আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার বিরুদ্ধে প্রথম দফায় ৪২ দিনের কর্মবিরতি পালন করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠকের পরিপ্রেক্ষিতে তারা ফের কাজে যোগ দেন। কিন্তু উত্তর চব্বিশ পরগনার সাগর দত্ত হাসপাতালে নারী চিকিৎসকদের নিগ্রহের ঘটনায় পরিস্থিতি আবার ঘোলাটে হয়ে উঠেছে।
গত সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি হয়। সেখানে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় নির্দেশ দেন, ‘জুনিয়র চিকিৎসকদের পূর্ণ সময়ের জন্য কাজে ফিরতে হবে। আংশিক সময় কাজ করলে চলবে না।’ সর্বোচ্চ আদালতের এই পর্যবেক্ষণের পর ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট বৈঠকে বসে। বৈঠকের পর জুনিয়র চিকিৎসকদের সংগঠন সিদ্ধান্ত নেন, গতকাল মঙ্গলবার থেকে তারা পূর্ণদিবস কর্মবিরতি আবার শুরু করছেন। তারা মনে করছেন, আরজি করে তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যায় জড়িতদের সুষ্ঠু বিচারে সুপ্রিম কোর্ট যথেষ্ট আন্তরিক নয়। এ ছাড়া আরও কিছু দাবি-দাওয়াও উত্থাপন করেছেন তারা।
ফ্রন্টের চিকিৎসকদের মধ্যে একাংশ শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে কাজ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠের মত ছিল, পূর্ণ সময়ের কর্মবিরতি না করলে দাবি আদায় করা যাবে না। দীর্ঘ আলোচনার পর সর্বসম্মতির ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত হয়। বিচারের দাবি থেকে স্বাস্থ্য সচিবের অপসারণ, হুমকি প্রদানের সংস্কৃতির অবসান ও দুর্নীতি রোধসহ ১০ দফা দাবি সামনে এনেছে তারা।
কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে ২১ সেপ্টেম্বর কাজে ফিরেছিলেন এই চিকিৎসকরা। গত ২৭ সেপ্টেম্বর উত্তর চব্বিশ পরগনায় রোগীর পরিবারের হাতে আক্রান্ত হন কয়েকজন নারী চিকিৎসক। এই ঘটনার পর সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতি শুরু করেন। তাদের পাশে দাঁড়ায় জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। তারা ঘোষণা করে, সোমবার থেকে পূর্ণ কর্মবিরতি শুরু হবে রাজ্যজুড়ে। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের পরও সেই সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন আন্দোলনকারীরা। সূত্র: ডয়চে ভেলে