ঢাকা ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, রোববার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪

এবার থাকছে বাংলা ব্যালট পেপার

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৩ এএম
আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৩ এএম
এবার থাকছে বাংলা ব্যালট পেপার
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এবার বাংলা ভাষায় মুদ্রিত ব্যালট পেপারে দেওয়া যাবে ভোট। একমাত্র এশীয় ভাষা হিসেবে ব্যালট পেপারে স্থান করে নিয়েছে বাংলা। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর অনুযায়ী, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে বাংলাও। প্রতিবেদন অনুসারে, এশীয়-ভারতীয় ভাষাগুলোর মধ্যে বাংলাই প্রথম ছাপা হলো নিউইয়র্কের ব্যালট পেপারে।

সেখানে বাংলাভাষী বহু মানুষের বাস। যাদের সিংহভাগ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। ২০২০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের এই রাজ্যে এক লাখেরও বেশি বাংলাভাষী মানুষ বসবাস করেন। বাঙালিদের বসবাস মূলত ব্রুকলিন, কুইনস এবং ব্রংকসে। ব্রুকলিনের কেনসিংটন এলাকার একাংশকে স্থানীয়রা ‘ছোট বাংলাদেশ’ বলে ডেকে থাকেন। যুক্তরাষ্ট্রে যত বাঙালি বসবাস করেন, তাদের ৪০ শতাংশেরই বাস নিউইয়র্কে। সামগ্রিকভাবে গোটা যুক্তরাষ্ট্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন লক্ষাধিক বাংলাদেশি। এই পরিস্থিতিতে মনে করা হচ্ছে, তাদের সুবিধার্থেই ব্যালটে বাংলা ভাষা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিউইয়র্ক প্রশাসন।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে অঙ্গরাজ্যগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম রয়েছে। ২০২০ সালে যেমন হিন্দিভাষী ভোটারদের কথা মাথায় রেখে ইলিনয় প্রদেশের ব্যালটে অন্য অনেক ভাষার সঙ্গে হিন্দিও রাখা হয়েছিল।

নটরডেমের দরজা খুলল ৫ বছর পর

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৪ এএম
নটরডেমের দরজা খুলল ৫ বছর পর
প্যারিসের নটরডেম ক্যাথেড্রাল

ফ্রান্সের প্যারিসের নটরডেম ক্যাথেড্রালের দরজা গতকাল শনিবার খুলে দেওয়া হয়েছে। সাড়ে পাঁচ বছর আগে আগুনে পুড়ে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ৮৬০ বছরের পুরোনো স্থাপনাটি। নতুন করে আবার সব ঠিকঠাক করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে খুলে দেওয়া হয়েছে সবার জন্য।

২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল ঘটেছিল দুর্ঘটনাটি। বিশ্বের অনেকেই হতবাক হয়ে যান ওই ঘটনার জেরে। 

শনিবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, বিশ্ব সেদিন নড়ে উঠেছিল। আবারও এটি খুলে দেওয়ার চমকটিও ওই ঘটনার মতোই দৃঢ় হবে।

রাজনীতির ময়দানে সময়টা ভালো যাচ্ছে না ম্যাক্রোঁর। ফ্রান্সে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক সংকট বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে আয়োজনে কোনো কমতি রাখা হচ্ছে না। 

শনিবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ব্রিটেনের প্রিন্স উইলিয়ামসহ আরও কয়েক ডজন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান উপস্থিত হন। সূত্র: রয়টার্স

সিরিয়ায় চতুর্থ শহর বিদ্রোহীদের দখলে

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৭ এএম
সিরিয়ায় চতুর্থ শহর বিদ্রোহীদের দখলে
সিরিয়ার হামা শহরের রাস্তায় গত শুক্রবার অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় এক বিদ্রোহীকে। সংগৃহীত

সিরিয়ায় এক সপ্তাহের মধ্যে চতুর্থ শহরের দখল নিয়েছে বিদ্রোহীরা। গতকাল শনিবার দক্ষিণের দারা শহরটি তাদের হাতে চলে যায়। ২০১১ সালে ওই শহর থেকেই শুরু হয়েছিল আসাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ।

সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, ‘সরকারি বাহিনী পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার করায় ‘স্থানীয় দলগুলো দারা প্রদেশের আরও বেশি এলাকা নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং দারা শহরসহ প্রদেশের ৯০ শতাংশেরও বেশি নিয়ন্ত্রণ করছে।’

বিদ্রোহী সূত্রগুলো বলছে, দারা থেকে সিরিয়ার সামরিক বাহিনী সুশৃঙ্খলভাবেই সরে গেছে। সামরিক বাহিনী নিরাপদে সরে ১০০ কিলোমিটার দূরের দামেস্কে যাওয়ার সুযোগ চেয়েছিল। সেটি তাদের দেওয়া হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বিদ্রোহীরা মোটরসাইকেল ও অন্যান্য বাহনে করে দারায় প্রবেশ করছেন। মানুষ সেখানে আকাশে গুলি ছুড়ে উল্লাস প্রকাশ করছেন। জনসাধারণের অনেকে বিদ্রোহীদের সঙ্গে উল্লাসে যোগ দিচ্ছেন।

সামরিক বাহিনী বা আসাদ সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। রয়টার্স বিদ্রোহীদের দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি। দারার পতনের মধ্য দিয়ে এক সপ্তাহের ভেতরে চতুর্থ গুরুত্বপূর্ণ শহরের নিয়ন্ত্রণ হারাল আসাদ সরকার। ১৩ বছর আগে যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে ওই শহরের জনসংখ্যা ছিল এক লাখেরও বেশি। শহরটি জর্ডান সীমান্তবর্তী প্রদেশেরও রাজধানী।

গত শুক্রবার শেষ ভাগেই দারা দখলে নেওয়ার দাবি করে বিদ্রোহীরা। তারা কেন্দ্রীয় শহর হোমসের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বলেও জানায়। হোমস সিরিয়ার রাজধানী ও ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলের মাঝামাঝি অবস্থিত। ওই শহরটি বিদ্রোহীদের দখলে চলে গেলে দামেস্কের উপকূলীয় এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। উপকূলীয় এলাকায় আসাদ সরকারের বেশ কিছু ঘাঁটি রয়েছে, নৌঘাঁটি রয়েছে এবং রুশ মিত্রদের বিমান ঘাঁটিও রয়েছে। 

বিদ্রোহীদের অগ্রসর হওয়ার মুখে হোমস ছেড়ে হাজার হাজার বাসিন্দা উপকূলীয় অঞ্চল লাতকিয়া ও তার্তুসে পাড়ি জমিয়েছেন। ওই অঞ্চলগুলো আসাদ সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

পরিস্থিতি এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আসাদ সরকার কতক্ষণ লড়াই চালিয়ে যেতে পারবে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়েছে। থিংকট্যাংক সেনচুরি ফাউন্ডেশনের ফেলো অ্যারন লান্ড বলেন, আসাদ সরকার এ মুহূর্তে জীবন বাঁচাতে লড়ছে। হতে পারে সরকার হোমস ধরে রাখতে পারে। কিন্তু সবকিছু যে গতিতে হচ্ছে, তাতে আমি এর ওপর ভরসা রাখব না।

সিরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত টিভির খবর বলছে, রাশিয়া-সিরিয়ার যৌথভাবে হামা, ইদলিব ও আলেপ্পোতে বিদ্রোহীদের দপ্তর লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। রাশিয়ার কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, এসব হামলায় শুক্রবার অন্তত ২০০ জন বিদ্রোহী মারা গেছেন।

সিরিয়ার সামরিক এক সূত্র জানিয়েছে, ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ বাহিনী সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে এবং হোমসের কাছে রয়েছে। হোমস বিদ্রোহীদের হাতে চলে গেলে আসাদ সরকারের ক্ষমতা ধরে রাখা কষ্টকর হয়ে যাবে। সূত্র: এএফপি, রয়টার্স

দ. কোরিয়ার রাজনৈতিক সংকটে ‘মর্মাহত’ নোবেলজয়ী হান কাং

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৩ পিএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৯ পিএম
দ. কোরিয়ার রাজনৈতিক সংকটে ‘মর্মাহত’ নোবেলজয়ী হান কাং
সাহিত্যে নোবেলজয়ী দক্ষিণ কোরিয়ান লেখক হান কাং। ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছর সাহিত্যে নোবেলজয়ী দক্ষিণ কোরিয়ান লেখক হান কাং বলেছেন, প্রেসিডেন্টের সংক্ষিপ্ত সামরিক শাসন জারির ঘটনার পর তার দেশের রাজনৈতিক সংকট নিয়ে তিনি গভীরভাবে ‘মর্মাহত’। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সুইডেনের স্টকহোমে চলতি বছরের পুরস্কার বিতরণের জমকালো অনুষ্ঠান আয়োজনস্থলে হান এ কথা বলেন। তিনি নিজেও এই অনুষ্ঠান থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন। খবর এএফপির।

তিনি বলেন, ‘অন্য কোরিয়ান নাগরিকের মতো আমিও গভীরভাবে মর্মাহত। আমি আমার দৃষ্টি সার্বক্ষণিকভাবে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের দিকে নিবন্ধ করে রেখেছি।’

গত মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় আকস্মিকভাবে দেশে সামরিক শাসন জারির ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু তখনো সেনাবাহিনী ও হেলিকপ্টার প্রস্তুত ছিল না। তিনি বেসামরিক শাসন স্থগিত করে সংসদ সদস্যদের তার জারি করা সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে ভোটাভুটি থেকে বিরত থাকার ফরমান জারি করেন।

 কিন্তু তার সামরিক শাসন জারির মুহূর্তের মধ্যে পার্লামেন্ট সদস্যরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। দেশের আপামর জনসাধারণও এসে পার্লামেন্ট ভবন ঘিরে রাখেন। তখন সেনাবাহিনীর ২৮০ জন সদস্য এসে পার্লামেন্ট ভবনের প্রবেশমুখে ব্যারিকেড দিয়ে রাখেন। সংসদ সদস্যরা ব্যারিকেড ভেঙে পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশ করে স্পিকারের নেতৃত্বে ভোটাভুটির আয়োজন করেন। পার্লামেন্টে প্রধান বিরোধী দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় সামরিক শাসনের বিপক্ষে বেশি ভোট পড়ায় স্পিকার সামরিক শাসন রহিত করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকে আনুষ্ঠানিকভাবে সামরিক শাসন বাতিল ঘোষণা করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টে ৩০০ আসনের মথ্যে উত্তর কোরিয়াপন্থি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জোটগত সদস্যসংখ্যা ১৯০ জন। দলটির সদস্যসংখ্যা ১৭০ জন। সরকারি পিপল পপুলার পার্টির সদস্যসংখ্যা মাত্র ১০৮ জন। 

হান বলেন, ১৯৭৯-৮০ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সামরিক শাসন জারির পর তিনি সেই সময়কার সামরিক শাসনের পরিস্থিতি নিয়ে পর্যাপ্ত পড়ালেখা করেছেন। এমনকি সেই সময়ের মানবসৃষ্ট কর্মকাণ্ডের ওপরও প্রচুর সময় ব্যয় করেছেন। তিনি বলেন, ‘এখন আমার পরম সৌভাগ্যের বিষয় হচ্ছে নিজ চোখে ২০২৪ সালের সামরিক শাসন প্রত্যক্ষ করার।’

নোবেলজয়ী হান ১৯৮০ সালে দুই দফা সফল অভ্যুত্থানের স্মৃতিচারণা করে বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় গোয়াংঝু শহরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি স্বচক্ষে দেখেছেন, সামরিক শাসন জারির পর সেনাসদস্যদের অত্যাচার, নির্যাতন-নিপীড়ন ও গণতন্ত্র বিঘ্নিত হওয়ার প্রতিবাদে ছাত্রদের নেতৃত্বে আন্দোলনের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ। 

ছোট গল্পকার ও নোবেলজয়ী হান তার ‘দ্য ভেজিটারিয়ান’ বইটির জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত। এই বইটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘ম্যান বুকার-২০১৬’ সালে পুরস্কার জয়ের মাধ্যমে তাকে বিরাট সফলতা এনে দেয়। সূত্র: এএফপি

মাহফুজ/এমএ/

সমালোচনা সত্ত্বেও হেগসেথেই ভরসা রাখছেন ট্রাম্প

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৯ পিএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০২ পিএম
সমালোচনা সত্ত্বেও হেগসেথেই ভরসা রাখছেন ট্রাম্প
নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পিট হেগসেথ। ছবি: সংগৃহীত

তীব্র সমালোচনার পরও যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট পদে পিট হেগসেথের ওপর ভরসা রাখছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

শুক্রবার (৬ নভেম্বর) বার্তাসংস্থা এনবিসিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট।

হেগসেথের প্রশংসা করে ট্রাম্প জানান, হেগসেথের ব্যক্তিত্ব এই পদের জন্য যথাযথ। 

বেশ কয়েকটি শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে হেগসেথের মনোনয়ন বিতর্কের মুখে পড়ে। এরই প্রেক্ষিতে ট্রাম্প তার মত প্রকাশ করেছেন। 

তবে পেন্টাগনপ্রধানের দায়িত্ব কে পাচ্ছেন স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগে প্রায় ১৩ লাখ সদস্য কর্মরত। এই বিশাল খাত সামলানোর ক্ষমতা হেগসেথের নেই বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

এ ছাড়া হেগসেথের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে আনা যৌন নিপীড়নের অভিযোগটি উল্লেখ করেন তারা।

এদিকে হেগসেথের আইনজীবীরা বলেছেন, মনোনয়ন বাতিল হলে সমালোচকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নির্বাচনের পর প্রথম সাক্ষাৎকারে মনোনয়ন বিতর্কের বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে হেগসেথের ওপর ভরসা আছে তার। 

‘হেগসেথ অত্যন্ত মেধাবী যুবক। তিনি প্রিন্সটন ও হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। সামরিক অভিজ্ঞতাও আছে। এই পদে তিনিই যোগ্য প্রার্থী’, বলেন ট্রাম্প।

তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।

এদিকে সমর্থন জড়ো করতে অভিজ্ঞ নেতাদের স্মরণাপন্ন হচ্ছেন হেগসেথ। এ বিষয়ে আর্মড সার্ভিস কমিটির প্রভাবশালী সদস্য জনি আর্নস্ট বলেন, ‘নিজেকে প্রমাণের একটা সুযোগ হেগসেথ পেতেই পারেন। আমাদের সৈন্যদের কল্যাণে তিনি কী অবদান রাখতে পারছেন সেটা তো সুযোগ দেওয়া ছাড়া বোঝা সম্ভব নয়।’ 

যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে খুব অল্প ব্যবধানে জিতেছে ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টি। এই পরিস্থিতিতে তিনটির বেশি ভোট হারালে সিনেটে রিপালিকান আধিপত্য কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে হেগসেথের মনোনয়ন বাতিলে ক্ষেত্রে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস ও সেনেটর জনি আর্নস্টের নাম আছে বলে জানা গেছে।

তবে এই অনিশ্চয়তার শেষে কী সিদ্ধান্ত আসবে তা নির্ভর করছে হেগসেথ এই পরস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করছেন তার ওপর। সূত্র: রয়টার্স

নাইমুর/অমিয়/

ভারতকে অপছন্দ করেন ৪১.৩ শতাংশ বাংলাদেশি

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১৭ পিএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৪ পিএম
ভারতকে অপছন্দ করেন ৪১.৩ শতাংশ বাংলাদেশি
ছবি : সংগৃহীত

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ছন্দপতন হয় ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে। যেখানে আগে উষ্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল, বর্তমানে সেই পরিস্থিতি অনেকটা পাল্টেছে। সবশেষ আগরতলায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনে হামলা যেন পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করে দিয়েছে।

এরইমধ্যে একটি জরিপ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা বাংলা বিভাগ। যেখানে দেখা গেছে, বাংলাদেশিদের মধ্যে ভারতকে পছন্দ করেন ৫৩ দশমিক ৬ শতাংশ আর অপছন্দ করেন ৪১ দশমিক ৩ শতাংশ।

মোট এক হাজার মানুষের মধ্যে গত ১৩ থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত জরিপটি পরিচালনা করা হয়।

জরিপের ফলাফল থেকে দেখা যায়, বাংলাদেশে ভারত ও পাকিস্তান উভয়ের একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি রয়েছে, এবং দেশের মানুষ অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী দেশ সম্পর্কে ভালো ধারণা পোষণ করেন।

ভয়েস অব আমেরিকার মতে- জরিপে এক হাজার উত্তরদাতাকে কয়েকটি নির্দিষ্ট দেশকে ১ থেকে ৫ স্কেলে ‘ভোট’ দিয়ে তাদের মতামত জানাতে বলা হয়। স্কেলের ১ এবং ২ মিলে হয় ‘পছন্দ’ আর ৪ এবং ৫ মিলে ‘অপছন্দ।’

উত্তরদাতাদের ৫৯ শতাংশ পাকিস্তানকে ‘পছন্দ’ স্কেলে বাছাই করেন। অন্যদিকে, ভারতের ‘পছন্দ’ স্কোর ছিল ৫৩ দশমিক ৬ শতাংশ।

তবে দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই চরম প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ দুটোর মধ্যে ‘অপছন্দ’ স্কেলে বেশ বড় ব্যবধান লক্ষ্য করা যায়। জরিপে ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ পাকিস্তানকে ‘অপছন্দ’ করে মত দেন। অন্যদিকে, ভারতের ‘অপছন্দ’ স্কোর ছিল ৪১ দশমিক ৩ শতাংশ।

প্রতিবেশি দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশিদের সবচেয়ে ‘অপছন্দ’ হচ্ছে মায়ানমার। দেশটিকে ‘অপছন্দ’ স্কেলে ৫৯ দশমিক ১ শতাংশ এবং ‘পছন্দ’ স্কেলে ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ রায় দেন।

অন্যান্য দেশের মধ্যে, ‘পছন্দ’ স্কেলে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি ভোট পায় (৬৮ দশমিক ৪ শতাংশ)। আর চীন (৬৬ শতাংশ), রাশিয়া (৬৪ শতাংশ) এবং যুক্তরাজ্য (৬২ দশমিক ৭ শতাংশ)।

ধর্ম এবং বয়সের পার্থক্য
ভারত এবং পাকিস্তান সম্পর্কে জরিপে প্রকাশিত মতামতে ধর্মের ভিত্তিতে পার্থক্য দেখা যায়। মুসলিম উত্তরদাতাদের মধ্যে ৪৪ দশমিক ২ শতাংশ ভারতকে ‘অপছন্দ’ করে মত দেন। অন্যদিকে, অমুসলিম (হিন্দু, খ্রিষ্টান ও বৌদ্ধ) উত্তরদাতাদের মাত্র ৪ দশমিক ২ শতাংশ ভারতকে ‘অপছন্দ’ করেন।

তবে মুসলিম এবং অমুসলিমদের মধ্যে দু’দেশের প্রতিই ইতিবাচক মনোভাব দেখা গেছে।

ভারতকে ‘পছন্দ’ স্কেলে মত দেন মুসলিম উত্তরদাতাদের ৫০ দশমিক ৭ শতাংশ আর অমুসলিম উত্তরদাতাদের ৯০ দশমিক ১ শতাংশ। পাকিস্তানের পক্ষে ‘পছন্দ’ স্কেলে ভোট দেন মুসলিম উত্তরদাতাদের ৬০ দশমিক ১ শতাংশ আর অমুসলিম উত্তরদাতাদের ৪৪ দশমিক ১ শতাংশ।

বয়স ভেদেও কিছু তারতম্য লক্ষ্য করা গেছে। তরুণদের মধ্যে পাকিস্তানের প্রতি ‘পছন্দ’ ভারতের থেকে অনেক বেশি। কিন্তু ৩৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে পছন্দের স্কেলে পাকিস্তান থেকে ভারত কিছুটা এগিয়ে।

উত্তরদাতাদের মধ্যে ১৮-৩৪ বছরের বয়সীদের ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ ভারতকে ‘পছন্দ’ এবং ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ ‘অপছন্দ’ করেছেন। কিন্তু পাকিস্তানের ক্ষেত্রে ৬২ দশমিক ১ শতাংশ ‘পছন্দ’ এবং ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ ‘অপছন্দ’ করেছেন।

তবে ৩৫ বছরের ঊর্ধ্বে যেসব উত্তরদাতা ছিলেন, তাদের মধ্যে ভারতকে ৫৯ দশমিক ৮ শতাংশ ‘পছন্দ’ আর ৩৫ শতাংশ ‘অপছন্দ’ করেছেন। 

অন্যদিকে, পাকিস্তানকে ‘পছন্দ’ করেছেন ৫৫ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ৩০ দশমিক ৫ শতাংশ ‘অপছন্দ’ করেছেন।

নারী ও পুরুষের মনোভাব
পুরুষ উত্তরদাতাদের মধ্যে ভারতকে ‘পছন্দ’ করেন ৫২ শতাংশ, অন্যদিকে ৬৪ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ পাকিস্তানকে ‘পছন্দ’ করেন। তবে নারী উত্তরদাতাদের মধ্যে ৫৫ দশমিক ৩ শতাংশ ভারতকে ‘পছন্দ’ করেন আর ৫৩ দশমিক ২ শতাংশ পাকিস্তানের ‘পছন্দ’ স্কেলে রায় দেন।

নারী ও পুরুষের মধ্যে ভারতকে ‘অপছন্দ’ করার মাত্রা প্রায় সমান ছিল (যথাক্রমে ৪০ দশমিক ৪ এবং ৪২ দশমিক ৩ শতাংশ) অন্যদিকে, পাকিস্তানকে ‘অপছন্দ’ করার মাত্রা নারী ও পুরুষ উত্তরদাতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে কম ছিল (যথাক্রমে ৩০ দশমিক ২ এবং ২৬ দশমিক ৭ শতাংশ)। সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা

নাবিল/অমিয়/