ঢাকা ২৬ আশ্বিন ১৪৩১, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন জরিপ কে এগিয়ে? কমলা না ট্রাম্প?

প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২৫ এএম
কে এগিয়ে? কমলা না ট্রাম্প?

আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ তাদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে যাচ্ছেন। শুরুতে এবারের নির্বাচনের লড়াই ২০২০ সালের নির্বাচনের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে হওয়ার কথা থাকলেও গত জুলাই মাসে বাইডেন তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। পরে বাইডেন এবং তার দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে মনোনয়ন দিলেই এটি কমলা-ট্রাম্প লড়াইয়ে পরিণত হয়। 

এখন বড় প্রশ্ন হলো- আমেরিকানরা কি তাদের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পেতে যাচ্ছেন? নাকি আবারও ফিরছেন ট্রাম্পযুগে? সাম্প্রতিক জরিপগুলোর আলোকে এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির তথ্যউপাত্ত বিশ্লেষকরা।
জাতীয় জরিপগুলোতে কে এগিয়ে আছেন?

জুলাইয়ের শেষ নাগাদ ভোটের দৌঁড়ে যোগ দেওয়ার পর থেকেই সব জরিপে এগিয়ে রয়েছেন কমলা হ্যারিস। সর্বশেষ মার্কিন জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ জরিপে গতকাল পর্যন্তও এগিয়ে ছিলেন কমলা। 

এই জরিপে কমলার পক্ষে ভোট পড়েছে ৪৮ শতাংশ এবং রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্পের পক্ষে পড়েছে ৪৬ শতাংশ ভোট। সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রায় সাত লাখ দর্শকের সামনে একটি টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নেন। 

বিবিসির বিশ্লেষণ বলছে, এই বিতর্কে অসাধারণ পারফর্ম্যান্সের কারণে এক সপ্তাহের ব্যবধানে জাতীয় জরিপগুলোতে আগের চেয়ে ০.৮ পয়েন্ট এগিয়ে যান কমলা। বিতর্কের আগে তিনি যেখানে ২.৫ পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন পরে তা বেড়ে হয় ৩.৩ পয়েন্ট। তবে এরও এক সপ্তাহ পর ০.৫ পয়েন্ট হারান কমলা। অর্থাৎ বর্তমানে জরিপগুলোতে গড়ে ২.৮ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন কমলা।

যদিও এই জরিপগুলো নির্বাচনের পূর্বে দেশজুড়ে প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা পরিমাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক হিসেবে কাজ করে, তবে এই জরিপগুলোকে নির্বাচনে জয়ী কে হবেন সে সম্পর্কে নিশ্চিত ভবিষ্যদ্বাণী করার মানদণ্ড ধরে নেওয়ার সুযোগ নেই। 
দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে কে জিতছেন?

ব্যাটলগ্রাউন্ড খ্যাত দুদোল্যমান সাতটি রাজ্যের ভোটই মূলত ঠিক করে দেয় যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হবেন। সাম্প্রতিক জরিপে এই রাজ্যগুলোতে বেশ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে দুই প্রার্থীর মধ্যে। এর মধ্যে পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যকেই ফলাফল নির্ধারণী বলে মনে করা হচ্ছে, কারণ সাতটি সুইং স্টেটের মধ্যে এটির ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট সংখ্যা সবচেয়ে বেশি (১৯)। যিনি এই রাজ্যে জিতবেন তিনি জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ২৭০ ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের মাইলফলকে পৌঁছাতে পারবেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। 

এই রাজ্যে সাম্প্রতিক জরিপগুলোতে বর্তমানে এক পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন কমলা হ্যারিস। বিশেষত, বাইডেন সরে দাঁড়ানোর পর কমলা দৌঁড়ে আসায় এই রাজ্যগুলোতে হাওয়া ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে বইতে শুরু করেছে। 

বিবিসির বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, বাইডেন সরে দাঁড়ানোর পর রাজ্যগুলোতে গড়ে পাঁচ পয়েন্ট এগিয়ে গিয়েছে ডেমোক্র্যাটরা। মূলত মিশিগান, উইসকনসিন এবং নেভাদায় এই পয়েন্ট নতুনভাবে অর্জন করেছে ডেমোক্র্যাট শিবির। 

পেনসিলভানিয়াসহ এই চার রাজ্যে ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট রয়েছে মোট ৪৫টি। অপর তিন দোদুল্যমান রাজ্য নর্থ ক্যারোলাইনা, জর্জিয়া ও অ্যারিজোনায় এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প। যেখানে ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট সংখ্যা ৪৩। 

সুতরাং বলা চলে, এবারের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে কমলা হ্যারিসের জয়ের যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকলেও বেশ কঠিন পথই পাড়ি দিতে হবে তাকে। সূত্র: বিবিসি

গাজায় ইসরায়েলি অভিযান, নিহত ৬০

প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৭ এএম
গাজায় ইসরায়েলি অভিযান, নিহত ৬০
ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজায় গত বুধবার (৯ অক্টোবর) হামলা চালিয়ে অন্তত ৬০ জনকে হত্যা করেছে। গাজা উপত্যকার উত্তরের অংশে অভিযান চালিয়েছে তারা। জাতিসংঘের এক সহায়তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই অঞ্চলে ক্ষুধা আবার ছড়িয়ে পড়ছে

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দেওয়া তথ্যানুসারে, গাজার উত্তরাঞ্চলে ৫০ দিনের মতো অভিযান পরিচালনা করেছে তারা। ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করছে, সেখানে হামাস যোদ্ধা রয়েছে এবং তাদের পুনরায় সংগঠিত হওয়া থেকে আটকাতেই এ অভিযান চালাচ্ছে তারা।   

গাজার উত্তরাঞ্চলে পাঁচ দিন ধরে অভিযান চললেও লেবানন-ইসরায়েল সংঘাতের কারণে সে খবর ততটা আলোচনায় আসেনি। ইসরায়েল শুধু গাজা ও লেবাননে নয়, ইরানেও হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপও হয়েছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর।

রয়টার্সের খবর বলছে, গাজায় জাবালিয়ার বাসিন্দাদের একাধিকবার সরে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ইসরায়েল। তবে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার মতো কোনো নিরাপদ জায়গা নেই বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিন ও জাতিসংঘের কর্মকর্তারা।

গত বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ বলেছে, ‘অন্তত চার লাখ মানুষ ওই এলাকায় আটকা পড়েছে।’   

জাবালিয়ার আল-ইয়েমেন আল-সায়িদ হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৫ জন মারা গেছেন। হাসপাতালটিতে বাস্তুচ্যুত কিছু মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উত্তর গাজার তিনটি হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ দিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এতে শত শত রোগী ও চিকিৎসা কর্মী ওই অবকাঠামোর মধ্যে আটকা পড়েছেন। কয়েক ডজন রোগীর জীবন ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের কারণে ঝুঁকিতে পড়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।

এদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করছে, হামাস যোদ্ধারা ঘনবসতিপূর্ণ 
গাজার আবাসিক ভবনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। এমনকি স্কুল ও হাসপাতালগুলোতেও তারা ছড়িয়ে রয়েছে। হামাস এ দাবি বরাবরই প্রত্যাখ্যান করে আসছে।  

গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, জাবালিয়া ও উত্তরের আশপাশের এলাকাগুলোতে অন্তত ৩২ জন মারা গেছেন। মধ্য ও দক্ষিণ গাজাতেও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবারের হামলা নিয়ে ইসরায়েল তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।    

হামাস শাসিত গাজা সরকারের গণমাধ্যম দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, গত পাঁচ দিনে অন্তত ১২৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনের বেসামরিক জরুরি সেবা জানিয়েছে, তারা জাবালিয়া ও উত্তর গাজায় কয়েক ডজন ফিলিস্তিনির মৃত্যুর খবর পেয়েছে। তবে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের মুখে সেখানে পৌঁছাতে পারেনি।

ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান ফিলিপ্পে লাজারনি বলেন, যুদ্ধ শুরুর পর কিছু ইউএনআরডব্লিউএ আশ্রয়কেন্দ্র ও সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক রসদেরও ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। উত্তর গাজাজুড়ে ক্ষুধা ছড়িয়ে পড়ছে। পোলিও টিকা নিয়েও সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন লাজারনি। তিনি বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক এ সামরিক অভিযান শিশুদের জন্য দ্বিতীয় ধাপের পোলিও টিকা প্রয়োগকে হুমকির মুখে ফেলছে।’  

ইসরায়েল তাৎক্ষণিকভাবে লাজারনির মন্তব্যের জবাব দেয়নি। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এর আগে জানিয়েছিল, চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি থাকলেও গাজায় খাবার সহায়তা প্রবেশ অব্যাহত রাখতে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। লাজারনির মন্তব্য নিয়ে তারা তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করেনি। 

দক্ষিণ লেবাননে হামলায় পাঁচ জরুরি সেবাকর্মী নিহত
ইসরায়েলি হামলায় দক্ষিণ লেবাননে পাঁচ জরুরি সেবাকর্মী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়। যুদ্ধবিরতির জন্য চেষ্টা করছেন লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে এ বিষয়ে। এ প্রসঙ্গে ওয়াশিংটন ও প্যারিসের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। সূত্র: রয়টার্স

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য রতন টাটার

প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২৩ এএম
আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২৪ এএম
রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য রতন টাটার
রতন টাটার শেষকৃত্য

ভারতীয় পতাকা গায়ে চিরঘুমে শায়িত রতন টাটা। সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার ঘোষণা এসেছে আগেই। তাকে শেষবার দেখতে ছিল মানুষের ভিড়।

পরে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ওরলি শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয় তার মরদেহ।

পার্সি হওয়া সত্ত্বেও সেখানে হিন্দু নিয়ম মেনেই দাহ করা হয় তাকে। তবে এখানে শেষকৃত্যের আগে ৪৫ মিনিট প্রার্থনা করা হয়। তারপর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। 

শেষকৃত্যের আগে বৃহস্পতিবার মুম্বাইয়ের নরিমান প্ল্যান্টের এনসিপিএ লনে সকালে রতন টাটার মরদেহ রাখা হয়েছিল শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। তার মৃত্যুতে গোটা দেশে উৎসবের আমেজেও নেমে এসেছে শোকের ছায়া। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোক প্রকাশ করেছেন। বাদ যাননি বলিউড ও টলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

কমলার মুখোমুখি হবেন না ট্রাম্প

প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৬ এএম
কমলার মুখোমুখি হবেন না ট্রাম্প
কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প

ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিসের সঙ্গে আর বিতর্ক করবেন না রিপাবলিকান পার্টির পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফক্স নিউজের পক্ষ থেকে দুজনকে বিতর্কের আহ্বান জানানো হয়েছিল। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই ট্রাম্পের কাছ থেকে আসে এ মন্তব্য।

ট্রাম্প ও কমলা দুজনই রাজি হলে ২৪ অক্টোবর বা ২৭ অক্টোবর বিতর্ক হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। এর আগে ১০ সেপ্টেম্বর ট্রাম্প ও কমলা একে অন্যের মুখোমুখি হন। সে বিতর্কে কমলা জিতেছেন বলে রায় দেন বিশ্লেষকরা। শুরুতে ট্রাম্প নিজেকে বিজয়ী বলে দাবি করেন। পরে আবার তিনিই বলেন, সাজানো নাটকের মুখে পড়েছিলেন বিতর্কে গিয়ে।

ওই ঘটনার পরপরই ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, আর কোনো বিতর্কে অংশ নেবেন না তিনি। কারণ আর কোনো বিতর্কের দরকার নেই।

ট্রাম্প নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘আর কোনো বিতর্ক হবে না। কারণ বিতর্ক হওয়ার মতো কিছু নেই।’ 

গত জুনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে বিতর্কে হারিয়েছিলেন ট্রাম্প। পরে বাইডেনকে নির্বাচনি দৌড় থেকেই সরে যেতে হয়। সূত্র: রয়টার্স

রাশিয়া-ইউেক্রন যুদ্ধ রাশিয়া কেন ইউক্রেনের শস্যবাহী জাহাজে আক্রমণ করছে?

প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১০ এএম
আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৫ এএম
রাশিয়া কেন ইউক্রেনের শস্যবাহী জাহাজে আক্রমণ করছে?
গত সোমবার ইউক্রেনের শস্যবাহী জাহাজে হামলা চালায় রাশিয়া। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনের শস্যবাহী তিনটি জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে রাশিয়া। এর মাধ্যমে রাশিয়া কৃষ্ণসাগরে তার কৌশল পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে। বাণিজ্য জাহাজে এমন ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফলে বিশ্ববাজারে শস্যের মূল্য বৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অবশ্য রাশিয়ার ওপর এই অভিযোগ নতুন নয়, এর আগে যুদ্ধ শুরুর প্রথমদিকে ব্যাপক হামলা চালিয়ে ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানির সরবরাহ চেইন ক্ষতিগ্রস্ত করে রাশিয়া। ওই সময় আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যশস্যের দাম রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছিল। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি এসেও কয়েকটি ইউক্রেনের পণ্যবাহী জাহাজে হামলা চালায় রুশ বাহিনী। রাশিয়ার এই ধারাবাহিক হামলার কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। প্রসঙ্গত, ইউক্রেন পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি শস্য রপ্তানি করা দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। 

গত সোমবার অপটিমা নামক পালাউয়ের পতাকাবাহী একটি জাহাজে হামলা করে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের ওডেসা বন্দর থেকে শস্য বোঝাই করে ছেড়ে যাওয়া এই জাহাজটিতে হামলায় এক ক্রু নিহত এবং পাঁচজন আহত হন।

এ ছাড়া সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসের পতাকাবাহী আরেকটি জাহাজে গত রবিবার হামলা চালায় রুশরা। যেটি ইউক্রেন থেকে ৬ হাজার টন ভুট্টা নিয়ে রওনা হয়েছিল। 

এ ছাড়া গত সেপ্টেম্বরে ন্যাটো  সদস্য রোমানিয়ার সমুদ্রসীমায় ইউক্রেন থেকে মিসরের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এসব হামলাকে ‘ইচ্ছাকৃত সন্ত্রাসী কৌশল’ এবং ‘নৌ চলাচলের স্বাধীনতা এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তার ওপর নির্লজ্জ আক্রমণ’ বলে নিন্দা জানিয়েছে ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 

এসব হামলার কারণ হিসেবে আল-জাজিরার বিশ্লেষণ বলছে, নগদ অর্থ সংকটে পড়া ইউক্রেনীয় কৃষকদের জন্য রপ্তানি হলো আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস। ২০২২ সালে রুশ আগ্রাসন শুরুর আগের বছর শুধু শস্য রপ্তানি থেকেই ২৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন  ডলার আয় করেছিল ইউক্রেন। তখন তারা প্রতি মাসে গড়ে ৬ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন শস্য রপ্তানি করত। যুদ্ধ শুরুর পরের বছর ২০২৩ সালের মাঝামাঝি এসে এই হার মাত্র ২ মিলিয়ন টনে নেমে আসে। সাম্প্রতিক হামলাগুলো অর্থ সংকটে ভুগতে থাকা কৃষকদের জন্য আগামী শীতে বীজ সংগ্রহের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।

ইউক্রেনের স্কুল অব ইকোনোমিক্সের বিশেষজ্ঞ পাবলো মার্টিশেভ বলেন, সাম্প্রতিক হামলাগুলো বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় ইউক্রেনের টিকে থাকার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে এবং রাশিয়ার রপ্তানিকারকদের অতিরিক্ত মুনাফা অর্জনের পথ খুলে দেবে। যত অর্থ আসবে রাশিয়া ততবেশি যুদ্ধের রসদ কিনতে পারবে।’  

এ ছাড়া জাহাজে ধারাবাহিক হামলার কারণে নিরাপত্তা সংকট তৈরি হওয়ায় আমদানিকারকরা আন্তর্জাতিক বাজারে নতুন বিক্রেতা খুঁজে নেবে বলে জানান মার্টিশেভ। 

তিনি বলেন, ‘আমাদের ক্রেতা এবং রপ্তানিকারকদের মধ্যে মানসিক অস্বস্তি ও ভীতি তৈরি হয়েছে যা আমাদের লজিস্টিক সরবরাহ চেইনকে বাধাগ্রস্ত করবে।’

আমেরিকান নিরাপত্তা বিশ্লেষক দিমিত্রি গোরেনবার্গ বলেন, ‘আপনি যদি ইউক্রেনকে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল করতে পারেন, তবে তার প্রতিরোধের সক্ষমতা কমতে থাকবে।’  সূত্র: আল-জাজিরা

সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী দক্ষিণ কোরিয়ার হান কাং

প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২৩ পিএম
আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৩৬ পিএম
সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী দক্ষিণ কোরিয়ার হান কাং
সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী দক্ষিণ কোরিয়ার লেখিকা হান কাং। ছবি: সংগৃহীত

সাহিত্যে অনবদ্য অবদান রাখায় এ বছর নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার লেখিকা হান কাং। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে সুইডিশ অ্যাকাডেমি।

সুইডেনের স্থানীয় সময় বিকেল ১টা ও বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। সুইডশি একাডমেমি অফ সায়েন্সের সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসর হ্যান্স এলেগ্রেন ২০২৪ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করেন।

একাডেমির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাকে পুরস্কার প্রদানের কারণ হিসেবে বলা হয়, ‘তার ঐকান্তিক কাব্যিক গদ্য- ঐতিহাসিক মর্মাঘাত সামনে নিয়ে আনে এবং মানব জীবনের ভঙ্গুরতা উন্মোচন করে দেখায়।’

হান কাং ১৯৭০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার শহর গোয়াংজুতে জন্মগ্রহণ করেন। নয় বছর বয়সে তিনি তার পরিবারের সঙ্গে সিউলে চলে আসেন। তিনি একটি সাহিত্যিক পরিবেশে জন্ম নেন। তার বাবাও একজন স্বনামধন্য ঔপন্যাসিক। লেখালেখির পাশাপাশি তিনি নিজেকে শিল্প ও সঙ্গীতেও নিয়োজিত করেছেন। 

হান কাং ১৯৯৩ সালে ‘সাহিত্য ও সমাজ’ ম্যাগাজিনে বেশ কয়েকটি কবিতা প্রকাশের মাধ্যমে তার লেখালেখি শুরু। তার গদ্য ১৯৯৫ সালে ছোট গল্প সংকলন ‘ইয়েসুর প্রেম’ প্রকাশ পায়। এর পরে তিনি অনেক অনন্য উপন্যাস ও ছোটগল্প রচনা করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো উপন্যাস ‘তোমার শীতল হাতজোড়া’।

হ্যান কাং-এর প্রধান আন্তর্জাতিক সাফল্য আসে ‘নিরামিষভোজী’ উপন্যাস প্রকাশিত হওয়ার পর। এটি ২০০৭ সালে কোরীয় ভাষায় প্রকাশিত হয়। ২০১৫ সালে এ উপন্যাসটির ইংরেজি অনুবাদ ‘দ্য ভেজিটারিয়ান’ প্রকাশিত হয়। এটি তিন খণ্ডে লেখা। তার অধিকততর প্লটভিত্তিক বই হলো- ২০১০ সাণল প্রকাশিত ‘বায়ু বয়, যাও’। এটি বন্ধুত্ব ও শৈল্পিকতা সম্পর্কে একটি বড় ও জটিল উপন্যাস, যেখানে দুঃখ ও রূপান্তরের আকাঙ্ক্ষা দৃঢ়ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

২০২৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান নরওয়ের লেখক ও নাট্যকার ইয়োন ফসে। ইয়োন ফসের লেখা নাটক ও সাহিত্যের প্রশংসা করে সুইডিশ একাডেমি বলেছে, তিনি তার লেখায় অনুচ্চারিত থেকে যাওয়া বহু কথা তুলে এনেছেন। 

১৯০১ সালে, সাহিত্যে প্রথম নোবেল পুরস্কার পান ফরাসি কবি ও প্রাবন্ধিক সুলি প্রুদোম (১৮৩৯-১৯০৭)। 

প্রথা অনুযায়ী অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার হিসেবে ৭ অক্টোবর চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

সোমবার যৌথভাবে দুই মার্কিন বিজ্ঞানী ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রাভকানকে চিকিৎসাশাস্ত্র বা ওষুধশাস্ত্রে ২০২৪ সালের নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ঘোষণা করে।

মঙ্গলবার রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্স জন জে হপফিল্ড ও জিওফ্রে ই হিন্টনকে যৌথভাবে ২০২৪ সালের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায়।

বুধবার রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস মার্কিন বিজ্ঞানী ডেভিড বেকারকে কম্পিউটেশনাল প্রোটিন ডিজাইন’ এবং ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ডেমিস হাসাবিস ও জন এম জাম্পারকে ‘প্রোটিন গঠন পূর্বাভাস’-এর জন্য যৌথভাবে ২০২৪ সালের রসায়নে নোবেল পুরস্কারজয়ী ঘোষণা করে। বাসস