
তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ভাষা’ পরিবর্তন করতে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চাপ দিয়েছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। গত বছরের নভেম্বরে যখন দুই প্রেসিডেন্ট তাইওয়ান ইস্যুতে আলোচনা করেছিলেন, তখন এই চাপ দিয়েছিলেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি। ওই আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যুক্তরাষ্ট্রের দুই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গত বছরের নভেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ওই সময় সান ফ্রান্সিসকোর কাছে এক শহরে বাইডেন-শি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের একপর্যায়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতিগুলোতে তাইওয়ান প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যে ভাষা ব্যবহার করে তা বদলানোর জন্য বাইডেনকে চাপ দিয়েছিলেন শি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই দুই মার্কিন কর্মকর্তা জানান, চীন চাইছিল যে, যুক্তরাষ্ট্র বলুক ‘আমরা তাইওয়ানের স্বাধীনতার বিরোধিতা করি’।
তবে এই ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান অবস্থান কিছুটা আলাদা। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র বলে যে, ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে আমরা সমর্থন করি না।’ গত কয়েক মাসে শি জিনপিংয়ের সহযোগীরা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বারবার এই অনুরোধ উত্থাপন করেছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র এই অবস্থান পরিবর্তনের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে।
চীনা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ওয়াশিংটন তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে না।’ এতে আরও বলা হয়, ‘বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসন আমাদের (যুক্তরাষ্ট্রের) দীর্ঘস্থায়ী এক চীন নীতির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ।’ তবে এ বিষয়ে তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৪৯ সালে মাও সেতুংয়ের নেতৃত্বে কমিউনিস্টদের সঙ্গে গৃহযুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর চিয়াং কাইশেকের নেতৃত্বে পরাজিত বাহিনী তাইওয়ানে পালিয়ে যায়। তাইওয়ানের আনুষ্ঠানিক নাম এখনো ‘রিপাবলিক অব চায়না’ এবং তারা বলেছে, তাদের নাম পরিবর্তনের কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, তারা এরই মধ্যে একটি সার্বভৌম স্বাধীন রাষ্ট্র এবং বেইজিংয়ের তাইওয়ানের ওপর কোনো অধিকার নেই। সূত্র: রয়টার্স