ঢাকা ২৮ কার্তিক ১৪৩১, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

তাইওয়ানিজদের বিশ্বাস: আগামী পাঁচ বছরে চীন আক্রমণ করবে না

প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০৫ এএম
তাইওয়ানিজদের বিশ্বাস: আগামী পাঁচ বছরে চীন আক্রমণ করবে না
ছবি: সংগৃহীত

তাইওয়ানের বেশিরভাগ মানুষ বিশ্বাস করেন, আগামী পাঁচ বছরে চীন তাদের ভূখণ্ডে আক্রমণ করবে না। তবে তারা মনে করেন, গণতান্ত্রিক সরকার পরিচালিত দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানের জন্য চীন একটি বড় হুমকি। 

বুধবার (৯ অক্টোবর) তাইওয়ানের সামরিক বাহিনীর একটি বুদ্ধিবৃত্তিক ইউনিটের চালানো জরিপে এই তথ্য উঠে আসে। 

তাইওয়ানের জাতীয় নিরাপত্তা ও সামরিক গবেষণা ইনস্টিটিউটের চালানো জরিপটিতে অংশ নিয়েছিলেন ১২০০ তাইওয়ানিজ। তাদের ৬১ শতাংশ জোরালোভাবে বিশ্বাস করেন যে আগামী পাঁচ বছরে চীন তাদের ভূমিতে আগ্রাসন চালাবে না। ইনস্টিটিউটের গবেষক ক্রিস্টিনা চেন বলেন, ‘বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন না চীনের আঞ্চলিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা তাদের তাইওয়ান আক্রমণের দিকে নিয়ে যাবে। তবে তাইওয়ানের মানুষ চীনের সামরিক মহড়া এবং প্রোপাগান্ডা ক্যাম্পেইনসহ যাবতীয় হুমকির বিষয়ে সচেতন।’ 

পাঁচ বছর ধরে তাইওয়ানের আশপাশে চীন তার সামরিক কার্যক্রম উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করেছে। নিজেদের সীমানায় চীনের এই সামরিক কার্যক্রম বৃদ্ধিতে তাইওয়ান তীব্র আপত্তি জানিয়ে এলেও এলাকাগুলো নিজেদের দাবি করে আসছে চীন। এ ছাড়া দ্বীপটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তীব্র চাপ অব্যাহত রেখেছে চীন। সূত্র: রয়টার্স

বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারকারীদের  ধরতে ভারতে তল্লাশি

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৭ এএম
আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০২ এএম
বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারকারীদের  ধরতে ভারতে তল্লাশি
ছবি: সংগৃহিত

বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ এবং সেই সূত্রে অবৈধ অর্থ পাচারের ঘটনায় মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকাল থেকে ঝাড়খন্ডের একাধিক জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি)। সেই সঙ্গে তল্লাশি চলছে পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি স্থানেও। 

ইডি সূত্র জানিয়েছে, এই দুটি রাজ্যের অন্তত ১৭টি স্থানে চলছে তল্লাশি অভিযান। প্রসঙ্গত, আজ বুধবার বাংলার প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খন্ডে বিধানসভা নির্বাচন।

ইডি জানিয়েছে, অবৈধ উপায়ে বাংলাদেশি কিছু মহিলাকে ভারতে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাদের মাধ্যমেই ভারতে এসেছে প্রচুর অবৈধ অর্থ। এই অভিযোগ আসার পরই প্রিভেনশন অব মানি লন্ডরিং (পিএমএলএ) আইনে তদন্ত শুরু হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে এই অর্থ পাচারের অভিযোগ প্রথম পাওয়া যায়। বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ করে ভোটমুখী ঝাড়খন্ডে এসে অর্থ পাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন ভারতের খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঝাড়খন্ডের রাজধানী রাঁচির বাড়িয়াতু থানায় দায়ের হওয়া মামলার ভিত্তিতে পিএমএলএর একাধিক ধারায় রিপোর্ট তৈরি করেছে ইডি। মামলায় সীমান্তবর্তী এলাকায় হুন্ডির মাধ্যমে টাকা লেনদেনের অভিযোগ করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে, অনুপ্রবেশকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে হিন্দু পরিচয়ের ভুয়া আধার কার্ড! এভাবেই বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা মেয়েদের পাচার করা হয়েছে ঝাড়খন্ডে। তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে আধার কার্ডসহ নানা বৈধ পরিচয়পত্র। বেশ কয়েকটি সিন্ডিকেট মোটা টাকার বিনিময়ে দীর্ঘদিন ধরে অনুপ্রবেশকারীদের হাতে বৈধ পরিচয়পত্র তুলে দেওয়ার কাজ করছে বলে দাবি করা হয়েছে ওই এফআইআরে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খন্ডের বেশ কয়েকটি এলাকায় গতকাল সকাল থেকে চলছে ইডির তল্লাশি।

ঝাড়খন্ড আদালতের তরফ থেকে অবৈধ লেনদেনের তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় ইডির হাতে। ইডি তদন্তে নেমে জানতে পারে, হাওয়ালার মাধ্যমে ভারতীয় মুদ্রাকে বাংলাদেশি মুদ্রায় পরিবর্তন করে সেই মুদ্রাকে ফের ভারতীয় টাকায় পরিবর্তন করা হতো। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেনের পেছনে কে বা কারা রয়েছে, তারই তদন্ত করছে ইডি। এদিন কলকাতা লাগোয়া মধ্যমগ্রামের তিনটি জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। মধ্যমগ্রামের পূর্ব বঙ্কিমপল্লীতে পিঙ্কি বসু নামে এক মহিলার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। আন্তর্জাতিক নারী পাচারের সঙ্গে সরাসরি যোগ থাকতে পারে এই মহিলার, এমনটাই সন্দেহ করছে ইডি। গত তিন মাসে সাতবার ঠিকানা বদল করেছেন এই মহিলা। কী কারণে বারবার ঠিকানা বদল, জানতে চায় ইডি। 

ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা প্রত্যাশা করছেন ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গাকারীরা

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৮ এএম
ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা প্রত্যাশা করছেন ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গাকারীরা
২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গা

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের মধ্যে ডেরিক ইভান্সের সন্তুষ্টিটা একটু বেশিই। তিনি আশা করছেন ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গায় অংশ নেওয়ার কারণে অভিযুক্ত হওয়া থেকে তাকে ক্ষমা করবেন ট্রাম্প। ২০২১ সালে ক্যাপিটল হিলে তিনি এবং কমপক্ষে দুই হাজার সমর্থক যখন দাঙ্গা চালিয়েছিলেন তখন তিনি ছিলেন ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার একজন আইনপ্রণেতা। এবার তার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ায় তিনি বলেছেন, ক্ষমার মধ্য দিয়ে জীবন পরিবর্তন হতে পারে। এ খবর দিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফল উল্টে দেওয়ার চেষ্টায় ৬ জানুয়ারি ওই দাঙ্গা করা হয়েছিল। ওই নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন জো বাইডেন। সেই ফলকে তারা উল্টে দিয়ে ট্রাম্পকে জয়ী করতে চেয়েছিলেন। এই বিষয়ে তিনি প্রসিকিউটরদের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছেন। তাতে বলা হয়, ইভান্স গণবিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য দায়ী এবং ২০২২ সালে ফেডারেল জেলে তিন মাস জেল খেটেছিলেন তিনি।

ওদিকে এবার নির্বাচনি প্রচারণাকালে ট্রাম্প বার বার বলেছেন, তিনি ২০২১ সালের দাঙ্গায় জড়িতদের সবাইকে ক্ষমা করে দেবেন। এসব মানুষের সবাইকে তিনি ‘দেশপ্রেমিক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। বলেন তারা ‘রাজনৈতিক বন্দি’। কিন্তু এখন কথা হচ্ছে কে তাদেরকে ক্ষমা করবেন এবং কখন করছেন তা এখনো এক বড় প্রশ্ন। ওদিকে ইভান্স বিবিসিকে ট্রাম্পের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি তিনি তার কথা রাখবেন।’

মার্চে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, আবার তিনি প্রেসিডেন্ট হলে প্রথম কাজ হবে অন্যায়ভাবে ৬  জানুয়ারির ঘটনায় জিম্মিদের মুক্ত করা। জুলাইয়ে তিনি শিকাগোতে ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ব্লাক জার্নালিস্ট ফোরামে বার বার এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ইভান্স বলেন, অবশ্যই তিনি বলেছেন। তিনি বলেছেন যে, যদি তারা নিরপরাধ হয় তাহলে তাদেরকে আমি ক্ষমা করে দেব। কিন্তু তিনি গড়ে সবাইকে ক্ষমা করে দেওয়ার প্রস্তাব থেকে সরে এসেছেন। এই প্রসঙ্গে ট্রাম্প সিএনএনকে বলেছেন, ‘আমি তাদের অনেককে ক্ষমা করে দেব। আমি সবার কথা বলিনি। বলেছি তাদের কিছু সংখ্যকের কথা। সম্ভবত তাদের অনেকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল।’

ট্রাম্পের প্রচারণা টিম এর আগে বলেছে, প্রতিটি আলাদা মামলার মেরিট অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প প্রবেশ করার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির দাঙ্গা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ফেডারেল তদন্তের অন্যতম। পুলিশ কর্মকর্তাদের অপদস্থ, প্রতিরোধ ও তাদের ওপর হামলার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে প্রায় ৬০০ মানুষকে। এসব মানুষের মধ্যে কিছু সংখ্যককে দীর্ঘ জেল দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আছেন ওথ কিপারস প্রতিষ্ঠাতা স্টেওয়ার্ট রোডস, প্রাউড বয়েসের এনরিক তারিও। তবে তারা ক্যাপিটল হিলের সহিংসতায় নিজেরা অংশগ্রহণ করেননি। পক্ষান্তরে তারা অভিযুক্ত হয়েছেন রাষ্ট্রদ্রোহের ষড়যন্ত্র ও অন্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে।

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বেছে নিলেন ট্রাম্প
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ের পর সরকার গঠনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরই মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদের জন্য প্রার্থী বাছাই করে নিয়েছেন তিনি। তারই ধারাবাহিকতায় রিপাবলিকান রিপ্রেজেন্টেটিভ মাইকেল ওয়াল্টজকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। বিষয়টির সঙ্গে সম্পৃক্ত এমন দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ওয়াল্টজ দীর্ঘদিনের ট্রাম্প সমর্থক। তিনি আমেরিকার সামরিক বাহিনীতে কর্নেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। গত সপ্তাহে কংগ্রেসের প্রতিনিধি নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন ওয়াল্টজ। এর আগে বিভিন্ন সময় মাইকেল ওয়াল্টজ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনা কার্যকলাপের সমালোচনা করেছেন এবং এই অঞ্চলে সম্ভাব্য সংঘাতের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রস্তুত থাকার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা বিষয়ে প্রেসিডেন্টকে পরামর্শ দেন। তার এই পরামর্শ সিনেটে অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না।

২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারে বাইডেন প্রশাসনের নিন্দা জানিয়ে ট্রাম্পের পররাষ্ট্র নীতির প্রশংসা করেছিলেন ওয়াল্টজ। ওয়াশিংটনের রাজনৈতিক অঙ্গনে তার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। তিনি প্রতিরক্ষা সেক্রেটারি ডোনাল্ড রামসফেল্ড এবং রবার্ট গেটসের জন্য প্রতিরক্ষানীতি পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন এবং ২০১৮ সালে কংগ্রেসে নির্বাচিত হন। ওয়াল্টজ সামরিক রসদ তদারককারী প্রতিষ্ঠান হাউস আর্মড সার্ভিসেস উপকমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং গোয়েন্দা নির্বাচন কমিটিতেও রয়েছেন। সূত্র: বিবিসি ও রয়টার্স

আবারও অশান্ত মণিপুর, গুলিতে প্রাণহানি

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩১ এএম
আবারও অশান্ত মণিপুর, গুলিতে প্রাণহানি
মণিপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মুখোমুখি বিক্ষোভকারীরা। ছবি: ইম্ফল ফ্রি প্রেস

আবারও অশান্ত হয়ে উঠেছে ভারতের মণিপুর। দেশটির কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সেসের (সিআরপিএফ) গুলিতে ১১ জনের মৃত্যুর পর জিরিবাম জেলায় সোমবার রাত থেকেই কারফিউ জারি করা হয়। 

পরে রাতে পশ্চিম ইম্ফল জেলায় সশস্ত্র কুকিরা হামলা চালান। এ ঘটনায় দুই ব্যক্তি আহত হন। এ ছাড়া মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জিরিবামে একটি দগ্ধ বাড়ি থেকে দুই বয়স্ক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার হয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর বলছে, মঙ্গলবারও কারফিউ বলবৎ ছিল জিরিবাম জেলার বেশ কিছু এলাকায়। গোটা জেলাজুড়েই ছিল থমথমে পরিবেশ। আসামের সীমান্তবর্তী এ জেলাতেই গত সোমবার দুপুরে সিআরপিএফের শিবিরে হামলা চালান এক দল ব্যক্তি। সিআরপিএফ পাল্টা গুলি চালালে হামলাকারীদের ১১ জন নিহত হন। 

কেন্দ্রীয় বাহিনীর অনুমান, নিহতরা সকলেই কুকি গোষ্ঠীর। তাদের ছোড়া গুলিতে সিআরপিএফের এক সদস্যও গুরুতর আহত হয়েছেন। আসামের শিলচর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে তাকে। ১১ জনের মৃত্যুতে কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে কুকিদের পক্ষ থেকেও। একাধিক হরতাল ঘোষণা করেছে কুকি গোষ্ঠীগুলো।

প্রসঙ্গত সম্প্রতি মণিপুরে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। গত সেপ্টেম্বর মাস থেকেই দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে মণিপুরের বিভিন্ন এলাকায়। বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে প্রচুর গোলাবারুদ ও আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর যৌথ দল। 

গত মাসের শুরুতেই মণিপুরে আরও ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে ‘সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন’-এর মেয়াদ। ইম্ফল, বিষ্ণুপুর, জিরিবাম ও লামফেলসহ ১৯টি থানা এলাকা ছাড়া গোটা রাজ্যেও ওই আইনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে মণিপুরের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে এখনো রাজনৈতিক ডামাডোল চলছেই। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হচ্ছেন চীনবিদ্বেষী মার্কো রুবিও!

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৭ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হচ্ছেন চীনবিদ্বেষী মার্কো রুবিও!
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মার্কো রুবিও। ছবি : সংগৃহীত

ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসছে ফ্লোরিডার সিনেটর মার্কো রুবিওর নাম। রয়টার্সের প্রকাশিত খবর সত্যি হলে তিনিই হবেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আর ওই পদে দায়িত্ব পালনকারী প্রথম লাটিন-আমেরিকান। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সংক্ষিপ্ত তালিকায় ট্রাম্প যাদের বিবেচনা করছেন তার মধ্যে ৫৩ বছর বয়সী রুবিও পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক সবচেয়ে কঠোর ব্যক্তি। বিশেষত চীন বিদ্বেষী হিসেবে পরিচিত তিনি। তার ওপর বেইজিংয়ের নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে। বিগত বছরগুলোতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-রাজনৈতিক শত্রু হিসেবে পরিচিত যেমন চীন, ইরান ও কিউবা প্রভৃতি দেশের ওপর পেশিশক্তি ব্যবহারের পক্ষে বেশ সরব ছিলেন। এ ছাড়া তিনি ২০১৯ সালে চীনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটককে জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি বিবেচনায় এর বিরুদ্ধে ট্রেজারি বিভাগকে তদন্তের আহ্বান জানান। 

ট্রাম্প অভিযোগ করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টরা দেশটিকে ব্যয়বহুল ও নিরর্থক যুদ্ধের দিকে নিয়ে গেছেন। সেসব প্রশাসনের তুলনায় তিনি আরও সংযত পররাষ্ট্রনীতির পক্ষে কথা বলেছেন। গত এক বছর ধরে রুবিও নিজেও ট্রাম্পের এই নীতির সঙ্গে একমত পোষণ করে আরও সংযত বক্তব্য দিয়ে আসছেন।

২০১৬ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকান দল থেকে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হন। তবে সেই সময়ের তুলনায় এবারের মার্কিন প্রশাসন আরও অস্থির ও বিপজ্জনক এক বিশ্বের মুখোমুখি হবে। তাদের ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্যের চলমান যুদ্ধের মোকাবিলা করতে হবে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের শত্রু রাশিয়া ও ইরানের আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠা চীনের বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান নিতে হবে। তবে ইউক্রেনের সংকটই রুবিওর এজেন্ডাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর সময় রুবিও বারবার বাইডেন প্রশাসনকে অনুরোধ করে আসছিলেন যেন যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভকে আরও বেশি পরিমাণে অস্ত্র-সহায়তা দেয়। যাতে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেন সমানে পাল্টা প্রতিরোধ করতে পারে। তবে সম্প্রতি এই বিষয়ে নিজের বক্তব্য পরিবর্তন করেছেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলছেন, ইউক্রেনের উচিত শেষ দশকে তাদের হারানো ভূমি পুনরুদ্ধারের দিকে মনোযোগী না হয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ শেষ করার দিকে গুরুত্ব দেওয়া। এ ছাড়া রুবিও সেই ১৫ জন রিপাবলিকান সিনেটরের একজন, যারা গত এপ্রিল মাসে অনুমোদন পাওয়া ইউক্রেনে ৯৫ বিলিয়ন সামরিক-সহায়তা প্যাকেজের বিরোধিতা করেছিলেন। 

কে এই মার্কো রুবিও

মার্কো রুবিও ২০১১ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে রিপাবলিকান দলের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ২০১৬ সালে রিপাবলিকান দল থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হয়েছিলেন। কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান প্রাইমারিতে তিনি জিতেছিলেন। তবে ট্রাম্পের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হেরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। 

রুবিওর বাবা-মা ১৯৫৬ সালে তাদের আদি কিউবা ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন। পরিবারটি প্রথমে ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মিয়ামিতে বসতি স্থাপন করেছিল। পরে নেভাদা অঙ্গরাজ্যের লাস ভেগাসে চলে আসে। যেখানে তার বাবা একজন বারটেন্ডার এবং মা একজন হোটেল গৃহকর্মী ছিলেন। ১৯৮৫ সালে ফ্লোরিডায় ফিরে আসেন। সূত্র: রয়টার্স

জাতিসংঘ মহাসচিব অর্থায়নে অংশ না নিলে বিশ্বমানবতাকে চরম মূল্য দিতে হবে

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩২ পিএম
অর্থায়নে অংশ না নিলে বিশ্বমানবতাকে চরম মূল্য দিতে হবে
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস

জলবায়ুসৃষ্ট মানবিক বিপর্যয় রোধে বৈশ্বিক অর্থায়নে অংশ নিতে বিশ্বনেতাদের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে চলমান কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনে তিনি এই আহ্বান জানান। 

তিনি বলেন, ‘জলবায়ু অর্থায়নে বিশ্বকে অবশ্যই অংশ নিতে হবে। নতুবা বিশ্বমানবতাকে এর চরম মূল্য দিতে হবে।’ তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে আনার সময়সীমা ফুরিয়ে যাচ্ছে।

বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির বিষয়ে সতর্ক করে জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস বলেন,  ‘আপনারা যে শব্দ শুনতে পাচ্ছেন তা ঘড়ির কাঁটার শব্দ। বৈশ্বিক তাপমাত্রাকে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে সীমাবদ্ধ রাখার চূড়ান্ত সময়সীমায় রয়েছি আমরা এবং সময় আমাদের পক্ষে নেই।’ অর্থাৎ, বিষয়টি ভবিষ্যতে আর হাতের নাগালে থাকবে না। মনে করা হচ্ছে, সবচেয়ে উষ্ণতম বছর হিসেবে ২০২৪ সাল রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে গুতেরেস বলেন, ‘২০২৪ সাল হচ্ছে বৈশ্বিক জলবায়ু ধ্বংসের মাস্টারক্লাস।’ 

বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন প্রমাণ বিশ্লেষণ করে বলছেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা এবং এর নেতিবাচক প্রভাব ধারণার চেয়েও দ্রুতগতিতে দৃশ্যমান হচ্ছে। সম্ভবত পৃথিবী ইতোমধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মাত্রা অতিক্রম করে ফেলেছে।

সম্মেলনে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টার্মার বলেন, তিনি যুক্তরাজ্যের জন্য আরও উচ্চাকাঙ্ক্ষী জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ ছাড়া ২০৩৫ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্য কার্বন নিঃসরণ ৮১ শতাংশ কমিয়ে আনবে বলে ঘোষণা দেন তিনি। বক্তব্যের শেষদিকে তিনি বলেন, ‘আগামী প্রজন্মের চাকরির দৌড় হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি সেক্টরকেন্দ্রিক। আমি এর সঙ্গে থাকতে চাই এবং জিততে চাই।’

এবারের আয়োজক দেশ আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট এবং সম্মেলনের সভাপতি ইলহাম আলিয়েভ বলেন, ‘তেল ও গ্যাস সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত উপহার, এর উত্তোলন এবং বাজারজাতকরণের জন্য কোনো দেশকে দোষারোপ করা উচিত নয়।’ এ ছাড়া তার দেশকে নিয়ে ‘অপপ্রচার এবং মিথ্যা তথ্য’ ছড়ানোর জন্য পশ্চিমা গণমাধ্যমের সমালোচনা করেন তিনি। 

এবারের সম্মেলনে নেই অনেক বিশ্বনেতা

এবারের কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টার্মার, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান, জাতিসংঘ মহাসচিব ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অংশ নিলেও থাকছেন না যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো। অথচ এই দেশগুলোই বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি তথা কার্বন নিঃসরণের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী। সূত্র: বিবিসি ও রয়টার্স