ঢাকা ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, রোববার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৩ পিএম
আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৬ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন-২০২৪ সামনে রেখে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রদেশের দিকে তাকিয়ে আছেন রিপাবলিকান পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাট পার্টির কমলা হ্যারিস। নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী ২০২৫-এর জানুয়ারি থেকে শুরু করে চার বছর ক্ষমতায় থাকবেন। ভোটাররা প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি কংগ্রেসের প্রার্থী নির্বাচনের জন্যও ভোট দেবেন।

আগামী মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তারা। 

এবারের নির্বাচনকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় বলে আখ্যায়িত করছেন বিশ্লেষকরা। 

যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের ক্ষেত্রে সব সময়ই নির্দিষ্ট কিছু প্রদেশকে ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করে। ওই প্রদেশগুলো ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান প্রার্থীর জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে ভাগ হয়ে থাকে। তবে প্রতিবারই কিছু প্রদেশে প্রত্যাশিত ঘটনার ব্যতিক্রম ঘটিয়ে কম জনপ্রিয় প্রার্থী জেতেন।

এদিকে পেনসিলভেনিয়া ও এর ১৯টি ইলেক্টোরাল কলেজের ভোট গত কয়েকবারের মতো এবারও গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, উইসকনসিন এবং নেভাডা প্রদেশে ডেমোক্র্যাট দলের বাইডেন খুব কম ব্যবধানে জয়লাভ করেন। তাই এ নির্বাচনে ট্রাম্পের লক্ষ্য থাকবে এ প্রদেশগুলোকে নিজের পক্ষে আনা। 

ফ্লোরিডা এবং ওহাইও আগে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সাক্ষী হলেও সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে মজবুত রিপাবলিকান ঘাঁটি হিসেবেই নিজেদের প্রমাণ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটাররা নির্ধারিত সময়ের আগেই পোস্টাল ভোটিং সিস্টেমের মাধ্যমে ভোট দিয়ে থাকেন। এতে কোন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছেন তা নিয়ে গুঞ্জন চলতে থাকে সাধারণ মানুষের মধ্যেও। সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ

নাইমুর/পপি/অমিয়/

রাজধানী ঘিরে রেখেছে সিরিয়ার বিদ্রোহীরা

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৬ এএম
আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৮ এএম
রাজধানী ঘিরে রেখেছে সিরিয়ার বিদ্রোহীরা
বিদ্রোহীগোষ্ঠীর উচ্ছ্বসিত সদস্য। ছবি: সংগৃহীত

সিরিয়ার  দামেস্ক ঘিরে রেখেছে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহীরা। মনে হচ্ছে আসাদ সরকারের ক্ষমতা পতনের দ্বারপ্রান্তে।
 
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) বার্তাসংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

এমন পরিস্থিতিতে শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে শহরের কয়েকটি জায়গায় সরকারবিরোধী মিছিল হয়েছে। এ সময় আন্দোলনকারীরা সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বাশার আল-আসাদের বাবা হাফিজ আল-আসাদের ভাস্কর্য ভেঙে ফেলে।

দামেস্কে নিয়োজিত সামরিক বাহিনী এই ক্ষেত্রে কোনো বিরোধ দেখাতে সক্ষম হয়নি।

এর আগে মাত্র একদিনের যুদ্ধেই শনিবার (৭ ডিসেম্বর) হোমস শহর থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় সিরিয়া সরকার। 

বিদ্রোহীদের এই আক্রমনে বাশার আল-আসাদ সরকারের ২৪ বছরের শাসন আমল ক্রান্তিকালে এসে দাঁড়িয়েছে।

হোমস নগরী বিদ্রোহীরা দখলে নেওয়ার পর হাজার হাজার নগরবাসী রাজপথে আনন্দ মিছিল করেছেন। এ সময় তারা আসাদের পোস্টার ছিড়ে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিয়েছেন। 

হোমস নগর দখলের মাধ্যমে এই বিদ্রোহে কৌশলগত সুবিধা পাবে সরকারবিরোধী সংগঠন। এই শহরের মাধ্যমেই আলওয়াইত সমুদ্র অঞ্চল হয়ে রাজধানী দামেস্কে পৌঁছানোর উদ্যোগ নিয়েছে তারা।
 
দামেস্কে অবস্থিত রাশিয়ার বিমান ও নৌ ঘাটিগুলোতেই বিদ্রোহীরা আগে আক্রমণ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

এবারের আক্রমণের মাধ্যমে অতীতের দমিয়ে দেওয়া বিদ্রোহের পুণর্জাগরণ ঘটেছে।
 
এ বিষয়ে সশস্ত্র সংগঠন হায়াত তাহরির আল-শামসের (এইচটিএস) প্রধান মোহাম্মেদ আল-গোলানি বলেন, ‘আমরা ইতিহাস রচনা করেছি।’
 
যোদ্ধাদের আরও তৎপর হয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
 
তবে সরকারি বাহিনীর কোনো দল আত্মসমর্পন করতে চাইলে তাদের ক্ষতি না করার নির্দেশ দিয়েছেন গোলানি। 

সিরিয়ার সামরিক বাহিনী পিছু হটার পর হাজার হাজার কারারুদ্ধ নাগরিককে মুক্ত করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় দস্তাবেজ পুড়িয়ে ফেলে এইচটিএস।

এদিকে আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎারে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সারগেই ল্যাভরভ বলেন, ইরান ও তুর্কির সঙ্গে মিলে সিরিয়ায় চলমান সহিংসতা বন্ধ করতে রাশিয়া বদ্ধপরিকর। 

এ পরিস্থিতিতে বিজয় মিছিল করছে বিদ্রোহিগোষ্ঠীর সমর্থকরা। তবে সিরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংবাদমাধ্যমের দাবি, বাশার আল-আসাদ দামেস্কেই অবস্থান করছেন।
 
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় বিদ্রোহীদের কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করে যুক্তরাষ্ট্র বলছে এক সপ্তাহের মধ্যেই আসাদ সরকারের পতন ঘটবে।

এই সংকটের মাধ্যমে সিরিয়া অঞ্চলে আসাদ পরিবারের আধিপত্যের অবসান ঘটাবে। এ ক্ষেত্রে আঞ্চলিক ভূরাজনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা দেখছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। সূত্র: রয়টার্স, আল-জাজিরা।

নাইমুর/অমিয়/

ফিনল্যান্ডের ১০৭তম স্বাধীনতা দিবসে প্রেসিডেন্ট ভবনে স্বপ্নময় উৎসব

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৪ এএম
ফিনল্যান্ডের ১০৭তম স্বাধীনতা দিবসে প্রেসিডেন্ট ভবনে স্বপ্নময় উৎসব
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন ফিনিস প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টুব ও তার স্ত্রী সুজান্নে ইন্নেস-স্টুব

ফিনল্যান্ডে উদযাপিত হলো দেশটির ১০৭তম স্বাধীনতা দিবস। ১৯১৭ সালের এইদিনে ফিনল্যান্ড প্রতিবেশি সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।

ফিনিস প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টুব ও তার স্ত্রী সুজান্নে ইন্নেস-স্টুবের আমন্ত্রণে প্রায় এক হাজার ৭০০ অতিথি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আমন্ত্রিতদের মধ্যে ছিলেন- ফিনল্যান্ডের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট, স্পিকার, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীপরিষদের সদস্য, পার্লামেন্ট মেম্বার, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান, পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ও সুধীজন।

স্বাধীনতা দিবসে ফিনিস প্রেসিডেন্টের অট্টালিকায় চলে অভিনব ও জাঁকজকম এক উৎসব। যা সাধারণ মানুষের চিন্তার বাইরে।

স্বাধীনতা দিবসের এই উৎসবে ঐতিহ্যবাহী মার্জিত ও রুচিশীল পোশাকে আমন্ত্রিতদের নিয়ে চলেন কল্পনার জগতে। এমন পোশাকের দাম পাঁচ লাখ ইউরো পর্যন্ত হতে পারে। কথাটি মিথ্যে নয়,‘জীবন ও উত্তেজনার সৌন্দর্য এমন এক বিষয়, যার জন্য পয়সা খরচ করতে খারাপ লাগে না। ’ আবার অতিথিদের পোশাকের আধুনিকতা পুরোপুরি সত্য বলেও মেনে নেওয়া যায় না।

এতে থাকে অতীত, বর্তমান ও আধুনিক যুগের মিশ্রণ, আবার ভবিষ্যতের ছোঁয়াও থাকে। এখানে সবাই নিজেকে মনোরম পোষাকে রূপ দিয়ে থাকেন। গোটা ফিনল্যান্ড সেজে ওঠে আলোর রোশনাই আর ফুলের ডালিতে।

অবশ্য সারা বিশ্বেই সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় উৎসবের বিশেষ কদর রয়েছে। তাই দেশীয় ঐতিহ্যের প্রভাবে এটিকে কীভাবে আরও উপভোগ্য করে তোলা যায়, সেটি নিয়ে গবেষণাও চলে।

ফিনল্যান্ডে এদিনটি অন্যান্য দিনের থেকে একটু আলাদা মনে হয়। আলোকমালায় উদ্ভাসিত প্রেসিডেন্টের অট্টালিকা দেখে যে কেউ যেন বুঝতে পারে, এখানেই একটি দেশের স্বাধীনতার উৎসব হচ্ছে।
 
নানা ধরনের খাবার ও পাশাপাশি পরিবেশিত হয় দেশের খ্যাতনামা শিল্পীদের নৃত্য সঙ্গীত। অতিথিদের কাছে ফিনিশ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরতে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়।
 
স্বাধীনতা উপলক্ষে দিবসে শুক্রবারের এই ছুটির দিনে ফিনল্যান্ডে সরকারি ও বেসরকারি ভবনসহ বিভিন্ন স্থানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও নীরবতা পালন করা হয়।

জামান সরকার, ফিনল্যান্ড থেকে

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের অভিশংসন প্রস্তাব বাতিল

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৯ এএম
আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৭ এএম
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের অভিশংসন প্রস্তাব বাতিল
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। ছবি: সংগৃহীত

সামরিক আইন জারির কারণে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে অভিশংসনের জন্য বিরোধী নেতৃত্বাধীনের করা প্রস্তাবটি বাতিল হয়েছে বলে জানান দেশটির স্পিকার। 

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সিউলের পার্লামেন্টে এই প্রস্তাবটির উপর ভোট হলে তা বাতিল হয়।

সিউল থেকে এএফপি জানায়, ইউন সুক ইওলকের ক্ষমতানীন দল ভোট বয়কট করার পর প্রয়োজনীয় কোরাম পূরণ করতে না পারায় শেষ পর্যন্ত অভিশংসন প্রস্তাব পাস হতে পারেনি।

জাতীয় পরিষদের স্পিকার উ ওন শিক বলেছেন, ‘মোট ১৯৫ ভোট পড়েছে। ভোট দেওয়া সদস্যের সংখ্যা মোট সদস্যের প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়নি। তাই, আমি ঘোষণা করছি যে এই বিষয়ে ভোট বৈধ নয়।’ সূত্র: বাসস/এএফপি

তাওফিক/ 

নটরডেমের দরজা খুলল ৫ বছর পর

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৪ এএম
নটরডেমের দরজা খুলল ৫ বছর পর
প্যারিসের নটরডেম ক্যাথেড্রাল

ফ্রান্সের প্যারিসের নটরডেম ক্যাথেড্রালের দরজা গতকাল শনিবার খুলে দেওয়া হয়েছে। সাড়ে পাঁচ বছর আগে আগুনে পুড়ে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ৮৬০ বছরের পুরোনো স্থাপনাটি। নতুন করে আবার সব ঠিকঠাক করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে খুলে দেওয়া হয়েছে সবার জন্য।

২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল ঘটেছিল দুর্ঘটনাটি। বিশ্বের অনেকেই হতবাক হয়ে যান ওই ঘটনার জেরে। 

শনিবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, বিশ্ব সেদিন নড়ে উঠেছিল। আবারও এটি খুলে দেওয়ার চমকটিও ওই ঘটনার মতোই দৃঢ় হবে।

রাজনীতির ময়দানে সময়টা ভালো যাচ্ছে না ম্যাক্রোঁর। ফ্রান্সে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক সংকট বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে আয়োজনে কোনো কমতি রাখা হচ্ছে না। 

শনিবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ব্রিটেনের প্রিন্স উইলিয়ামসহ আরও কয়েক ডজন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান উপস্থিত হন। সূত্র: রয়টার্স

সিরিয়ায় চতুর্থ শহর বিদ্রোহীদের দখলে

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৭ এএম
সিরিয়ায় চতুর্থ শহর বিদ্রোহীদের দখলে
সিরিয়ার হামা শহরের রাস্তায় গত শুক্রবার অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় এক বিদ্রোহীকে। সংগৃহীত

সিরিয়ায় এক সপ্তাহের মধ্যে চতুর্থ শহরের দখল নিয়েছে বিদ্রোহীরা। গতকাল শনিবার দক্ষিণের দারা শহরটি তাদের হাতে চলে যায়। ২০১১ সালে ওই শহর থেকেই শুরু হয়েছিল আসাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ।

সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, ‘সরকারি বাহিনী পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার করায় ‘স্থানীয় দলগুলো দারা প্রদেশের আরও বেশি এলাকা নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং দারা শহরসহ প্রদেশের ৯০ শতাংশেরও বেশি নিয়ন্ত্রণ করছে।’

বিদ্রোহী সূত্রগুলো বলছে, দারা থেকে সিরিয়ার সামরিক বাহিনী সুশৃঙ্খলভাবেই সরে গেছে। সামরিক বাহিনী নিরাপদে সরে ১০০ কিলোমিটার দূরের দামেস্কে যাওয়ার সুযোগ চেয়েছিল। সেটি তাদের দেওয়া হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বিদ্রোহীরা মোটরসাইকেল ও অন্যান্য বাহনে করে দারায় প্রবেশ করছেন। মানুষ সেখানে আকাশে গুলি ছুড়ে উল্লাস প্রকাশ করছেন। জনসাধারণের অনেকে বিদ্রোহীদের সঙ্গে উল্লাসে যোগ দিচ্ছেন।

সামরিক বাহিনী বা আসাদ সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। রয়টার্স বিদ্রোহীদের দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি। দারার পতনের মধ্য দিয়ে এক সপ্তাহের ভেতরে চতুর্থ গুরুত্বপূর্ণ শহরের নিয়ন্ত্রণ হারাল আসাদ সরকার। ১৩ বছর আগে যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে ওই শহরের জনসংখ্যা ছিল এক লাখেরও বেশি। শহরটি জর্ডান সীমান্তবর্তী প্রদেশেরও রাজধানী।

গত শুক্রবার শেষ ভাগেই দারা দখলে নেওয়ার দাবি করে বিদ্রোহীরা। তারা কেন্দ্রীয় শহর হোমসের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বলেও জানায়। হোমস সিরিয়ার রাজধানী ও ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলের মাঝামাঝি অবস্থিত। ওই শহরটি বিদ্রোহীদের দখলে চলে গেলে দামেস্কের উপকূলীয় এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। উপকূলীয় এলাকায় আসাদ সরকারের বেশ কিছু ঘাঁটি রয়েছে, নৌঘাঁটি রয়েছে এবং রুশ মিত্রদের বিমান ঘাঁটিও রয়েছে। 

বিদ্রোহীদের অগ্রসর হওয়ার মুখে হোমস ছেড়ে হাজার হাজার বাসিন্দা উপকূলীয় অঞ্চল লাতকিয়া ও তার্তুসে পাড়ি জমিয়েছেন। ওই অঞ্চলগুলো আসাদ সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

পরিস্থিতি এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আসাদ সরকার কতক্ষণ লড়াই চালিয়ে যেতে পারবে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়েছে। থিংকট্যাংক সেনচুরি ফাউন্ডেশনের ফেলো অ্যারন লান্ড বলেন, আসাদ সরকার এ মুহূর্তে জীবন বাঁচাতে লড়ছে। হতে পারে সরকার হোমস ধরে রাখতে পারে। কিন্তু সবকিছু যে গতিতে হচ্ছে, তাতে আমি এর ওপর ভরসা রাখব না।

সিরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত টিভির খবর বলছে, রাশিয়া-সিরিয়ার যৌথভাবে হামা, ইদলিব ও আলেপ্পোতে বিদ্রোহীদের দপ্তর লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। রাশিয়ার কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, এসব হামলায় শুক্রবার অন্তত ২০০ জন বিদ্রোহী মারা গেছেন।

সিরিয়ার সামরিক এক সূত্র জানিয়েছে, ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ বাহিনী সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে এবং হোমসের কাছে রয়েছে। হোমস বিদ্রোহীদের হাতে চলে গেলে আসাদ সরকারের ক্ষমতা ধরে রাখা কষ্টকর হয়ে যাবে। সূত্র: এএফপি, রয়টার্স