যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সহায়তা দেওয়ার অজুহাতে গত বুধবার ভারতের শীর্ষস্থানীয় চারটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ না নিলেও বাণিজ্যিক খাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জোরালো প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি রাশিয়াকে সহায়তা দেওয়া তৃতীয় কোনো দেশকেও রেহাই দিচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র।
এই উদ্দেশ্যে সম্প্রতি রাশিয়ার গ্যাস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আর্কটিক এলএনজি-২ প্রকল্পে জড়িত থাকায় ভারতের দুই শিপিং কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বুধবার ১২টিরও বেশি দেশের প্রায় ৪০০টি সংস্থা ও ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যার মধ্যে ভারতও রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে রাশিয়াকে উন্নত প্রযুক্তি সরবরাহের জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে।
দুই মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এর মধ্যে রাশিয়ার পাশাপাশি চীন, হংকং, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং সুইজারল্যান্ডের প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
দেশটির উপ অর্থসচিব ওয়ালি অ্যাডিয়েমো বলেন, আমেরিকা ও আমাদের মিত্ররা রাশিয়ায় অবৈধ অস্ত্র এবং যুদ্ধ পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তির প্রবাহ বন্ধ করতে নির্ধারিত পদক্ষেপ নেওয়া অব্যাহত রাখবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় ২৭৪টি প্রতিষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ ছাড়া পররাষ্ট্র দপ্তর ১২০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানকে নির্ধারণ করেছে এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রাশিয়ার সামরিক বাহিনীকে তাদের অভিযুক্তদের সমর্থনের জন্য ৪০টি কোম্পানি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এই নিষেধাজ্ঞ দেশগুলোর সরকার ও বেসরকারি খাতগুলোকে সতর্ক বার্তা দেবে। বার্তাটি হচ্ছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমাদের নিষেধাজ্ঞাগুলো উপেক্ষা করলে তা মোকাবিলা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে রুশ সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকারবদ্ধ।’ সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া