ঢাকা ২৬ কার্তিক ১৪৩১, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

সেই হামলাস্থলে আবারও ট্রাম্পের সমাবেশ

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৫৯ এএম
সেই হামলাস্থলে আবারও ট্রাম্পের সমাবেশ
পেনসিলভানিয়ার বাটলারের যে জায়গায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল সেখানে আবারও নির্বাচনি সমাবেশ করেছেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার বাটলারের যে জায়গায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল সেখানে আবারও নির্বাচনি সমাবেশ করেছেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এক মাস আগে গত শনিবার তিনি সেখানে বিশাল এক জনসভার আয়োজন করেন। 

বার্ত সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, জনসভায় ট্রাম্প গত ১৩ জুলাই কানে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা স্মরণ করেন। সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি যা বলছিলাম।’ এর দ্বারা তিনি বুঝিয়েছেন, ১৩ জুলাই নির্বাচনি সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তার যে বক্তব্য বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিল তা আবার শুরু করেছেন তিনি। 

রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্প বলেন, ‘ঠিক ১২ সপ্তাহ আগে এমনই এক সন্ধ্যায়, এই জায়গাতেই একজন ঠাণ্ডা মাথার খুনি আমাকে থামিয়ে দিতে চেয়েছিল।’ তবে নিরাপত্তার স্বার্থে ট্রাম্প হাজার দশেক সমর্থকের সামনে বুলেটপ্রুফ কাচের আড়াল থেকে ভাষণ দেন।

গত ১৩ জুলাই বাটলারে এক নির্বাচনি সমাবেশে ট্রাম্পের ওপর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ১১ মিনিটে হামলা হয়েছিল। শনিবার ঠিক ওই সময় উপস্থিত সবাইকে ট্রাম্প এক মুহূর্ত নীরবতা পালনের আহ্বান জানান। তারপর একটি ঘণ্টা চারবার বাজানো হয় এবং ট্রাম্পসহ আহত চারজনের জন্য একবার করে নীরবতা পালন করা হয়।

একপর্যায়ে ট্রাম্প তার বক্তৃতার মাঝখানে টেসলার প্রধান নির্বাহী ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের মালিক ইলন মাস্ককে মঞ্চে ডাকেন। ট্রাম্পকে সমর্থনের পর প্রথম কোনো নির্বাচনি জনসভায় যোগ দিয়েছেন মাস্ক। ট্রাম্পের আহ্বানে হাত নাড়িয়ে মঞ্চে উঠেন ইলন মাস্ক। 

তিনি বলেন, এ নির্বাচনে অবশ্যই ট্রাম্পের জয়ের জন্য ভোট দেওয়া উচিত। কারণ তিনি কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। আপনাদের সবার ট্রাম্পের হয়ে কাজ করা উচিত। সূত্র: রয়টার্স

ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ অস্বীকার ইরানের

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৮ এএম
ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ অস্বীকার ইরানের
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি

সদ্য নির্বাচিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে তেহরানকে জড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে অভিযোগ সামনে এনেছে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। তেহরান এ ধরনের কোনো ষড়যন্ত্রে জড়িত নয় দাবি করে আরাকচি দুই দেশের মধ্যে আস্থা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

গত শনিবার (৯ নভেম্বর) সামাজিকমাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘এখন… নতুন একটি বানোয়াট দৃশ্যপট সামনে আনা হয়েছে… বাস্তব অস্তিত্ব নেই এমন একজনকে হত্যাকারী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে, থার্ড ক্লাস কমেডি তৈরি করার জন্য স্ক্রিপ্টরাইটারদের আনা হয়েছে।’

তিনি ওই কথিত অভিযোগের দিকে ইঙ্গিত করে এসব কথা বলেছেন যেখানে ওয়াশিংটন বলেছে, ট্রাম্পকে হত্যা করার জন্য ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড এক আফগান নাগরিককে নির্দেশ দিয়েছে।

জানুয়ারিতে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন। আরাকচি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমেরিকার জনগণ তাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর তাদের পছন্দমতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের অধিকারকে ইরান শ্রদ্ধা করে। সামনে এগোনোর পথটিও একটি পছন্দের বিষয়। এটি শ্রদ্ধা দিয়ে শুরু হয়।’ সূত্র: রয়টার্স

যুদ্ধে কঠিনতম মাস পার করল রাশিয়া

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৩ এএম
যুদ্ধে কঠিনতম মাস পার করল রাশিয়া
যুদ্ধে ধ্বংস হয়ে যাওয়া যানবাহন ও ট্যাংক। ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত সবচেয়ে খারাপ মাসের ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে রাশিয়া। যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা প্রধান এডমিরাল স্যার টনি রাদাকিন বলেছেন, অক্টোবর মাসে প্রতিদিন গড়ে প্রায় দেড় হাজার রাশিয়ার সৈন্য নিহত ও আহত হয়েছেন। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত রাশিয়ার প্রায় ৭ লাখ সৈন্য নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। যদিও যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা প্রকাশ করে না রাশিয়া; তবে পশ্চিমা প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলেছেন, অক্টোবর মাসে মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল।

গতকাল রবিবার সংবাদমাধ্যম বিবিসি ওয়ানের ‘সানডে উইথ লরা কুয়েনসবর্গ’ প্রোগ্রামে একটি সাক্ষাৎকারে স্যার টনি বলেন, রুশ জনগণ পুতিনের উচ্চাকাঙ্ক্ষামূলক আক্রমণের জন্য চড়া মূল্য দিতে হচ্ছে। সামন্য ভূমির জন্য এই ক্ষয়ক্ষতি। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, রাশিয়া কৌশলগত ও আঞ্চলিক সাফল্য লাভ করছে এবং তা ইউক্রেনের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। তিনি আরও বলেন, রাশিয়া তার সরকারি ব্যয়ের ৪০ শতাংশেরও বেশি অর্থ প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তায় ব্যয় করছে। দেশটির জন্য এটি বিরাট বোঝা।

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মিত্ররা জোর দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হয়তো সংঘর্ষ শেষ করতে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হতে পারেন। তবে স্যার টনি বলেছেন, পশ্চিমা মিত্ররা যত সময় প্রয়োজন ততদিন পর্যন্ত দৃঢ় অবস্থানে থাকবে। এই বার্তাটি প্রেসিডেন্ট পুতিনকে গ্রহণ করতে হবে এবং প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির জন্য এটি আস্থার বার্তা।

৩৪ ড্রোন দিয়ে মস্কোতে হামলা ইউক্রেনের
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর ওপর সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। গতকাল অন্তত ৩৪টি ড্রোন দিয়ে এই হামলা চালানো হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, হামলার ফলে মস্কোর প্রধান তিনটি বিমানবন্দরের ফ্লাইট সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় এবং একজন আহত হয়েছেন। 

একই দিনে রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী তিন ঘণ্টার মধ্যে পশ্চিমাঞ্চলের অন্যান্য এলাকায় আরও ৩৬টি ড্রোন ধ্বংস করেছে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, রুশ ভূখণ্ডে ড্রোন ব্যবহার করে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য কিয়েভের একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। সূত্র: বিবিসি

কপ-২৯ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন তালেবান কর্মকর্তারা

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৮ এএম
আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪০ এএম
কপ-২৯ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন তালেবান কর্মকর্তারা
আফগানিস্তান সরকার

আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে আজ সোমবার থেকে শুরু হতে যাওয়া জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৯) উপস্থিত থাকছেন আফগানিস্তানের তালেবান প্রশাসনের কর্মকর্তারা। 

রবিবার (১১ নভেম্বর) আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। ১১ থেকে ২২ নভেম্বর বাকুতে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্দুল কাহার বালখি জানিয়েছেন, কপ সম্মেলনে যোগ দিতে দেশটির জাতীয় পরিবেশ সুরক্ষা এজেন্সির কর্মকর্তারা আজারবাইজান গিয়েছেন।

আফগানিস্তানের তালেবান সরকার ২০২১ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে এই প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে উপস্থিত থাকছেন। ২০ বছর ধরে ন্যাটো সমর্থিত বাহিনীগুলোর সঙ্গে লড়াই করার পর ওই বছর কাবুল দখল করে তারা। 

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে বাকুর কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলন হবে তালেবান প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অংশ নেওয়া বহুপাক্ষিক অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আফগানিস্তানের আসনটিতে তালেবান সরকারকে বসার অনুমতি দেওয়া হয়নি। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোও আফগানিস্তানের বর্তমান সরকারকে অনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি। নারী শিক্ষা এবং তাদের চলাফেরার স্বাধীনতার ওপর বিধিনিষেধ আরোপকে এর মূল কারণ হিসেবে দেখা হয়। সূত্র: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২২ এএম
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় হতাশা জানিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভে নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। দেশটির নিউইয়র্ক ও সিয়াটলের মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে গত শনিবার ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। নারীদের প্রজনন অধিকার নিয়ে তৈরি হুমকি ও প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই যুক্তরাষ্ট্র থেকে গণহারে অভিবাসীদের বের করে দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি ট্রাম্প দিয়েছিলেন সেই প্রেক্ষাপটে এ বিক্ষোভ হয়।

নিউইয়র্কে অংশ নেওয়া বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ছিলেন বিভিন্ন পরামর্শক গ্রুপের কর্মীরাও। তারা কর্মীদের অধিকার ও অভিবাসীদের বিষয়ে ন্যায়বিচারের আশ্রয় নেওয়ার দাবি জানান। 

নিউইয়র্কের ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড টাওয়ারের সামনে এ সময় বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল, ‘আমরা আমাদের রক্ষা করি’, ‘মি. প্রেসিডেন্ট, নারীরা নিজেদের স্বাধীনতার জন্য আর কত দীর্ঘসময় অপেক্ষা করবেন?’, ‘আমরা পিছু হটব না’- এমন নানা স্লোগান লিখিত প্ল্যাকার্ড। কাউকে কাউকে স্লোগান দিতে শোনা যায়, ‘আমরা এখানে আছি এবং আমরা চলে যাচ্ছি না।’

একই ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে ওয়াশিংটন ডিসিতেও। সেখানে হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের বাইরে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন সংগঠন ‘উইমেন্স মার্চ’-এর কর্মীরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই বিক্ষোভ নিয়ে প্রকাশিত বিভিন্ন ছবিতে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীদের হাতে বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড। এর কোনোটিতে লেখা, ‘ভালো ব্যবহারকারী নারীরা ইতিহাস তৈরি করেন না’, ‘আপনারা কখনোই নিঃসঙ্গ নন’, ‘আমার স্বাধীনতা কোথায় যেখানে আমার পছন্দের অধিকার নেই?’ ইত্যাদি। এ ছাড়া বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, আমরা জিতব!’

গুরুত্বপূর্ণ শহর সিয়াটলেও মানুষ স্পেস নিডলের সামনে জড়ো হন। সেখানে বিক্ষোভকারীদের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘গণ-আন্দোলন গড়ে তুলুন যুদ্ধ, নিপীড়ন ও গণহত্যার বিরুদ্ধে’। এ সময় আন্দোলনকারীদের অনেকে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি ও গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ রেইনকোট ও খুফিয়া গায়ে জড়িয়ে উপস্থিত হন। 

আন্দোলনকারীদের একজন বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট হিসেবে যিনি ক্ষমতায় এসেছেন তিনিই শ্রমিকদের হতাশ করেছেন।’

এর আগে গত শুক্রবার ওরেগনের পোর্টল্যান্ড এবং পেনসিলভানিয়ার পিটসবার্গেও ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ হয়। স্টিভ ক্যাপরি নামক আন্দোলনের এক সমন্বয়ক বলেন, ‘সামনে যা ঘটতে যাচ্ছে তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন, তবে আমরা পিছু হটছি না। ট্রাম্প আমাদের সবার জন্যই হুমকি, তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং একসঙ্গে আন্দোলনে অংশ নিতে হবে।’

ট্রাম্পের ৭ এ ৭, এল পূর্ণাঙ্গ ফল
অবশেষে প্রকাশিত হলো অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের ভোটের ফল। এই অঙ্গরাজ্যের ফলও এসেছে ট্রাম্পের অনুকূলে। এর মাধ্যমে ব্যাটলগ্রাউন্ডখ্যাত ৭টি দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যের সবকটিতে জিতলেন তিনি। গতকাল প্রকাশিত হয়েছে নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ ফল। 

ঘোষিত ফল অনুযায়ী, অ্যারিজোনার ১১টিসহ সবমিলিয়ে ৩১২টি ইলেকটোরাল ভোট পেয়েছেন ট্রাম্প, যেখানে হোয়াইট হাউসের মসনদে যেতে প্রয়োজন ছিল ২৭০টি ভোট। এর আগে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে ৩০৪টি ইলেকটোরাল ভোট পেয়েছিলেন এই রিপাবলিকান। 

অন্যদিকে কমলা হ্যারিসের ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা শেষ পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ২২৬-এ। পপুলার ভোটেও জয় পেয়েছে রিপাবলিকানরা। এখানে ট্রাম্প পেয়েছেন ৫০ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট আর কমলার ঝুলিতে গেছে ৪৭ দশমিক ৯ শতাংশ। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান ও বিবিসি

যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের কৌশলী পরিকল্পনা

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৯ পিএম
যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের কৌশলী পরিকল্পনা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনি প্রচারের সময় জোর গলায় বলেছিলেন, তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করবেন। এ লক্ষ্যে হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট হিসেবে কার্যক্রম শুরুর আগেই শান্তি আলোচনা শুরু করবেন। ট্রাম্প তার প্রতিশ্রুতি অনুসারে কাজও শুরু করে দিয়েছেন। যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ হিসেবে তার কৌশলী এক পরিকল্পনার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ।

প্রস্তাবিত এই পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের সেনাদের মধ্যে একটি ৮০০ মাইল দীর্ঘ বাফার জোন (নিরপেক্ষ এলাকা) প্রতিষ্ঠা করা হবে। আর এই বাফার জোন প্রতিষ্ঠা করবে ইউরোপীয় ও ব্রিটেনের সেনারা।

অন্যদিকে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা সীমিত করার পক্ষে ট্রাম্প। ইউক্রেনকে বাইডেন প্রশাসনের মতো একচেটিয়া সামরিক এবং অর্থনৈতিক সহায়তা করার পক্ষে নন তিনি। ট্রাম্পের মতে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাকি সদস্য দেশ এবং সামরিক জোট ন্যাটোর পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়। তাদের ভূমিকা আরও বাড়াতে হবে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করে ইউক্রেন ইস্যু সমাধান করতে চান না তিনি।

ট্রাম্পের পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত এক সূত্র বলছে, ৮০০ মাইল বাফার জোন প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে একটি নিরস্ত্রীকরণ এলাকা তৈরি করা হবে। যা ভবিষ্যতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা কমাতে এবং কূটনৈতিক আলোচনার জন্য কাজে আসবে।

ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুসারে, রাশিয়া ইউক্রেনের যে পরিমাণ ভূমি দখল করেছে এবং রুশ বাহিনী ইউক্রেনের অভ্যন্তরে যে পরিমাণ অগ্রসর হয়েছে সেখানটাকেই সীমান্ত ধরে বাফার জোন প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং ইউক্রেনকে ২০ বছরের জন্য ন্যাটোতে যোগদানের পরিকল্পনা স্থগিত রাখতে হবে।

পরিকল্পনায় আরও বলা হয়েছে, এর বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র সরবরাহ করবে, যেন রাশিয়া আবারও যুদ্ধ বাধাতে না পারে। যুক্তরাষ্ট্র এই মিশন পরিচালনা বা তদারকিতে কোনো সেনা পাঠাবে না এবং অর্থায়নও করবে না।

ট্রাম্পের এক সহকারী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে জানিয়েছেন, ‘আমরা প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য সহায়তা দিতে পারি, তবে বন্দুকের নল থাকবে ইউরোপীয়দের হাতে। আমরা মার্কিন পুরুষ ও নারীদের ইউক্রেনে শান্তি রক্ষায় পাঠাচ্ছি না। আর আমরা এর জন্য অর্থও ব্যয় করছি না বরং পোল্যান্ড, জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্স এই দায়িত্ব নিতে পারে।’

রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এবং চুক্তির ওপর জোর দিয়ে আসছেন ট্রাম্প। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সতর্ক করে বলেছেন, রাশিয়াকে তুষ্ট করার চেষ্টা ইউরোপের আত্মহত্যার নামান্তর হবে। মূলত এই মন্তব্যের মাধ্যমে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তিচুক্তির সম্ভাবনা কঠোরভাবে নাকচ করেছেন তিনি। এখন শেষ পর্যন্ত ইউক্রেন যুদ্ধ কোন প্রক্রিয়ায় থামে তা দেখার বিষয়।

এদিকে ট্রাম্পের সিনিয়র উপদেষ্টা ব্রায়ান লানজা জানিয়েছেন, চলমান সংঘাত নিরসনের লক্ষ্যে রাশিয়ার দখল করা অঞ্চল ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি না করে শান্তি অর্জনের দিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। যদিও বাইডেন প্রশাসন এবং ন্যাটোর অনেকেই ক্রিমিয়া এবং দনবাসের মতো অধিকৃত অঞ্চলগুলোকে ফিরিয়ে আনাসহ ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বকে বহাল রাখতে হবে বলে জোর দিয়ে এসেছেন। সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ