ঢাকা ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

ইসরায়েলে হিজবুল্লাহর রকেট হামলা, নিহত ৭

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৫ পিএম
ইসরায়েলে হিজবুল্লাহর রকেট হামলা, নিহত ৭
ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর দুটি পৃথক বোমা হামলায় সাতজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে চারজন থাইল্যান্ডের নাগরিক রয়েছেন। গত কয়েক মাসের মধ্যে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা ছিল বলে জানিয়েছে দুদেশের কতৃপক্ষ।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ রকেট হামলায় ইসরায়েলের মেতুলা শহরের কাছে একজন ইসরায়েলি কৃষক এবং চারজন থাই কৃষক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দুদেশের কর্তপক্ষ।

পরে উপকূলীয় শহর হাইফার শহরতলিতে কিবুতজ আফেকের কাছে একটি জলপাই বাগানে পৃথক হামলায় এক ইসরায়েলি নারী এবং তার ছেলে নিহত হন।

এদিকে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, হাইফার উত্তরে ক্রায়োট এলাকার দিকে এবং লেবাননের শহর খিয়ামের দক্ষিণে ইসরায়েলি বাহিনীর দিকে তারা রকেট নিক্ষেপ করেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের সেনাবাহিনী লেবানন থেকে ছোড়া দুটি ক্ষেপণাস্ত্রকে লক্ষ্য করলেও তারা প্রতিহত করতে পারেনি। 

এদিকে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিস সাঙ্গিয়াম্পংসা তাদের চার নাগরিক নিহত এবং একজন আহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন। 

ইসরায়েলি সংবাদপত্র হারেৎজ সূত্র জানায়, সীমান্তবর্তী কৃষিজমিতে কাজ করার সময় এই হামলার শিকার হন কৃষকরা।

এলাকাটি একটি সামরিক অঞ্চলের অংশ হলেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাদের কাজ করার অনুমতি দিয়েছিল বলে জানায় স্থানীয় জরুরি সেবাদাতাদের এক সূত্র।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে কিবুতজের পশ্চিম গ্যালিলি অঞ্চল লক্ষ্য করে প্রায় ৫৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল। কিছু ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হয়েছে এবং কিছু খোলা জায়গায় পড়েছে। সূত্র: বিবিসি

নাইমুর/অমিয়/পপি/

ইমরানের বিরুদ্ধে সহিংসতায় উসকানির অভিযোগ

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৫ এএম
ইমরানের বিরুদ্ধে সহিংসতায় উসকানির অভিযোগ
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার কয়েকজন ঘনিষ্ঠ সহযোগীর বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০২৩ সালের সরকারবিরোধী বিক্ষোভের সময় তারা সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানোর জন্য সমর্থকদের উসকে দিয়েছেন বলে অভিযোগটি তোলা হয়। ৭২ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান এবং তার সহযোগীরা নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করেছেন।

বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ইসলামাবাদের কাছে আদিয়ালা কারাগারে শুনানির আয়োজন করেন এবং সেখানে অভিযোগ গঠনের ঘোষণা দেন। ইমরান খান গত এক বছরের বেশি সময় বিভিন্ন মামলায় ওই কারাগারে বন্দি আছেন।

২০২৩ সালে অল্প সময়ের জন্য দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হন ইমরান খান। সে সময় তার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের নেতৃত্বে দেশব্যাপী বিক্ষোভ শুরু হয়। সামরিক অবকাঠামোতেও হামলার ঘটনা ঘটে। 

বৃহস্পতিবার বিষয়গুলো আদালতের সামনে তুলে ধরে সরকারি আইনজীবী জানান, সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি সন্ত্রাসের ক্যাটাগরিতে পড়ে এবং সামরিক সদর দপ্তরে হামলা ‘সেনাবাহিনীকে বিদ্রোহ করতে উসকানি দেওয়ার লক্ষ্যে করা হয়েছিল।’ সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা

নার্গিস মোহাম্মদীর নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৯ এএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৯ এএম
নার্গিস মোহাম্মদীর নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
নার্গিস মোহাম্মদী

ইরানের নোবেলজয়ী নার্গিস মোহাম্মদীকে নিঃশর্ত মুক্তিদানের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত বৃহস্পতিবার তাকে চিকিৎসাসেবার জন্য মুক্তি দিলেও ওয়াশিংটন বলেছে, তাকে কারাবন্দি রাখা কোনোভাবেই উচিত হয়নি। গতকাল শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, নার্গিস মোহাম্মদীর শারীরিক অবস্থা এখনো গভীরভাবে উদ্বেগজনক। এমন পরিস্থিতিতে তাকে আটকে রাখা একেবারেই ঠিক হয়নি। এই মুখপাত্র আরও বলেন, ‘নার্গিসের স্বাস্থ্যের অবনতি ইরানি শাসকদের নির্যাতনের সাক্ষ্য দেয়। আমরা আবারও নার্গিস এবং অন্য রাজনৈতিক বন্দিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাই।’

৫২ বছর বয়সী নার্গিস মোহাম্মদী ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ইরানে কারারুদ্ধ রয়েছেন। ইরানি নারীদের জন্য বাধ্যতামূলক হিজাব এবং মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকার কারণে তাকে একাধিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। সূত্র: এএফপি

যেকোনো মূল্যে রাশিয়া নিজকে রক্ষায় প্রস্তুত: ল্যাভরভ

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৬ এএম
যেকোনো মূল্যে রাশিয়া নিজকে রক্ষায় প্রস্তুত: ল্যাভরভ
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ

যেকোনো উপায়ে নিজ দেশকে রক্ষা করতে রাশিয়া প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক টাকার কার্লসনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন মন্তব্য করেন। খবর বার্তা সংস্থা এএফপির।

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্রদেরকে সম্প্রতি ইউক্রেনে আঘাত হানা ‘ওরেশনিক’ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিষয়টি ‘গুরুত্বসহকারে’ ভাবতে বলেছেন। প্রেসিডেন্ট পুতিনের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ওই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের চেয়ে দশ গুণ বেশি গতিতে ধাবিত হয়। ফক্স নিউজের সাবেক সাংবাদিক কার্লসনকে তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের বুঝতে হবে যে, ইউক্রেন যুদ্ধে তাদের অপকৌশলকে পরাজিত করতে রাশিয়া সব উপায় অবলম্বন করবে। 

তিন বছর ধরে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া দুই সপ্তাহ আগে ইউক্রেনের দিনিপ্রতে ওরেশনিক হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের এটিএসিএমএস অস্ত্র পদ্ধতি কার্যকর হওয়ার পর মস্কো এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ জানিয়েছেন, রাশিয়া আর উত্তেজনা বাড়াতে চায় না। তারা যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে আগ্রহী। তবে তিনি সতর্ক করেছেন যে, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে রাশিয়া আরও শক্তিশালী বার্তা পাঠাবে। 

তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার হাইপারসনিক ব্যবহারকে ‘রাশিয়ার পাগলামির সর্বশেষ লড়াই’ বলে উল্লেখ করেছেন। 

ওই সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেন যে, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া ও তার মিত্রদের ভয় দেখাতে চাচ্ছে। ইউক্রেনে সংঘাত বৃদ্ধিতে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনকে দায়ী করেন। 

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কে তিনি বলেন, ট্রাম্প দ্রুত ইউক্রেন যুদ্ধের ইতি টানতে বদ্ধপরিকর। যদিও কোন প্রক্রিয়ায় তা শেষ হবে, সে বিষয়ে ল্যাভরভ কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন। 

তিনি ট্রাম্পের বিষয়ে বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প হচ্ছেন এমন মানুষ যিনি ফলাফল দেখতে চান। সূত্র: এএফপি

দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় থাকলে ‘বিপদ’

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০২ এএম
দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় থাকলে ‘বিপদ’
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল যদি ক্ষমতায় থাকেন, তা হলে দক্ষিণ কোরীয়রা ‘বড় ধরনের বিপদের’ মুখে পড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশটির ক্ষমতাসীন দলের প্রধান হান দুং-হুন। তিনি অবিলম্বে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

পিপলস পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) এই নেতা শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) এক জরুরি বৈঠকে বলেন, তার দল ‘বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ’ পেয়েছে যে মঙ্গলবার রাতে সামরিক আইন জারি করার সময় প্রেসিডেন্ট ইউন গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিবিদদের ‘রাষ্ট্রবিরোধিতার’ অভিযোগে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

এর আগে হান বলেছিলেন, তারা বিরোধী দলের অভিশংসন প্রস্তাব আটকে দেবেন। কিন্তু সে অবস্থান থেকে পুরোপুরি সরে এসে তিনি এখন বলছেন ভিন্নকথা। বিরোধীরা গত বুধবার সংসদে ওই অভিশংসন প্রস্তাব পেশ করে। তবে সে প্রস্তাব পাস করতে অন্তত আটজন শাসক দলের সংসদ সদস্যের সমর্থনের প্রয়োজন পড়বে।
গত মঙ্গলবার রাতে প্রেসিডেন্ট ইউন সামরিক আইন জারির ঘোষণা দিলে দক্ষিণ কোরিয়ার জনসাধারণ হতবাক হয়ে যায়। তারা এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে। পরে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই সামরিক আইন প্রত্যাহার করা হয়।

শুক্রবার নিজ বক্তব্যে হান উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে প্রেসিডেন্ট ইউন ক্ষমতায় থাকলে আবারও সামরিক আইন জারি করার মতো ‘চরম পদক্ষেপ’ গ্রহণ করতে পারে। তিনি বলেন, ‘এসব কর্মকাণ্ড কোরিয়া ও কোরিয়ার নাগরিকদের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করছে।’

হান আরও জানান, তাদের দল জানতে পেরেছে যে গ্রেপ্তার করার পর বিরোধী রাজনীতিবিদদের দেশটির রাজধানী সিউলের দক্ষিণে গওয়াচনের একটি আটক কেন্দ্রে বন্দি রাখার পরিকল্পনা ছিল। তার বক্তব্য থেকে স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে যে এখন প্রেসিডেন্টের নিজের দল হয়তো বিরোধী দলের সদস্যদের সঙ্গে যোগ দিয়ে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিতে পারে।

বিরোধী দলের আইনপ্রণেতারা উদ্বিগ্ন যে দক্ষিণ কোরিয়ায় আবারও সামরিক আইন জারির চেষ্টা হতে পারে। বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, তারা পার্লামেন্ট ভবনের কাছাকাছি থাকছেন, যাতে সে রকম কোনো ঘোষণা এলে দ্রুত সেখানে গিয়ে সেই ঘোষণা বাতিল করার জন্য ভোট দিতে পারেন। সূত্র: বিবিসি

আলেপ্পোর জনজীবন ধীরে ধীরে সচল হচ্ছে

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৪ এএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২০ এএম
আলেপ্পোর জনজীবন ধীরে ধীরে সচল হচ্ছে
বিদ্রোহীদের আক্রমণের পর দলে দলে আলপ্পো ছাড়তে থাকেন বাসিন্দারা। ছবি: সংগৃহীত

বিদ্রোহীদের দখলে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে সচল হতে শুরু করেছে সিরিয়ার আলেপ্পোর জনজীবন। শহরটি থেকে নৈশকালীন কারফিউ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। খাবারের দোকানে আবারও পাওয়া যাচ্ছে রুটি। ট্রাফিক পুলিশ ফিরে এসেছে রাস্তার মোড়ে মোড়ে। বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট টেলিকম নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যোগাযোগও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইন্টারনেট সংযোগেরও অগ্রগতি লক্ষ করা গেছে। সিরিয়ার হামা শহর দখলের পর হোমসের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বিদ্রোহীরা। ওই শহর থেকে বাসিন্দারা পালিয়ে যেতে শুরু করেছে। এ ছাড়াও রাশিয়া নিজ নাগরিকদের সিরিয়া থেকে সরে আসার নির্দেশ দিয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স আলেপ্পোর বেশ কয়েকজন বাসিন্দা ও কিছু ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এ খবর জানিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, মূলত এসব পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত আল-তাহরির আল শামস (এইচটিএস) পশ্চিম ও সিরিয়ার কাছে প্রমাণ করতে চাইছে যে, তারা নির্ভরযোগ্য এবং বাশার আল-আসাদের বিকল্প হিসেবে ভূমিকা রাখতে সক্ষম।  

এইচটিএসকে এখনো সন্ত্রাসী দল হিসেবেই ধরে যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক ও জাতিসংঘ। দলটি বেশ কয়েক বছর ধরেই নিজেদের ভাবমূর্তি ঠিক করার চেষ্টা করছে। ৫২ বছর বয়সী মোহাম্মদ খলিল বিদ্রোহী প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ হবে। কিন্তু তরুণ বয়সীরা ভালোই সামলে নিয়েছে।’ খলিল আলেপ্পোর একটি পর্যটন প্রতিষ্ঠানের মালিক।

এইচটিএস জানিয়েছে, তারা পশ্চিমের জন্য কোনো হুমকি নয়। দলটি এরই মধ্যে ইদলিবের বড় একটি অংশ দখলে রেখেছে। পরিত্রাণ সরকার নামে একটি প্রশাসনও প্রতিষ্ঠা করেছে, যারা ৩০ লাখের কাছাকাছি মানুষকে ৫ বছর ধরে শাসন করছে। সেখানে তাদের নির্বাচিত সরকার রয়েছে। তুরস্কের লিরা তারা মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার করছে এবং সিরিয়া ফোন নামে নিজেদের নেটওয়ার্কও রয়েছে, সেটি এখন আলেপ্পো পর্যন্ত বিস্তৃত করেছে। থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ বলছে, শরিয়া আইনের কট্টর ব্যাখ্যা ও প্রয়োগও এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে ওই এলাকায়। 

তবে আলেপ্পো নতুন চ্যালেঞ্জ হাজির করেছে বিদ্রোহীদের সামনে। ওই শহর এবং একই নামের প্রদেশে সিরীয় খ্রিস্টান, আর্মেনিয়া, কুর্দ ও শিয়া মুসলিমরা বসবাস করেন। তাদের অনেকেই বিদ্রোহীদের নিয়ে শঙ্কিত। তবে আলেপ্পোর সংখ্যালঘুসহ সবাইকে টেক্সট মেসেজ দিয়ে আশ্বস্ত করেছেন বিদ্রোহীরা। সে বার্তায় জানানো হয়েছে, কাউকে ঝুঁকির মুখে ফেলা হবে না এবং মৌলিক সেবাগুলো সচল থাকবে। 

হোমস থেকে পালাচ্ছেন মানুষ
এদিকে এইচটিএসের বিদ্রোহীদের অগ্রসর হওয়া অব্যাহত থাকার আশঙ্কায় হাজার হাজার মানুষ সিরিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম নগরী হোমস থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। এক যুদ্ধপর্যবেক্ষক গত বৃহস্পতিবার এ খবর জানান।

ব্রিটেনভিত্তিক যুদ্ধপর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, হোমসের আশপাশের এলাকা থেকে বিদ্রোহীদের অগ্রগতির ভয়ে হাজার হাজার মানুষ সিরিয়ার উপকূলের দিকে পালিয়ে যাচ্ছে। নগরীর উপকণ্ঠে বসবাসকারী খালেদ এএফপিকে বলেন, উপকূলীয় তারতুস নগরীর দিকে তাদের যাত্রার সড়কটি শত শত গাড়ির আলোয় ঝলমল করছিল। সূত্র: রয়টার্স, এএফপি