ঢাকা ২৬ আশ্বিন ১৪৩১, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪

পশ্চিমবঙ্গে আবারও কর্মবিরতিতে চিকিৎসকরা

প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:০২ এএম
পশ্চিমবঙ্গে আবারও কর্মবিরতিতে চিকিৎসকরা
আবারও কর্মবিরতিতে জুনিয়র চিকিৎসকরা। ছবি: সংগৃহীত

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার বিরুদ্ধে প্রথম দফায় ৪২ দিনের কর্মবিরতি পালন করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠকের পরিপ্রেক্ষিতে তারা ফের কাজে যোগ দেন। কিন্তু উত্তর চব্বিশ পরগনার সাগর দত্ত হাসপাতালে নারী চিকিৎসকদের নিগ্রহের ঘটনায় পরিস্থিতি আবার ঘোলাটে হয়ে উঠেছে।

গত সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি হয়। সেখানে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় নির্দেশ দেন, ‘জুনিয়র চিকিৎসকদের পূর্ণ সময়ের জন্য কাজে ফিরতে হবে। আংশিক সময় কাজ করলে চলবে না।’ সর্বোচ্চ আদালতের এই পর্যবেক্ষণের পর ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট বৈঠকে বসে। বৈঠকের পর জুনিয়র চিকিৎসকদের সংগঠন সিদ্ধান্ত নেন, গতকাল মঙ্গলবার থেকে তারা পূর্ণদিবস কর্মবিরতি আবার শুরু করছেন। তারা মনে করছেন, আরজি করে তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যায় জড়িতদের সুষ্ঠু বিচারে সুপ্রিম কোর্ট যথেষ্ট আন্তরিক নয়। এ ছাড়া আরও কিছু দাবি-দাওয়াও উত্থাপন করেছেন তারা।

ফ্রন্টের চিকিৎসকদের মধ্যে একাংশ শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে কাজ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠের মত ছিল, পূর্ণ সময়ের কর্মবিরতি না করলে দাবি আদায় করা যাবে না। দীর্ঘ আলোচনার পর সর্বসম্মতির ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত হয়। বিচারের দাবি থেকে স্বাস্থ্য সচিবের অপসারণ, হুমকি প্রদানের সংস্কৃতির অবসান ও দুর্নীতি রোধসহ ১০ দফা দাবি সামনে এনেছে তারা।

কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে ২১ সেপ্টেম্বর কাজে ফিরেছিলেন এই চিকিৎসকরা। গত ২৭ সেপ্টেম্বর উত্তর চব্বিশ পরগনায় রোগীর পরিবারের হাতে আক্রান্ত হন কয়েকজন নারী চিকিৎসক। এই ঘটনার পর সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতি শুরু করেন। তাদের পাশে দাঁড়ায় জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। তারা ঘোষণা করে, সোমবার থেকে পূর্ণ কর্মবিরতি শুরু হবে রাজ্যজুড়ে। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের পরও সেই সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন আন্দোলনকারীরা। সূত্র: ডয়চে ভেলে

গাজায় ইসরায়েলি অভিযান, নিহত ৬০

প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৭ এএম
গাজায় ইসরায়েলি অভিযান, নিহত ৬০
ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজায় গত বুধবার (৯ অক্টোবর) হামলা চালিয়ে অন্তত ৬০ জনকে হত্যা করেছে। গাজা উপত্যকার উত্তরের অংশে অভিযান চালিয়েছে তারা। জাতিসংঘের এক সহায়তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই অঞ্চলে ক্ষুধা আবার ছড়িয়ে পড়ছে

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দেওয়া তথ্যানুসারে, গাজার উত্তরাঞ্চলে ৫০ দিনের মতো অভিযান পরিচালনা করেছে তারা। ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করছে, সেখানে হামাস যোদ্ধা রয়েছে এবং তাদের পুনরায় সংগঠিত হওয়া থেকে আটকাতেই এ অভিযান চালাচ্ছে তারা।   

গাজার উত্তরাঞ্চলে পাঁচ দিন ধরে অভিযান চললেও লেবানন-ইসরায়েল সংঘাতের কারণে সে খবর ততটা আলোচনায় আসেনি। ইসরায়েল শুধু গাজা ও লেবাননে নয়, ইরানেও হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপও হয়েছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর।

রয়টার্সের খবর বলছে, গাজায় জাবালিয়ার বাসিন্দাদের একাধিকবার সরে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ইসরায়েল। তবে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার মতো কোনো নিরাপদ জায়গা নেই বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিন ও জাতিসংঘের কর্মকর্তারা।

গত বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ বলেছে, ‘অন্তত চার লাখ মানুষ ওই এলাকায় আটকা পড়েছে।’   

জাবালিয়ার আল-ইয়েমেন আল-সায়িদ হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৫ জন মারা গেছেন। হাসপাতালটিতে বাস্তুচ্যুত কিছু মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উত্তর গাজার তিনটি হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ দিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এতে শত শত রোগী ও চিকিৎসা কর্মী ওই অবকাঠামোর মধ্যে আটকা পড়েছেন। কয়েক ডজন রোগীর জীবন ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের কারণে ঝুঁকিতে পড়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।

এদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করছে, হামাস যোদ্ধারা ঘনবসতিপূর্ণ 
গাজার আবাসিক ভবনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। এমনকি স্কুল ও হাসপাতালগুলোতেও তারা ছড়িয়ে রয়েছে। হামাস এ দাবি বরাবরই প্রত্যাখ্যান করে আসছে।  

গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, জাবালিয়া ও উত্তরের আশপাশের এলাকাগুলোতে অন্তত ৩২ জন মারা গেছেন। মধ্য ও দক্ষিণ গাজাতেও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবারের হামলা নিয়ে ইসরায়েল তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।    

হামাস শাসিত গাজা সরকারের গণমাধ্যম দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, গত পাঁচ দিনে অন্তত ১২৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনের বেসামরিক জরুরি সেবা জানিয়েছে, তারা জাবালিয়া ও উত্তর গাজায় কয়েক ডজন ফিলিস্তিনির মৃত্যুর খবর পেয়েছে। তবে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের মুখে সেখানে পৌঁছাতে পারেনি।

ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান ফিলিপ্পে লাজারনি বলেন, যুদ্ধ শুরুর পর কিছু ইউএনআরডব্লিউএ আশ্রয়কেন্দ্র ও সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক রসদেরও ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। উত্তর গাজাজুড়ে ক্ষুধা ছড়িয়ে পড়ছে। পোলিও টিকা নিয়েও সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন লাজারনি। তিনি বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক এ সামরিক অভিযান শিশুদের জন্য দ্বিতীয় ধাপের পোলিও টিকা প্রয়োগকে হুমকির মুখে ফেলছে।’  

ইসরায়েল তাৎক্ষণিকভাবে লাজারনির মন্তব্যের জবাব দেয়নি। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এর আগে জানিয়েছিল, চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি থাকলেও গাজায় খাবার সহায়তা প্রবেশ অব্যাহত রাখতে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। লাজারনির মন্তব্য নিয়ে তারা তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করেনি। 

দক্ষিণ লেবাননে হামলায় পাঁচ জরুরি সেবাকর্মী নিহত
ইসরায়েলি হামলায় দক্ষিণ লেবাননে পাঁচ জরুরি সেবাকর্মী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়। যুদ্ধবিরতির জন্য চেষ্টা করছেন লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে এ বিষয়ে। এ প্রসঙ্গে ওয়াশিংটন ও প্যারিসের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। সূত্র: রয়টার্স

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য রতন টাটার

প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২৩ এএম
আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২৪ এএম
রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য রতন টাটার
রতন টাটার শেষকৃত্য

ভারতীয় পতাকা গায়ে চিরঘুমে শায়িত রতন টাটা। সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার ঘোষণা এসেছে আগেই। তাকে শেষবার দেখতে ছিল মানুষের ভিড়।

পরে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ওরলি শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয় তার মরদেহ।

পার্সি হওয়া সত্ত্বেও সেখানে হিন্দু নিয়ম মেনেই দাহ করা হয় তাকে। তবে এখানে শেষকৃত্যের আগে ৪৫ মিনিট প্রার্থনা করা হয়। তারপর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। 

শেষকৃত্যের আগে বৃহস্পতিবার মুম্বাইয়ের নরিমান প্ল্যান্টের এনসিপিএ লনে সকালে রতন টাটার মরদেহ রাখা হয়েছিল শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। তার মৃত্যুতে গোটা দেশে উৎসবের আমেজেও নেমে এসেছে শোকের ছায়া। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোক প্রকাশ করেছেন। বাদ যাননি বলিউড ও টলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

কমলার মুখোমুখি হবেন না ট্রাম্প

প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৬ এএম
কমলার মুখোমুখি হবেন না ট্রাম্প
কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প

ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিসের সঙ্গে আর বিতর্ক করবেন না রিপাবলিকান পার্টির পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফক্স নিউজের পক্ষ থেকে দুজনকে বিতর্কের আহ্বান জানানো হয়েছিল। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই ট্রাম্পের কাছ থেকে আসে এ মন্তব্য।

ট্রাম্প ও কমলা দুজনই রাজি হলে ২৪ অক্টোবর বা ২৭ অক্টোবর বিতর্ক হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। এর আগে ১০ সেপ্টেম্বর ট্রাম্প ও কমলা একে অন্যের মুখোমুখি হন। সে বিতর্কে কমলা জিতেছেন বলে রায় দেন বিশ্লেষকরা। শুরুতে ট্রাম্প নিজেকে বিজয়ী বলে দাবি করেন। পরে আবার তিনিই বলেন, সাজানো নাটকের মুখে পড়েছিলেন বিতর্কে গিয়ে।

ওই ঘটনার পরপরই ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, আর কোনো বিতর্কে অংশ নেবেন না তিনি। কারণ আর কোনো বিতর্কের দরকার নেই।

ট্রাম্প নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘আর কোনো বিতর্ক হবে না। কারণ বিতর্ক হওয়ার মতো কিছু নেই।’ 

গত জুনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে বিতর্কে হারিয়েছিলেন ট্রাম্প। পরে বাইডেনকে নির্বাচনি দৌড় থেকেই সরে যেতে হয়। সূত্র: রয়টার্স

সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী দক্ষিণ কোরিয়ার হান কাং

প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২৩ পিএম
আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৩৬ পিএম
সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী দক্ষিণ কোরিয়ার হান কাং
সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী দক্ষিণ কোরিয়ার লেখিকা হান কাং। ছবি: সংগৃহীত

সাহিত্যে অনবদ্য অবদান রাখায় এ বছর নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার লেখিকা হান কাং। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে সুইডিশ অ্যাকাডেমি।

সুইডেনের স্থানীয় সময় বিকেল ১টা ও বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। সুইডশি একাডমেমি অফ সায়েন্সের সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসর হ্যান্স এলেগ্রেন ২০২৪ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করেন।

একাডেমির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাকে পুরস্কার প্রদানের কারণ হিসেবে বলা হয়, ‘তার ঐকান্তিক কাব্যিক গদ্য- ঐতিহাসিক মর্মাঘাত সামনে নিয়ে আনে এবং মানব জীবনের ভঙ্গুরতা উন্মোচন করে দেখায়।’

হান কাং ১৯৭০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার শহর গোয়াংজুতে জন্মগ্রহণ করেন। নয় বছর বয়সে তিনি তার পরিবারের সঙ্গে সিউলে চলে আসেন। তিনি একটি সাহিত্যিক পরিবেশে জন্ম নেন। তার বাবাও একজন স্বনামধন্য ঔপন্যাসিক। লেখালেখির পাশাপাশি তিনি নিজেকে শিল্প ও সঙ্গীতেও নিয়োজিত করেছেন। 

হান কাং ১৯৯৩ সালে ‘সাহিত্য ও সমাজ’ ম্যাগাজিনে বেশ কয়েকটি কবিতা প্রকাশের মাধ্যমে তার লেখালেখি শুরু। তার গদ্য ১৯৯৫ সালে ছোট গল্প সংকলন ‘ইয়েসুর প্রেম’ প্রকাশ পায়। এর পরে তিনি অনেক অনন্য উপন্যাস ও ছোটগল্প রচনা করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো উপন্যাস ‘তোমার শীতল হাতজোড়া’।

হ্যান কাং-এর প্রধান আন্তর্জাতিক সাফল্য আসে ‘নিরামিষভোজী’ উপন্যাস প্রকাশিত হওয়ার পর। এটি ২০০৭ সালে কোরীয় ভাষায় প্রকাশিত হয়। ২০১৫ সালে এ উপন্যাসটির ইংরেজি অনুবাদ ‘দ্য ভেজিটারিয়ান’ প্রকাশিত হয়। এটি তিন খণ্ডে লেখা। তার অধিকততর প্লটভিত্তিক বই হলো- ২০১০ সাণল প্রকাশিত ‘বায়ু বয়, যাও’। এটি বন্ধুত্ব ও শৈল্পিকতা সম্পর্কে একটি বড় ও জটিল উপন্যাস, যেখানে দুঃখ ও রূপান্তরের আকাঙ্ক্ষা দৃঢ়ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

২০২৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান নরওয়ের লেখক ও নাট্যকার ইয়োন ফসে। ইয়োন ফসের লেখা নাটক ও সাহিত্যের প্রশংসা করে সুইডিশ একাডেমি বলেছে, তিনি তার লেখায় অনুচ্চারিত থেকে যাওয়া বহু কথা তুলে এনেছেন। 

১৯০১ সালে, সাহিত্যে প্রথম নোবেল পুরস্কার পান ফরাসি কবি ও প্রাবন্ধিক সুলি প্রুদোম (১৮৩৯-১৯০৭)। 

প্রথা অনুযায়ী অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার হিসেবে ৭ অক্টোবর চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

সোমবার যৌথভাবে দুই মার্কিন বিজ্ঞানী ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রাভকানকে চিকিৎসাশাস্ত্র বা ওষুধশাস্ত্রে ২০২৪ সালের নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ঘোষণা করে।

মঙ্গলবার রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্স জন জে হপফিল্ড ও জিওফ্রে ই হিন্টনকে যৌথভাবে ২০২৪ সালের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায়।

বুধবার রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস মার্কিন বিজ্ঞানী ডেভিড বেকারকে কম্পিউটেশনাল প্রোটিন ডিজাইন’ এবং ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ডেমিস হাসাবিস ও জন এম জাম্পারকে ‘প্রোটিন গঠন পূর্বাভাস’-এর জন্য যৌথভাবে ২০২৪ সালের রসায়নে নোবেল পুরস্কারজয়ী ঘোষণা করে। বাসস

যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হেনেছে হ্যারিকেন মিল্টন

প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৩৬ পিএম
আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৫৯ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হেনেছে হ্যারিকেন মিল্টন
বুধবার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঞ্চলে আঘাত হানে হারিকেন মিল্টন। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে আঘাত হেনেছে হারিকেন মিল্টন।

দেশটির ন্যাশনাল হ্যারিকেন সেন্টারের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (৯ অক্টোবর) সকালে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের পশ্চিম উপকূলে সারাসোটা কাউন্টির সিয়েস্তা কী অঞ্চলে এটি আছড়ে পড়ে। এ সময় ক্যাটাগরি-৫ থেকে ক্যাটাগরি-৩ মাত্রায় রূপ নিয়ে ১৯৫ কিলোমিটার (১২০ মাইল) গতিতে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানে। তবে এখনো কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।

উপকূলের কাছাকাছি কয়েক লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গিয়েছেন। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে প্রায় ১২ লাখেরও বেশি মানুষ। রাজ্যের ৫১টি শহরে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে বন্ধ রয়েছে সেখানকার স্কুল-কলেজ।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, মিল্টন প্রায় এক শতাব্দীর মধ্যে এই অঞ্চলে আঘাত হানার সবচেয়ে খারাপ ঝড় হতে পারে। এর প্রভাবে ১০ থেকে ১৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কাও রয়েছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও সতর্ক করে বলেছেন, মিল্টন গত ১শ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানা সবচেয়ে ভয়াবহ ঝড় হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এটি এখন জীবন-মৃত্যুর বিষয়। সূত্র : রয়টার্স, আল-জাজিরা।

সাদিয়া নাহার/