
চীনের নেতা শি জিনপিং তাইওয়ানকে আবারও নিজেদের সঙ্গে পুনরায় যোগ করে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। কমিউনিস্ট চীনের ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
বেইজিং নিজেদের সামরিক সক্ষমতাও প্রদর্শন করেছে এ উপলক্ষকে কেন্দ্র করে।
রাষ্ট্রীয় ভোজ অনুষ্ঠানে গত সোমবার নিজ বক্তব্যে শি ওই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, কেউ ইতিহাসের গতিধারাকে পাল্টে ফেলতে পারবে না।
শি যখন এই বক্তব্য রাখছিলেন, তখন বেইজিংয়ের গ্রেট হলে উপস্থিত ছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা শিনহুয়ার প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে। তবে কখনই ওই ভূখণ্ড তারা নিয়ন্ত্রণ করেনি। চীন অবশ্য বরাবরই স্বশাসিত ভূখণ্ডটি জুড়ে নেওয়ার পক্ষে এবং তারা এ জন্য জোর খাটাতে পিছপা হবে না বলেও একাধিকবার বলেছে।
অন্যদিকে স্বশাসিত তাইওয়ানের বেশির ভাগ মানুষ নিজেদের তাইওয়ানিজ বলে মনে করে। তাদের কমিউনিস্ট চীনের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। ১৯৪৯ সাল থেকে চীন ও তাইওয়ান পৃথক সরকারের মাধ্যমে শাসিত হয়ে আসছে। চীনের গৃহযুদ্ধ শেষে ১৯৪৯ সালের ১ অক্টোবর কমিউনিস্টরা বেইজিংয়ের ক্ষমতা নেয়।
অন্যদিকে পরাজিত জাতীয়তাবাদীরা পালিয়ে যায় তাইওয়ানে। মূল ভূখণ্ড থেকে প্রজাতন্ত্রী চীন চলে যায় তাইপেইয়ে।
বিভিন্ন সময়েই চীনের নেতারা তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ডের সঙ্গে জুড়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু শি এ বিষয়ে সবচেয়ে বেশিবার বলেছেন। এমনকি এ নিয়ে সামরিক উত্তেজনাও তার আমলেই সবচেয়ে বেড়েছে। সোমবারের আয়োজনেই আরও একবার একই কথা বললেন তিনি।
তিন হাজারের বেশি মানুষের উপস্থিতিতে শি বলেন, ‘তাইওয়ান চীনের পবিত্র অঞ্চল। রক্ত পানির চেয়ে ঘন এবং প্রণালীর দুই পাশে থাকা মানুষ রক্তের মাধ্যমে সংযুক্ত। উপস্থিতদের মধ্যে চীনের কর্মকর্তা ও বিদেশি প্রতিনিধিরা ছিলেন। সূত্র: সিএনএন