যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞদের একটি অংশের ধারণা এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পই জিতবেন। এর নেপথ্যে কলকাঠি নাড়বে তাকে হত্যাচেষ্টার ঘটনা। অনেকে আবার মনে করেন, জো বাইডেনের নির্বাচনি দৌড় থেকে সরে যাওয়া উচিত হয়নি। তিনি যদি থাকতেন, তাহলে স্বল্প রেটিং নিয়ে হলেও জিততে পারতেন।
এদিকে কমলা হ্যারিসের আবার ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে মিশ্র রেকর্ড রয়েছে। অভিবাসন নিয়ে তার ব্যাপারে অনেক সমালোচনা রয়েছে।
বিবিসির অ্যান্থনি জার্চার বলেন, ‘প্রশাসনে প্রথম দিকে কমলা হ্যারিসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মেক্সিকো সীমান্তের অভিবাসন সমস্যার মূল ঘটনা খুঁজে বের করতে। কিন্তু এখানে তিনি বেশ কয়েকটি ভুল পদক্ষেপ নেন, যা তার অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এবং এর মধ্য দিয়ে রক্ষণশীলরা তাকে আক্রমণের সুযোগ পেয়ে যান।’
জার্চার জানান, রিপাবলিকানরা তাকে ইতোমধ্যে প্রেসিডেন্টের ‘বর্ডার জার’ তকমা দিয়েছেন। বাইডেন প্রশাসনের অভিবাসন-সংক্রান্ত সব সমস্যার দায়ও কমলার ওপরই ঘুরেফিরে চাপানোর চেষ্টা করতে দেখা যায় তাদের।
নির্বাচনে এ বিষয়টি ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে। দ্য হিলের নিয়ালস্ট্যানাজ বলেন, নির্বাচনি দৌড়ে যে প্রতিযোগিতা আমরা দেখতে পাচ্ছি, তা মূলত মনে করিয়ে দিচ্ছে যে হ্যারিসের জন্য ডেমোক্র্যাটরা যতটা উচ্ছ্বসিত, সেই একই ধরনের উচ্ছ্বাস মধ্যবর্তী স্থানের ভোটারদের মধ্যে নেই। এ ছাড়া আরও একটি বড় প্রশ্ন রয়েছে। আর তা হলো- দেশ কৃষ্ণাঙ্গ নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করবে কি না। দেশের জনসাধারণ ২০০৮ সালে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করলেও ২০১৬ সালে হিলারি ক্লিনটনের মতো প্রধান সারির নারী ব্যক্তিত্ব কিন্তু প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারেননি। এ বিষয়টিই নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে।’
বিষয়টি প্রকৃত অর্থেই ভোটারদের বিভক্ত করে ফেলেছে। অনেক কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারও ট্রাম্পকে ভোট দিতে চেয়েছেন। জরিপে উঠে এসেছে বিষয়টি। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও নির্বাচনের আগে জনসভা করতে গিয়ে এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। তিনি সরাসরি জানতে চান, কেন তারা ট্রাম্পকে ভোট দিতে চাইছেন, কমলাকে বাদ দিয়ে? তার সময় তো এই বিভক্তি দেখা যায়নি, তবে এখন কেন?
বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের ভোটারদের জটিল মনোভাব ফুটিয়ে তুলেছে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে জনমত জরিপে যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই গোটা মৌসুমে দেখা যায়, তা নির্বাচনের দিনেও চোখে পড়বে। ভক্সের নিকোল নারেয়া বলেন, প্রতিযোগিতা প্রবল এবং দেখে মনে হচ্ছে এটি নির্বাচনের দিন পর্যন্ত এরকমই থাকবে। সূত্র: দ্য হিল