ঢাকা ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন: অভিবাসনসহ ৭ ইস্যু প্রভাব ফেলবে

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩০ এএম
অভিবাসনসহ ৭ ইস্যু প্রভাব ফেলবে
ছবি: সংগৃহীত

২৩ বছর বয়সী সাবিহার বাবা প্যালেস্টাইন থেকে এ দেশে এসে থিতু হন। সেই অর্থে সাবিহা দ্বিতীয় প্রজন্মের অভিবাসী। নিউইয়র্কের ব্রুকলিন কলেজে ‘শিক্ষা’ বিভাগে মাস্টার্স ডিগ্রিতে অধ্যয়নরত এই তরুণী তার পড়ার খরচ বহন করতে চাকরিও করেন।

গাজায় গত এক বছরে ৪২ হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যু নিঃসন্দেহে সাবিহাকে বেদনার্ত করেছে। কিন্তু নারী হিসেবে সাবিহা মেয়েদের গর্ভপাতসহ পুনরুৎপাদনমূলক স্বাস্থ্য অধিকারের প্রশ্নে ডেমোক্র্যাটদেরই সমর্থক। তবে গত চার বছরে মার্কিনিদের অর্থনৈতিক অবস্থা যে বেশ খারাপ হয়েছে, সেটা সাবিহা অস্বীকার করেন না। 

সাবিহার মতোই অসংখ্য মার্কিনি ভোটার এবারের নির্বাচনে যে কয়েকটি প্রধান ইস্যু নিয়ে চিন্তিত বা বিড়ম্বিত, সেগুলো সংক্ষেপে এ রকম-

বৈদেশিক নীতি

ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ন্যাটো প্রশ্নে ডেমোক্র্যাটরা যখন রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মার্কিনি সাহায্য অব্যাহত রাখার কথা বলছে, ট্রাম্প তখন এই প্রশ্নে ঠাণ্ডা পানি ছুড়ে মারেন। ডেমোক্র্যাটরা যখন রাশিয়া ও চীনের মতো পরাশক্তিগুলোর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর ঠাণ্ডা যুদ্ধের সময়ের মতোই প্রধানত যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সামরিক জোট ন্যাটোকে সক্রিয় রাখতে চান, ট্রাম্প তখন ন্যাটোর সমালোচনা করে চলেছেন এবং বৈশ্বিক পরিসরে যুক্তরাষ্ট্রকে অন্যের বদলে ‘নিজের চরকায় তেল’ দেওয়ার নীতি গ্রহণে উন্মুখ। সম্প্রতি তিনি এমনটিও বলেছেন, ‘রাশিয়া যা খুশি তাই করুক।’ 

গত বছরের ৩১ আগস্ট মার্কিন নাগরিক হার্শ গোল্ডবার্গ-পলিনসহ হামাস কর্তৃক ধৃত ও জিম্মি ছয়জনের লাশ উদ্ধার হওয়ার পর কমলা হ্যারিস লিখেছিলেন, ‘ইসরায়েলের জনতা এবং ইসরায়েলে বসবাসরত মার্কিনিদের যে আতঙ্কের ভেতর হামাস ফেলে দিয়েছে, তাকে অবশ্যই নির্মূল করতে হবে এবং হামাস গাজাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। ফিলিস্তিনি জনতাও প্রায় দুই দশক ধরে হামাসের শাসন সহ্য করে আসছে।’ ডোনাল্ড ট্রাম্প তখন এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তার এক্স-হ্যান্ডেলে জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিস উভয়ের হাতেই ‘রক্ত লেগে আছে’ বলে মতামত ব্যক্ত করেছিলেন। ২০২৪-এর আগস্ট নাগাদ ফিলিস্তিনে ৪০ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন, যাদের ভেতর আছে ১৬ হাজার শিশু। অন্যদিকে আজ (১ নভেম্বর) ‘দিওয়ালি টুইট’-এ ট্রাম্প ডেমোক্র্যাটদের উদ্দেশে ‘তারা ইসরায়েল থেকে ইউক্রেন হয়ে আমাদের নিজেদের দক্ষিণ সীমান্তে সর্বত্র সর্বনাশ ডেকে এনেছে’ বলে মন্তব্য করেছেন। 

গর্ভপাত

২০২০-২৪ নাগাদ ডেমোক্র্যাট সরকার ‘উইমেনস হেলথ প্রটেকশন অ্যাক্ট’ বা যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি প্রদেশে ফেডারেল আইনের আওতায় নারীর গর্ভপাতের অধিকার সুরক্ষা এবং গর্ভপাতের অধিকার পেতে অপ্রয়োজনীয় বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন যেন তাদের হাসপাতাল বা অন্যত্র কোথাও না হতে হয়, সে বিষয়ে একটি বিল আনেন। অন্যদিকে রক্ষণশীল ক্রিশ্চিয়ান নৈতিকতায় বিশ্বাসী রিপাবলিকানরা নারীর গর্ভপাতের অধিকারকে স্বীকার করতে চান না। 

এ বছর লাতিন বা হিস্পানি পুরুষরা অনেকেই তাদের সমাজের চিরায়ত ‘মাচিসমো’ বা ‘আলফা মেল’ সত্তাকে স্বীকৃতি দিতেই যেন অনেকেই ট্রাম্পের দিকে ‘গর্ভপাত’ প্রশ্নে ঝুঁকছিলেন। তবে দু-তিন দিন আগে নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেনে লাতিনোদের সম্পর্কে ট্রাম্প সমর্থকদের কটু মন্তব্যের কারণে তারা এখন বিরক্ত। 

অভিবাসন

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান সীমান্ত আইনকে ট্রাম্প বহুবারই দেশের জন্য একটি ‘অস্তিত্বগত হুমকি’ বলে উল্লেখ করেছেন এবং এমনকি অভিবাসীরা ‘আমাদের দেশের রক্তকে বিষাক্ত করছে’ এবং নতুন ‘ভাষাগুলো’ নিয়ে আসছে বলেও হতাশা ব্যক্ত করেন। ডেমোক্র্যাটরা সীমান্তের প্রশ্নে যে দুর্দশার সৃষ্টি করেছে, তা তিনি দূর করবেন বলেও ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারাভিযানের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে।

গত চার বছরে ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্পের সময়কার অভিবাসন-সম্পর্কিত অনেক নীতিই বদলে দেয়। ‘ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট’-এর মাধ্যমে, এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাস করা মানুষেরাও ঠিকমতো কর প্রদান এবং পরিপ্রেক্ষিত যাচাইয়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়।

ট্রাম্প যখন দেশে কম অভিবাসীর আগমন চান, কমলা নিজেই তখন অভিবাসী পিতা-মাতার সন্তান এবং ডেমোক্র্যাটরা বিশ্বাস করে যে, অভিবাসীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আরও ভালো দেশ হিসেবে গড়বে। 

স্বাস্থ্য সুরক্ষা

স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রশ্নে সেই ২০১০ সালে বারাক ওবামার সময়েই ডেমোক্র্যাটরা ‘অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট’ নামে একটি আইন পাস করেন, যা দেশজুড়ে জনপ্রিয়। এই আইনটিকে ‘ওবামা কেয়ার’ও বলা হয়। ভর্তুকির মাধ্যমে এই আইনটি সারা দেশে ৪৫ মিলিয়ন বা ৪ কোটি ৫ লাখ মানুষকে সুরক্ষা দেয়। ক্ষমতায় থাকাকালীন ট্রাম্প এই আইনটি বারবার বাতিল করার ব্যর্থ প্রয়াস চালিয়েছিলেন।

কর

২০১৭ সালে ট্রাম্পের গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কর কর্তনের নীতি ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ সমাপ্ত হবে। কিন্তু গত চার বছরের ডেমোক্র্যাট শাসনের সময় জো বাইডেন ৪ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি আয়সম্পন্ন পরিবারগুলোর ওপর বিভিন্ন ধরনের কর বাড়ানোর আহ্বান জানান। এ বিষয়ে কংগ্রেস ও ২০২৪-এর নির্বাচনে বিজয়ী দলই সিদ্ধান্ত নেবে। সম্প্রতি দিওয়ালি টুইটে ট্রাম্প কর কর্তনের মাধ্যমে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সম্প্রসারিত হতে দেবেন বলেছেন। তবে ডেমোক্র্যাট শিবিরের অভিযোগ, এই কর কর্তনের নীতি ধনীদের আরও ধনী করবে এবং গরিবদের আরও গরিব করবে। 

সুপ্রিম কোর্টের বিচারক মনোনয়ন

রিপাবলিকানরা এবং বিশেষত ট্রাম্প যখন চাইছেন সুপ্রিম কোর্টে তরুণ, রক্ষণশীল বিচারকদের নিযুক্ত করতে; যারা অল্প বয়সে নিয়োগ পেয়ে দীর্ঘদিন ধরে আদালতে কাজ করতে পারবেন, তখন হ্যারিসের নেতৃত্বে ডেমোক্র্যাটরা চাইছেন নানা জাতিসত্তার বিচারকদের নিযুক্ত করতে, যাদের ভেতর থাকবেন নাগরিক অধিকার আইনজীবীরা। 

বাণিজ্য

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন রিপাবলিকানরা যখন আমদানীকৃত সব পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক ধার্য করার পক্ষে এবং সম্প্রতি ফক্স নিউজকে তিনি চীন থেকে আমদানীকৃত সব পণ্যের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ বা তার চেয়েও বেশি শুল্ক ধার্য করার কথা বলেছেন, ডেমোক্র্যাটরা তখন শুল্ক বাড়ানোর পক্ষপাতী নন। যেহেতু এতে করে গড়ে প্রতিটি মার্কিনি পরিবারকে পরিবার পিছু ১ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার বেশি খরচ করতে হবে। 
এই ইস্যুগুলোর সমাধান কে করতে পারবেন, তার ওপরই মার্কিন ভোটের গতি-প্রকৃতি নির্ভর করবে।

সিরিয়ায় ইসরায়েলি দখলদারত্বের নিন্দা আরব লিগের

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১৫ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৬ পিএম
সিরিয়ায় ইসরায়েলি দখলদারত্বের নিন্দা আরব লিগের
ছবি: সংগৃহীত

সিরিয়ার গোলান মালভূমিসহ আশেপাশের নিরপেক্ষ অঞ্চলে (বাফার জোন) ইসরায়েলি দখলদারত্বের তীব্র নিন্দা করেছে আরব লিগ এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর চাপ প্রয়োগ করে ইসরায়েলকে গোলান মালভূমি থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। 

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাতে বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে যে সিরিয়া ও আশেপাশের অঞ্চলে ইসরায়েলি দখলদারত্বের বিরুদ্ধে সর্বসম্মতিক্রমে একমত হয়েছে আরব লিগ।

আরব লিগ বলছে ১৯৮১ সালের জাতিসংঘ সনদ ভঙ্গ করে গোলান মালভূমি দখল ইসরায়েল করেছে যা অন্যায় ও অবৈধ।

ইসরায়েল গত কয়েকদিনে সিরিয়ার আসাদ সরকারের পতনের পর সরকার পরিবর্তনের সুযোগে চুক্তি লঙ্ঘন করে সিরিয়ার ইসরায়েল সীমান্তবর্তী ও আশেপাশের শহরগুলো দখল করেছে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ করেছে। সিরিয়ার সামরিক স্থাপনাগুলোর ওপর ইসরায়েলি বাহিনী শত শত বিমান হামলা চালিয়েছে। যার মধ্যে সিরিয়ার নৌবাহিনী এবং সামরিক ডিপো ধ্বংস করা হয়েছে। 

আরব লিগ এই আগ্রাসনকে আন্তর্জাতিক চুক্তির লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করে ইসরায়েলকে গোলান মালভূমি থেকে সরে যেতে আহ্বান জানিয়েছে। সূত্র: সিনহুয়া

মাহফুজ/এমএ/

 

টিকটক বন্ধ হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রে

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০৪ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০৪ পিএম
টিকটক বন্ধ হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রে
টিকটক

যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হতে পারে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম টিকটক।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে টিকটকের মালিকানা প্রতিষ্ঠান বাইটডান্সের আবেদন খারিজ হওয়ার পর এই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এর আগে ৯ ডিসেম্বর চীনা প্রতিষ্ঠান বাইটডান্স টিকটকের পক্ষে সময় চেয়ে আবেদন করে কলম্বিয়া ডিস্ট্রিক্ট আদালতে। 

তবে শুক্রবারের রায়ের মাধ্যমে আবেদনটি খারিজ করে মামলা যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন আদালত। এ বিষয়ে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে হবে টিকটক কর্তৃপক্ষকে।

শুক্রবারের রায়ে আদালত জানান, আবেদনকারী প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য বাতিল না করার মতো যথাযথ কারণ দেখাতে না পারায় এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

 এ বিষয়ে টিকটক কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য করেনি।

এ পরিস্থিতিতে ১৯ জানুয়ারির মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন না করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক বন্ধ হয়ে যাবে।

এই রায় বাস্তবায়ন করা হলে অন্য বিদেশি মালিকানাধীন অ্যাপগুলোও বন্ধ করার প্রবণতা তৈরি হবে বলে ধারণা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্লেষকরা।

এদিকে বেশ কিছুদিন যাবত মার্কিন নাগরিকদের তথ্য চুরিতে টিকটকের সম্পৃক্ততার বিষয়ে আশঙ্কা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন।

এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট জানায়, টিকটকে চীনা নিয়ন্ত্রণ থাকায় দেশের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন বিষয়টিকে ভুলভাবে নিচ্ছে মন্তব্য করে টিকটক জানায়, অ্যাপটির কন্টেন্ট-রেকোমেন্ডেশন ইঞ্জিন ও ব্যবহারকারীদের সব তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের সার্ভারেই সংরক্ষণ করা হয়।
 
এই রায়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের ভবিষ্যৎ দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হাতে ন্যস্ত হয়েছে। তিনি চাইলে টিকটক কর্তৃপক্ষকে ৯০ দিন সময় দিতে পারেন।

প্রেসিডেন্ট না চাইলে টিকটক বন্ধ করার বিকল্প নেই। তবে কোনোভাবে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের সময়সীমা বাড়াতে পারলে ইতিবাচক ফলাফল আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রতিমাসে গড়ে ১৭০ মিলিয়ন মার্কিন নাগরিক টিকটক ব্যবহার করেন। দেশটিতে টিকটক বন্ধ করা হলে প্রতিষ্ঠানটি বড় ধরণের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
 
নাইমুর/অমিয়/

পাকিস্তানে পাঁচ দিনে নিহত ৪৩ জঙ্গি

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৩ পিএম
পাকিস্তানে পাঁচ দিনে নিহত ৪৩ জঙ্গি
পাকিস্তান

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তান অঞ্চলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে গত পাঁচ দিনে ৪৩ জঙ্গি নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর প্রেস উইং। 

পাকিস্তানের উত্তর ও পশ্চিম সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঠেকাতে গোয়েন্দা অভিযান (আইবিও) পরিচালনা করা হয়। এই অভিযানে ফিতনা-আল-খোয়ারিজসহ বেশ কিছু সশস্ত্র সংগঠনের ঘাটিতে অভিযান চালায় করে পাকিস্তানের সামরিক দল।

এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের আইএসপিআর জানায়, খাইবার পাতুনখোয়ার লাক্কি মারওয়াত এলাকায় জঙ্গি উপস্থিতির খবর পেয়ে ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানে ছয় জঙ্গি নিহত হয়। এর আগে ৯ ডিসেম্বর খাইবার পাতুনখোয়ায় আরও ১৮ জঙ্গির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয় বিবৃতিতে।

এদিকে বেলুচিস্তানের মুসাখের ও পাঞ্জগুর অঞ্চলে পরিচালিত দুটি পৃথক অভিযানে সশস্ত্র সংগঠনের ১০ সদস্যের মৃত্যুর খবর জানা গেছে।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) থেকে শুক্রবারের মধ্যে বেলুচিস্তানে মোট ২৫ সন্ত্রাসীর মৃত্য হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর মিডিয়া উইং।

এ বিষয়ে আইএসপিআর জানায়, অঞ্চলগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগ পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিওরিটি সার্ভিসের গবেষণা অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাই মাসের পর থেকে এই অঞ্চলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ৯০ শতাংশ বেড়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় পাল্লা দিয়ে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানও বাড়িয়েছে প্রশাসন।

কোনো নির্দিষ্ট দল হামলার দায় স্বীকার না করলেও কৌশলগত সুবিধার উদ্দেশ্যেই তারা আক্রমণ করছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

জুলাইয়ের পর থেকে এই অঞ্চলে বেসামরিক নাগরিকসহ মোট ৭২২ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গেছে। সূত্র: দ্য গ্লোবাল কাশ্মির

নাইমুর/অমিয়/

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট অভিশংসিত

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৬ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৫ পিএম
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট অভিশংসিত
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। ছবি: সংগৃহীত।

অভিশংসিত হলেন দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। 

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দেশটির আইনপ্রণেতারা প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ব্যর্থ সামরিক আইন প্রয়োগ চেষ্টার অভিযোগে অভিশংসনের পক্ষে রায় দেন।

দেশটির গণমাধ্যমের সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

খবরে বলা হয়, দেশটির পার্লামেন্টের ৩০০ আইনপ্রণেতার মধ্যে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেন ২০৪জন। বিপক্ষে ভোট পড়ে ৮৫টি।

এ ছাড়া ভোটদান থেকে বিরত থাকেন তিনজন এবং আটটি ভোট বাতিল হয়।

তবে এখনই অপসারিত হচ্ছেন না দেশটির প্রেসিডেন্ট। তিনি সাময়িকভাবে দায়িত্ব থেকে অপসারিত হলেও তার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন দেশটির সাংবিধানিক আদালত। এজন্য তাদের ১৮০ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে।

এরই মধ্যে দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হান ডাক সুকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান নির্বাচিত করা হয়েছে।

এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করেন ইউন সুক ইওল। কিন্তু দেশটির আইনপ্রণেতা ও জনগণের তোপের মুখে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য হন।

এখন সাংবিধানিক আদালত যদি তাকে অপসারণের পক্ষে রায় দেন তবে তিনি হবেন দ্বিতীয় অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট।

এর আগে ২০১৫ সালে সাংবিধানিক আদালতের রায়ে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন হাই। সূত্র: রয়টার্স।

নাবিল/সাদিয়া/

ইতালির নাগরিকত্ব নিলেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৩ পিএম
ইতালির নাগরিকত্ব নিলেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের হেরার্দো মিলেই ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলনি। ছবি: সংগৃহীত

ইতালির নাগরিকত্ব নিয়েছেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের হেরার্দো মিলেই। পূর্বপুরুষ ইতালির নাগরিক হওয়ায় তাকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর দেশজুড়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়।

বিরোধী দলীয় নেতাদের দাবি, এই সিদ্ধান্তে ইতালির প্রেসিডেন্ট দ্বিমুখী নীতি বাস্তবায়ন করছেন।

পূর্বপুরুষ ইতালির নাগরিক হলে সহজেই দেশটির নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। তবে ইতালিতে জন্ম নেওয়া অভিবাসী বাবা-মায়ের সন্তানদের ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া বেশ জটিল।

ইতালির অভিবাসন সমর্থনকারী সংস্থাগুলো নাগরিকত্বের প্রক্রিয়া কিছুটা শিথিল করতে স্মারকলিপি জমা দিলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

মিলেই ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলনির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বর্তমানে দেশটিতে অবস্থান করছেন।

ঘটনা প্রসঙ্গে এক সূত্র জানায়, ইতালির সরকার আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্টকে নাগরিকত্ব দিয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি সরকার।

এই খবর পেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদ করেছেন অনেকেই।

এ প্রসঙ্গে দেশটির বিরোধী দলীয় আইনপ্রণেতা রিকার্ডো ম্যাগি বলেন, ‘মিলেইকে নাগরিকত্ব দিয়ে হাজার হাজার ইতালির বাসিন্দার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে।’

এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালি সফরে এসে এক সাক্ষাৎকারে মিলেই জানিয়েছিলেন, তিনি জিনগতভাবে ‘৭৫ শতাংশ’ ইতালির নাগরিক। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

নাইমুর/অমিয়/

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });