পেনসিলভানিয়ায় ভোট জালিয়াতি নিয়ে মিথ্যা দাবি তুলেছেন রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে আবারও এই রাজ্যে বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে ট্রাম্প ভোটের ফলাফল উল্টানোর চেষ্টা করতে পারেন বলে আশঙ্কা করেছেন অনেকে।
সম্প্রতি জাতীয় ও সাতটি অতি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অঙ্গরাজ্যের জনমত জরিপগুলোতে দেখা গেছে, নির্বাচনের চার দিন আগে ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাটিক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস খুব কাছাকাছি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আটকে রয়েছেন।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প ২০২০ সালের নির্বাচন নিয়ে প্রতিনিয়ত মিথ্যা দাবি করে যাচ্ছেন। তার দাবি, বাইডেনের কাছে তার পরাজয়টি ছিল একাধিক রাজ্যে ব্যাপক প্রতারণার ফল, যেখানে তিনি হেরেছিলেন। এদিকে তিনি ও তার সমর্থকরা এই নির্বাচনে পেনসিলভানিয়া নিয়ে ভিত্তিহীন দাবি ছড়িয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প তার ভিত্তিহীন অভিযোগগুলো বাড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, সন্দেহজনক ভোটার নিবন্ধন ফর্মের তদন্তগুলো ভোট জালিয়াতির প্রমাণ। তার কিছু সমর্থক এই সপ্তাহে ডাকযোগে ব্যালট গ্রহণের সময় দীর্ঘ লাইন তৈরি হওয়ায় ভোট প্রদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন।
রাজ্য কর্মকর্তারা ও গণতন্ত্রের সমর্থকরা বলেন, এই ঘটনাগুলো দেখাচ্ছে, ব্যবস্থাপনার কাজ প্রত্যাশা অনুযায়ী হচ্ছে।
ফিলাডেলফিয়ার উত্তরে বাক্স কাউন্টিতে একজন বিচারক ডাকযোগে ব্যালট দেওয়ার সময়সীমা তিন দিন বাড়িয়ে দিয়েছেন। এটি সেই সময়ের পর ঘটে যখন ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচার শিবির আগামী মঙ্গলবারের সময়সীমার আগে কিছু ভোটারকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি নিয়ে মামলা করে।
২০২০ সালের ভোটের পর ভোট জালিয়াতি নিয়ে একই ধরনের বক্তব্য ট্রাম্প সমর্থকদের একটি সহিংস জনতাকে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটলে হামলা চালাতে প্ররোচিত করেছিল। যার কারণে প্রেসিডেন্ট নির্ধারণে নির্বাচনি ভোটের কংগ্রেসনাল গণনা বন্ধ বা প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে।
প্রোটেক্ট ডেমোক্র্যাসি নামের অ্যাডভোকেসি গ্রুপের পেনসিলভানিয়ার নীতিগত কৌশলবিদ কাইল মিলার বলেন, এটি এমন একটি নির্বাচনি ফল উল্টানোর চেষ্টার বীজ বপন করছে, যা ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপক্ষে যায়। আমরা ২০২০ সালেও দেখেছি। আমি মনে করি, ট্রাম্প ও তার মিত্ররা সেই থেকে শিখেছেন যে, তাদের এই ধারণাগুলো আগে থেকেই প্রচার করতে হবে।
নির্বাচন কর্মকর্তারা ল্যাঙ্কাস্টার ও পাশের ইয়র্ক কাউন্টিতে সম্ভাব্য জাল নিবন্ধন খুঁজে পেয়েছেন। এগুলো নিয়ে স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো তদন্ত সূচনা করেছে। তবে এসব আবেদনগুলো অবৈধ ভোটের দিকে নিয়ে গেছে বা নিয়ে যাবে, এমন কোনো প্রমাণ নেই। সূত্র: রয়টার্স