তব্যকে সম্মান জানিয়ে যা সঠিক তা করেছি। বন্ধুত্বের। সালমান খান, আমরা এই যুদ্ধ চাইনি। কিন্তু আপনার কারণেই ভাইকে প্রাণ দিতে হলো। আজ বাবা সিদ্দিকির ভদ্রতার মুখোশ বন্ধ হয়ে গেছে বা এক সময় তিনি দাউদের সঙ্গে মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অব অর্গানাইজড ক্রাইমের অধীনে ছিলেন। তার মৃত্যুর কারণ বলিউড, রাজনীতি এবং সম্পত্তির লেনদেনে দাউদ এবং অনুজ থাপনের সঙ্গে সম্পর্ক।’

পোস্টে আরও লেখা হয়েছে, ‘কারও সঙ্গে আমাদের কোনো ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। তবে সালমান খান বা দাউদ গ্যাংকে যারা সাহায্য করবে, তাকে প্রস্তুত থাকতে হবে। যদি কেউ আমাদের কোনো ভাইকে হত্যা করে, আমরা জবাব দেব। আমরা কখনোই প্রথম হামলা করি না। জয় শ্রী রাম, জয় ভারত, শহিদদের প্রতি স্যালুট।’

সিদ্দিকি ২০১৩ সালে ইফতার পার্টিতে দাওয়াত দিয়ে সালমান খান এবং শাহরুখ খানের মধ্যকার দ্বন্দ্বের সমাধান করেছিলেন।
  
মহারাষ্ট্রের বান্দ্রা পশ্চিম নির্বাচনি এলাকা থেকে তিনবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন বাবা সিদ্দিক। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিলাস রাও দেশমুখের অধীনে ২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি খাদ্য ও বেসামরিক সেবা সরবরাহ এবং শ্রম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

ভারতের বর্তমান প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের রাজনীতির সঙ্গে তিনি প্রায় পাঁচ দশক যুক্ত ছিলেন। যুব কংগ্রেসের মাধ্যমে রাজনীতিতে তার হাতেখড়ি। কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি এনসিপিতে যোগ দিয়েছিলেন।

সালমান খান বেশ কয়েক বছর ধরেই একাধিকবার হুমকি পাচ্ছেন। ২০২৩ সালে দুই অজ্ঞাত ব্যক্তি তার মুম্বইয়ের বাসভবনের বাইরে গুলি চালায়। এ ছাড়াও, ২০২২ সালের জুনে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি হাতে লেখা নোট পেয়েছিলেন। তাতে সতর্ক করে লেখা ছিল যে তিনিও গায়ক সিধু মুসেওয়ালার মতো একই পরিণতি ভোগ করবেন। ২০২২ সালের মে মাসে পঞ্জাবের মানসা জেলায় বিষ্ণোই গ্যাং সিধু মুসেওয়ালাকে খুন করে। সূত্র: আজতক, সংবাদ প্রতিদিন

অমিয়/