ঢাকা ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

আবারও ফল উল্টে দেওয়ার পাঁয়তারা, শঙ্কা অনেকের

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫০ এএম
আবারও ফল উল্টে দেওয়ার পাঁয়তারা, শঙ্কা অনেকের
রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প

পেনসিলভানিয়ায় ভোট জালিয়াতি নিয়ে মিথ্যা দাবি তুলেছেন রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে আবারও এই রাজ্যে বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে ট্রাম্প ভোটের ফলাফল উল্টানোর চেষ্টা করতে পারেন বলে আশঙ্কা করেছেন অনেকে। 

সম্প্রতি জাতীয় ও সাতটি অতি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অঙ্গরাজ্যের জনমত জরিপগুলোতে দেখা গেছে, নির্বাচনের চার দিন আগে ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাটিক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস খুব কাছাকাছি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আটকে রয়েছেন। 

শুক্রবার (১ নভেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প ২০২০ সালের নির্বাচন নিয়ে প্রতিনিয়ত মিথ্যা দাবি করে যাচ্ছেন। তার দাবি, বাইডেনের কাছে তার পরাজয়টি ছিল একাধিক রাজ্যে ব্যাপক প্রতারণার ফল, যেখানে তিনি হেরেছিলেন। এদিকে তিনি ও তার সমর্থকরা এই নির্বাচনে পেনসিলভানিয়া নিয়ে ভিত্তিহীন দাবি ছড়িয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প তার ভিত্তিহীন অভিযোগগুলো বাড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, সন্দেহজনক ভোটার নিবন্ধন ফর্মের তদন্তগুলো ভোট জালিয়াতির প্রমাণ। তার কিছু সমর্থক এই সপ্তাহে ডাকযোগে ব্যালট গ্রহণের সময় দীর্ঘ লাইন তৈরি হওয়ায় ভোট প্রদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন।

রাজ্য কর্মকর্তারা ও গণতন্ত্রের সমর্থকরা বলেন, এই ঘটনাগুলো দেখাচ্ছে, ব্যবস্থাপনার কাজ প্রত্যাশা অনুযায়ী হচ্ছে। 

ফিলাডেলফিয়ার উত্তরে বাক্স কাউন্টিতে একজন বিচারক ডাকযোগে ব্যালট দেওয়ার সময়সীমা তিন দিন বাড়িয়ে দিয়েছেন। এটি সেই সময়ের পর ঘটে যখন ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচার শিবির আগামী মঙ্গলবারের সময়সীমার আগে কিছু ভোটারকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি নিয়ে মামলা করে। 

২০২০ সালের ভোটের পর ভোট জালিয়াতি নিয়ে একই ধরনের বক্তব্য ট্রাম্প সমর্থকদের একটি সহিংস জনতাকে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটলে হামলা চালাতে প্ররোচিত করেছিল। যার কারণে প্রেসিডেন্ট নির্ধারণে নির্বাচনি ভোটের কংগ্রেসনাল গণনা বন্ধ বা প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে।

প্রোটেক্ট ডেমোক্র্যাসি নামের অ্যাডভোকেসি গ্রুপের পেনসিলভানিয়ার নীতিগত কৌশলবিদ কাইল মিলার বলেন, এটি এমন একটি নির্বাচনি ফল উল্টানোর চেষ্টার বীজ বপন করছে, যা ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপক্ষে যায়। আমরা ২০২০ সালেও দেখেছি। আমি মনে করি, ট্রাম্প ও তার মিত্ররা সেই থেকে শিখেছেন যে, তাদের এই ধারণাগুলো আগে থেকেই প্রচার করতে হবে।

নির্বাচন কর্মকর্তারা ল্যাঙ্কাস্টার ও পাশের ইয়র্ক কাউন্টিতে সম্ভাব্য জাল নিবন্ধন খুঁজে পেয়েছেন। এগুলো নিয়ে স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো তদন্ত সূচনা করেছে। তবে এসব আবেদনগুলো অবৈধ ভোটের দিকে নিয়ে গেছে বা নিয়ে যাবে, এমন কোনো প্রমাণ নেই। সূত্র: রয়টার্স

ভারতে ওয়াকফ সংশোধনীকে ঘিরে মুসলিমদের আতঙ্ক

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৯ পিএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৬ পিএম
ভারতে ওয়াকফ সংশোধনীকে ঘিরে মুসলিমদের আতঙ্ক
ভারতীয় মুসলিম সমপ্রদায়। ছবি: সংগৃহীত
ভারতে ওয়াকফ আইনের সংশোধনকে ঘিরে দেশটির মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। ওয়াকফ প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজিপি) পরিকল্পনায় ধর্মভিত্তিক নিপীড়নের আশঙ্কা দেখছেন তারা।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) আল-জাজিরায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

বেশ কিছু মসজিদ, স্কুল, দরগাহ ও কবরস্থানসহ কয়েক হাজার একর ওয়াকফ সম্পদ আছে ভারতে। এই সম্পদের বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
 
ধর্মীয় ও দাতব্য কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলো রাষ্ট্রায়ত্ত ওয়াকফ বোর্ডের মাধ্যমেই পরচালিত হয়ে আসছে।
 
তবে সম্প্রতি মোদি সরকার ওয়াকফ আইনে বেশ কিছু সংশোধনী আনতে যাচ্ছে। জমি ব্যবস্থাপনা ও বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সরকার প্রণীত নতুন আইনে ওয়াকফ প্রতিষ্ঠানগুলোতে আঞ্চলিক আধিপত্য কমে গিয়ে রাষ্ট্রের অযাচিত হস্তক্ষেপের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
 
এদিকে বিজেপি সরকারের দাবি, ওয়াকফ বোর্ডের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা মোকাবিলা করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
 
এ বিষয়ে সংখ্যালঘু-বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানান, ‘গুজব’ ছড়িয়ে এ বিষয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে।
যথাযথ দায়বদ্ধতা ও তথ্যের স্বচ্ছতা নিশ্চিতে আইনের সংস্কার প্রয়োজনীয় ছিল বলে মত তার।
 
তবে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার হরণের মাধ্যমে সরকার সংবিধান পরিপন্থি কাজ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের ধর্মীয় নেতারা।
 
মোদি সরকার প্রণীত ওয়াকফ সংস্কার আইনে ৪০টির বেশি সংশোধনী রয়েছে। এর মধ্যে অমুসলিমদের ওয়াকফ বোর্ডের অংশ হতে দেওয়া এবং প্রতিষ্ঠিত ওয়াকফ সম্পদের মালিকানা কেড়ে নেওয়ার বিষয়টি তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
 
এ বিষয়ে আইন বিশেষজ্ঞ ফাইজান মুস্তফা বলেন, ‘বেশির ভাগ ওয়াকফ ৫০০ থেকে ৬০০ বছর পুরোনো। এই সম্পত্তির কাগজপত্র খুঁজে পাওয়া কঠিন। এই পরিস্থিতিতে মুসলিমদের ভয়, তাদের কবরস্থান, মসজিদ ও স্কুলগুলো আইনি জটিলতার শিকার হবে।’
 
উত্তরপ্রদেশে বিজেপি আমলে ধর্মভিত্তিক সহিংসতা ও সংখ্যালঘু অত্যাচারের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় এই অঞ্চলের ওয়াকফ সম্পদগুলোকে ঘিরে বিশেষ দুশ্চিন্তা কাজ করছে মুসলিমদের মধ্যে।
 
সরকার অসাম্প্রদায়িকতা ও সংস্কারের উদ্দেশ্যে এই  সংশোধনী আনা হয়েছে দাবি করলেও এই পদক্ষেপকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে করছেন মুসলিমরা। 
 
‘এই সংশোধনীর মাধ্যমে দুর্নীতি কমবে না। বরং মুসলিমদের কল্যাণে নিয়োজিত এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে গোড়া থেকে নষ্ট করে দেবে।’- বলেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম পারসনাল ল বোর্ডের সদস্য কামাল ফারুকি।
 
ওয়াকফ সংশোধনী বর্তমানে একটি সাংসদ কমিটির তত্ত্বাবধায়নে আছে। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি নাগাদ এই কমিটি প্রতিবেদন প্রকাশ করবে বলে জানা গেছে। সূত্র: আল-জাজিরা
 
নাইমুর/অমিয়/

তৃণমূলের ভবিষ্যত নেতৃত্ব সম্পর্কে জানালেন মমতা

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৫ পিএম
তৃণমূলের ভবিষ্যত নেতৃত্ব সম্পর্কে জানালেন মমতা
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় । ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের (টিএমসি) ভবিষ্যত নেতৃত্বের বিষয়ে মুখ খুলেছেন প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) দ্য হিন্দুতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

সাম্প্রতিক সমালোচনার মুখে প্রদেশে তৃণমূলের গ্রহণযোগ্যতা সঙ্কটে পড়েছে। দলের ভেতরেও বেশ কিছু বিভক্তিমূলক আচরণ দেখা গেছে।

এ পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য উত্তরসূরী সম্পর্কে মমতা জানান, উত্তরসূরি কে হবে তা দল ঠিক করবে। উত্তরসূরি সম্পর্কে যে কোনও সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগতভাবে না করে দলীয় নেতৃত্বর মাধ্যমে সম্মিলিতভাবে নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ‘আমি দল নই, আমরা দল। এটি একটি যৌথ পরিবার এবং সব সিদ্ধান্ত সম্মিলিতভাবে নেওয়া হবে। জনগণের জন্য যা সেরা দল তাই নির্ধারণ করবে।’

তৃণমূল কংগ্রেসকে শৃঙ্খলাবদ্ধ দল আখ্যায়িত করে মমতা বলে, এ সিদ্ধান্তে ব্যক্তিগত স্বার্থ কাজ করবে না।

এ ছাড়া দল প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘আমার কথাই শেষ কথা, একথা বলিনি। আমি আমিত্বে বিশ্বাস করি না। সব মানুষই আমার পরিবার। বুথের একজন কর্মীও আমার সম্পদ। দল সবার, আমার একার নয়।’

এদিকে সাম্প্রতিক আরজি কর আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ এই আন্দোলনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য।’

ভারতের প্রেক্ষাপটে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক নেতৃত্ব অত্যন্ত গুরুত্ববহ। এরই প্রেক্ষিত মমতার বক্তব্য দেশজুড়ে জনআকাঙ্ক্ষার সৃষ্টি করেছে। প্রাদেশিক সুশাসন বাস্তবায়নে তৃণমূলের যোগ্য নেতৃত্বের আশা রাখছেন বিশ্লেষকরা। সূত্র: দ্য হিন্দু

নাইমুর/পপি/

গাজায় ইসিরায়েলি হামলায় নিহত অর্ধশতাধিক

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৭ এএম
গাজায় ইসিরায়েলি হামলায় নিহত অর্ধশতাধিক
গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা। ছবি: আল-জাজিরা
ফিলিস্তিনের গাজায় শরণার্থী শিবির এবং হাসপাতাল এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় ৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
 
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
 
ফিলিস্তিনভিত্তিক ওয়াফা নিউজ এজেন্সির বরাতে আল-জাজিরা জানায়, মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় ২০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ছয়টি শিশু এবং পাঁচজন নারী রয়েছেন।
 
এদিকে, গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে, উত্তর গাজার বেইত লাহিয়ায় কামাল আদওয়ান হাসপাতালের কাছে ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ২৯ জন নিহত হয়েছেন। 
 
আল-জাজিরার এক সাংবাদিক গাজা থেকে রিপোর্ট করেছেন, হাসপাতালের ভেতর এবং আশপাশের এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা অব্যাহত রয়েছে।
 
এ হামলার পর এখন পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ৪৪ হাজার ৬১২ জনে। এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ৫ হাজার ৮৩৪ জন। সূত্র: আল-জাজিরা
 
তাওফিক/পপি/

সামরিক আইন জারির জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের ক্ষমা প্রার্থনা

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩০ এএম
সামরিক আইন জারির জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের ক্ষমা প্রার্থনা
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল গত সপ্তাহের শুরুর দিকে সামরিক আইন ঘোষণার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) জাতির উদ্দেশে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে তিনি ক্ষমা প্রর্থনা করেন। 

ইউন তার সংক্ষিপ্ত ভাষণে বলেছেন, ‘আমি খুবই দুঃখিত এবং জনগণের প্রতি আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

ভবিষ্যতে আর এমন আদেশ দেবেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি।

গত মঙ্গলবার রাতে সামরিক আইন ঘোষণার পর তাকে সম্ভাব্য অভিশংসনের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। যেটি তৎক্ষণিকভাবে জাতীয় পরিষদে বাতিলও করা হয়।

প্রেসিডেন্টের ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় তার দল পিপল পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) নেতা হান ডং হুন সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘ইউন এখন আর স্বাভাবিকভাবে তার দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। তার পদত্যাগ এখন অনিবার্য।’

এদিকে ধারণা করা হয়েছিল, সামরিক আইন জারির পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ইউন নিজের পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন। কিন্তু তিনি তা না করে পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার জন্য তার দলকে পদক্ষেপ নিতে বলেছেন। তিনি অভিশংসন প্রসঙ্গে তেমন কিছু বলেননি।

এদিকে আজ (শনিবার) প্রেসিডেন্ট ইউনকে অভিশংসন করতে পার্লামেন্টের ভোটাভুটির কথা রয়েছে। তাকে অভিশংসন করতে পার্লামেন্টে ৩০০ আসনের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন হবে।

বিরোধীদলীয় নেতা লি জায়-ম্যাং প্রেসিডেন্ট ইউনের ভাষণে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘তার বক্তব্য শুধু জনগণের রাগ ও বিশ্বাসভঙ্গের অনুভূতি বাড়াবে। আমি প্রেসিডেন্টকে সরাতে চেষ্টা করব।’    

ইয়নের সামরিক আইন ঘোষণার পর দক্ষিণ কোরিয়া রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে পড়ে। পরে ছয় ঘণ্টার মধ্যে ইউন তার আদেশ প্রত্যাহার করেন।  

তিনি দাবি করেছিলেন, রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি ও উত্তর কোরিয়ার হুমকির কারণে মূলত তিনি সামরিক আইন জারির ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে পরে দেখা যায়, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সমস্যাগুলোর কারণে তিনি এটি করেছিলেন। সূত্র: বিবিসি

তাওফিক/পপি/ 

ইমরানের বিরুদ্ধে সহিংসতায় উসকানির অভিযোগ

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৫ এএম
ইমরানের বিরুদ্ধে সহিংসতায় উসকানির অভিযোগ
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার কয়েকজন ঘনিষ্ঠ সহযোগীর বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০২৩ সালের সরকারবিরোধী বিক্ষোভের সময় তারা সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানোর জন্য সমর্থকদের উসকে দিয়েছেন বলে অভিযোগটি তোলা হয়। ৭২ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান এবং তার সহযোগীরা নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করেছেন।

বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ইসলামাবাদের কাছে আদিয়ালা কারাগারে শুনানির আয়োজন করেন এবং সেখানে অভিযোগ গঠনের ঘোষণা দেন। ইমরান খান গত এক বছরের বেশি সময় বিভিন্ন মামলায় ওই কারাগারে বন্দি আছেন।

২০২৩ সালে অল্প সময়ের জন্য দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হন ইমরান খান। সে সময় তার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের নেতৃত্বে দেশব্যাপী বিক্ষোভ শুরু হয়। সামরিক অবকাঠামোতেও হামলার ঘটনা ঘটে। 

বৃহস্পতিবার বিষয়গুলো আদালতের সামনে তুলে ধরে সরকারি আইনজীবী জানান, সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি সন্ত্রাসের ক্যাটাগরিতে পড়ে এবং সামরিক সদর দপ্তরে হামলা ‘সেনাবাহিনীকে বিদ্রোহ করতে উসকানি দেওয়ার লক্ষ্যে করা হয়েছিল।’ সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা