
চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) গত সপ্তাহে তাইওয়ানের চারপাশে একটি অবরোধ মহড়া তৈরি করেছিল। যার কারণে দ্বীপরাষ্ট্রটিতে যুদ্ধ পরিস্থিতির উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছিল। কিন্তু এর পরেও চীন তাদের সামরিক মহড়া অব্যাহত রেখেছে। এমন পরিস্তিতে তাইওয়ান মনে করছে, এ রকম টানা অবরোধ পরিস্থিতি যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাবে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা প্রধান ওয়েলিংটন কু এক সতর্কবার্তায় এমন মন্তব্য করেছেন।
ওয়েলিংটন কু জানিয়েছেন, চীনের টানা অবরোধ একটি যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাবে। স্বশাসিত দ্বীপটির চারপাশ অবরোধে রাখার কারণে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যেও সুদূরপ্রসারি প্রভাব পড়বে।
সংসদে সাংবাদিকদের কু বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে, যদি কোনো অঞ্চলে সমস্ত বিমান এবং জাহাজ প্রবেশে অবরোধ তৈরি করা হয় তা হলে জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুসারে তা যুদ্ধ হিসেবে গণ্য করা হবে। আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, চীনের মহড়া ও অন্যান্য কার্যক্রম সাধারণ অবরোধ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর প্রভাব ফেলবে।’
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে চীন। সে হিসেবে চীন মনে করে যে তারা তাইওয়ানকে নিয়ন্ত্রণে আনতে শক্তি প্রয়োগের অধিকার রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় চাইনিজ পিএলএ দ্বীপরাষ্ট্রটির চারপাশে নিয়মিত অবরোধ পরিচালনা করছে। এতে দেশটির প্রধান প্রধান সমুদ্র ও স্থলবন্দরগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে চীন। নৌচলাচল অধিকারের স্বাধীনতা বজায় রাখতে বিশেষ করে মার্কিন নৌবাহিনী নিয়মিত এই প্রণালি দিয়ে যাত্রা করে।
বেইজিং পুরো তাইওয়ানের ওপর নিজেদের এখতিয়ার দাবি করে। যদিও ১৮০ কিমি প্রশস্থ বাশি প্রণালি চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে তাইওয়ানকে আলাদা করেছে। তাইওয়ান ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অন্যান্য সদস্য দেশ বেইজিংয়ের দাবি প্রত্যাখ্যান করে। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ আন্তর্জাতিক জলপথ হিসেবে তাইওয়ানের মর্যাদা জোরদার করেছে।
কু উল্লেখ করেছেন যে, বৈশ্বিক মালবাহনের এক-পঞ্চমাংশ এই প্রণালি দিয়ে যায়। তিনি বলেন, ‘চীন যদি অবরোধ আরোপ করে তা হলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পাশে বসে শুধু দেখে থাকতে পারে না।’ সূত্র: আল-জাজিরা