টিকটক
যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হতে পারে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম টিকটক।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে টিকটকের মালিকানা প্রতিষ্ঠান বাইটডান্সের আবেদন খারিজ হওয়ার পর এই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এর আগে ৯ ডিসেম্বর চীনা প্রতিষ্ঠান বাইটডান্স টিকটকের পক্ষে সময় চেয়ে আবেদন করে কলম্বিয়া ডিস্ট্রিক্ট আদালতে।
তবে শুক্রবারের রায়ের মাধ্যমে আবেদনটি খারিজ করে মামলা যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন আদালত। এ বিষয়ে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে হবে টিকটক কর্তৃপক্ষকে।
শুক্রবারের রায়ে আদালত জানান, আবেদনকারী প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য বাতিল না করার মতো যথাযথ কারণ দেখাতে না পারায় এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে টিকটক কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য করেনি।
এ পরিস্থিতিতে ১৯ জানুয়ারির মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন না করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক বন্ধ হয়ে যাবে।
এই রায় বাস্তবায়ন করা হলে অন্য বিদেশি মালিকানাধীন অ্যাপগুলোও বন্ধ করার প্রবণতা তৈরি হবে বলে ধারণা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্লেষকরা।
এদিকে বেশ কিছুদিন যাবত মার্কিন নাগরিকদের তথ্য চুরিতে টিকটকের সম্পৃক্ততার বিষয়ে আশঙ্কা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট জানায়, টিকটকে চীনা নিয়ন্ত্রণ থাকায় দেশের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন বিষয়টিকে ভুলভাবে নিচ্ছে মন্তব্য করে টিকটক জানায়, অ্যাপটির কন্টেন্ট-রেকোমেন্ডেশন ইঞ্জিন ও ব্যবহারকারীদের সব তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের সার্ভারেই সংরক্ষণ করা হয়।
এই রায়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের ভবিষ্যৎ দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হাতে ন্যস্ত হয়েছে। তিনি চাইলে টিকটক কর্তৃপক্ষকে ৯০ দিন সময় দিতে পারেন।
প্রেসিডেন্ট না চাইলে টিকটক বন্ধ করার বিকল্প নেই। তবে কোনোভাবে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের সময়সীমা বাড়াতে পারলে ইতিবাচক ফলাফল আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রতিমাসে গড়ে ১৭০ মিলিয়ন মার্কিন নাগরিক টিকটক ব্যবহার করেন। দেশটিতে টিকটক বন্ধ করা হলে প্রতিষ্ঠানটি বড় ধরণের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
নাইমুর/অমিয়/