লেবানন ও গাজায় বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ইসরায়েলের সঙ্গে হামাস ও হিজবুল্লাহর যুদ্ধবিরতির চুক্তির আশা কমে এসেছে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) গাজা ও লেবাবনের দক্ষিণ শহরগুলোতে এ হামলা চালানো হয়।
এ হামলায় গাজায় প্রায় ৬৮ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের চিকিৎসকরা।
এ ছাড়া ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, গাজার খান ইউনিস শহরে তাদের বিমান হামলায় হামাসের সর্বশেষ শীর্ষনেতা ইজ আল-বীন কাসাব নিহত হয়েছেন।
এদিকে রয়টার্সের তথ্যমতে, শুক্রবার বৈরুতে প্রায় ১০টি বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এর আগে ইসরায়েল নির্দিষ্ট ১০টি স্থান হিজবুল্লাহর ঘাঁটি দাবি করে সাধারণ মানুষকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল।
লেবাননের নাগরিকরা ইসরায়েলের এই হামলাকে অন্যায় দাবি করে বলছেন, তাদের নির্মম হত্যাযজ্ঞ থামাতেই হবে।
নতুন করে ইসরায়েলের করা এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত সমঝোতা চুক্তি বাধাগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকরা আগামী মঙ্গলবার দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই দুইপক্ষের মধ্যে সমঝোতা আনতে তৎপর ছিলেন।
তবে শুক্রবারের আল-আকসা হামাস টেলিভিশনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, হামাস এ সাময়িক সমঝোতার পক্ষে নয়।
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবিত এ চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছিল, গাজায় বছরব্যাপী চলমান যুদ্ধ থামিয়ে ফিলিস্তিনের নির্দিষ্ট অংশ থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা হবে। তবে চুক্তি হওয়ার আগেই এর বিরোধ দেখা গেল।
এর আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছিলেন, কোনো ধরনের রাজনৈতিক চাপের তোয়াক্কা না করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই তার মূল লক্ষ্য।
এ বিষয়ে জাতিসংঘের মানবিক সংস্থাগুলো বলছে, উত্তর গাজায় মানবেতর দিন যাপন করছেন ফিলিস্তিনিরা। ইসরায়েলের সশস্ত্র হামলার ভয়ে প্রতিমুহূর্তেই তারা অসুখ ও দাঙ্গায় মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকেন। এমনকি দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। সূত্র: বিবিসি ও রয়টার্স
নাইমুর/অমিয়/পপি/