পাঞ্জাবের কৃষকরা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বিভিন্ন দাবিতে মিছিল নিয়ে দিল্লি অভিমুখে যাত্রা শুরু করেছেন।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে সম্মিলিত কিষাণ মোর্চা (এসকেএম) ও কিষাণ মজদুর মোর্চার ব্যানারে হরিয়ানা প্রদেশের শাম্ভু সীমান্ত থেকে রাজধানীর দিকে যাত্রা শুরু করেন ১০১ জন কৃষক।
মিছিল শুরু করার আগে কৃষকনেতা গুরু তেজ বাহাদুরকে শহিদি সম্মান জানানো হয়।
শস্যের যথাযথ বিক্রয়মূল্য, সল্পসুদে কৃষিঋণ, কৃষক ও কৃষি শ্রমিকের অবসর ভাতা নিশ্চিতের পাশাপাশি ২০২০-২১ কৃষক আন্দোলনে লাখিমপুর খেরি অঞ্চলে সংগঠিত সহিংসতার বিচারের দাবিতে দিল্লিমুখী এই আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন তারা।
এদিকে যেকোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে হরিয়ানা অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
অঞ্চলটিতে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার (বিএনএসএস) অধীনে ১৬৩ ধারা জারি করা হয়। এতে প্রদেশের আম্বালা জেলায় পাঁচ জনের বেশি জমায়েত হওয়া যাবে না।
এ ছাড়া আন্তপ্রাদেশিক সব সীমান্তে যান চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও শাম্ভু সীমান্তে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিঙ্গঘু সীমান্তসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় তৎপর রয়েছে পুলিশ।
এ বিষয়ে দিল্লি পুলিশ জানায়, তারা যেকোনো পরস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।
গত ১০ মাসের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো দিল্লিতে মিছিল নিয়ে ঢোকার চেষ্টা করছেন কৃষকরা।
এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসের আন্দোলন কর্মসূচীতে পুলিশ ও কৃষকদের মধ্যে দাঙ্গার সৃষ্টি হয়।
কিন্তু এবার যথেষ্ট প্রশাসনিক তৎপরতা সত্ত্বেও পিছু হটতে রাজি নন কৃষকরা।
এ বিষয়ে কৃষক নেতা সানোয়ার সিং পান্ধার জানান, সরকার যদি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে, ধরে নিতে হবে কৃষকরাই জিতেছেন।
এই ঘটনায় দেশটির পার্লামেন্টের বিরোধী দল কংগ্রেস কৃষকদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।
ভারতের ভাইস প্রেসিডেন্ট জগদীপ ধনকড় তার দেওয়া প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ করায় এ আন্দোলন জোর ফিরে পেয়েছে বলে মত তাদের।
এদিকে ২০২০-২১ সালের কৃষক আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে একাত্বতা প্রকাশ করে অহিংস আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছেন কৃষকনেতারা। সূত্র: দ্য হিন্দুস্তান টাইমস ও টাইমস অব ইন্ডিয়া
নাইমুর/পপি/