ঢাকা ৩ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
English

তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি করবে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৫৯ পিএম
আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৫০ পিএম
তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি করবে যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের কাছে দুই বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

তাইওয়ানের কাছে দুই বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত একটি প্যাকেজের অনুমোদন দেয়।

যার মধ্যে রয়েছে অত্যাধুনিক সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম, ১ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলারের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নাসামসহ ১২৩টি ক্ষেপণাস্ত্র। সেইসঙ্গে সংস্থাটি তাইওয়ানের কাছে ৮২৮ মিলিয়ন ডলার মূল্যের রাডার সিস্টেম বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী এই অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করবে বলে জানিয়েছে স্টেট ডিপার্টমেন্ট।

তবে তাইওয়ানের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন নিয়ে চীন ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। একইসঙ্গে ওয়াশিংটন বেইজিংয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে বলে অভিযোগ করেছে।

বেইজিং তাইওয়ানকে নিয়ন্ত্রণে আনতে কোনো ছাড় দেবে না বলে জানিয়েছে। এরই প্রতিফলনস্বরূপ, তাইওয়ানে প্রতিদিনই ফাইটার জেট, ড্রোন ও যুদ্ধজাহাজের মহড়া দিচ্ছে চীন। এই মাসের শুরুতে, তাইওয়ান একদিনে ১৫৩টি চীনা বিমান শনাক্ত করারও রেকর্ড রয়েছে।

সাদিয়া নাহার/অমিয়/

US approves $2 billion arms sales to Taiwan including missiles

ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেল কিম জং উনের ‘পবিত্র’ পর্বত

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১৬ এএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৪ এএম
ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেল কিম জং উনের ‘পবিত্র’ পর্বত
উত্তর কোরিয়ার মানুষের কাছে একটি জাতীয় তীর্থক্ষেত্র মাউন্ট পায়েকতু পর্বত। এমনকী কিম জং উন নানা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার আগে এই পায়েকতু সফর করেন। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের সবচেয়ে গোপন দেশের কড়া পাহারার সামরিক চৌকির পাহাড়ি রাস্তার শেষ প্রান্তে হুংকার দিচ্ছে একটি আগ্নেয়গিরি। সাথে বিস্তার করে আছে আগ্নেয়গিরির কোলঘেষা গভীর হ্রদ। উ.কোরিয়া এবং চীন সীমান্তে অবস্থিত সক্রিয় এই আগ্নেয়গিরির মাউন্ট পায়েকতু হল কোরীয় উপদ্বীপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। 

যে উপাখ্যানের মধ্য দিয়ে উত্তর কোরিয়া প্রতিষ্ঠার বর্ণনা করা হয়, তার কেন্দ্রস্থলে রয়েছে এই পর্বতের নাম। ইতিহাস, পৌরাণিক কাহিনি ও রাষ্ট্রীয় প্রতীকে গুরুত্বপূর্ণ এই পর্বতটিকে সম্প্রতি ইউনেস্কোর গ্লোবাল জিওপার্ক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এবারই প্রথম উ.কোরিয়ার প্রাকৃতিক কোনো স্থান এই সম্মানে ভূষিত হলো।

দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপের বরাতে মঙ্গলবার( ১৫ এপ্রিল) সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানায়, ইউনেস্কোর নির্বাহী বোর্ড গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই স্বীকৃতি দেয়। এ সময় পায়েকতু পর্বতের অসাধারণ প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য—বিশেষ করে আগ্নেয়গিরির ইতিহাস, হিমবাহঘটিত উপত্যকা ও ভূতাত্ত্বিক গঠনের কথা উঠে আসে।

পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, পায়েকতু ছিল প্রথম কোরীয় রাজ্য প্রতিষ্ঠাতা ডানগুনের জন্মস্থান। উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সুং ১৯৪০-এর দশকে জাপানি দখলদারদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে এই পর্বতের আশপাশেই লুকিয়ে ছিলেন। এমনকি তার পুত্র কিম জং ইল-এর জন্মও এই পর্বতের কাছে একটি কুটিরে হয় বলে প্রচার করে উত্তর কোরিয়া। যদিও ঐতিহাসিক প্রমাণ অনুযায়ী ধারণা করা হয়, তিনি সম্ভবত রাশিয়ায় জন্ম নেন।

এই পর্বত কিম পরিবারকে ঘিরে গড়ে উঠা ‘পায়েকতু রক্তরেখা’র প্রতীক। রাষ্ট্রীয়ভাবে এই রক্তরেখাকে মহৎ, বীরত্বপূর্ণ ও বিশুদ্ধ জাতির প্রতীক হিসেবে মান্য করা হয়। এ কারণে পায়েকতু শুধু একটি পর্বত নয়, এটি উত্তর কোরিয়ার মানুষের কাছে একটি জাতীয় তীর্থক্ষেত্র। এই পর্বতের ছবি জাতীয় প্রতীকে, রকেট, বিদ্যুৎকেন্দ্র এমনকি দেশের নামেও ব্যবহৃত হয়।

২০১৭ সালে একজন পশ্চিমা সাংবাদিকের ধারণকরা ভিডিওতে দেখা যায়—পাহাড়ি বাতাস আর হ্রদের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা তীর্থযাত্রীদের মধ্যে কেউ কেউ আবেগে কাঁদছেন।

কিম জং উন নানা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার আগে পায়েকতু সফর করেন—যেমন তার চাচা জ্যাং সং থায়েকের মৃত্যুদণ্ড কিংবা ২০১৬ সালের পারমাণবিক পরীক্ষার আগেও তিনি এমনটি করেন। এমনকি ২০১৮ সালে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনকে সঙ্গে নিয়ে এই পর্বতের শীর্ষে উঠেন। দুই কোরিয়ার ঐক্যের এক বিরল মুহূর্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয় সেই সময়টিকে।

৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দে পায়েকতু পর্বতের অগ্ন্যুৎপাতকে পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম শক্তিশালী আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ইউনেস্কোর এটিকেই গুরুত্ব দিয়ে বিশ্বমানের ভূতাত্ত্বিক অঞ্চলের স্বীকৃতি দেয়। সূত্র: সিএনএন

দিনা/

স্থায়ী শান্তিচুক্তির জন্য রাজি পুতিন, জেলেনস্কিকে দুষলেন ট্রাম্প

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৪ এএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৪ এএম
স্থায়ী শান্তিচুক্তির জন্য রাজি পুতিন, জেলেনস্কিকে দুষলেন ট্রাম্প
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে ‘স্থায়ী শান্তিচুক্তি’র জন্য রাজি। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এ তথ্য জানান। 

গত সোমবার শেষ ভাগে এক টিভি সাক্ষাৎকারে বিষয়টি তুলে ধরেন উইটকফ। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে গত সপ্তাহে সেইন্ট পিটার্সবার্গে আলোচনা হয় পুতিনের। ওই বৈঠকের পর দিয়েই এ আশাবাদ ব্যক্ত করলেন উইটকফ। যুক্তরাষ্ট্রের এ বিশেষ দূত মনে করছেন, পুতিনের সঙ্গে তার পাঁচ ঘণ্টার বৈঠকে তিনি একটি চুক্তির সম্ভাবনা দেখেছেন।

তবে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ সতর্ক করে দিয়েছেন যে, এই চুক্তির শর্তে রাজি হওয়া ‘সহজ হবে না।’ এদিকে ইউক্রেন ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা ওয়াশিংটনকে অনুরোধ জানিয়েছে, যাতে তারা মস্কোর এই বিলম্ব কৌশলে প্রতারিত না হয়। 

তবে উইটকফ বলছেন, ‘আমার মনে হয়, আমরা বিশ্বের জন্য বড় মাপের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছুর প্রান্তে রয়েছে। এ পর্যন্ত আসতে আমাদের কিছুটা সময় লেগেছে।’ উইটকফ আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার সম্পর্ককে বাণিজ্যিক সুযোগের মাধ্যমে পুনর্গঠনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এটি হলে ওই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। সূত্র: আল-জাজিরা, বিবিসি 

গাজা সফরে নেতানিয়াহু

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৩ এএম
গাজা সফরে নেতানিয়াহু
বিধ্বস্ত এই ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বাহিনীর ক্রমবর্ধমান স্থল ও বিমান হামলার মাঝেই মঙ্গলবার ( ১৫ এপ্রিল ) গাজায় গেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: সংগৃহীত

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার উত্তরাঞ্চলে সফরে গেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বিধ্বস্ত এই ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বাহিনীর ক্রমবর্ধমান স্থল ও বিমান হামলার মাঝেই মঙ্গলবার ( ১৫ এপ্রিল ) গাজায় গেছেন তিনি। 

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল ) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে এই সফরের বিষয়ে বিস্তারিত আর কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আজ গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চল সফর করেছেন।’ 

হামাসের সঙ্গে দুই মাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তির অবসান ঘটিয়ে গত ১৮ মার্চ গাজায় নতুন করে অভিযান শুরু করে আইডিএফ। আর এই অভিযানে গাজায় এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত ও আরও হাজার হাজার মানুষ আহত হন। রেহাই পাচ্ছে না উপত্যকার হাসপাতালও।

নতুন অভিযানে ইসরায়েলি বাহিনী উপত্যকার বিশাল অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান জোরদার করায় প্রাণ বাঁচাতে গাজার হাজার হাজার বাসিন্দা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন।

এদিকে, ইসরায়েলের দেওয়া ছয় সপ্তাহের নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস। চুক্তির অংশ হিসেবে হামাসকে অস্ত্র সমর্পণের শর্ত দেয় ইসরায়েল।

যুদ্ধবিরতি আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা জানান, ইসরায়েল হামাসকে অস্ত্র ফেলে দেওয়ার শর্ত দিলেও; তারা স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ অথবা গাজা থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের কোনও প্রতিশ্রুতি দেয়নি। ফলে হামাস এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।

এদিকে, ইসরায়েলের দেওয়া ছয় সপ্তাহের নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস। চুক্তির অংশ হিসেবে হামাসকে অস্ত্র সমর্পণের শর্ত দিয়েছিল ইসরায়েল।

যুদ্ধবিরতি আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েল হামাসকে অস্ত্র ফেলে দেওয়ার শর্ত দিলেও; তারা স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ অথবা গাজা থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের কোনও প্রতিশ্রুতি দেয়নি। ফলে হামাস এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। সূত্র: দ্য টাইমস অব ইসরায়েল

দিনা/

 

গাজায় প্রাণহানি ৫১ হাজার

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৮ এএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৮ এএম
গাজায় প্রাণহানি ৫১ হাজার
গাজায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের তাঁবুতেও হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। গতকাল মঙ্গলবার উপত্যকার খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি এলাকায় এ রকমই এক হামলাস্থলে পড়ে থাকা ড্রোনের অবশিষ্টাংশ দেখাচ্ছে এক শিশু। ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ভোর থেকে গাজায় অন্তত ২৩ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। অবরুদ্ধ উপত্যকাটির চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য জানান। গাজার উত্তর ও দক্ষিণাংশে তাঁবু লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। তাঁবুতে হামলা চালানোর ঘটনায় অন্তত তিনজন মারা গেছেন এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরের পশ্চিমাংশে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেগুলোকেই লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান। প্রত্যক্ষদর্শীরা হামলা চালানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

উত্তর গাজার বেইতলাহিয়ার বি স্পোর্ট স্টেডিয়ামের কাছের এক তাঁবুতেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান। সেখানেও দুই ব্যক্তি মারা গেছেন। উত্তর গাজা সিটির শেখ রাদওয়ান এলাকার আল-জালা সড়কে আল-ঘাফরি পরিবারের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়। এতেও এক ব্যক্তি মারা গেছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় অন্তত ৫১ হাজার জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ১৬ হাজার ২৭৪ জন। 

গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তর বলছে, মৃতের সংখ্যা আরও বেশি, ৬১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি। গাজার ধ্বংসস্তূপে নিখোঁজ হাজারও ব্যক্তিকে দপ্তরটি মৃতের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।  

ওষুধের সংকট

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, উপত্যকায় চলমান ওষুধ সংকটে আহতদের চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে। চিকিৎসাকর্মীরা জরুরি পরিস্থিতিতে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে এ নিয়ে এক বিবৃতি প্রকাশ করেছে মন্ত্রণালয়টি।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়, শত শত রোগী ও আহত ব্যক্তিরা জরুরি ওষুধ থেকে বঞ্চিত, সীমান্ত বন্ধ থাকার কারণে তাদের দুর্ভোগ ক্রমশ বাড়ছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ক্যানসার, কিডনি অকেজো ও হৃদরোগে আক্রান্তরা এই ওষুধস্বল্পতা ও সরবরাহ না থাকায় সবচেয়ে বেশি ভুগছে। 

ইসরায়েলের ওপর চাপ তৈরিতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে তারা যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় চিকিৎসা রসদ প্রবেশ করতে দেয়। সূত্র: আল-জাজিরা 

যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব ইসরায়েলের, প্রত্যাখ্যান হামাসের

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩৫ পিএম
আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪০ পিএম
যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব ইসরায়েলের, প্রত্যাখ্যান হামাসের
ছবি: সংগৃহীত

গাজায় যুদ্ধবিরতির নতুন একটি প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল। মধ্যস্থতাকারী দেশ মিসর ও কাতার ওই প্রস্তাব ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসকে দিয়েছে। কিন্তু যুদ্ধ বন্ধের সুনির্দিষ্ট কোনো রূপরেখা না থাকায় এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) কায়রোতে অনুষ্ঠিত এ প্রস্তাব আলোচনার প্রস্তাবে কোনো সম্মতি না জানিয়ে কায়রো ত্যাগ করে হামাসের প্রতিনিধিরা।

হামাসের এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, ‘আলোচনার জন্য যে প্রস্তাবটি উপস্থাপন করা হয়েছে, তা হামাসসহ সব প্রতিরোধ গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে সর্বসম্মতিক্রমে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে এবং এটি আলোচনার জন্য উন্মুক্ত নয়।’

প্রস্তাবের কিছু শর্ত বিশেষ করে হামাসের নিরস্ত্রীকরণের বিষয় নিয়ে ইতোমধ্যে আপত্তি জানানো হয়েছে। হামাসের পক্ষ থেকে গাজার নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে সম্মতি জানালেও অস্ত্র ত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানায় স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি।

এ ছাড়া ইসরায়েল যুদ্ধে ৪৫ দিনের একটি সাময়িক বিরতি দিয়ে চায়। কিন্তু হামাস চায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি। ফলে তেল আবিবের এমন প্রস্তাব হামাস নাকচ করে দিয়েছে হামাস। পাশাপাশি গাজা থেকে সকল ইসরায়েলি সেনা সরে যাওয়ার কোনো রূপরেখা না থাকারও আপত্তি জানায় হামাস। 

২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হয়। এ যুদ্ধে মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) পর্যন্ত ৫১ হাজার ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলা-অভিযানে গাজা নগরী ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

 ১৫ মাসের যুদ্ধ শেষে গত ১৯ জানুয়ারি একটি যুদ্ধবিরতির চুক্তি হলেও মার্চেই তা ভেঙে যায়। এরপর ইসরায়েলি বাহিনী আবার অভিযানে নামে। শুরু হয় নারী-শিশুসহ নিরীহ মানুষকে হত্যা। ইসরায়েলের এই বর্বরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় গোটা বিশ্ব। যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে লাখো জনতা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।

এরপর ইসরায়েল নতুন করে যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব উত্থাপন করে। মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে গতকাল সোমবার প্রস্তাবটি দেয় ইসরায়েল। মিসরের রাষ্ট্রসংশ্লিষ্ট সম্প্রচারমাধ্যম আল কাহেরা নিউজ টিভি এ কথা জানায়। 
 
পরে ওই দিনই হামাস এক বিবৃতিতে জানায়, তারা ইসরায়েলের প্রস্তাব খতিয়ে দেখছে এবং সর্বশেষ এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে সংগঠনটি। 

এ ব্যাপারে হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে বলেন, হামাসের চাওয়া ছিল ইসরায়েলকে হামলা ও বৈরিতা পুরোপুরি বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে, কিন্তু প্রস্তাবে তা আসেনি। নতুন প্রস্তাবে প্রথমবারের মতো ইসরায়েল হামাসের নিরস্ত্রীকরণও চেয়েছে। কিন্তু এটা কখনো হামাস মানবে না বলে আবু জুহরি জানান। তিনি বলেন, ‘প্রতিরোধ বাহিনীর অস্ত্র হস্তান্তর এমন একটি শর্ত, যা নিয়ে আলোচনা তো বাদ, বিবেচনায়ও আনা যাবে না।’

হামাস চাইছে, ইসরায়েল যুদ্ধ বন্ধে প্রতিশ্রুতি দিক এবং জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া তিন ধাপের যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে গাজা ভূখণ্ড থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করে নিক। অন্যদিকে ইসরায়েল বলছে, হামাসকে নির্মূল ও গাজায় আটকে থাকা বাকি জিম্মিদের ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত তারা যুদ্ধ বন্ধ করবে না। 

আবু জুহরি বলেন, ‘যুদ্ধ বন্ধ ও গাজা থেকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী প্রত্যাহারের বদলে একসঙ্গে সব জিম্মিকে হস্তান্তরে প্রস্তুত হামাস।’ সূত্র: বিবিসি

মাহফুজ/