ঢাকা ১৬ বৈশাখ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

চীনের সামরিক মহড়া অব্যাহত এ রকম অবরোধ যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাবে: তাইওয়ান

প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫৬ এএম
আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৩ এএম
এ রকম অবরোধ যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাবে: তাইওয়ান

চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) গত সপ্তাহে তাইওয়ানের চারপাশে একটি অবরোধ মহড়া তৈরি করেছিল। যার কারণে দ্বীপরাষ্ট্রটিতে যুদ্ধ পরিস্থিতির উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছিল। কিন্তু এর পরেও চীন তাদের সামরিক মহড়া অব্যাহত রেখেছে। এমন পরিস্তিতে তাইওয়ান মনে করছে, এ রকম টানা অবরোধ পরিস্থিতি যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাবে। 

বুধবার (২৩ অক্টোবর) তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা প্রধান ওয়েলিংটন কু এক সতর্কবার্তায় এমন মন্তব্য করেছেন।

ওয়েলিংটন কু জানিয়েছেন, চীনের টানা অবরোধ একটি যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাবে। স্বশাসিত দ্বীপটির চারপাশ অবরোধে রাখার কারণে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যেও সুদূরপ্রসারি প্রভাব পড়বে।

সংসদে সাংবাদিকদের কু বলেন, ‌‘আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে, যদি কোনো অঞ্চলে সমস্ত বিমান এবং জাহাজ প্রবেশে অবরোধ তৈরি করা হয় তা হলে জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুসারে তা যুদ্ধ হিসেবে গণ্য করা হবে। আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, চীনের মহড়া ও অন্যান্য কার্যক্রম সাধারণ অবরোধ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর প্রভাব ফেলবে।’

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে চীন। সে হিসেবে চীন মনে করে যে তারা তাইওয়ানকে নিয়ন্ত্রণে আনতে শক্তি প্রয়োগের অধিকার রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় চাইনিজ পিএলএ দ্বীপরাষ্ট্রটির চারপাশে নিয়মিত অবরোধ পরিচালনা করছে। এতে দেশটির প্রধান প্রধান সমুদ্র ও স্থলবন্দরগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে চীন। নৌচলাচল অধিকারের স্বাধীনতা বজায় রাখতে বিশেষ করে মার্কিন নৌবাহিনী নিয়মিত এই প্রণালি দিয়ে যাত্রা করে।

বেইজিং পুরো তাইওয়ানের ওপর নিজেদের এখতিয়ার দাবি করে। যদিও ১৮০ কিমি প্রশস্থ বাশি প্রণালি চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে তাইওয়ানকে আলাদা করেছে। তাইওয়ান ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অন্যান্য সদস্য দেশ বেইজিংয়ের দাবি প্রত্যাখ্যান করে। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ আন্তর্জাতিক জলপথ হিসেবে তাইওয়ানের মর্যাদা জোরদার করেছে।

কু উল্লেখ করেছেন যে, বৈশ্বিক মালবাহনের এক-পঞ্চমাংশ এই প্রণালি দিয়ে যায়। তিনি বলেন, ‘চীন যদি অবরোধ আরোপ করে তা হলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পাশে বসে শুধু দেখে থাকতে পারে না।’ সূত্র: আল-জাজিরা

স্পেন, পর্তুগাল এবং ফ্রান্সে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অচলাবস্থা

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫৪ পিএম
আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫৬ পিএম
স্পেন, পর্তুগাল এবং ফ্রান্সে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অচলাবস্থা
ছবি: সংগৃহীত

স্পেন, পর্তুগাল এবং ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলে বিশাল বিদ্যুৎ গোলযোগ ঘটেছে, যার ফলে দেশগুলোর প্রায় সকল শহরগুলো বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগবিহীন হয়ে পড়েছে।  

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুর থেকে এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।

স্পেনের মাদ্রিদ, সেভিলা, বার্সেলোনা এবং ভ্যালেন্সিয়ার বিমানবন্দরগুলোতে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, সমগ্র ইউরোপজুড়ে ভ্রমণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলের কিছু অংশেও একই অবস্থা হয়েছে। 

মাদ্রিদের পাতালরেল খালি করা হয়েছে এবং কোনো শহরের ট্রাফিক লাইটও কাজ করছে না। ভ্যালেন্সিয়ার মেট্রো সেবা বন্ধ করা হয়েছে, পাশাপাশি মাদ্রিদ ওপেন টেনিস টুর্নামেন্টের খেলা বন্ধ রাখা হয়েছে। 

স্পেনের বিদ্যুৎ গ্রিডের তথ্য অনুযায়ী, দুপুরের দিকে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বিদ্যুতের সরবরাহে ব্যাপক পতন ঘটেছে। এই বিভ্রাটের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।

স্পেনের সাইবার-সুরক্ষা সংস্থা ইনসিবে জানিয়েছে, তারা এই বিভ্রাটের পেছনে সাইবার হামলার সম্ভাবনা তদন্ত করছে।  

স্পেনের রাষ্ট্রপতি দেশটিতে প্রয়োজনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছেন। জানা গেছে বেলজিয়াম ও এনডোরাও একই অবস্থার সম্মুখীন হয়েছে। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

ইউক্রেনে ৮-১১ মে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা পুতিনের

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩২ পিএম
আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩৪ পিএম
ইউক্রেনে ৮-১১ মে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা পুতিনের
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে ৮ মে সকাল থেকে ১১ মে পর্যন্ত তিন দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছেন। 

সোমবার (২৮ এপ্রিল) এ ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।

ক্রেমলিন জানিয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয় উদযাপনকে কেন্দ্র করে এই যুদ্ধ বিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। 

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এক বিবৃতিতে জানান, মানবিক বিবেচনায় এই যুদ্ধ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ইউক্রেন এখনও কিছু জানায়নি।

ক্রেমলিন বিবৃতিতে বলছে যে, রাশিয়া বিশ্বাস করে ইউক্রেন এই যুদ্ধবিরতি মেনে চলবে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করলে রাশিয়ার সেনাবাহিনী পর্যাপ্ত এবং কার্যকর ব্যবস্থা নিবে।’ সূত্র: বিবিসি

সুমন/

ফ্রান্স থেকে আরও ২৬ যুদ্ধবিমান কিনল ভারত

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০৪ পিএম
আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩৬ পিএম
ফ্রান্স থেকে আরও ২৬ যুদ্ধবিমান কিনল ভারত
ভারত তার নৌবাহিনীর জন্য প্রায় ৬৩,০০০ কোটি রুপি মূল্যের ২৬টি রাফায়েল যুদ্ধবিমান কেনার জন্য ফ্রান্সের সঙ্গে একটি  চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। ছবি: সংগৃহীত

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা চলাকালীন ভারত তার নৌবাহিনীর জন্য প্রায় ৬৩,০০০ কোটি রুপি মূল্যের ২৬টি রাফায়েল-এম যুদ্ধবিমান কেনার জন্য ফ্রান্সের সঙ্গে একটি  চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ফরাসি অস্ত্র নির্মাতা কোম্পানি ডাসল্ট অ্যাভিয়েশনের সঙ্গে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর  করে ভারত।  

ভারত তার বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্তে মোতায়েনের জন্য রাফায়েল যুদ্ধবিমানের নৌভার্সন কেনার জন্য এই চুক্তি করল।

এর আগে ভারত বিমানবাহিনীর জন্য ৩৬টি রাফায়েল যুদ্ধবিমান ক্রয় করেছিল।

বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্তে মোতায়েনের জন্য এই যুদ্ধবিমানগুলো কেনা হচ্ছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে , প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটি (সিসিএস) এ চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে। 

এই বিমানগুলো ভারত তার নিজস্ব টুইন-ইঞ্জিন ডেকভিত্তিক ফাইটার তৈরি না করা পর্যন্ত নৌবাহিনীর জরুরি চাহিদা পূরণে অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য আমদানি করেছে।

এই যুদ্ধবিমানগুলোসহ ফ্রান্স ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য অস্ত্র, সিমুলেটর, খুচরা যন্ত্রাংশ, সংশ্লিষ্ট আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম, ক্রু প্রশিক্ষণ এবং লজিস্টিক সাপোর্ট দিবে।

এর আগে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ভারতের প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ কাউন্সিলে (ডিএসি) নৌবাহিনীর অপারেশনাল ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ২৬টি রাফালে-এম যুদ্ধবিমান কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করেছিলেন।

রাফাল যুদ্ধবিমান বিশ্বে শক্তিশালী বিমান হিসেবে পরিচিত। এগুলো বিশেষভাবে ৪০,০০০ টন ওজনের বিমানবাহী রণতরী থেকে পরিচালনার জন্য তৈরি করা হয়েছে। বিমানটি ফরাসি নৌবাহিনীর চার্লস ডি গল বিমানবাহী রণতরীতে মোতায়েন করা হয়েছে। সূত্র: দ্য হিন্দুস্থান টাইমস

সুমন/

পাকিস্তানে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত!

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪৬ পিএম
আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৬ পিএম
পাকিস্তানে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত!
ছবি: সংগৃহীত

জম্মু ও কাশ্মীরের পাহালগামে হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। ইরান ও সৌদি আরব দুইপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এর মধ্যে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন। জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন উভয়েই সংযম ও সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ উত্তেজনা নিরসনের আহ্বান জানিয়েছে।

তবে নানান মহলে গুঞ্জন উঠেছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত। তবে প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস দাবি করেছে, সংঘাত এড়িয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে ভারত। 

রবিবার (২৭ এপ্রিল) নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কাশ্মীরে হামলার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতোমধ্যে বিশ্বের এক ডজনেরও বেশি দেশের নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। পাশাপাশি দিল্লিতে অবস্থিত শতাধিক কূটনৈতিক মিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ভারতের এই প্রচেষ্টা মূলত আন্তর্জাতিক সহায়তা চাইতে নয়, বরং পাকিস্তানে সামরিক অভিযানের যৌক্তিকতা তুলে ধরতে চালানো হচ্ছে বলে জানান চার কূটনীতিক। এর আগে গত ২৪ এপ্রিল এক ভাষণে মোদি সরাসরি পাকিস্তানের নাম না নিলেও 'সন্ত্রাসী আস্তানাগুলো ধ্বংস করার' এবং 'কঠোর শাস্তি' দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

এদিকে ভারতীয় কর্মকর্তারা জানান, দুই দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় টানা কয়েক রাত ধরে ছোট অস্ত্র দিয়ে গোলাগুলি হয়েছে। পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক ধরপাকড় এবং সন্ধানে অভিযান চলমান রয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ভারত ও পাকিস্তান - উভয় দেশই পরমাণু শক্তিধর হওয়ায় সামরিক সংঘাত দ্রুত বড় ধরনের বিপর্যয়ে রূপ নিতে পারে। 

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এবার ভারত 'বড় ধরনের কিছু' করার পরিকল্পনা করছে।

তবে পাকিস্তানও পাল্টা জবাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জানায়, ভারতের যে কোনো আক্রমণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তার চেয়ে বড় আঘাত হানবে তারা।

তবে কিছু বিশ্লেষকদের মতে, উভয়পক্ষই নিজেদের সংকট সামলানোর সক্ষমতা অতিরঞ্জিত করে দেখছে, ফলে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস

দিনা/অমিয়/

আর কত দিন সাপকে পানি দেব? বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বিজেপির এমপি

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৫ পিএম
আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৬ পিএম
আর কত দিন সাপকে পানি দেব? বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বিজেপির এমপি
বিজেপি নেতা ও লোকসভার এমপি নিশিকান্ত দুবে। ছবি: সংগৃহীত

পাহালগামে সন্ত্রাসী হামলার জেরে পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। দিল্লির এই পদক্ষেপকে ‘যুদ্ধ ঘোষণার শামিল’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে ইসলামাবাদ। প্রতিবেশী দুই দেশের উত্তেজনার মধ্যেই এবার বাংলাদেশেও যৌথ নদীগুলোর পানিপ্রবাহ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির এক সাংসদ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯৬ সালে দুই দেশের মধ্যে সম্পাদিত গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তিকে ভুল হিসেবে আখ্যায়িত করে বাংলাদেশে পানি সরবরাহ বন্ধের জানান বিজেপি নেতা ও লোকসভার এমপি নিশিকান্ত দুবে।

নিশিকান্ত বলেন, ‘গঙ্গার পানি চুক্তি ভুল ছিল। এটি স্বাক্ষর করে ১৯৯৬ সালে কংগ্রেস সরকার একটি ভুল করে। যারা সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ আছে  তাদের সঙ্গে আর কত দিন পানি ভাগাভাগি করা হবে?’ তিনি আরও বলেন, ‘আর কত দিন সাপকে পানি দেব? সময় এসেছে এদের গুঁড়িয়ে দেওয়ার।’

ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তে নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন দুবে। তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসী অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের সীমান্ত সুরক্ষিত করা প্রয়োজন।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বের প্রশংসা করে দুবে বলেন, ‘১৪০ কোটি ভারতীয়ের সমর্থন প্রধানমন্ত্রীর প্রতি রয়েছে এবং সারা বিশ্ব তাকে শক্তিশালী নেতা হিসেবে দেখে। সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় আনতে তার দৃঢ় সংকল্প স্পষ্ট।’

এছাড়া এসময় বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে পাহেলগাম হামলার নিন্দা করেন এবং এই ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিহিত করেন। 

কাশ্মীরের পাহালগামে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক এখন একেবারেই তলানিতে এসে পৌঁছেছে। হামলার প্রতিক্রিয়ায় গত বুধবার (২৩ এপ্রিল) ভারত সার্ক ভিসা স্কিমের অধীনে পাকিস্তানিদের ভিসা দেওয়া বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। 

সেই সঙ্গে এই ভিসার অধীনে ভারতে থাকা পাকিস্তানিদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আটারি স্থলসীমান্ত বন্ধের পাশাপাশি ঐতিহাসিক সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দেয় ভারত। পাশাপাশি দুই দেশের হাইকমিশনে কর্মকর্তা কমানো ও ফিরে যাওয়াসহ একাধিক নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এর পাল্টা হিসেবে গত বৃহস্পতিবার( ২৪ এপ্রিল) ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি স্থগিত এবং ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধের ঘোষণা দেয় ইসলামাবাদ। ভারতের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিতের পাশাপাশি নয়াদিল্লিকে পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশের সঙ্গে বাণিজ্য করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। ভারতীয় বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধেরও ঘোষণা এসেছে। সূত্র: এএনআই এবং ইন্ডিয়া টুডে

দিনা/