ঢাকা ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, রোববার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪

বিশ্লেষণ ইসরায়েলের হামলায় ইরানের কতটা ক্ষতি হয়েছে

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১৮ এএম
আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২১ এএম
ইসরায়েলের হামলায় ইরানের কতটা ক্ষতি হয়েছে
ইরানের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ছবি: সংগৃহীত

ইরানের ইসরায়েলকে প্রতিহত করার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। উল্টো ইরান আরও ঝুঁকির মুখে পড়ে গেছে বলেই রায় দিয়েছেন তারা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলা ইরানের এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থার সবটুকু ভেঙে দিয়েছে। ইসরায়েলের ওই হামলা ছিল ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণের পাল্টা জবাব। ইরান জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলি আক্রমণের ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন করছে।

ওয়াশিংটনভিত্তিক নিউ লাইনস ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড পলিসির নিকোলাস হেরাস ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেন, এই বিমান হামলাগুলো এটিই প্রমাণ করে যে ইসরায়েলের ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের ক্ষেত্রে গুণগত সামরিক সুবিধা রয়েছে; যা ওই রাষ্ট্রটির প্রতিহত করার কৌশলের ওপর প্রভাব ফেলেছে।

হেরাস আরও বলেন, ইসরায়েল উন্নত বিধ্বংসীব্যবস্থা দিয়ে আঘাত হেনেছে, ইরানের বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে পাশ কাটিয়ে যেসব স্থান আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য জ্বালানি সরবরাহ করে এমন সব স্থানে আঘাত করেছে। ওই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইরানের প্রতিরোধ কৌশলের মূল উপাদান। তারা মূলত ইরানিদের বার্তা দিতে চেয়েছিল যে প্রযুক্তিগত যুদ্ধের বিষয়ে ইসরায়েলিরা অনেক এগিয়ে আছে।

কার্নেগি এন্ডাওমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিসের ফেলো নিকোল গ্রাজুয়েস্কি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পর্কে অনলাইন দিওয়ানে লেখেন, সরাসরি আক্রমণের মাধ্যমে ইসরায়েলকে প্রতিহত করার ইরানের প্রচেষ্টা হিতে বিপরীত হয়েছে। তাদের নিজেদের প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় যে ফাঁক রয়েছে, সেদিকে তারা নজর দেয়নি... আর তাই ১ অক্টোবরের তুলনায় ইরান সম্ভবত এখন নিজেকে আরও আশঙ্কাজনক স্থানে নিয়ে গেছে।

দ্য ওয়ার জোন পত্রিকায় টমাস নিউডিক তার লেখায় বলেছেন, ইরানের এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্রকে কর্মক্ষমহীন করে দেওয়ার মধ্য দিয়ে ইসরায়েলের জন্য অনেক প্রত্যক্ষ আক্রমণ ও পরবর্তী আক্রমণের পথ খুলে গেছে।

নিউডিক বলেন, এটি প্রায় অবশ্যম্ভাবী যে ইরান যদি আবার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে এ ধরনের আক্রমণ চালায়, তাহলে ইসরায়েলের কাছে বহু পাল্টা বিকল্প পরিকল্পনা রয়েছে জবাব দেওয়ার জন্য।

ইরানের হাতে থাকা একটি শক্তি হচ্ছে বিভিন্ন আঞ্চলিত শক্তির সঙ্গে সুসম্পর্ক। বিভিন্ন আঞ্চলিক গোষ্ঠী ইরানের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এসব গোষ্ঠীর মধ্যে রয়েছে ইরাকের অভ্যন্তরের দল, গাজায় হামাস, ইয়েমেনে হুতি এবং লেবাননে হিজবুল্লাহ। ইসরায়েল বর্তমানে সেখানেও আঘাত হানছে। এটিও এক অর্থে ইরানকেই প্রতিহত করা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ওয়াশিংটন কুইন্সি ইনস্টিটিউটের বিশ্লেষক স্টিভেন সাইমন এক অনলাইন পরিবেশনায় বলেন, ইরানের অনেক অজ্ঞাত প্রতিরোধ শক্তি রয়েছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেসব শক্তির কতটুকু অবশিষ্ট আছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাইমন।
সাইমন জানান, হামাসকে মূলত একটি সামরিক সংগঠন হিসেবে ধ্বংস করার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। 

অন্যদিকে হিজবুল্লাহও মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত। হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট গুদামে ইসরায়েলের আক্রমণে ক্ষতির সাম্প্রতিক মূল্যায়ন কতটা ঠিক তা জানা না থাকলেও আন্দাজ করা যায়- ওই সব রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্রের ৮০ শতাংশ হয় ধ্বংস হয়ে গেছে, নয়তো অকেজো হয়ে গেছে।

সাইমন আরও বলেন, হিজবুল্লাহ ইরান থেকে পাওয়া অস্ত্র দিয়ে নিজেদের স্বল্পতা পুষিয়ে ফেলতেও অসুবিধার সম্মুখীন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ অস্ত্র বিতরণকারী হিসেবে সিরিয়া এটি নিশ্চিত করতে সক্ষম না যে অস্ত্রশস্ত্র তার সীমান্ত দিয়ে লেবাননে প্রবেশ করতে পারবে কি না। ইরানের পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার বিকল্পগুলো এখন মারাত্মকভাবে কমে এসেছে বলেও মন্তব্য করেছেন কার্নেগির গ্রাজুয়েস্কি। 

তবে ইরান হামলা চালাবে বলে জানিয়ে রেখেছে। যদিও ইসরায়েল ও তার মিত্ররা এ বিষয়ে দেশটিকে মানা করেছে। বর্তমানে লেবাননে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা নিয়ে কাজ চলছে। এটি খুব দ্রুত হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি। তবে এ রকম পরিস্থিতিতেও হামলা থামায়নি ইসরায়েল। বৈরুতে বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে তারা। গাজা উপত্যকাকেও রেহাই দিচ্ছে না। সেখানেও চলছে ইসরায়েলি ধ্বংসলীলা।

সব মিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ গুরুতর হয়ে উঠেছে। ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় গত এক বছরে লেবাননে ২ হাজার ৮৬৭ জন এবং গাজায় ৪৩ হাজার ২০৪ জন মারা গেছেন। নিহতদের বেশির ভাগই বেসামরিক বলে জানা গেছে। স্বয়ং জাতিসংঘ ইসরায়েলের এ ধ্বংসলীলা নিয়ে সরব ভূমিকা পালন করছে। ইসরায়েল মানবিক বিপর্যয় তৈরি করেছে বলেও একাধিকবার জানিয়েছেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা। সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা, আল-জাজিরা

দ. কোরিয়ার রাজনৈতিক সংকটে ‘মর্মাহত’ নোবেলজয়ী হান কাং

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৩ পিএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৯ পিএম
দ. কোরিয়ার রাজনৈতিক সংকটে ‘মর্মাহত’ নোবেলজয়ী হান কাং
সাহিত্যে নোবেলজয়ী দক্ষিণ কোরিয়ান লেখক হান কাং। ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছর সাহিত্যে নোবেলজয়ী দক্ষিণ কোরিয়ান লেখক হান কাং বলেছেন, প্রেসিডেন্টের সংক্ষিপ্ত সামরিক শাসন জারির ঘটনার পর তার দেশের রাজনৈতিক সংকট নিয়ে তিনি গভীরভাবে ‘মর্মাহত’। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সুইডেনের স্টকহোমে চলতি বছরের পুরস্কার বিতরণের জমকালো অনুষ্ঠান আয়োজনস্থলে হান এ কথা বলেন। তিনি নিজেও এই অনুষ্ঠান থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন। খবর এএফপির।

তিনি বলেন, ‘অন্য কোরিয়ান নাগরিকের মতো আমিও গভীরভাবে মর্মাহত। আমি আমার দৃষ্টি সার্বক্ষণিকভাবে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের দিকে নিবন্ধ করে রেখেছি।’

গত মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় আকস্মিকভাবে দেশে সামরিক শাসন জারির ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু তখনো সেনাবাহিনী ও হেলিকপ্টার প্রস্তুত ছিল না। তিনি বেসামরিক শাসন স্থগিত করে সংসদ সদস্যদের তার জারি করা সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে ভোটাভুটি থেকে বিরত থাকার ফরমান জারি করেন।

 কিন্তু তার সামরিক শাসন জারির মুহূর্তের মধ্যে পার্লামেন্ট সদস্যরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। দেশের আপামর জনসাধারণও এসে পার্লামেন্ট ভবন ঘিরে রাখেন। তখন সেনাবাহিনীর ২৮০ জন সদস্য এসে পার্লামেন্ট ভবনের প্রবেশমুখে ব্যারিকেড দিয়ে রাখেন। সংসদ সদস্যরা ব্যারিকেড ভেঙে পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশ করে স্পিকারের নেতৃত্বে ভোটাভুটির আয়োজন করেন। পার্লামেন্টে প্রধান বিরোধী দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় সামরিক শাসনের বিপক্ষে বেশি ভোট পড়ায় স্পিকার সামরিক শাসন রহিত করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকে আনুষ্ঠানিকভাবে সামরিক শাসন বাতিল ঘোষণা করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টে ৩০০ আসনের মথ্যে উত্তর কোরিয়াপন্থি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জোটগত সদস্যসংখ্যা ১৯০ জন। দলটির সদস্যসংখ্যা ১৭০ জন। সরকারি পিপল পপুলার পার্টির সদস্যসংখ্যা মাত্র ১০৮ জন। 

হান বলেন, ১৯৭৯-৮০ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সামরিক শাসন জারির পর তিনি সেই সময়কার সামরিক শাসনের পরিস্থিতি নিয়ে পর্যাপ্ত পড়ালেখা করেছেন। এমনকি সেই সময়ের মানবসৃষ্ট কর্মকাণ্ডের ওপরও প্রচুর সময় ব্যয় করেছেন। তিনি বলেন, ‘এখন আমার পরম সৌভাগ্যের বিষয় হচ্ছে নিজ চোখে ২০২৪ সালের সামরিক শাসন প্রত্যক্ষ করার।’

নোবেলজয়ী হান ১৯৮০ সালে দুই দফা সফল অভ্যুত্থানের স্মৃতিচারণা করে বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় গোয়াংঝু শহরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি স্বচক্ষে দেখেছেন, সামরিক শাসন জারির পর সেনাসদস্যদের অত্যাচার, নির্যাতন-নিপীড়ন ও গণতন্ত্র বিঘ্নিত হওয়ার প্রতিবাদে ছাত্রদের নেতৃত্বে আন্দোলনের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ। 

ছোট গল্পকার ও নোবেলজয়ী হান তার ‘দ্য ভেজিটারিয়ান’ বইটির জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত। এই বইটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘ম্যান বুকার-২০১৬’ সালে পুরস্কার জয়ের মাধ্যমে তাকে বিরাট সফলতা এনে দেয়। সূত্র: এএফপি

মাহফুজ/এমএ/

সমালোচনা সত্ত্বেও হেগসেথেই ভরসা রাখছেন ট্রাম্প

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৯ পিএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০২ পিএম
সমালোচনা সত্ত্বেও হেগসেথেই ভরসা রাখছেন ট্রাম্প
নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পিট হেগসেথ। ছবি: সংগৃহীত

তীব্র সমালোচনার পরও যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট পদে পিট হেগসেথের ওপর ভরসা রাখছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

শুক্রবার (৬ নভেম্বর) বার্তাসংস্থা এনবিসিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট।

হেগসেথের প্রশংসা করে ট্রাম্প জানান, হেগসেথের ব্যক্তিত্ব এই পদের জন্য যথাযথ। 

বেশ কয়েকটি শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে হেগসেথের মনোনয়ন বিতর্কের মুখে পড়ে। এরই প্রেক্ষিতে ট্রাম্প তার মত প্রকাশ করেছেন। 

তবে পেন্টাগনপ্রধানের দায়িত্ব কে পাচ্ছেন স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগে প্রায় ১৩ লাখ সদস্য কর্মরত। এই বিশাল খাত সামলানোর ক্ষমতা হেগসেথের নেই বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

এ ছাড়া হেগসেথের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে আনা যৌন নিপীড়নের অভিযোগটি উল্লেখ করেন তারা।

এদিকে হেগসেথের আইনজীবীরা বলেছেন, মনোনয়ন বাতিল হলে সমালোচকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নির্বাচনের পর প্রথম সাক্ষাৎকারে মনোনয়ন বিতর্কের বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে হেগসেথের ওপর ভরসা আছে তার। 

‘হেগসেথ অত্যন্ত মেধাবী যুবক। তিনি প্রিন্সটন ও হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। সামরিক অভিজ্ঞতাও আছে। এই পদে তিনিই যোগ্য প্রার্থী’, বলেন ট্রাম্প।

তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।

এদিকে সমর্থন জড়ো করতে অভিজ্ঞ নেতাদের স্মরণাপন্ন হচ্ছেন হেগসেথ। এ বিষয়ে আর্মড সার্ভিস কমিটির প্রভাবশালী সদস্য জনি আর্নস্ট বলেন, ‘নিজেকে প্রমাণের একটা সুযোগ হেগসেথ পেতেই পারেন। আমাদের সৈন্যদের কল্যাণে তিনি কী অবদান রাখতে পারছেন সেটা তো সুযোগ দেওয়া ছাড়া বোঝা সম্ভব নয়।’ 

যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে খুব অল্প ব্যবধানে জিতেছে ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টি। এই পরিস্থিতিতে তিনটির বেশি ভোট হারালে সিনেটে রিপালিকান আধিপত্য কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে হেগসেথের মনোনয়ন বাতিলে ক্ষেত্রে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস ও সেনেটর জনি আর্নস্টের নাম আছে বলে জানা গেছে।

তবে এই অনিশ্চয়তার শেষে কী সিদ্ধান্ত আসবে তা নির্ভর করছে হেগসেথ এই পরস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করছেন তার ওপর। সূত্র: রয়টার্স

নাইমুর/অমিয়/

ভারতকে অপছন্দ করেন ৪১.৩ শতাংশ বাংলাদেশি

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১৭ পিএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৪ পিএম
ভারতকে অপছন্দ করেন ৪১.৩ শতাংশ বাংলাদেশি
ছবি : সংগৃহীত

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ছন্দপতন হয় ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে। যেখানে আগে উষ্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল, বর্তমানে সেই পরিস্থিতি অনেকটা পাল্টেছে। সবশেষ আগরতলায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনে হামলা যেন পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করে দিয়েছে।

এরইমধ্যে একটি জরিপ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা বাংলা বিভাগ। যেখানে দেখা গেছে, বাংলাদেশিদের মধ্যে ভারতকে পছন্দ করেন ৫৩ দশমিক ৬ শতাংশ আর অপছন্দ করেন ৪১ দশমিক ৩ শতাংশ।

মোট এক হাজার মানুষের মধ্যে গত ১৩ থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত জরিপটি পরিচালনা করা হয়।

জরিপের ফলাফল থেকে দেখা যায়, বাংলাদেশে ভারত ও পাকিস্তান উভয়ের একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি রয়েছে, এবং দেশের মানুষ অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী দেশ সম্পর্কে ভালো ধারণা পোষণ করেন।

ভয়েস অব আমেরিকার মতে- জরিপে এক হাজার উত্তরদাতাকে কয়েকটি নির্দিষ্ট দেশকে ১ থেকে ৫ স্কেলে ‘ভোট’ দিয়ে তাদের মতামত জানাতে বলা হয়। স্কেলের ১ এবং ২ মিলে হয় ‘পছন্দ’ আর ৪ এবং ৫ মিলে ‘অপছন্দ।’

উত্তরদাতাদের ৫৯ শতাংশ পাকিস্তানকে ‘পছন্দ’ স্কেলে বাছাই করেন। অন্যদিকে, ভারতের ‘পছন্দ’ স্কোর ছিল ৫৩ দশমিক ৬ শতাংশ।

তবে দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই চরম প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ দুটোর মধ্যে ‘অপছন্দ’ স্কেলে বেশ বড় ব্যবধান লক্ষ্য করা যায়। জরিপে ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ পাকিস্তানকে ‘অপছন্দ’ করে মত দেন। অন্যদিকে, ভারতের ‘অপছন্দ’ স্কোর ছিল ৪১ দশমিক ৩ শতাংশ।

প্রতিবেশি দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশিদের সবচেয়ে ‘অপছন্দ’ হচ্ছে মায়ানমার। দেশটিকে ‘অপছন্দ’ স্কেলে ৫৯ দশমিক ১ শতাংশ এবং ‘পছন্দ’ স্কেলে ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ রায় দেন।

অন্যান্য দেশের মধ্যে, ‘পছন্দ’ স্কেলে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি ভোট পায় (৬৮ দশমিক ৪ শতাংশ)। আর চীন (৬৬ শতাংশ), রাশিয়া (৬৪ শতাংশ) এবং যুক্তরাজ্য (৬২ দশমিক ৭ শতাংশ)।

ধর্ম এবং বয়সের পার্থক্য
ভারত এবং পাকিস্তান সম্পর্কে জরিপে প্রকাশিত মতামতে ধর্মের ভিত্তিতে পার্থক্য দেখা যায়। মুসলিম উত্তরদাতাদের মধ্যে ৪৪ দশমিক ২ শতাংশ ভারতকে ‘অপছন্দ’ করে মত দেন। অন্যদিকে, অমুসলিম (হিন্দু, খ্রিষ্টান ও বৌদ্ধ) উত্তরদাতাদের মাত্র ৪ দশমিক ২ শতাংশ ভারতকে ‘অপছন্দ’ করেন।

তবে মুসলিম এবং অমুসলিমদের মধ্যে দু’দেশের প্রতিই ইতিবাচক মনোভাব দেখা গেছে।

ভারতকে ‘পছন্দ’ স্কেলে মত দেন মুসলিম উত্তরদাতাদের ৫০ দশমিক ৭ শতাংশ আর অমুসলিম উত্তরদাতাদের ৯০ দশমিক ১ শতাংশ। পাকিস্তানের পক্ষে ‘পছন্দ’ স্কেলে ভোট দেন মুসলিম উত্তরদাতাদের ৬০ দশমিক ১ শতাংশ আর অমুসলিম উত্তরদাতাদের ৪৪ দশমিক ১ শতাংশ।

বয়স ভেদেও কিছু তারতম্য লক্ষ্য করা গেছে। তরুণদের মধ্যে পাকিস্তানের প্রতি ‘পছন্দ’ ভারতের থেকে অনেক বেশি। কিন্তু ৩৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে পছন্দের স্কেলে পাকিস্তান থেকে ভারত কিছুটা এগিয়ে।

উত্তরদাতাদের মধ্যে ১৮-৩৪ বছরের বয়সীদের ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ ভারতকে ‘পছন্দ’ এবং ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ ‘অপছন্দ’ করেছেন। কিন্তু পাকিস্তানের ক্ষেত্রে ৬২ দশমিক ১ শতাংশ ‘পছন্দ’ এবং ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ ‘অপছন্দ’ করেছেন।

তবে ৩৫ বছরের ঊর্ধ্বে যেসব উত্তরদাতা ছিলেন, তাদের মধ্যে ভারতকে ৫৯ দশমিক ৮ শতাংশ ‘পছন্দ’ আর ৩৫ শতাংশ ‘অপছন্দ’ করেছেন। 

অন্যদিকে, পাকিস্তানকে ‘পছন্দ’ করেছেন ৫৫ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ৩০ দশমিক ৫ শতাংশ ‘অপছন্দ’ করেছেন।

নারী ও পুরুষের মনোভাব
পুরুষ উত্তরদাতাদের মধ্যে ভারতকে ‘পছন্দ’ করেন ৫২ শতাংশ, অন্যদিকে ৬৪ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ পাকিস্তানকে ‘পছন্দ’ করেন। তবে নারী উত্তরদাতাদের মধ্যে ৫৫ দশমিক ৩ শতাংশ ভারতকে ‘পছন্দ’ করেন আর ৫৩ দশমিক ২ শতাংশ পাকিস্তানের ‘পছন্দ’ স্কেলে রায় দেন।

নারী ও পুরুষের মধ্যে ভারতকে ‘অপছন্দ’ করার মাত্রা প্রায় সমান ছিল (যথাক্রমে ৪০ দশমিক ৪ এবং ৪২ দশমিক ৩ শতাংশ) অন্যদিকে, পাকিস্তানকে ‘অপছন্দ’ করার মাত্রা নারী ও পুরুষ উত্তরদাতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে কম ছিল (যথাক্রমে ৩০ দশমিক ২ এবং ২৬ দশমিক ৭ শতাংশ)। সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা

নাবিল/অমিয়/

ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও করে প্রেমিকার বিপুল অর্থ হাতিয়েছেন যুবক

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৬ পিএম
ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও করে প্রেমিকার বিপুল অর্থ হাতিয়েছেন যুবক
অভিযুক্ত মোহন কুমার। ছবি: সংগৃহীত

ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও বানিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে প্রেমিকার কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন মোহন কুমার নামে এক তরুণ। এ ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ভারতের বেঙ্গালুরের ২০ বছর বয়সী ভুক্তভোগী এই তরুণীর কাছ থেকে প্রায় আড়াই কোটি রুপি হাতিয়ে নিয়েছেন মোহন।

এ ছাড়া গোপন ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বেশ কিছু দামি অলংকার, ঘড়ি এবং একটি বিলাসবহুল গাড়ি দিতে প্রেমিকাকে বাধ্য করেন তিনি।

প্রায় চার মাস যাবৎ তার প্রেমিকাকে ব্ল্যাকমেইল করছিলেন কুমার। ভুক্তভোগী তরুণী এই নিপীড়িন সহ্য করতে না পেরে সম্প্রতি পুলিশে অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে পুলিশ জানায়, বোর্ডিং স্কুলে থাকার সময় মোহনের সঙ্গে পরিচয় হয় তরুণীর। স্কুলের পড়া শেষে তাদের যোগাযোগ কমে গেলেও সম্প্রতি সাক্ষাতের পর প্রেমে জড়িয়ে পড়েন তারা।

ঘটনাক্রমে কুমার প্রেমিকাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন এবং বেড়াতে নিয়ে যান। বেড়াতে গিয়ে বেশ কয়েকবার দুজনের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করেন তিনি। 

ভুক্তভোগীর দাবি, এসব ভিডিও ধারণের সময় কুমার এগুলো নিজের কাছে রাখবেন বলেই প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। তবে পরবর্তীতে ভিডিওগুলোতে কুমার নিজের চেহারা ঢেকে তাকে ব্ল্যাকমেইল করা শুরু করেন। এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ দাবি করতে থাকেন। টাকা না দিলে ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকিও দেন। 

এতে ভয়ে দাদির অ্যাকাউন্ট থেকে এক কোটি ২৫ লাখ টাকা তুলে তা কুমারের দেওয়া অ্যাকাউন্টে জমা করেন ভুক্তভোগী। পরে আরও এক কোটি ৩২ লাখ টাকা কুমারকে দিতে বাধ্য হন তিনি। এর পরও বিভিন্ন দাবি করতে থাকেন কুমার। 

এই অভিযোগে সংশ্লিষ্ট এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘কুমারের দাবি অতিরিক্ত পর্যায়ে চলে গেলে ভুক্তভোগী সাহস করে অভিযোগ করেন। পরে কুমারকে গ্রপ্তার করা হয়।’

এ প্রসঙ্গে বেঙ্গালুরু পুলিশ কমিশনার বি দয়ানন্দ বলেন, এটি পরিকল্পিত অপরাধ। এ ছাড়া আত্মসাৎ করা অর্থের একটি অংশ উদ্ধার করা গেছে। সূত্র: এনডিটিভি

নাইমুর/পপি/অমিয়/ 

রাশিয়া-বেলারুশের মধ্যে প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৪ পিএম
রাশিয়া-বেলারুশের মধ্যে প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো একটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয় বলে সংবাদ প্রকাশ করে আল-জাজিরা।

পুতিন-লুকাশেঙ্কোর এই চুক্তির মধ্যে বেলারুশে রাশিয়ার ট্যাকটিক্যাল পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের সম্ভাবনার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।

রাশিয়া ২০২৫ সালে বেলারুশে নতুনভাবে উন্নত ওরেশনিক হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন করতে পারে।

‘আমি মনে করি আগামী বছরের দ্বিতীয়ার্ধে ওরেশনিকের মতো শক্তিশালী অস্ত্র বেলারুশে স্থাপন করা সম্ভব’ বলেন পুতিন।

রাশিয়া ২০২৩ সালে বেলারুশে ট্যাকটিক্যাল পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন করেছিল।

পুতিন এবং অন্য রুশ কর্মকর্তারা বলেছেন, এ ধরনের অস্ত্র বেলারুশে স্থাপন করা হলেও তার নিয়ন্ত্রণ মস্কোর হাতে থাকবে।

তবে বেলারুশের নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলেকজান্ডার ভলফোভিচ শুক্রবার বলেন, তাদের এই অস্ত্র ব্যবহারের জন্য লুকাশেঙ্কোর অনুমতি প্রয়োজন।

এদিকে ইউক্রেন পশ্চিমাদের সরবারাহ করা অস্ত্র দিয়ে রাশিয়াকে আক্রমণের পর গত মাসে রাশিয়া ইউক্রেনের কেন্দ্রীয় শহর ডিনিপ্রোতে ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।

গত বৃহস্পতিবার রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, ২১ নভেম্বর ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে পশ্চিমাকে বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে যে, মস্কো পরাজয় এড়াতে যেকোনো ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার ওরেশনিক ব্যবহারকে ‘রাশিয়ার পাগলামির সর্বশেষ পর্ব’ আখ্যায়িত করে নতুন হুমকি মোকাবিলার জন্য মিত্রদের কাছে উন্নত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম চেয়েছেন।

হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র কমপক্ষে মাচ-৫ গতিতে চলে। অর্থাৎ শব্দের গতির পাঁচ গুণ গতিতে চলে। এগুলো চলার সময় দিক পরিবর্তন করতে পারে, যার ফলে এগুলোকে ট্র্যাক করা এবং প্রতিরোধ করা আরও কঠিন করে তোলে। সূত্র: আল-জাজিরা

তাওফিক/অমিয়/