ঢাকা ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেট যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে লড়ছেন যে ৬ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ পিএম
আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৪ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে লড়ছেন যে ৬ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী
উপরের বাম দিক থেকে শেখ এম রহমান, নাবিলা ইসলাম, মাসুদুর রহমান, সাদ্দাম সেলিম, আবুল খান ও ড. নূরুন নবী

যুক্তরাষ্ট্রের এবারের নির্বাচনে লড়ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ছয় প্রার্থী। তারা নতুন কোনো প্রার্থী নন। বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন তারা। এবার আবারও দাঁড়িয়েছেন। 

জর্জিয়া থেকে আছেন স্টেট সিনেটর শেখ এম রহমান, ওই একই অঙ্গরাজ্যের অন্য ডিস্ট্রিক্ট থেকে রয়েছেন সিনেটর নাবিলা ইসলাম, কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে রয়েছেন সিনেটর মাসুদুর রহমান, আছেন ভার্জিনিয়া স্টেট সিনেটর সাদ্দাম সেলিম ও নিউ হ্যাম্পশায়ার স্টেট রিপ্রেজেনটেটিভ আবুল খান।

জর্জিয়ার শেখ রহমান পুনরায় নির্বাচন করবেন সিনেট ডিস্ট্রিক্ট ৫ থেকে, নাবিলা ইসলাম অংশ নেবেন একই স্টেটের সিনেট ডিস্ট্রিক্ট ৭ থেকে, কানেকটিকাটে নির্বাচনে সিনেট ডিস্ট্রিক্ট ৪ থেকে অংশ নিচ্ছেন মাসুদুর রহমান, ভার্জিনিয়ায় সেলিম সাদ্দাম স্টেট সিনেট ডিস্ট্রিক্ট ৩৭ থেকে পুনর্নির্বাচন করছেন। তারা সবাই ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী। তবে আবুল বাশার খান রিপাবলিকান। তিনি নিউ হ্যাম্পশায়ার স্টেট হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভ পদে রকিংহ্যাম ডিস্ট্রিক্ট ২০ থেকে পুনর্নির্বাচন করবেন। অন্য প্রার্থী ড. নূরুন নবী ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী।

এ ছাড়া পেনসিলভানিয়া, মিশিগান, নিউ জার্সিসহ অন্যান্য অঙ্গরাজ্যে কাউন্টি ও অন্যান্য পর্যায়ে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি-আমেরিকান প্রার্থী হয়েছেন। সূত্র: সাউথ এশিয়ান আপডেট

আলেপ্পোর জনজীবন ধীরে ধীরে সচল হচ্ছে

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৪ এএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৬ এএম
আলেপ্পোর জনজীবন ধীরে ধীরে সচল হচ্ছে

বিদ্রোহীদের দখলে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে সচল হতে শুরু করেছে আলেপ্পোর জনজীবন। শহরটি থেকে নৈশকালীন কারফিউ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। খাবারের দোকানে আবারও পাওয়া যাচ্ছে রুটি। ট্রাফিক পুলিশ ফিরে এসেছে রাস্তার মোড়ে মোড়ে। বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট টেলিকম নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যোগাযোগও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইন্টারনেট সংযোগেরও অগ্রগতি লক্ষ করা গেছে। সিরিয়ার হামা শহর দখলের পর হোমসের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বিদ্রোহীরা। ওই শহর থেকে বাসিন্দারা পালিয়ে যেতে শুরু করেছে। এ ছাড়াও রাশিয়া নিজ নাগরিকদের সিরিয়া থেকে সরে আসার নির্দেশ দিয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স আলেপ্পোর বেশ কয়েকজন বাসিন্দা ও কিছু ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এ খবর জানিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, মূলত এসব পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত আল-তাহরির আল শামস (এইচটিএস) পশ্চিম ও সিরিয়ার কাছে প্রমাণ করতে চাইছে যে, তারা নির্ভরযোগ্য এবং বাশার আল-আসাদের বিকল্প হিসেবে ভূমিকা রাখতে সক্ষম।  

এইচটিএসকে এখনো সন্ত্রাসী দল হিসেবেই ধরে যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক ও জাতিসংঘ। দলটি বেশ কয়েক বছর ধরেই নিজেদের ভাবমূর্তি ঠিক করার চেষ্টা করছে। ৫২ বছর বয়সী মোহাম্মদ খলিল বিদ্রোহী প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ হবে। কিন্তু তরুণ বয়সীরা ভালোই সামলে নিয়েছে।’ খলিল আলেপ্পোর একটি পর্যটন প্রতিষ্ঠানের মালিক।

এইচটিএস জানিয়েছে, তারা পশ্চিমের জন্য কোনো হুমকি নয়। দলটি এরই মধ্যে ইদলিবের বড় একটি অংশ দখলে রেখেছে। পরিত্রাণ সরকার নামে একটি প্রশাসনও প্রতিষ্ঠা করেছে, যারা ৩০ লাখের কাছাকাছি মানুষকে ৫ বছর ধরে শাসন করছে। সেখানে তাদের নির্বাচিত সরকার রয়েছে। তুরস্কের লিরা তারা মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার করছে এবং সিরিয়া ফোন নামে নিজেদের নেটওয়ার্কও রয়েছে, সেটি এখন আলেপ্পো পর্যন্ত বিস্তৃত করেছে। থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ বলছে, শরিয়া আইনের কট্টর ব্যাখ্যা ও প্রয়োগও এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে ওই এলাকায়। 

তবে আলেপ্পো নতুন চ্যালেঞ্জ হাজির করেছে বিদ্রোহীদের সামনে। ওই শহর এবং একই নামের প্রদেশে সিরীয় খ্রিস্টান, আর্মেনিয়া, কুর্দ ও শিয়া মুসলিমরা বসবাস করেন। তাদের অনেকেই বিদ্রোহীদের নিয়ে শঙ্কিত। তবে আলেপ্পোর সংখ্যালঘুসহ সবাইকে টেক্সট মেসেজ দিয়ে আশ্বস্ত করেছেন বিদ্রোহীরা। সে বার্তায় জানানো হয়েছে, কাউকে ঝুঁকির মুখে ফেলা হবে না এবং মৌলিক সেবাগুলো সচল থাকবে। 

হোমস থেকে পালাচ্ছেন মানুষ
এদিকে এইচটিএসের বিদ্রোহীদের অগ্রসর হওয়া অব্যাহত থাকার আশঙ্কায় হাজার হাজার মানুষ সিরিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম নগরী হোমস থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। এক যুদ্ধপর্যবেক্ষক গত বৃহস্পতিবার এ খবর জানান।

ব্রিটেনভিত্তিক যুদ্ধপর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, হোমসের আশপাশের এলাকা থেকে বিদ্রোহীদের অগ্রগতির ভয়ে হাজার হাজার মানুষ সিরিয়ার উপকূলের দিকে পালিয়ে যাচ্ছে। নগরীর উপকণ্ঠে বসবাসকারী খালেদ এএফপিকে বলেন, উপকূলীয় তারতুস নগরীর দিকে তাদের যাত্রার সড়কটি শত শত গাড়ির আলোয় ঝলমল করছিল। সূত্র: রয়টার্স, এএফপি

সিরিয়ায় বড় সাফল্যের পথে বিদ্রোহীরা, লক্ষ্য দামেস্ক

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০১ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৮ পিএম
সিরিয়ায় বড় সাফল্যের পথে বিদ্রোহীরা, লক্ষ্য দামেস্ক
ছবি: সংগৃহীত

সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর হোমস থেকে আসাদ সরকারের বাহিনীকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এর আগে শহরটির প্রবেশপথে আসাদ বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী বাহিনী তাহরির আল-শামের তীব্র সংঘর্ষের খবর পাওয়া গিয়েছিল। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি'র

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) অন্য আরেকটি বড় শহর হামা দখলে নিয়েছিল তাহরির আল-শাম। মাত্র ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে বড় সাফল্য পেতে যাচ্ছে বিদ্রোহী বাহিনী। গত সপ্তাহে আলেপ্পো শহরও দখলে নিয়েছেল বিদ্রোহীরা। বিদ্রোহী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা বেড়ে এখন ২৮ হাজার ৫২৫ বর্গকিলোমিটার হয়েছে।

যদি বিদ্রোহী বাহিনী হোমস সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে তাহলে দামেস্ক এবং উপকূলীয় অঞ্চলের পথ খুলে যাবে। এটি রাশিয়ার দুটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি তারতুস ও হেমেইমিমের জন্য বড় হুমকির কারণ হবে। 

বিদ্রোহী বাহিনীর কমান্ডার হাসান আবদুল গানি বলেন, ‘আমাদের সময় বাঁচানোর জন্য আমরা আসাদ বাহিনীকে পরামর্শ দিচ্ছি, চলে যাও হোমস থেকে, দামেস্ক থেকে এবং পুরো সিরিয়া থেকেই।’

সিরিয়ার বিদ্রোহী বাহিনী নতুন করে ‘সাউদার্ন অপারেশনস রুম’ গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। তারা ঘোষণা করেছে, ‘আমাদের গন্তব্য দামেস্ক।’

এদিকে সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, ‘ইদলিব, হামা এবং হোমস সিরিয়ার বিরোধীদের হাতে। এখন তারা দামেস্কের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আমরা আশা করি, সিরিয়ার এই অভিযান কোনো দুর্ঘটনা ছাড়াই এগিয়ে যাবে।’ তাছাড়া সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে লেবানন ও জর্ডান সিরিয়ার সঙ্গে তাদের সকল সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে।

সিরিয়ার আসাদ সরকারের বড় সহযোগী রাশিয়া তার নাগরিকদের অবিলম্বে সিরিয়া ছেড়ে চলে যেতে নির্দেশ দিয়েছে। গতকাল চীনও তার নাগরিকদের সিরিয়া ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। 

সিরিয়ার বিষয়ে আলোচনা করতে আগামীকাল কাতারের দোহায় একটি বিশেষ বৈঠকে বসবে তুরস্ক, ইরান এবং রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। সূত্র: আল জাজিরা, এএফপি।

মাহফুজ/এমএ/

নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দিল্লি অভিমুখে কৃষকদের মিছিল

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৩ পিএম
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দিল্লি অভিমুখে কৃষকদের মিছিল
দিল্লি অভিমুখে যাত্রা শুরু করেছেন পাঞ্জাবের কৃষকরা। ছবি: সংগৃহীত

পাঞ্জাবের কৃষকরা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বিভিন্ন দাবিতে মিছিল নিয়ে দিল্লি অভিমুখে যাত্রা শুরু করেছেন। 

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে সম্মিলিত কিষাণ মোর্চা (এসকেএম) ও কিষাণ মজদুর মোর্চার ব্যানারে হরিয়ানা প্রদেশের শাম্ভু সীমান্ত থেকে রাজধানীর দিকে যাত্রা শুরু করেন ১০১ জন কৃষক।

মিছিল শুরু করার আগে কৃষকনেতা গুরু তেজ বাহাদুরকে শহিদি সম্মান জানানো হয়।

শস্যের যথাযথ বিক্রয়মূল্য, সল্পসুদে কৃষিঋণ, কৃষক ও কৃষি শ্রমিকের অবসর ভাতা নিশ্চিতের পাশাপাশি ২০২০-২১ কৃষক আন্দোলনে লাখিমপুর খেরি অঞ্চলে সংগঠিত সহিংসতার বিচারের দাবিতে দিল্লিমুখী এই আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন তারা। 

এদিকে যেকোনো  ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে হরিয়ানা অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

অঞ্চলটিতে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার (বিএনএসএস) অধীনে ১৬৩ ধারা জারি করা হয়। এতে প্রদেশের আম্বালা জেলায় পাঁচ জনের বেশি জমায়েত হওয়া যাবে না।  
এ ছাড়া আন্তপ্রাদেশিক সব সীমান্তে যান চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও শাম্ভু সীমান্তে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিঙ্গঘু সীমান্তসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় তৎপর রয়েছে পুলিশ। 

এ বিষয়ে দিল্লি পুলিশ জানায়, তারা যেকোনো পরস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।

গত ১০ মাসের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো দিল্লিতে মিছিল নিয়ে ঢোকার চেষ্টা করছেন কৃষকরা। 

এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসের আন্দোলন কর্মসূচীতে পুলিশ ও কৃষকদের মধ্যে দাঙ্গার সৃষ্টি হয়।

কিন্তু এবার যথেষ্ট প্রশাসনিক তৎপরতা সত্ত্বেও পিছু হটতে রাজি নন কৃষকরা।

এ বিষয়ে কৃষক নেতা সানোয়ার সিং পান্ধার জানান, সরকার যদি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে, ধরে নিতে হবে কৃষকরাই জিতেছেন।

এই ঘটনায় দেশটির পার্লামেন্টের বিরোধী দল কংগ্রেস কৃষকদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। 

ভারতের ভাইস প্রেসিডেন্ট জগদীপ ধনকড় তার দেওয়া প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ করায় এ আন্দোলন জোর ফিরে পেয়েছে বলে মত তাদের।

এদিকে ২০২০-২১ সালের কৃষক আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে একাত্বতা প্রকাশ করে অহিংস আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছেন কৃষকনেতারা। সূত্র: দ্য হিন্দুস্তান টাইমস ও টাইমস অব ইন্ডিয়া

নাইমুর/পপি/

ফ্রান্সে দ্রুতই নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ: মাক্রোঁ

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৪ পিএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৮ এএম
ফ্রান্সে দ্রুতই নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ: মাক্রোঁ
ইমানুয়েল মাক্রোঁ

দ্রুতই ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ। 

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ১০ মিনিটের এক ভাষণে তিনি এ কথা জানান। 

এর আগে ফ্রান্সের পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের জেরে প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ের সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। দেশটির ইতিহাসে গত ৬০ বছরে এমন নজির এই প্রথম।

নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের বিষয়ে মাখোঁ জানান, কিছুদিনের মধ্যেই দেশে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হবে।

এদিকে খোদ প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবি উঠলেও ২০২৭ সালে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ক্ষমতা ছাড়বেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।

বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করে ভোট ছাড়াই পার্লামেন্টে বাজেট পাস করানোর ইস্যুতে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এই ঘটনার জেরেই দায়িত্ব পাওয়ার মাত্র তিন মাসের মধ্যে ক্ষমতা ছাড়ে বার্নিয়েরের সরকার।  

পদত্যাগের পর বার্নিয়েরকে তার কঠোর পরিশ্রমের জন্যে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। 

তবে পার্লামেন্টের তীব্র ডানপন্থি দল ন্যাশনাল র‌্যালি (আরএন) ও বামপন্থি দল নিউ পপুলার ফ্রন্ট (এনপিএফ) সরকারকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্য নিয়েই এই বিতর্কের সূত্রপাত ঘটিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

এর উত্তরে আরএন নেতা ম্যারিন লে পেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন, ‘আপত্তি প্রকাশ করা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। রিপাবলিকানবিরোধী উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে অনাস্থা প্রকাশ করেছি এমন ধারণা ঠিক না।’

বার্নিয়েরের সরকার পতনের পর দেশের বাজেট প্রত্যাহার হয়েছে। নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের আগ পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বার্নিয়ের। 

এদিকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কে দায়িত্ব পাবেন- এ বিষয়ে আলোচনা চলছে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে। সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেবাস্টিয়ান লেকর্নু ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রিটেলিউর নাম উল্লেখ করছেন অনেকেই। 

তবে পার্লামেন্টের এক সংকটাপন্ন পরিস্থিতিতে কোনো প্রার্থীই বেশি সমর্থন জোগাড় করতে পারবেন না বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। সূত্র: বিবিসি

নাইমুর/পপি/

ভিয়েতনামে হঠাৎ বিস্ফোরণে ১২ সেনা নিহত

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৭ এএম
ভিয়েতনামে হঠাৎ বিস্ফোরণে ১২ সেনা নিহত
ভিয়েতনামের সামরিক শুটিং রেঞ্জে বিস্ফোরণ। ছবি: সংগৃহীত

ভিয়েতনামে হঠাৎ বিস্ফোরণে ১২ জন সেনা নিহত হয়েছেন। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে সামরিক প্রশিক্ষণ অনুশীলনের সময় এ ঘটনা ঘটে। ভিয়েতনামের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমের বরাতে খবরটি সামনে আসে। নিহতদের সবার লাশ পাওয়া যায়নি। তাদের সন্ধানে উদ্ধারকাজ চলছে।

ভিয়েতনামের সংবাদমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা এএফপি বলেছে, গত সোমবার রাতে দক্ষিণাঞ্চলের শিল্প কেন্দ্র ডং নাইতে সপ্তম সামরিক অঞ্চলের একটি সামরিক শুটিং রেঞ্জে বিস্ফোরণটি ঘটে।

প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, প্রচণ্ড ঝড়ের সময় সেনারা বিস্ফোরক পদার্থ বহন করছিল। সেখানে বজ্রপাত আঘাত হানে আর তাতেই বিস্ফোরণ ঘটে। ভিয়েতনামের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘এটি সামরিক ইউনিট, পরিবার, আত্মীয়, কমরেড ও দলের সদস্যদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।’

এ দুর্ঘটনা ঘটার এক দিন আগেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফান ভ্যান গিয়াঙ সামরিক অনুশীলন শুরু করার ঘোষণা দেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। সপ্তম সামরিক সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষ এখনো নিহতদের বেশ কয়েকটি লাশের সন্ধান করছে। সূত্র: রয়টার্স, এএফপি